নিউইয়র্ক ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
নিউইয়র্কে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা

কারাবালার ত্যাগের মহিমা কাজে লাগাতে হবে ব্যক্তি জীবনে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: পবিত্র আশুরা বা কারবালার ঘটনা মুসলিম জাহানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এ শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে প্রত্যেক মুসলিমের ব্যক্তি জীবনে। কারবাবালায় যে ত্যাগের মহিমার উদাহারণ সৃষ্টি হয়েছিল এ বিয়োগাত্মক ঘটনা মুসলিম জাহানকে এখনো কাঁদিয়ে বেড়ায়। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও মিলাদে ইসলামিক স্কলাররা এসব কথা বলেন। বাদ মাগরিব আশুরা উদযাপন কমিটি, নিউইয়র্ক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উডসাইডের আহলে বাইয়াত মসজিদের পেশ ইমাম ড. সাইয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. সাইয়্যেদ আনসারুল করিম আল আজহারী। আলোচনায় অংশ নেন আবু হুরাইরা মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন, মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, মোহাম্মদী সেন্টারের ইমাম কাজী কায়্যূম, আয়োজকদের পক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, এটর্নি মঈন চৌধুরী, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও নুরুল আজিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর।
শুরুতে কেরাত পাঠ করেন সাইয়্যেদ মুনতাজির বিল্লাহ রাব্বানী। নাতে রাসুল সা. পাঠ করেন ওমর ফারুক। কমিউনিটির বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি দুলাল বেহেদু, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার কাজী এলিন, সৈয়দ এনায়েত ও ফরহাদ খন্দকার, ব্যবসায়ী রফিকুল হক টিটো প্রমুখ।
অলোচনায় বক্তারা বলেন, আশুরা মুসলিম উম্মাহর নিকট এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিবস রূপে পরিগণিত। এর প্রধান কারণ এই যে, এই দিন কারবালার প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) স্বীয় পরিবারবর্গ ও কতিপয় সঙ্গী সহকারে শাহাদত বরণ করেছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তারা যেই আত্মত্যাগ প্রদর্শন করেছিলেন, তা মুসলিম জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এটা ছাড়াও, আশুরার দিন বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শান্তি ও স¤প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়। তিনি বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা

কারাবালার ত্যাগের মহিমা কাজে লাগাতে হবে ব্যক্তি জীবনে

প্রকাশের সময় : ০১:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক: পবিত্র আশুরা বা কারবালার ঘটনা মুসলিম জাহানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এ শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে প্রত্যেক মুসলিমের ব্যক্তি জীবনে। কারবাবালায় যে ত্যাগের মহিমার উদাহারণ সৃষ্টি হয়েছিল এ বিয়োগাত্মক ঘটনা মুসলিম জাহানকে এখনো কাঁদিয়ে বেড়ায়। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও মিলাদে ইসলামিক স্কলাররা এসব কথা বলেন। বাদ মাগরিব আশুরা উদযাপন কমিটি, নিউইয়র্ক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উডসাইডের আহলে বাইয়াত মসজিদের পেশ ইমাম ড. সাইয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. সাইয়্যেদ আনসারুল করিম আল আজহারী। আলোচনায় অংশ নেন আবু হুরাইরা মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন, মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, মোহাম্মদী সেন্টারের ইমাম কাজী কায়্যূম, আয়োজকদের পক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, এটর্নি মঈন চৌধুরী, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও নুরুল আজিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর।
শুরুতে কেরাত পাঠ করেন সাইয়্যেদ মুনতাজির বিল্লাহ রাব্বানী। নাতে রাসুল সা. পাঠ করেন ওমর ফারুক। কমিউনিটির বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি দুলাল বেহেদু, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আলী ইমাম শিকদার, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার কাজী এলিন, সৈয়দ এনায়েত ও ফরহাদ খন্দকার, ব্যবসায়ী রফিকুল হক টিটো প্রমুখ।
অলোচনায় বক্তারা বলেন, আশুরা মুসলিম উম্মাহর নিকট এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিবস রূপে পরিগণিত। এর প্রধান কারণ এই যে, এই দিন কারবালার প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) স্বীয় পরিবারবর্গ ও কতিপয় সঙ্গী সহকারে শাহাদত বরণ করেছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তারা যেই আত্মত্যাগ প্রদর্শন করেছিলেন, তা মুসলিম জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এটা ছাড়াও, আশুরার দিন বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শান্তি ও স¤প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা জোগায়। তিনি বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।