নিউইয়র্ক ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কেন্দ্রীয় নেতা মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ॥ বাবু গংদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার ॥ ৩ জানুয়ারী কর্মী সভার সিদ্ধান্ত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ১০৮৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও সহযোগী ৩৪ অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে আয়োজিত এক সভায় যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র মূল কমিটি গঠন না করে ষ্টেট কমিটি গঠনের নামে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভাষায় ‘চাঁদাবাজী’র অভিযোগে মিলনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো’ বলে সভায় জানানো হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু গংদের যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কোন সভায় যোগ দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়। এছাড়া সভায় নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে খালেক আকন্দ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহাম্মদ আলমগীর (ভিপি আলমগী)-কে দায়িত্বও দেয়া হয়। সভায় দলের উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে আগামী ৩ জানুয়ারী রোববার কর্মী সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর ইউএনএ’র।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জ্য্কসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য, একই দিন একই সময়ে জ্যাকসন হাইটস্থ জুইস সেন্টারে একই ব্যানারে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু ও জসিম ভূঁইয়া নেতৃত্বাধীন গ্রুপ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। এই সভাকে কেন্দ্র করেই পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিজয় দিবসের সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং নেতা-কর্মীদের দাবীর মুখে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সেইভ বাংলাদেশ মুভমেন্ট’র সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জাসাস’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীনের উদ্যোগে পালকি পার্টি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভা উপলক্ষ্যে প্রচারিত পোস্টারে সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা প্রধান অতিথি এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসু’র সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা প্রচার করা হলেও কেন্দ্রীয় নেতা এই সভায় উপস্থিত হননি। এব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃন্দ সভায় কোন ব্যাখ্যাও দেননি।
পালকি পার্টি সেন্টারের সভা থেকে মোস্তফা কামাল পাসা বাবুল সহ কোন কোন নেতা-কর্মী জুইস সেন্টারের সভা না করতে দেয়ারও দাবী জানান এবং এজন্য প্রয়োজনে জেলে যাওয়ারও হুমকী দেন। ইতিপূর্বে ‘বাবু-জসিম’ নেতৃত্বাধীন সভা পন্ড করার পর বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ স¤্রাট দলীয় এক সভায় একই রকম হুমকী দিয়ে বলেছিলেন ‘প্রয়োজনে বিএনপির সবাই জেলে যাবো’।
USA BNP-2যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর লতিফ স¤্রাট, সাবেক সিনিয়ার সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্ল, সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলামান ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন ও সামুল ইসলাম মজনু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল সহ উল্লেখযোগ্য দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে হাজী শফী আলম লাল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্বা বাবরউদ্দিন, সাবেক সিনিয়ার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, সৈয়দ এম রেজা, কাজী আজম, গোলাম ফারুক শাহীন, ফিরোজ আহমেদ, আবুল বাশার, হাজী আবু তাহের, মোহাম্মদ আলমগীর খান ভিপি, এমএ খালেক আকন্দ, সেলিম রেজা, গিয়াস মজুমদার, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, জাহাঙ্গীর সোরয়ার্দী, মাজাহারুল ইসলাম জনি ও মহিলা নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরীন সহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল,জাসাস, জিসাস, শ্রমিকদল ও নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির দেড় শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পালকি সেন্টারের আলোচনা সভা চলাকালে সভায় খবর আসে যে ‘বাবু-জসিম’ গংরা জুইস সেন্টারে সভা করছেন এবং ঐ সভায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন। এই খবরে সভায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং কোন কোন নেতা-কর্মী জুইস সেন্টারের সভা পন্ড করার দাবী জানান। এজন্য প্রয়োজনে জেলে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ প্রস্তুত বলে জানান। আবার কেউ কেউ বলেন, ঐ সভায় (জুইস সেন্টার) কেন্দ্রীয় নেতা খোকা রয়েছেন। তাকে অসম্মান করা ঠিক হবে না। আবার কেউ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাস করি। আমাদেরকে আইন-কানুন মেলেই সবকিছু করতে হবে’। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেন ‘মাথা গরম করে শুধু রাজনীতি নয়, কোন কিছুই করা ঠিক হবে না’। এরই মধ্যে সভার কার্যক্রম চলতে থাকলে ‘জুইস সেন্টার ঘেরাও’ করার দাবী জোরদার হয়ে উঠলে পরবর্তীতে তরিঘড়ি করে আলোচনা সভা সমাপ্ত করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বৈঠকে মিলত হন এবং পারিপার্শিক অবস্থা সহ সকল দিক বিবেচনা করে জুইস সেন্টারের সভা পন্ড করার পরিববর্তে উপরোক্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ্এসময় বলা হয় আগামী ৩ জানুয়ারীর কর্মী সভায় সাদেক হোসেন খোকা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিবএনপি’র কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা না আসলে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাবা দেয়া হবে বলে সভায় কেউ কেউ উচ্চারণ করেন।
সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র মুল শক্তি, এটাই আসল আর মূল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’। যুক্তরাষ্ট্রের মূল বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে কাউকে কোন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। সভায় বক্তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শক্তিশালী করার পাশিাপাশি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কেন্দ্রীয় নেতা মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ॥ বাবু গংদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার ॥ ৩ জানুয়ারী কর্মী সভার সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও সহযোগী ৩৪ অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে আয়োজিত এক সভায় যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র মূল কমিটি গঠন না করে ষ্টেট কমিটি গঠনের নামে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভাষায় ‘চাঁদাবাজী’র অভিযোগে মিলনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো’ বলে সভায় জানানো হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু গংদের যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কোন সভায় যোগ দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়। এছাড়া সভায় নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে খালেক আকন্দ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহাম্মদ আলমগীর (ভিপি আলমগী)-কে দায়িত্বও দেয়া হয়। সভায় দলের উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে আগামী ৩ জানুয়ারী রোববার কর্মী সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর ইউএনএ’র।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জ্য্কসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য, একই দিন একই সময়ে জ্যাকসন হাইটস্থ জুইস সেন্টারে একই ব্যানারে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু ও জসিম ভূঁইয়া নেতৃত্বাধীন গ্রুপ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। এই সভাকে কেন্দ্র করেই পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিজয় দিবসের সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং নেতা-কর্মীদের দাবীর মুখে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সেইভ বাংলাদেশ মুভমেন্ট’র সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জাসাস’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীনের উদ্যোগে পালকি পার্টি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভা উপলক্ষ্যে প্রচারিত পোস্টারে সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা প্রধান অতিথি এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসু’র সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা প্রচার করা হলেও কেন্দ্রীয় নেতা এই সভায় উপস্থিত হননি। এব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃন্দ সভায় কোন ব্যাখ্যাও দেননি।
পালকি পার্টি সেন্টারের সভা থেকে মোস্তফা কামাল পাসা বাবুল সহ কোন কোন নেতা-কর্মী জুইস সেন্টারের সভা না করতে দেয়ারও দাবী জানান এবং এজন্য প্রয়োজনে জেলে যাওয়ারও হুমকী দেন। ইতিপূর্বে ‘বাবু-জসিম’ নেতৃত্বাধীন সভা পন্ড করার পর বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ স¤্রাট দলীয় এক সভায় একই রকম হুমকী দিয়ে বলেছিলেন ‘প্রয়োজনে বিএনপির সবাই জেলে যাবো’।
USA BNP-2যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর লতিফ স¤্রাট, সাবেক সিনিয়ার সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্ল, সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলামান ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন ও সামুল ইসলাম মজনু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল সহ উল্লেখযোগ্য দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে হাজী শফী আলম লাল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্বা বাবরউদ্দিন, সাবেক সিনিয়ার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, সৈয়দ এম রেজা, কাজী আজম, গোলাম ফারুক শাহীন, ফিরোজ আহমেদ, আবুল বাশার, হাজী আবু তাহের, মোহাম্মদ আলমগীর খান ভিপি, এমএ খালেক আকন্দ, সেলিম রেজা, গিয়াস মজুমদার, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, জাহাঙ্গীর সোরয়ার্দী, মাজাহারুল ইসলাম জনি ও মহিলা নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরীন সহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল,জাসাস, জিসাস, শ্রমিকদল ও নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির দেড় শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পালকি সেন্টারের আলোচনা সভা চলাকালে সভায় খবর আসে যে ‘বাবু-জসিম’ গংরা জুইস সেন্টারে সভা করছেন এবং ঐ সভায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন। এই খবরে সভায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং কোন কোন নেতা-কর্মী জুইস সেন্টারের সভা পন্ড করার দাবী জানান। এজন্য প্রয়োজনে জেলে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ প্রস্তুত বলে জানান। আবার কেউ কেউ বলেন, ঐ সভায় (জুইস সেন্টার) কেন্দ্রীয় নেতা খোকা রয়েছেন। তাকে অসম্মান করা ঠিক হবে না। আবার কেউ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাস করি। আমাদেরকে আইন-কানুন মেলেই সবকিছু করতে হবে’। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেন ‘মাথা গরম করে শুধু রাজনীতি নয়, কোন কিছুই করা ঠিক হবে না’। এরই মধ্যে সভার কার্যক্রম চলতে থাকলে ‘জুইস সেন্টার ঘেরাও’ করার দাবী জোরদার হয়ে উঠলে পরবর্তীতে তরিঘড়ি করে আলোচনা সভা সমাপ্ত করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বৈঠকে মিলত হন এবং পারিপার্শিক অবস্থা সহ সকল দিক বিবেচনা করে জুইস সেন্টারের সভা পন্ড করার পরিববর্তে উপরোক্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ্এসময় বলা হয় আগামী ৩ জানুয়ারীর কর্মী সভায় সাদেক হোসেন খোকা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিবএনপি’র কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা না আসলে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাবা দেয়া হবে বলে সভায় কেউ কেউ উচ্চারণ করেন।
সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরাই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র মুল শক্তি, এটাই আসল আর মূল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’। যুক্তরাষ্ট্রের মূল বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে কাউকে কোন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। সভায় বক্তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শক্তিশালী করার পাশিাপাশি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।