নিউইয়র্ক ০৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

করোনা: দ্বিতীয় দফা সংক্রমনে যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে ৮ বাংলাদেশীদের মৃত্যু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪২ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট: নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া সহ গত এক সপ্তাহে অনন্ত অর্ধডজনাধিক বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে শোকাহত পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটি। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ষ্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন এবং মৃত্যুবরণ করছেন। গেলো সপ্তাহে নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজার্সী, কানেকটিকাট, মিশিগান ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশীর মৃত্যু ঘটেছে।
কমিউনিটির পরিচিতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুখ আব্দুল হাই জিয়াকে গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকগণ মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। এর আগের দিন রোববার রাতে স্ট্রোটকের শিকারে আবদুল হাই জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে এষ্টোরিয়ার মাউন্ট সানাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছিলেন করোনাক্রান্ত। হাসপাতলে ভর্তির পর থেকেই তিনি জ্ঞানহীন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সন্তান জিয়া মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র ও এক কন্য সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তিনি এস্টোরিয়ার ডিটমার্সে সপরিবারের বসবাস করতেন। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা, ডাউনটাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর ইন্তেকালের খবরে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার নামাজে জানাজা বুধবার বেলা ১টায় ব্রæকলীনস্থ চট্টগ্রাম সমিতি ভবনের সামনে ৫৪৫ ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মওলানা আব্দুল্লাহ। বছরের প্রথম তুষারপাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত তার জানাজায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন কে চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জানাজায় অংশ নেন। এরপর তার মরদেহ লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়।
অপরদিকে মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে আরো এক বাংলাদেশী ইন্তেকাল করেছেন। সিটির রিচমন্ডহীলে বসবাসকারী কাজী তাইফুর হোসেনের মা হেনোরা বেগম গত ৬ ডিসেম্বর রোববার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র, এক কন্যা আর নাতি-নাতনী সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
ছবিতে (ক্লকওয়াই)- আব্দুল হাই জিয়া, আব্দুল হক, আলতাফুর রহমান, এবাদুর রহমান, এনামুল হক, হারুন খান, হেনোরা বেগম ও ইফতেখার আহমেদ খসরু
বৃহত্তর বরিশালের ঝলকাঠির সন্তান কাজী হোসেন জানান, তিন সপ্তাহ আগে তার পরিবারের সবাই বিশেষ করে আমি ছাড়াও আর মা, স্ত্রী এবং আমার দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হই এবং বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর রোববার বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই আমার মা গুরুতর অসুস্থ অনুভব করেন। চিকিৎসকের ভাষায়- করোনা থেকেই আমার মা রিকোভারী হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সাথে সাথে তাকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতাল সেন্টারের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকগণ মৃত ঘোষণা করেন। মরহুমা হেনোরা বেগমের নামাজে জানাজা গত ৭ নভেম্বর সোমবার বাদ জোহর জ্যামাইকা দারুল উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এতে অংশ নেন। জানাজার পর নিউজার্সীর মার্লবরো কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
অরদিকে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা খলাগ্রাম নিবাসী এনামুল হক (৬১) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় বিকেল ৪.১৫ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাদীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক বিশিষ্ট কবি তমিজ উদদীন লোদীর সমন্ধী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, মেয়ে এবং ৪ ভাই ও তিন বোন সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে যান। তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার বাদ জোহর মিশিগানের নূর মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্থানীয় করবস্থানে দাফন করা হয়েছে। এছাড়াও মিশিগান অঙ্গরাজ্যের প্রবীণ মুরব্বী এবাদুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে মৃত্যুবরণ করেছেন।
নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন শহরের পরিচিত মুখ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আলতাফুর রহমান গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার সকালে প্যাটারসনের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা পরদিন মঙ্গলবার বেলা দেড়টায়, টটোয়া কবর স্থানে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দাফন করা হয়েছে। মরহুম আলতাফুর রমান প্যাটারসন মসজিদ আল-ফেরদৌসের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ভগ্নীপতি।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ওয়েলিংফোর্ডের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আবদুল হক গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় ইয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। বাংলাদেশে তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে।
অপরদিকে নিউইয়র্কের বিশিষ্ট লেখক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু’র বড় ভাই, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ-এর সবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ খসরু’র লাইভ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা দুই মিনিটে তার লাইভ সাপোর্ট বিচ্ছিন্ন করা হয়। তার শরীরের কোন অঙ্গ কাজ না করায় চিকিৎসদের পরামর্শেরই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা, নাতনী এবং তিন ভাই সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে যান। তিনি মেরিল্যান্ড ষ্টেটের মন্টগোমারী হাসপাতালে কভিড-১৯ পজিটিভ সনাক্ত হয়ে লাইভ সাপোর্টে ছিলেন। এছাড়াও তিনি অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রায় চার সপ্তাহ আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
সুনামগঞ্জ শহরের সন্তান ইফতেখার আহমেদ খসরু ১৯৮৮ যুক্তরাষ্ট্র আগমন করেন। মেরিল্যান্ডের আর ফেরদৌস মেমোরিয়াল গার্ডেনস এ বুধবার বাদ জোহর নামাজে জানা শেষে মেরিল্যান্ডেই তার মরদহ দাফন করা হয়।
নিউইর্য়কের বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ হারুন খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা একটার সময় লং আইল্যান্ড জুইস (এলআইজে) হসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার দেশের বাড়ী সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন (পশ্চিম) গ্রামের বাড়ী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

করোনা: দ্বিতীয় দফা সংক্রমনে যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে ৮ বাংলাদেশীদের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

হককথা রিপোর্ট: নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া সহ গত এক সপ্তাহে অনন্ত অর্ধডজনাধিক বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে শোকাহত পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটি। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ষ্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন এবং মৃত্যুবরণ করছেন। গেলো সপ্তাহে নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজার্সী, কানেকটিকাট, মিশিগান ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশীর মৃত্যু ঘটেছে।
কমিউনিটির পরিচিতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুখ আব্দুল হাই জিয়াকে গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকগণ মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। এর আগের দিন রোববার রাতে স্ট্রোটকের শিকারে আবদুল হাই জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে এষ্টোরিয়ার মাউন্ট সানাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছিলেন করোনাক্রান্ত। হাসপাতলে ভর্তির পর থেকেই তিনি জ্ঞানহীন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সন্তান জিয়া মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র ও এক কন্য সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তিনি এস্টোরিয়ার ডিটমার্সে সপরিবারের বসবাস করতেন। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা, ডাউনটাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর ইন্তেকালের খবরে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার নামাজে জানাজা বুধবার বেলা ১টায় ব্রæকলীনস্থ চট্টগ্রাম সমিতি ভবনের সামনে ৫৪৫ ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মওলানা আব্দুল্লাহ। বছরের প্রথম তুষারপাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত তার জানাজায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন কে চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জানাজায় অংশ নেন। এরপর তার মরদেহ লং আইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়।
অপরদিকে মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে আরো এক বাংলাদেশী ইন্তেকাল করেছেন। সিটির রিচমন্ডহীলে বসবাসকারী কাজী তাইফুর হোসেনের মা হেনোরা বেগম গত ৬ ডিসেম্বর রোববার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র, এক কন্যা আর নাতি-নাতনী সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
ছবিতে (ক্লকওয়াই)- আব্দুল হাই জিয়া, আব্দুল হক, আলতাফুর রহমান, এবাদুর রহমান, এনামুল হক, হারুন খান, হেনোরা বেগম ও ইফতেখার আহমেদ খসরু
বৃহত্তর বরিশালের ঝলকাঠির সন্তান কাজী হোসেন জানান, তিন সপ্তাহ আগে তার পরিবারের সবাই বিশেষ করে আমি ছাড়াও আর মা, স্ত্রী এবং আমার দুই সন্তান করোনায় আক্রান্ত হই এবং বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর রোববার বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই আমার মা গুরুতর অসুস্থ অনুভব করেন। চিকিৎসকের ভাষায়- করোনা থেকেই আমার মা রিকোভারী হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সাথে সাথে তাকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতাল সেন্টারের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকগণ মৃত ঘোষণা করেন। মরহুমা হেনোরা বেগমের নামাজে জানাজা গত ৭ নভেম্বর সোমবার বাদ জোহর জ্যামাইকা দারুল উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এতে অংশ নেন। জানাজার পর নিউজার্সীর মার্লবরো কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
অরদিকে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা খলাগ্রাম নিবাসী এনামুল হক (৬১) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় বিকেল ৪.১৫ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাদীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক বিশিষ্ট কবি তমিজ উদদীন লোদীর সমন্ধী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, মেয়ে এবং ৪ ভাই ও তিন বোন সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে যান। তার নামাজে জানাজা মঙ্গলবার বাদ জোহর মিশিগানের নূর মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্থানীয় করবস্থানে দাফন করা হয়েছে। এছাড়াও মিশিগান অঙ্গরাজ্যের প্রবীণ মুরব্বী এবাদুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে মৃত্যুবরণ করেছেন।
নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন শহরের পরিচিত মুখ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আলতাফুর রহমান গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার সকালে প্যাটারসনের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা পরদিন মঙ্গলবার বেলা দেড়টায়, টটোয়া কবর স্থানে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দাফন করা হয়েছে। মরহুম আলতাফুর রমান প্যাটারসন মসজিদ আল-ফেরদৌসের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ভগ্নীপতি।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ওয়েলিংফোর্ডের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আবদুল হক গত ৭ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় ইয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। বাংলাদেশে তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে।
অপরদিকে নিউইয়র্কের বিশিষ্ট লেখক ইশতিয়াক আহমেদ রুপু’র বড় ভাই, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ-এর সবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ খসরু’র লাইভ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা দুই মিনিটে তার লাইভ সাপোর্ট বিচ্ছিন্ন করা হয়। তার শরীরের কোন অঙ্গ কাজ না করায় চিকিৎসদের পরামর্শেরই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা, নাতনী এবং তিন ভাই সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে যান। তিনি মেরিল্যান্ড ষ্টেটের মন্টগোমারী হাসপাতালে কভিড-১৯ পজিটিভ সনাক্ত হয়ে লাইভ সাপোর্টে ছিলেন। এছাড়াও তিনি অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রায় চার সপ্তাহ আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
সুনামগঞ্জ শহরের সন্তান ইফতেখার আহমেদ খসরু ১৯৮৮ যুক্তরাষ্ট্র আগমন করেন। মেরিল্যান্ডের আর ফেরদৌস মেমোরিয়াল গার্ডেনস এ বুধবার বাদ জোহর নামাজে জানা শেষে মেরিল্যান্ডেই তার মরদহ দাফন করা হয়।
নিউইর্য়কের বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ হারুন খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা একটার সময় লং আইল্যান্ড জুইস (এলআইজে) হসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার দেশের বাড়ী সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন (পশ্চিম) গ্রামের বাড়ী।