নিউইয়র্ক ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে অ্যাঞ্জেল-সাথী’র দাফন সম্পন্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কে এক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতির মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মোমোরিয়ার কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ৬দিন পর শুক্রবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) সকালে উভয়ের মরদেহ ইয়েলো সোসাইটির ক্রয়কৃত কবরে সমাহিত করা হয়। এদিকে অ্যাঞ্জেল-সাথী দম্পতির নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের আতœীয়-স্বজন ও ইয়েলো সোসাইটির কর্মকর্তা-সদস্যরা সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। এছাড়াও ইউএস আর্মীতে কর্মরত হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেলে সহকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটি থেকে সড়ক পথে আপষ্টেটের বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে গত ৯ ফেব্রæয়ারী শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল (৪৫) ও তার স্ত্রী সাথী আহমেদ (৩৮) দূর্ঘটনার শিকার হন এবং স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দূর্ঘটনায় তাদের এক কন্যা গুরুতর আহত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। নিহত হাফিজের দেশের বাড়ী কুমিল্লা আর সাথীর বাড়ী বরিশাল। তারা নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় বসবাস করতেন। দূঘর্টনায় বাংলাদেশী দম্পতির নিহতের ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্ক’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল ভূইয়া জানান, হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল তাদের সংগঠনের সদস্য। গত দুই বছর ধরে তিনি ইউএস আর্মীতে (নন ইউনিফর্ম) কর্মরত ছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি থেকে বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে ঘটনারদিন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওরেঞ্জ কাউন্টির উডভেরীর ছয় নম্বর রোডে একটি দ্রæতগামী গাড়ী তাদের গাড়ীতে অঘাত করলে মারাত্বক দূর্ঘটনটি ঘটে। এসময় তাদের গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে তারা স্বামী-স্ত্রী দূর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাদের কন্যা রাইদা আহমেদ (৭) ওয়েষ্টচেষ্টার মেডিক্যাল সেন্টারে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার শরীরের ৬টি হাড় ভেঙ্গে যায় বলে জানা গেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশের বরাতে এক খবরে বলা হয়েছে, একটি গাড়িকে তাড়া করছিলো পুলিশ। এসময় ওই গাড়িটি অ্যাঞ্জেলের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই গাড়িটির চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারী) পোস্ট মর্টেম শেষে তাদের মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতির ১৯ বছর বয়সী আরেক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বিংহ্যাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। সেখানে ক্রয় করা বাড়ীতে যাওয়ার পথে কন্যা সহ তারা দূর্ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশী দম্পতির মৃত্যুতে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাকের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্কের সভাপতি শেখ ইলিয়াস হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে অ্যাঞ্জেল-সাথী’র দাফন সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কে এক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতির মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মোমোরিয়ার কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ৬দিন পর শুক্রবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) সকালে উভয়ের মরদেহ ইয়েলো সোসাইটির ক্রয়কৃত কবরে সমাহিত করা হয়। এদিকে অ্যাঞ্জেল-সাথী দম্পতির নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রæয়ারী) বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের আতœীয়-স্বজন ও ইয়েলো সোসাইটির কর্মকর্তা-সদস্যরা সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। এছাড়াও ইউএস আর্মীতে কর্মরত হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেলে সহকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটি থেকে সড়ক পথে আপষ্টেটের বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে গত ৯ ফেব্রæয়ারী শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল (৪৫) ও তার স্ত্রী সাথী আহমেদ (৩৮) দূর্ঘটনার শিকার হন এবং স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দূর্ঘটনায় তাদের এক কন্যা গুরুতর আহত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। নিহত হাফিজের দেশের বাড়ী কুমিল্লা আর সাথীর বাড়ী বরিশাল। তারা নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় বসবাস করতেন। দূঘর্টনায় বাংলাদেশী দম্পতির নিহতের ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্ক’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল ভূইয়া জানান, হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল তাদের সংগঠনের সদস্য। গত দুই বছর ধরে তিনি ইউএস আর্মীতে (নন ইউনিফর্ম) কর্মরত ছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি থেকে বিংহ্যামটন যাওয়ার পথে ঘটনারদিন শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওরেঞ্জ কাউন্টির উডভেরীর ছয় নম্বর রোডে একটি দ্রæতগামী গাড়ী তাদের গাড়ীতে অঘাত করলে মারাত্বক দূর্ঘটনটি ঘটে। এসময় তাদের গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে তারা স্বামী-স্ত্রী দূর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাদের কন্যা রাইদা আহমেদ (৭) ওয়েষ্টচেষ্টার মেডিক্যাল সেন্টারে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার শরীরের ৬টি হাড় ভেঙ্গে যায় বলে জানা গেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশের বরাতে এক খবরে বলা হয়েছে, একটি গাড়িকে তাড়া করছিলো পুলিশ। এসময় ওই গাড়িটি অ্যাঞ্জেলের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই গাড়িটির চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারী) পোস্ট মর্টেম শেষে তাদের মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল ও সাথী আহমেদ দম্পতির ১৯ বছর বয়সী আরেক পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বিংহ্যাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। সেখানে ক্রয় করা বাড়ীতে যাওয়ার পথে কন্যা সহ তারা দূর্ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশী দম্পতির মৃত্যুতে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাকের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ইয়েলো সোসাইটি নিউইয়র্কের সভাপতি শেখ ইলিয়াস হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।