নিউইয়র্ক ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এজে বাবুল’র মরদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে দাফন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
  • / ৩৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের মান্নান গ্রæপ-এর অন্যতম সত্তাধিকারী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ জে বাবুল(৫০)-এর মরদেহ বুধবার দাফন করা হয়েছে। তিনি গত ১৫ জুন সোমবার ভোর ২:৫৮ মিনিটে বাফেলো সিটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন কন্যা সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেগে গেছেন। তার মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, এ জে বাবুল নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর পার্টনার ছিলেন। তিনি বরিশাল জেলার বানারী পাড়া উপজেলার সন্তান। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, এ জে বাবুল কিছু দিন আগে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাফেলো যাওয়ার পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন। অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে তাকে বাফেলো সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি সপরিবারে নিউইয়র্কে থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতে বাফালো বেড়াতে যান। তার স্ত্রী ও কন্যারা তার সাথেই ছিলেন। বাফেলোতে তার নিজস্ব বাসা রয়েছে। এ জে বাবুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর ব্যবসায়িক পার্টনার ছাড়াও ‘ফুড ফেয়ার ও আব্দুল্লাহ সুপার মার্কেট’ নামে নিউইয়র্কে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে জানাজা

মরহুম এজে বাবুল-এর কন্যা জামাতা মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ইউএনএ প্রতিনিধি-কে জানান, গত ৩১ মে তিনি (এজে বাবুল) বাফেলো আসেন। এর পরদিন ২ জুন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সাথে সাথে তাকে স্থানীয় বাফেলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা টেষ্ট করা হলে তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হার্টে সমস্যা পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশন এবং এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। তাকে নিউইয়র্কে এনে চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি ছিলো না। তবে গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার তিনি চোখ খুলেছিলেন এবং পরদিন ১২ জুন শুক্রবার একটু কথাও বলেন। কিন্তু ডাক্তারদের মতে তিনি বিপদমুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং সোমবার (১৫ জুন) ভোর রাতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার স্ত্রী ও কন্যারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে জানাজা

মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ পাওয়ার পর গত সোমবার (১৫ জুন) সকালে এবং বিকেলে বাফেলোতে তার পৃথক দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরহুম বাবলুর মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আনার পর ব্রæকলীনের একটি ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মরদেহ ফিউনেরাল হোম থেকে সিটির উডসাইডস্থ তার বাসায় আনা হলে সেখানে তার পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা শেষবারের মতো দেখেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ প্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মান্নান সুপার মার্কেটের সামনে, জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে আনা হলে সেখানে তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সকাল সাড়ে ১১টায় চতুর্থ দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। জ্যাকস হাইটস ও জেএমসি’র জানাজা দু’টিতে জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। পরবর্তীতে বুধবার অপরাহ্নে তার মরহদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা এজে বাবলুর আকস্মিক মৃত্যুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আল আমীন রাসেল গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ এবং তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

এজে বাবুল’র মরদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে দাফন

প্রকাশের সময় : ১২:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের মান্নান গ্রæপ-এর অন্যতম সত্তাধিকারী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ জে বাবুল(৫০)-এর মরদেহ বুধবার দাফন করা হয়েছে। তিনি গত ১৫ জুন সোমবার ভোর ২:৫৮ মিনিটে বাফেলো সিটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন কন্যা সহ বহু আতœীয়-স্বজন রেগে গেছেন। তার মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, এ জে বাবুল নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর পার্টনার ছিলেন। তিনি বরিশাল জেলার বানারী পাড়া উপজেলার সন্তান। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, এ জে বাবুল কিছু দিন আগে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাফেলো যাওয়ার পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন। অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে তাকে বাফেলো সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি সপরিবারে নিউইয়র্কে থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতে বাফালো বেড়াতে যান। তার স্ত্রী ও কন্যারা তার সাথেই ছিলেন। বাফেলোতে তার নিজস্ব বাসা রয়েছে। এ জে বাবুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি মরহুম সাঈদ মান্নান-এর ব্যবসায়িক পার্টনার ছাড়াও ‘ফুড ফেয়ার ও আব্দুল্লাহ সুপার মার্কেট’ নামে নিউইয়র্কে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে জানাজা

মরহুম এজে বাবুল-এর কন্যা জামাতা মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ইউএনএ প্রতিনিধি-কে জানান, গত ৩১ মে তিনি (এজে বাবুল) বাফেলো আসেন। এর পরদিন ২ জুন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সাথে সাথে তাকে স্থানীয় বাফেলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা টেষ্ট করা হলে তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হার্টে সমস্যা পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশন এবং এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। তাকে নিউইয়র্কে এনে চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি ছিলো না। তবে গত ১১ জুন বৃহস্পতিবার তিনি চোখ খুলেছিলেন এবং পরদিন ১২ জুন শুক্রবার একটু কথাও বলেন। কিন্তু ডাক্তারদের মতে তিনি বিপদমুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং সোমবার (১৫ জুন) ভোর রাতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার স্ত্রী ও কন্যারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে জানাজা

মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ পাওয়ার পর গত সোমবার (১৫ জুন) সকালে এবং বিকেলে বাফেলোতে তার পৃথক দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরহুম বাবলুর মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আনার পর ব্রæকলীনের একটি ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মরদেহ ফিউনেরাল হোম থেকে সিটির উডসাইডস্থ তার বাসায় আনা হলে সেখানে তার পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা শেষবারের মতো দেখেন। এরপর সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ প্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মান্নান সুপার মার্কেটের সামনে, জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে আনা হলে সেখানে তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সকাল সাড়ে ১১টায় চতুর্থ দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। জ্যাকস হাইটস ও জেএমসি’র জানাজা দু’টিতে জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। পরবর্তীতে বুধবার অপরাহ্নে তার মরহদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা এজে বাবলুর আকস্মিক মৃত্যুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আল আমীন রাসেল গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ এবং তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেছেন।