নিউইয়র্ক ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কেন্দ্রের চিঠি : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোন কমিটি নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নামে কোন কমিটি নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারীতে প্রেরিত কমিটির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নেই’। কেন্দ্রের এমন চিঠিতে প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নাই। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কেউ কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ স্টেট ও মহানগর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’ খবর ইউএনএ’র।
লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের নামে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল এইচ খান শাহেল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে আবদুল লতিফ স¤্রাট, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ এবং মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টনকে।
দলীয় সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি ছিলো। সর্বশেষ বিগত ১২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশপাশি বিভক্তি, নেতৃত্বে কোন্দল, উপ কোন্দল দেখা দেয়। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি’ গঠনের দাবী জানানো হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র লন্ডনে বসবাসরত বিএনপি’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন-কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয় বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দেখভাল করার দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধালন সম্পাদক, দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন। কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়ে উভয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠন না করে ষ্টেট কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এতে দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ষ্টেট কমিটি গঠন নিয়ে উভয় নেতার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিকতা’র অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে এককভাবে আনোয়ার হোসেন খোকন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশী অধ্যুষিত কয়েকটি ষ্টেটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেন। এছাড়াও নিউইয়র্ক ষ্টেট ও সিটি (উত্তর-দক্ষিণ) কমিটিও গঠন করেন। কেন্দ্র এসব কমিটির অনুমোদনও দেয়।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র বিলুপ্ত হওয়া কমিটির কেউ কেউ আগের পদ-পদবি ব্যবহার করে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কার্যক্রম চালাতে থাকেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচী গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দিবস ভিত্তিক সভা-সমাবেশ চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন, কোন প্রেক্ষিতে হাইকমান্ডের নির্দেশে সর্বশেষ এই চিঠি ইস্যু হলো তা অনেকেরই বোদগম্য নয়। বরং মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ছাত্র নেতা ও বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর বলেন, বলতে হলে সাহস লাগে। চাঁদাবাজী করে যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে বেহাল ঘটিয়েছে আজ তারাই বড় পদের অধিকারী, মন্ত্রী এমপি দৌড়ে আছে এইটার নাম বিএনপি চাঁদাবাজদের প্রমোশন হয় আর বিএনপিকে যারা বুকে ধারণ করে দল করে তেলবাজী করতে পারেনা তাদের কমঁকান্ড বন্ধের নোটিশ পায়
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পদক ও যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী বলেন, কেউ কি বলেছে এখানে কমিটি আছে? কমিটি না থাকলে আমি বিএনপি’র কর্মী এটা কি বলা যাবে না? আমরা তো দেখলাম ১০ মাস আগে কাউন্সিল করে এখন বাইর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেয়া হচ্ছে, বিএনপির গঠনতন্ত্রে এমন কিছু আছে কিনা আমাদের জানা নাই!
বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪ জন সম্মানিত সদস্য রয়েছেন। আমি বুঝতে পারিনা আপনারা কেন তাদের সাথে কথা বলেন না। এককভাবে আপনার কথা ফেইসবুকের খোরাক যোগাবে কিন্তু সাধারণ নেতা কর্মীদের আশা পুরণ হবে না। যদি সম্ভব হয় তাহলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করে আবেদন করুন।
শেখ হায়দার আলী বলেন, যারা দিনের চব্বিশ ঘন্টা রাজনীতি করেন, তারাই রাজনীতিকে পেশা মনে করেন ,ব্যবসা মনে করেন বলেই, চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদদের অধিকাংশ অসৎ ও নীতি বিবর্জিত, এরা দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের আদর্শিক নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনওই চব্বিশ ঘন্টা রাজনীতি করতে বলেনি। এখন বিবেচনা করুন, কারা এখন বিএনপি’র চব্বিশ ঘণ্টার অসৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাদের কথায় কিছু যায়, আসে না।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কেন্দ্রের চিঠি : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোন কমিটি নেই

প্রকাশের সময় : ০২:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নামে কোন কমিটি নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারীতে প্রেরিত কমিটির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নেই’। কেন্দ্রের এমন চিঠিতে প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি যে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কোনো কমিটি নাই। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নামে কেউ কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীকে নিজ নিজ স্টেট ও মহানগর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’ খবর ইউএনএ’র।
লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের নামে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল এইচ খান শাহেল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে আবদুল লতিফ স¤্রাট, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ এবং মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টনকে।
দলীয় সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি ছিলো। সর্বশেষ বিগত ১২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশপাশি বিভক্তি, নেতৃত্বে কোন্দল, উপ কোন্দল দেখা দেয়। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি’ গঠনের দাবী জানানো হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র লন্ডনে বসবাসরত বিএনপি’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন-কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয় বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দেখভাল করার দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধালন সম্পাদক, দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন। কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়ে উভয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠন না করে ষ্টেট কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এতে দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ষ্টেট কমিটি গঠন নিয়ে উভয় নেতার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিকতা’র অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে এককভাবে আনোয়ার হোসেন খোকন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশী অধ্যুষিত কয়েকটি ষ্টেটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেন। এছাড়াও নিউইয়র্ক ষ্টেট ও সিটি (উত্তর-দক্ষিণ) কমিটিও গঠন করেন। কেন্দ্র এসব কমিটির অনুমোদনও দেয়।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র বিলুপ্ত হওয়া কমিটির কেউ কেউ আগের পদ-পদবি ব্যবহার করে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কার্যক্রম চালাতে থাকেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচী গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দিবস ভিত্তিক সভা-সমাবেশ চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন, কোন প্রেক্ষিতে হাইকমান্ডের নির্দেশে সর্বশেষ এই চিঠি ইস্যু হলো তা অনেকেরই বোদগম্য নয়। বরং মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ছাত্র নেতা ও বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর বলেন, বলতে হলে সাহস লাগে। চাঁদাবাজী করে যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে বেহাল ঘটিয়েছে আজ তারাই বড় পদের অধিকারী, মন্ত্রী এমপি দৌড়ে আছে এইটার নাম বিএনপি চাঁদাবাজদের প্রমোশন হয় আর বিএনপিকে যারা বুকে ধারণ করে দল করে তেলবাজী করতে পারেনা তাদের কমঁকান্ড বন্ধের নোটিশ পায়
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পদক ও যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী বলেন, কেউ কি বলেছে এখানে কমিটি আছে? কমিটি না থাকলে আমি বিএনপি’র কর্মী এটা কি বলা যাবে না? আমরা তো দেখলাম ১০ মাস আগে কাউন্সিল করে এখন বাইর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেয়া হচ্ছে, বিএনপির গঠনতন্ত্রে এমন কিছু আছে কিনা আমাদের জানা নাই!
বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪ জন সম্মানিত সদস্য রয়েছেন। আমি বুঝতে পারিনা আপনারা কেন তাদের সাথে কথা বলেন না। এককভাবে আপনার কথা ফেইসবুকের খোরাক যোগাবে কিন্তু সাধারণ নেতা কর্মীদের আশা পুরণ হবে না। যদি সম্ভব হয় তাহলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করে আবেদন করুন।
শেখ হায়দার আলী বলেন, যারা দিনের চব্বিশ ঘন্টা রাজনীতি করেন, তারাই রাজনীতিকে পেশা মনে করেন ,ব্যবসা মনে করেন বলেই, চব্বিশ ঘন্টার রাজনীতিবিদদের অধিকাংশ অসৎ ও নীতি বিবর্জিত, এরা দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের আদর্শিক নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনওই চব্বিশ ঘন্টা রাজনীতি করতে বলেনি। এখন বিবেচনা করুন, কারা এখন বিএনপি’র চব্বিশ ঘণ্টার অসৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাদের কথায় কিছু যায়, আসে না।