ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগের সমাবেশে দু দফায় চরম হট্টগোল-হাতাহাতি-মারামারি
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
- / ১০৩৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল আর বিভক্তির জের হিসেবে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ পালন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সমাবেশে দু’দফা চরম হট্টগোল আর হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দফায় দলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে ক্ষুব্ধ একদল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতিবাদ এবং দলে দুই এমপি’র উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের বাদ-প্রতিবাদের ঘটনায় এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশী হস্তক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং প্রথম দফায় মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা বাতিল হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ এপ্রিল সোমবার রাতে (নিউইয়র্ক সময়) সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে উল্লেখিত ঘটনার জন্য দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সহ সংগঠনের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ বখতিয়ার, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস প্রমুখকে ‘জামায়াত-শিবির’ আর ‘খোন্দকার মুশতাকের দোসর’ হিসেবে অভিহিত করে ‘অপ্রীতিকর ঘটনা’র জন্য দায়ী এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে অবিলম্বে তাদেরকে বহিষ্কারের দাবি করা হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গত ১৭ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টা দিকে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ নিউ মেজবান পার্টি হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেওেক তেলাওয়াত এবং ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতার বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম কাজী কাইয়্যুম। এরপর সবিতা দাস গীতা থেকে পাঠ করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় এরপর আলোচনা পর্বের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার। এসময় দলবল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এবং বছর দুয়েক আগে সাসপেন্ড হওয়া সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ। নূরুজ্জামান সরদারের বক্তব্যের পর সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ দর্শক সাড়ি থেকে দাঁড়িয়ে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবী করে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চান, কেন তাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন যে, ‘আমি এখানে থাকতেও কেন আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়া হচ্ছে’, ইত্যাদি। এসময় মাইক নিয়ে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাকে সাসপেনশনের নির্দেশ জারি করতে বলেছেন এবং সেই টেক্সট আপনি (সাজ্জাদ)ও পেয়েছেন। ড. সিদ্দিক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, বিগত সেম্পেটম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের সময় তার (প্রধানমন্ত্রী) সম্বর্ধনা সভায় আপনি ছিলেন না, কোন প্রশ্নও করেননি। দলের স্বার্থে কয়েক মাস আগে আপাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তখন আপনি তা মেনে নিয়েছেন, কোন প্রশ্ন করেননি। আজ হঠাৎ কী হলো যে, আপনি শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করছেন।
এরপর সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ছিলাম না। ঢাকায় গিয়ে বিষয়টি জেনেছি এবং প্রথমে নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলে চাইলে বাধাগ্রস্ত হয়েছি এবং পরে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেলে নেত্রী দলের জন্য কাজ করতে বলেছেন। এই পর্যায়ে ড. সিদ্দিক ও সাজ্জাদের মধ্যে বাদানুবাদ চলতে থাকে।
এক পর্যায়ে ড. সিদ্দিকের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পেরে সাজ্জাদুর রহমান ঐ সাসপেনশনের টেক্সট মেসেজ দেখানোর দাবী করেন। এসময় ড. সিদ্দিক-সামাদ সমর্থক এক কর্মী দলীয় এক কর্মী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদর মুখোমুখি হয়ে তাকে (সাজ্জাদ) সভায় কেন এসেছেন বলে ‘জিজ্ঞাসা’ (চার্জ) করতে থাকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ড. সিদ্দিক ও সাজ্জাদ সমর্থকরা বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হন। এই পরিস্থিতিতে সাজ্জাদ সমর্থকদের সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে ঠেলে অনুষ্ঠান মঞ্চ দখলের চেষ্টা করতে দেখা যায় এবং মঞ্চের কাছে নিয়ে মাইক কেড়ে নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্যে চাপ দিতে থাকেন। এসময় মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শাহ বখতিয়ার ও কাজী কয়েস সহ হোসেন রানা, ওয়ালী হোসেন, সাইকুল ইসলাম প্রমুখকে সাজ্জাদের পক্ষে দুঢ় অবস্থান নিতে দেখা যায়। অপরদিকে ফারুক আহমদ, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, তৈয়বুর রহমান টনি প্রমুখকে ড. সিদ্দিকের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিতে দেয়া যায়। এমতাবস্থায় ড. সিদ্দিকের সাথে মঞ্চে বসা দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা চরম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে বিবদমান দুই গ্রুপের কর্মীরা তুমুল ধাক্কা-ধাক্কিতে লিপ্ত হন। এসময় চেয়ার ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটে। মুহূর্তে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এই অবস্থায় সভাপতি ড. সিদ্দিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদসহ দলের শীর্ষ নেতারা ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে বিকল্প পথে সভাস্থল ত্যাগ করলে সাজ্জাদ সমর্থকরা অনুষ্ঠানস্থল দখল নেয় এবং তারা সভার ব্যানারও খুলে ফেলে।
এরপর সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ মাইক হাতে নিয়ে প্রথম সভা করার ঘোষণা দিলেও পরক্ষনেই সভা শেষ বলে ঘোষণা দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে রেষ্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশ কল করেন। সাথে সাথে ডজনখানেক পুলিশ (সাদা পোষাকধারীসহ) অনুষ্ঠানস্থলে এসে সবাইকে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দিলে উপস্থিত সবাই সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের রেষ্টুন্টেনটির প্রবেশ পথে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এই ঘটনার ১৫/২০ মিনিট পর সভাপতি ড. সিদ্দিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুনরায় সভাস্থলে সমবেত হন এবং টান টান উত্তেজনার মধ্যে ঘন্টাখানেক পর যথারীতি আলোচনা শুরু করেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সজীব ওয়াজেদ জয়ের টেক্সট মেসেজ সকলকে পাঠ করে শোনান। সেখানে স্পষ্টভাবে সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাজ্জাদকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাসপেনশনের কথা রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এ সময় সিদ্দিকুর রহমান প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে হামলাকারি ৪ জনের নাম উল্লেখসহ যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। এসময় উপস্থিত সকলে সমস্বরে সাজ্জাদুর রহমসান সাজ্জাদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আব্দুর রহিম বাদশা, এডভোকেট শাহ বখতিয়ার এবং কাজী কয়েসকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এরপরই সমাবেশে যোগ দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান এমপি। তার আসন গ্রহণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সভাস্থলে আসেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির এমপি।
পরবর্তীতে মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক (প্রথম) নিজাম চৌধুরী। তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবসের সমাবেশ যারা বানচালের ষড়যন্ত্র করেছে, তারা কখনোই আওয়ামী লীগের লোক নয়, ওরা খোন্দকার মোশতাকের দোসর, জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন গঠনতন্ত্র নেই। কারণ, এর গঠনতন্ত্র হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমরা ১৯৮৯ সালের ১৭মে থেকেই তার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছি। এ নিয়ে বাদানুবাদের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিচালিত হচ্ছে সরাসরি সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক-নির্দেশনায়। এটি যারা মানতে পারবে না, তাদের আওয়ামী লীগে থাকার অধিকার নেই।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভা সংক্ষিপ্ত করায় নিজাম চৌধুরীর পর সংগঠরে যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়ার পর বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবু জাহির এমপি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আব্দুল মান্নানের বক্তব্যের আগে সভাপতি ড. সিদ্দিক তার বক্তব্যে অনুষ্ঠান স্থলে অপ্রীতির ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকা সহ নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নূরুজ্জামান সরদার সহ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ এবং তাদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে শক্তি করাকে দায়ী করেন এবং একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে তারিকুল হায়দার চৌধুরীকে পরিচয় করিয়ে দিলে এরপর প্রতিবাদ জানান যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেবুল মিয়া ও ইফজাল আহমেদ চৌধুরী ড. সিদ্দিকের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক প্রতিবাদ করে বলে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সে (তারিকুল) যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক। তাদের এই প্রতিবাদের প্রতিবাদ জানান তরিকুল হায়দার চৌধুরী। তাদের এই বাদ-প্রতিবাদে যুক্ত হন উভয়ের সমর্থক নেতা-কর্মী। এক পর্যায়ে যুবলীগের উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা চরম মারমুখী হয়ে উঠে এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হলে বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আব্দুল মান্নান এমপি ও সভাপতি ড. সিদ্দিক সহ শীর্ষ নেতারা বারংবার তাদের থামতে বললেও যুবলীগ কর্মীরা হাতাহাতিতে লিপ্ত থাকে। প্রায় ১৫ মিনিট এই অবস্থা চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুবলীগকে পরিচয় দিতে গিয়ে আমারই ভুল হয়েছে উল্লেখ করে যুবলীগ নেতাদের আসন গ্রহণ করার অনুরোধ জানান এবং তা না করলে পুলিশ ডেকে তাদেরকে সভাস্থল থেকে বের করে দেয়ার কথা বললে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরবর্তীতে পুনরায় আলোচনা শুরু হয় এবং আব্দুল মান্নান এমপি তার বক্তব্যে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী, সাতই মার্চ, ১৬ মার্চ, ১৭ এপ্রিল, ১৫ আগষ্ট, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের অবিচ্ছেদ্ধ অংশ। যারা এসব দিবস পালন করে না তাদের আওয়ামী লীগ করার অধিকার নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে মতবিরোধ থাকবে, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, যারা কোন্দল করে, গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ মহলের পারপাস সার্ভ করতে চায়, তাদের দলে থাকার অধিকার নেই।
সভায় উল্লেখযোগ্য দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, মাহবুবুর রহমান, লুৎফুল করিম, সামসুদ্দীন আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহানাজ, আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, ডেনী চৌধুরী, খোরশেদ খন্দকার প্রমুখ সহ যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাড়াও অন্য সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইউএনএ