উৎসবমুখর পরিবেশে সুর বাহারের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৫
- / ১৫৬৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: প্রবাসে বাংলা শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতিতে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হলো সুর বাহার বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমীর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বার্ষিক সনদপত্র বিতরণ ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
জ্যামাইকার পিএস ১৩১ মিলনায়তনে ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় ‘সংরাগ ২০১৫’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দুই শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মুজিব বিন হক, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম ও কবি শামস আল মমীন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুর বাহার-এর সভাপতি মন্টু কাউসার। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী স্বপ্না কাউসার। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আশরাফুল হাসান বুলবুল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রবাসে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে সুর বাহার-এর কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, শুধু সুর বাহারই নয় আরো অনেক সংগঠন রয়েছে যারা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজটি করছেন। এটি সহজ কাজ নয়। এই ধরনের কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে তারা বাংলাদেশকেই তুলে ধরছেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম বাংলা গান শিখছে, নাচ শিখছে এবং নাচ-গানের চর্চা করছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করছে যা গৌরবেরই কথা। বক্তারা সুর বাহার-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করা হয়। সুর বাহার-এর শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও মেডেল প্রদান ছাড়াও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অতিথিবৃন্দ সনদপত্র, মেডেল ও ক্রেস্ট শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সুর বাহার-এর শিল্পীদের একক ও দলীয় নাচ-গান পরিবেশনা ছিলো চমৎকার। যা উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্বপ্না কাউসারের নেতৃত্বে সুর বাহার-এর শিল্পীরা দলীয়, প্রার্থনা, দেশাত্ববোধক ও নজরুল গীতি পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নির্বাচিত গান নিয়ে পরিবেশনা ‘ঋতুরঙ্গ’। এতে অংশ নেন মীম, মার্শা, আরশিল, রোজ, নাফিসা, নাফিজা, তানিসা, আরিনা, সীন, সাবার ও উচ্ছাস।
তৃতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় ‘আমরা নতুন যৌবনেরই দূত‘ শীর্ষক নৃত্য-সঙ্গীত। অংশ নেন তানিসা, নাঈমা, আরিনা, সারা, সিন, আরিনা, সীন, মুনা, তানিসা, সাবাব ও উচ্ছাস।
অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে ছিলো উচ্চাঙ্গ নৃত্য ‘জ্যোতিসোয়ারম’। এতে শিল্পীরা দলীয়ভাবে পূর্বারংগম পরিবেশন ছাড়াও মার্শা ও তাইয়্যেবীনা মীম (একক) এবং মার্শা, আরশিল, রোজ ও নাফিজা দলীয়ভাবে ‘কুচীপুরী ষ্টাইল’ নৃত্য এবং মীম, মার্শা, আরশিল, রোজ, নাফিসা ‘কত্থক ও কুচীপুরী ষ্টাইল’ নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের পঞ্চম পর্বে ছিলো ‘সুরছন্দ’ শীর্ষক বিচিত্রানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন স্বপ্না কাউসার, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শ্রী অনিল কুমার ও তাইয়্যেবীনা মীম। ধ্বনি মুদ্রনে ছিলেন নাদিম আহমেদ। এতে অংশ নেন মাহরীন, মাহজাবীন, উচ্ছাস, আরশিল, রোজ, নাজিফা, আরশিল, সিতু, অরনব, নাফিসা ও মার্শা।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সপরিবারে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।