নিউইয়র্ক ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঐক্যের পথে বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮
  • / ৯৫২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): কমিউনিটিতে চমক দেখিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক বিগত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হলেও সম্প্রতি ফাউন্ডেশনের দুই সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট প্রবাসীরা বৃহত্তর স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা (রাজশাহী বিভাগের ৮টি এবং রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা) নিয়ে ২০০৯ সালে ‘নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকান্ড দেখিয়ে এবং ১৬টি জেলার সমন্বয়ে একটি বৃহৎ সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলে সংশ্লিস্টরা কমিউনিটিতে চমক সৃষ্টি করেন এবং সাড়া ফেলে দেন। বিশেষ করে প্রবাসে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার নিজ নিজ সংগঠন থাকলেও কোন কোন সংগঠনের মধ্যকার বিভক্তি আর একাধিক কমিটি থাকলেও সবাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক। পাশাপাশি শীতের সময় প্রবাসীদের সাহায্যে উত্তরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয় উদাহরণ তৈরী করে সংগঠনটি। সেই সময় বাংলাদেশের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল পাঠানোর উদ্যোগ কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া জাগায়। সংশ্লিস্টরা জানান, গতানুগতিক এসোসিয়েশন বা সমিতি না করে ফাউন্ডেশনের আদলেই পরিচালনা করা ছিলো এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। খবর ইউএনএ’র।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম এবং প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন তালুকদার সহ উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সংগঠনটি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কয়েক বছর সুনামের সাথে ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে কিছু ‘ঠুনকো ঘটনা’কে কেন্দ্র করে ফাউন্ডেশন ভুক্ত একটি জেলার এসোসিয়েশন ও সমিতির পুরনো দন্দ্বে জড়িয়ে পড়া, কর্মকর্তাদের মধ্যকার পারষ্পারিক সন্দেহ আর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ফাউন্ডেশনটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন বিভক্ত ফাউন্ডেশনের একাংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান এবং অপরাংশের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম। ফলে ফাউন্ডেশন তার গৌরব, জৌলুস আর স্বকিয়তা হারিয়ে ফেলে এবং উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার প্রবাসী বিশিষ্টজনরা এই ফাউন্ডেশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এরপর বিভক্ত নেতৃবৃন্দ ফাউন্ডেশনের একই নামে প্রায় অভিন্ন গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম চালু রাখলেও তা কখনো ফাউন্ডেশনের পূর্ণাঙ্গতা ফিরে পায়নি। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সংগঠনটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেনি।
বর্তমানে বিভক্ত ফাউন্ডেশনের একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান খান তনু এবং অপরাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি আতোয়ারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
সংশ্লিস্ট সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান সাবেক কূটনীতিক আব্দুর রাজ্জাক খান, বর্তমানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও কেন্দ্রয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে আবার একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উল্লেখ্য, এরা সবাই উত্তর বঙ্গের সন্তান। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি-ভার্জিনিয়ায় দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনযাপন করেন এবং সঙ্গীত শিল্পী দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছেন।
এদিকে ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: দুইভাগে বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে পুন:একত্রিকরণের উদ্যোগে এক সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন’ উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা নিয়ে ২০০৯ সালে গঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ফাউন্ডেশনটি দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ভ্রাতৃদ্বয় ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান ও ডা. চৌধুরী মঞ্জুরুল হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা নাসির খান পলের উদ্যোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রোববার জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ ঘরোয়া রেষ্টুরেন্টে দুই পক্ষের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসির খান পল।
অত্যন্ত হৃদতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশে অবহেলিত উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতে দুই ফাউন্ডেশনকে এক করা যায় কিনা তার উপর বিশদ আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তারা আরো ব্যাপক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুই ফাউন্ডেশনকে একত্রিকরণের উপর মতৈক্য পোষন করেন।
সভায় ডা. হাসান ভ্রাতৃদ্বয় ছাড়াও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, ফাউন্ডেশনের একাংশের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অপরাংশের সভাপতি মো: আতোয়ারুল আলমসহ তাদের সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম, উপদেষ্টা আসিফ বারী টুটুল ও যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ অংশ নেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, নিলুফার খান স্বপ্না, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন তালুকদার, অধ্যক্ষ আজিজুল হক মুন্না, এবি মির্জা রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম মিজানুর হাসান, আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুর আলম রবিন, মোতাহার হোসেন এবং শাহানা বেগম রিনা। মধ্যস্থতার এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের দুই বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ও সাংস্কৃতিক অনুরাগী আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবসায়ী জন ফাহিম।
সভায় নাসির খান পল, ডা. চৌধুরী হাসান ও ডা. মঞ্জুরুল হাসানকে উভয় পক্ষের সাথে আরও আলাপ আলোচনা করে ফাউন্ডেশনকে একত্রিভূত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ঐক্যের পথে বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন

প্রকাশের সময় : ১০:৫১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): কমিউনিটিতে চমক দেখিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক বিগত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হলেও সম্প্রতি ফাউন্ডেশনের দুই সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট প্রবাসীরা বৃহত্তর স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা (রাজশাহী বিভাগের ৮টি এবং রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা) নিয়ে ২০০৯ সালে ‘নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকান্ড দেখিয়ে এবং ১৬টি জেলার সমন্বয়ে একটি বৃহৎ সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলে সংশ্লিস্টরা কমিউনিটিতে চমক সৃষ্টি করেন এবং সাড়া ফেলে দেন। বিশেষ করে প্রবাসে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার নিজ নিজ সংগঠন থাকলেও কোন কোন সংগঠনের মধ্যকার বিভক্তি আর একাধিক কমিটি থাকলেও সবাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক। পাশাপাশি শীতের সময় প্রবাসীদের সাহায্যে উত্তরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয় উদাহরণ তৈরী করে সংগঠনটি। সেই সময় বাংলাদেশের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল পাঠানোর উদ্যোগ কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া জাগায়। সংশ্লিস্টরা জানান, গতানুগতিক এসোসিয়েশন বা সমিতি না করে ফাউন্ডেশনের আদলেই পরিচালনা করা ছিলো এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। খবর ইউএনএ’র।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম এবং প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন তালুকদার সহ উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সংগঠনটি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কয়েক বছর সুনামের সাথে ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে কিছু ‘ঠুনকো ঘটনা’কে কেন্দ্র করে ফাউন্ডেশন ভুক্ত একটি জেলার এসোসিয়েশন ও সমিতির পুরনো দন্দ্বে জড়িয়ে পড়া, কর্মকর্তাদের মধ্যকার পারষ্পারিক সন্দেহ আর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ফাউন্ডেশনটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন বিভক্ত ফাউন্ডেশনের একাংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান এবং অপরাংশের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম। ফলে ফাউন্ডেশন তার গৌরব, জৌলুস আর স্বকিয়তা হারিয়ে ফেলে এবং উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার প্রবাসী বিশিষ্টজনরা এই ফাউন্ডেশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এরপর বিভক্ত নেতৃবৃন্দ ফাউন্ডেশনের একই নামে প্রায় অভিন্ন গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম চালু রাখলেও তা কখনো ফাউন্ডেশনের পূর্ণাঙ্গতা ফিরে পায়নি। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সংগঠনটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেনি।
বর্তমানে বিভক্ত ফাউন্ডেশনের একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান খান তনু এবং অপরাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি আতোয়ারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
সংশ্লিস্ট সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান সাবেক কূটনীতিক আব্দুর রাজ্জাক খান, বর্তমানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও কেন্দ্রয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে আবার একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উল্লেখ্য, এরা সবাই উত্তর বঙ্গের সন্তান। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি-ভার্জিনিয়ায় দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনযাপন করেন এবং সঙ্গীত শিল্পী দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছেন।
এদিকে ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: দুইভাগে বিভক্ত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে পুন:একত্রিকরণের উদ্যোগে এক সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন’ উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা নিয়ে ২০০৯ সালে গঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ফাউন্ডেশনটি দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ভ্রাতৃদ্বয় ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান ও ডা. চৌধুরী মঞ্জুরুল হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা নাসির খান পলের উদ্যোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রোববার জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ ঘরোয়া রেষ্টুরেন্টে দুই পক্ষের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসির খান পল।
অত্যন্ত হৃদতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সভায় বাংলাদেশে অবহেলিত উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতে দুই ফাউন্ডেশনকে এক করা যায় কিনা তার উপর বিশদ আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তারা আরো ব্যাপক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুই ফাউন্ডেশনকে একত্রিকরণের উপর মতৈক্য পোষন করেন।
সভায় ডা. হাসান ভ্রাতৃদ্বয় ছাড়াও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, ফাউন্ডেশনের একাংশের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অপরাংশের সভাপতি মো: আতোয়ারুল আলমসহ তাদের সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম, উপদেষ্টা আসিফ বারী টুটুল ও যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ অংশ নেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, নিলুফার খান স্বপ্না, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন তালুকদার, অধ্যক্ষ আজিজুল হক মুন্না, এবি মির্জা রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম মিজানুর হাসান, আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুর আলম রবিন, মোতাহার হোসেন এবং শাহানা বেগম রিনা। মধ্যস্থতার এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের দুই বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ও সাংস্কৃতিক অনুরাগী আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবসায়ী জন ফাহিম।
সভায় নাসির খান পল, ডা. চৌধুরী হাসান ও ডা. মঞ্জুরুল হাসানকে উভয় পক্ষের সাথে আরও আলাপ আলোচনা করে ফাউন্ডেশনকে একত্রিভূত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।