নিউইয়র্ক: ‘একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশ এবং প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে অবিচল আস্থাশীল হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ধাবিতে হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বের গুণে’-এ অভিমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) হেলাল মোর্শেদ খান।
গত ২১ মে শুক্রবার প্রদত্ত বিশেষ এক সাক্ষাতকারে হেলাল মোর্শেদ খান আরো বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা দ্বিগুণ করে মাসিক ১০ হাজার টাকা করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। এটি বড় একটি অর্জন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে।’ তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে এবং এটি হচ্ছে বাংলাদেশের আপামর মানুষের প্রাণের দাবি। এতদসত্বেও কোন কোন মহল বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বিচারের নামে নাকি বিরোধী দলকে টার্গেট করা হয়েছে। এমন জঘন্য অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সকল প্রবাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সম্মানের অধিকারী। এ সম্মানবোধকে জাগ্রত রাখতে হবে একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত সকলকে’-বলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া থেকে কৃতিত্বের সাথে বায়োলজিতে গ্র্যাজুয়েশন করলেন হেলাল মোর্শেদের কন্যা। এ উপলক্ষে তিনি ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। ৬ জুন পর্যন্ত থাকবেন পেনসিলভেনিয়ায় কন্যার সাথে। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও প্রবাসীদের একটি সমাবেশেও অংশ নেবেন।
হেলাল মোর্শেদ খানের সফর প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক ড. এম এ বাতেন বলেন, তালিকাভুক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধার সাথেই চেয়ারম্যানের বৈঠক হবে। আমরা চেষ্টা করছি, শীঘ্রই নয়া কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে। এ ব্যাপারে হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাইয়ের পরই নির্বাচনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এর আগ পর্যন্ত সকলকে ড. বাতেনের নেতৃত্বে এক যোগে কাজ করতে হবে।’