নিউইয়র্ক ০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

উৎসবমুখর পরিবেশে ফিলাডেলফিয়ায় তিন দিনব্যাপী মুনা কনভেনশন অনুষ্ঠিত : শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় নবী-রাসুলদের আদর্শ অনুস্মরণের আহ্বান : পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার মিনি বাংলাদেশে পরিণত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯
  • / ৪৪৫ বার পঠিত

ফিলাডেলফিয়া থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ (ইউএনএ): উৎসবমুখর পরিবেশে ‘ইসলাম দ্যা ব্যালেন্সড ওয়ে অব লাইফ’ শ্লোগান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যের পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো মুনা’র তিনদিনব্যাপী কনভেনশন। এবারের কনভেনশন মুনা’র (মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা) ১১তম কনভেনশন। ৫-৭ জুলাই যথাক্রশে শুক্র, শনি ও রোববার অনুষ্ঠিত এই কনভেনশন ঘিরে কনভেনশন সেন্টার মিনি বাংলাদেশে পরিণত হয়। কেননা, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন স্থান থেকে কনভেনশনে যোগদানকারী অধিকাংশরাই বাংলাদেশী অথবা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আমেরিকান।

কনভেনশনে বক্তারা বলেন, শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) সহ অন্যান্য নবীদের আদর্শ অনুস্মরণ করে আগে নিজেকে সত্যিকার মুসলমান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নবী-রাসুলগণ তাঁদের আচার-আচরণ আর ব্যবহারের গুণেই ভিন্ন ধর্মীদের মন জয় করেছিলেন। তাঁদের সেই পথ অনুস্মরণ, অনুকরণ করেই বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বক্তারা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে শান্তির ধর্ম ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়াই মূলত: এই কনভেনশনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই ইসলামের আদর্শ সবার কাছে পৌছে দেয়া আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। বক্তরা বলেন, ইসলামকে মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। ইসলামের শান্তি বার্তা সবার মাঝে পৌঁছৈ দিতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে মুনা কনভেনশন শুরু হয়। পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারের মূল মঞ্চে বিকেলে আয়োজিত ব্যতিক্রমী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শেখ নাদি কিশক। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনভেনশন কনভেনর আরমান চৌধুরী। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবু এ নূরুজ্জামান, ওয়াহেদ হক, মোহাম্মদ আর করিম, আয়মান হামাস, ড. জাহিদ বুখারী, ডা. সায়িদ এম সায়েদ, নিহাদ আওয়াদ ও সিনেটর শেখ রহমান।
আসরের নামাজের পর বিষয় ভিক্তিক আলোচনায় অংশ নেন ডা. সায়িদ রহমান চৌধুরী, দুনিয়া সুয়েব, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ ও ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন। এদিকে বলরুমে অনুষিঠত হয় ইয়্যুথ সেশন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আকিব আজাদ, শরীফ ফয়জুল্লাহ, আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম, ইমাম হাসান আকবর ও ডা. ফারহান আজিজ।
মাগরিবের নামাজের পর মূল মঞ্চে ‘আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব’ শীর্ষক সেশনে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ ইমাম আব্দুর রহমান, মির্জা গালিব, আবুল বাশার ফয়জুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ বাশার, শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম ও ইমাম আবু জাফর বেগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুরের সঙ্গীত উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
এদিকে মুনা কনভেনশন ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরে নিউইয়র্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার মুসলিম নর-নারী সপরিবারে কনভেনশ সেন্টারে এসে মিলিত হন। এর আগে তার পূর্বে বুকিং করা হোটেলের কক্ষ কনফার্ম করেন। এরপর তারা কনভেনশনের রেজিষ্ট্রেশনও কনফার্ম করেন। অনেকে বিকেল ও সন্ধ্যায় এসে কনভেনশনে যোগ দেন। ফলে কনভেনশন সেন্টার ও আশপাশের এলাকা মিনি বাংলাদেশে পরিনত হয়।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলীন, ওজনপার্ক প্রভৃতি এলাকা থেকে একাধিক বাসযোগে হাজার হাজার বাংলাদেশী সপরিবারে এই কনভেনশনে যোগ দেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ী যোগে ফিলাডেলফিয়া আগমন করেন। কনভেনশন আয়োজকদের ধারণা এবারের কনভেনশনে ১২ হাজারের মতো মুসলিম নর-নারীর সমাবেশ ঘটেছে।
অপরদিকে কনভেনশন সেন্টার ও এর আশপাশের এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এবারের কনভেনশনে নতুন প্রজন্মের বড় একটি অংশ নিচ্ছে। সামার ভ্যাকেশনের সুযোগে শিক্ষার্থীরা তাদের প্যারেন্টসদের সাথে এই কনভেনশনে অংশ নিচ্ছেন বলে অনেকই ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান। এছাড়াও কনভেনশনের আয়োজনেরও প্রশংসা করেছেন অনেকেই। কনভেনশনের সবকিছুই টিপটম, পরিপাটি আর অর্গানাইজড দেখা যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তারপর যোগ দিয়েছেন মূল অনুষ্ঠানে। কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন পণ্যের একাধিক স্টলও লক্ষ্য করা যায়।
তিন দিনের মুনা কনভেনশনের নানা কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, সেমিনার, ইয়্যুথ প্রোগ্রাম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। রোববারও অনুরূপ কর্মসুচী রয়েছে। কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিদেশী ইসলামীক স্কলারগণ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
দ্বিতীয় দিন: মুনা কনভেনশনে শুক্রবারের মতো শনিবারও (৬ জুলাই) নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়। এদিন ছিলো একাধিক বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, শিশুদের বিশেষ আয়োজন, ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
শনিবার সকালে মূলমঞ্চে ‘ইসলাম : ফ্যামিলি ভ্যালুজ এন্ড রেসপন্সিবল প্যারেন্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের মধ্য দিয়ে কনভেনশনের কর্মকান্ড শুরু হয়। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ইমাম আসিফ হিরানী, ডা. সুজি ইসমাইল, মামুন আল আজমী ও ডা. ফারহান আজিজ।
একই সময়ে কনভেনশন সেন্টারের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ সেশন। এই সেশনের আলোচনায় অংশ নেন মশিউর রহমান, হাফেজ জাকির আহমেদ, ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন ও ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ। এছাড়াও অপর একটি কক্ষে ‘ভারসাম্যপূর্ণ মানবীয় জীবন : হাদিসের আলোকে’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, ড. রুহুল আমিন ও শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম। শেষ ছিলো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।
এরপর মূল মঞ্চে ‘চিরদিন মোরা সব মানুষেরে আল্লাহর পথে ডাকবো’ প্রধান সেশনে আলোচনায় অংশ নেন আহমেদ আবু ওবায়দা, ব্যারিষ্টার হামিদ হোসাইন আযাদ, আবুল কালাম অযাদ বাশার ও শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম। এরপর অনুষ্ঠিত ‘মুসলিম উম্মাহ – এ জাস্টলি ব্যালেন্সড ন্যাশন’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ইমাম হাসান আকবর, ইমাম জাহিদ শাকির, দুনিয়া শোয়েব ও ডা. আলতাফ হোসাইন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল ডিসকাশন। এই পর্বে অংশ নেন ওসামা জামাল, এটর্নী ষ্টেফেন দোয়ন্স, ডা. জাহিদ বুখারী ও এটর্নী ক্যাথি ম্যানলী।
পরবর্তীতে জোহরের নামাজের বিরতি আর মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর অপরাহ্ন আড়াইটার দিকে মূল মঞ্চে আয়োজিত মূল মঞ্চে প্রধান আলোচনায় অংশ নেন ইমাম আজাদ জামান, ইমাম আসিফ হাইরানী, সুলেইমান হানী ও জর্জিয়া ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান। একই সময়ে অপর একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ ব্রাদার্স সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন তামজিদুল ইসলাম, মাজেদ মাহমুদ ও ইমাম শোয়েব ওয়েব। শেষে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর। পাশাপাশি বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ সিস্টার্স সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন রোকেয়া রহমান রিনা, সুজি ইসমাইল ও দুনিয়া শোয়েব। অপরদিকে আরেক কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় কোরআন কম্পিটিশন-২০১৯।
শনিবার অপরাহ্নে মূল মঞ্চে আয়োজিত ‘হু ডু ইউ লাভ মোর?’ শীর্ষক মূল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. নকিবুর রহমান, মাজেদ মাহমুদ, সুলেইমান হানী এবং ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন।
বিকেলে বলরুমে অনুষ্ঠিত ‘ব্যালেন্সিং ফিজিক্যাল, মেন্টাল এন্ড স্পীরিচুয়াল হেলথ’ শীর্ষক ইয়্যুথ সেশনে আলোচনা অংশ নেন ড. ফারহান আজিজ, সুলেইমান হানী এবং ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন। একই সময়ে অপর একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফ্যামিলি এন্ড মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ। এতে আলোচনায় অংশ নেন মামুন আল আজিম ও দুনিয়া শোয়েব। শেষে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর।
পরবর্তীতে মূল মঞ্চে ‘প্রধান সেশন : পরকালীন সাফল্যের গুণাবলী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বের শুরুতে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনিসুর রহমান। এরপর মূল আলোনায় অংশ নেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আযাদ এবং ড. আবুল কালাম আযাদ। আলোচনায় বক্তারা পবিত্র আল কোরআনের আলোকে জীবনকে পরিচালনার মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য অর্জনের পথ প্রশস্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে নবী-রাসুল (সা.)-দের আদর্শ অনুস্মরণের আহ্বান জানান।
একই সময়ে বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়াং সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন মাজেদ মাহমুদ, সুলেইমান হানি ও ইমাম ওমর সুলেইমান।
আসরের নামাজের পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় কী নোট সেশন। এই পর্বের আলোচনায় অংশ নেন ইমাম সুয়েব ওয়েব, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, ইমাম দেলোয়ার হোসাইন, ইমাম জাইদ শাকির ও ইমাম ওমর সুলাইমান।
এছাড়াও শনিবারের অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো প্যারালাল সেশন ফর মস্ক, প্যারালাল অ্যারাবিক সেশন, ইয়্যুথ ডিবেট কম্পিটেশন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রভৃতি। এদিন মুনা’র ফান্ড রেইজ করা হয়।
মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবারের কর্মসূচী শেষ হয়।
সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়: এদিকে শনিবারের কর্মসূচী শেষে মুনা ও কনভেনশন কমিটির নেতৃবৃন্দ রাত ১১টার সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় কনভেনশন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ। এরপর মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন ও কনভেনশনের কনভেনর আরমান চৌধুরী কনভেনশনে যোগদানকারী সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় রশীদ আহমদ সহ মুনা’র অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় ও শেষ দিন: মুনা কনভেনশন-এর তৃতীয় ও শেষ দিন রোববারের (৭ জুলাই) কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, ইয়্যুথ সেশন আর সমাপনী অনুষ্ঠান। এদিন সকালে মূল মঞ্চে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মির্জা গালিব, ইমাম হাসান আকবর, আবু এ নুরুজ্জামান ও ইমাম আসিফ হারিনী। একই সময়ে বলরুমে অনুষ্ঠিত ইয়্যুথ সেশনের আলোচনায় অংশ নেন ডা. আলতাফ হোসাইন, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, ওস্তাদ ওয়াজ ছিলো প্রশ্ন-উত্তর। এদিন মূল মঞ্চে মুনা’র ফান্ড রেইজ করা হয়। এতে বিপুল সাড়া পাওয়া যায়।
সবশেষে ছিলো সমাপনী অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে অপরাহ্ন একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই পর্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. ফারহান আজিজ, আবুল বাসার ফাইজুল্লাহ, শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম, ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন ও ওসামা জামাল। এই পর্বে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন।
রোববার জোহরের নামাজের পর মুনা কনভেনশনে যোগদানকারীরা বাসা-বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফিলাডেলফিয়া ত্যাগ করেন। যারা বাসে এসেছেন তারা বাসে আবার যারা নিজস্ব গাড়ীতে এসেছেন তারা গাড়ীতে ফিরাডেলফিয়া ত্যাগ করেন। এর আগে সংশ্লিষ্টরা হোটেল ত্যাগ করেন। ফলে মহুতেই রোববারের ফিলাডেলফিয়া ঐতিহাসিক পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার নিরাবতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ছবি: রশিদ আহমেদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

উৎসবমুখর পরিবেশে ফিলাডেলফিয়ায় তিন দিনব্যাপী মুনা কনভেনশন অনুষ্ঠিত : শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় নবী-রাসুলদের আদর্শ অনুস্মরণের আহ্বান : পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার মিনি বাংলাদেশে পরিণত

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

ফিলাডেলফিয়া থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ (ইউএনএ): উৎসবমুখর পরিবেশে ‘ইসলাম দ্যা ব্যালেন্সড ওয়ে অব লাইফ’ শ্লোগান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যের পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো মুনা’র তিনদিনব্যাপী কনভেনশন। এবারের কনভেনশন মুনা’র (মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা) ১১তম কনভেনশন। ৫-৭ জুলাই যথাক্রশে শুক্র, শনি ও রোববার অনুষ্ঠিত এই কনভেনশন ঘিরে কনভেনশন সেন্টার মিনি বাংলাদেশে পরিণত হয়। কেননা, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন স্থান থেকে কনভেনশনে যোগদানকারী অধিকাংশরাই বাংলাদেশী অথবা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আমেরিকান।

কনভেনশনে বক্তারা বলেন, শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) সহ অন্যান্য নবীদের আদর্শ অনুস্মরণ করে আগে নিজেকে সত্যিকার মুসলমান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নবী-রাসুলগণ তাঁদের আচার-আচরণ আর ব্যবহারের গুণেই ভিন্ন ধর্মীদের মন জয় করেছিলেন। তাঁদের সেই পথ অনুস্মরণ, অনুকরণ করেই বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বক্তারা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে শান্তির ধর্ম ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়াই মূলত: এই কনভেনশনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই ইসলামের আদর্শ সবার কাছে পৌছে দেয়া আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। বক্তরা বলেন, ইসলামকে মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। ইসলামের শান্তি বার্তা সবার মাঝে পৌঁছৈ দিতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে মুনা কনভেনশন শুরু হয়। পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারের মূল মঞ্চে বিকেলে আয়োজিত ব্যতিক্রমী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শেখ নাদি কিশক। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনভেনশন কনভেনর আরমান চৌধুরী। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবু এ নূরুজ্জামান, ওয়াহেদ হক, মোহাম্মদ আর করিম, আয়মান হামাস, ড. জাহিদ বুখারী, ডা. সায়িদ এম সায়েদ, নিহাদ আওয়াদ ও সিনেটর শেখ রহমান।
আসরের নামাজের পর বিষয় ভিক্তিক আলোচনায় অংশ নেন ডা. সায়িদ রহমান চৌধুরী, দুনিয়া সুয়েব, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ ও ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন। এদিকে বলরুমে অনুষিঠত হয় ইয়্যুথ সেশন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আকিব আজাদ, শরীফ ফয়জুল্লাহ, আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম, ইমাম হাসান আকবর ও ডা. ফারহান আজিজ।
মাগরিবের নামাজের পর মূল মঞ্চে ‘আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব’ শীর্ষক সেশনে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ ইমাম আব্দুর রহমান, মির্জা গালিব, আবুল বাশার ফয়জুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ বাশার, শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম ও ইমাম আবু জাফর বেগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুরের সঙ্গীত উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
এদিকে মুনা কনভেনশন ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরে নিউইয়র্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার মুসলিম নর-নারী সপরিবারে কনভেনশ সেন্টারে এসে মিলিত হন। এর আগে তার পূর্বে বুকিং করা হোটেলের কক্ষ কনফার্ম করেন। এরপর তারা কনভেনশনের রেজিষ্ট্রেশনও কনফার্ম করেন। অনেকে বিকেল ও সন্ধ্যায় এসে কনভেনশনে যোগ দেন। ফলে কনভেনশন সেন্টার ও আশপাশের এলাকা মিনি বাংলাদেশে পরিনত হয়।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলীন, ওজনপার্ক প্রভৃতি এলাকা থেকে একাধিক বাসযোগে হাজার হাজার বাংলাদেশী সপরিবারে এই কনভেনশনে যোগ দেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ী যোগে ফিলাডেলফিয়া আগমন করেন। কনভেনশন আয়োজকদের ধারণা এবারের কনভেনশনে ১২ হাজারের মতো মুসলিম নর-নারীর সমাবেশ ঘটেছে।
অপরদিকে কনভেনশন সেন্টার ও এর আশপাশের এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এবারের কনভেনশনে নতুন প্রজন্মের বড় একটি অংশ নিচ্ছে। সামার ভ্যাকেশনের সুযোগে শিক্ষার্থীরা তাদের প্যারেন্টসদের সাথে এই কনভেনশনে অংশ নিচ্ছেন বলে অনেকই ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান। এছাড়াও কনভেনশনের আয়োজনেরও প্রশংসা করেছেন অনেকেই। কনভেনশনের সবকিছুই টিপটম, পরিপাটি আর অর্গানাইজড দেখা যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তারপর যোগ দিয়েছেন মূল অনুষ্ঠানে। কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন পণ্যের একাধিক স্টলও লক্ষ্য করা যায়।
তিন দিনের মুনা কনভেনশনের নানা কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, সেমিনার, ইয়্যুথ প্রোগ্রাম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। রোববারও অনুরূপ কর্মসুচী রয়েছে। কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিদেশী ইসলামীক স্কলারগণ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
দ্বিতীয় দিন: মুনা কনভেনশনে শুক্রবারের মতো শনিবারও (৬ জুলাই) নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়। এদিন ছিলো একাধিক বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, শিশুদের বিশেষ আয়োজন, ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
শনিবার সকালে মূলমঞ্চে ‘ইসলাম : ফ্যামিলি ভ্যালুজ এন্ড রেসপন্সিবল প্যারেন্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের মধ্য দিয়ে কনভেনশনের কর্মকান্ড শুরু হয়। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ইমাম আসিফ হিরানী, ডা. সুজি ইসমাইল, মামুন আল আজমী ও ডা. ফারহান আজিজ।
একই সময়ে কনভেনশন সেন্টারের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ সেশন। এই সেশনের আলোচনায় অংশ নেন মশিউর রহমান, হাফেজ জাকির আহমেদ, ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন ও ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ। এছাড়াও অপর একটি কক্ষে ‘ভারসাম্যপূর্ণ মানবীয় জীবন : হাদিসের আলোকে’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, ড. রুহুল আমিন ও শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম। শেষ ছিলো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।
এরপর মূল মঞ্চে ‘চিরদিন মোরা সব মানুষেরে আল্লাহর পথে ডাকবো’ প্রধান সেশনে আলোচনায় অংশ নেন আহমেদ আবু ওবায়দা, ব্যারিষ্টার হামিদ হোসাইন আযাদ, আবুল কালাম অযাদ বাশার ও শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম। এরপর অনুষ্ঠিত ‘মুসলিম উম্মাহ – এ জাস্টলি ব্যালেন্সড ন্যাশন’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ইমাম হাসান আকবর, ইমাম জাহিদ শাকির, দুনিয়া শোয়েব ও ডা. আলতাফ হোসাইন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল ডিসকাশন। এই পর্বে অংশ নেন ওসামা জামাল, এটর্নী ষ্টেফেন দোয়ন্স, ডা. জাহিদ বুখারী ও এটর্নী ক্যাথি ম্যানলী।
পরবর্তীতে জোহরের নামাজের বিরতি আর মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর অপরাহ্ন আড়াইটার দিকে মূল মঞ্চে আয়োজিত মূল মঞ্চে প্রধান আলোচনায় অংশ নেন ইমাম আজাদ জামান, ইমাম আসিফ হাইরানী, সুলেইমান হানী ও জর্জিয়া ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান। একই সময়ে অপর একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ ব্রাদার্স সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন তামজিদুল ইসলাম, মাজেদ মাহমুদ ও ইমাম শোয়েব ওয়েব। শেষে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর। পাশাপাশি বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়্যুথ সিস্টার্স সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন রোকেয়া রহমান রিনা, সুজি ইসমাইল ও দুনিয়া শোয়েব। অপরদিকে আরেক কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় কোরআন কম্পিটিশন-২০১৯।
শনিবার অপরাহ্নে মূল মঞ্চে আয়োজিত ‘হু ডু ইউ লাভ মোর?’ শীর্ষক মূল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. নকিবুর রহমান, মাজেদ মাহমুদ, সুলেইমান হানী এবং ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন।
বিকেলে বলরুমে অনুষ্ঠিত ‘ব্যালেন্সিং ফিজিক্যাল, মেন্টাল এন্ড স্পীরিচুয়াল হেলথ’ শীর্ষক ইয়্যুথ সেশনে আলোচনা অংশ নেন ড. ফারহান আজিজ, সুলেইমান হানী এবং ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন। একই সময়ে অপর একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফ্যামিলি এন্ড মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ। এতে আলোচনায় অংশ নেন মামুন আল আজিম ও দুনিয়া শোয়েব। শেষে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর।
পরবর্তীতে মূল মঞ্চে ‘প্রধান সেশন : পরকালীন সাফল্যের গুণাবলী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বের শুরুতে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনিসুর রহমান। এরপর মূল আলোনায় অংশ নেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আযাদ এবং ড. আবুল কালাম আযাদ। আলোচনায় বক্তারা পবিত্র আল কোরআনের আলোকে জীবনকে পরিচালনার মাধ্যমে পরকালীন সাফল্য অর্জনের পথ প্রশস্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে নবী-রাসুল (সা.)-দের আদর্শ অনুস্মরণের আহ্বান জানান।
একই সময়ে বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ইয়াং সেশন। এতে আলোচনায় অংশ নেন মাজেদ মাহমুদ, সুলেইমান হানি ও ইমাম ওমর সুলেইমান।
আসরের নামাজের পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় কী নোট সেশন। এই পর্বের আলোচনায় অংশ নেন ইমাম সুয়েব ওয়েব, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, ইমাম দেলোয়ার হোসাইন, ইমাম জাইদ শাকির ও ইমাম ওমর সুলাইমান।
এছাড়াও শনিবারের অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো প্যারালাল সেশন ফর মস্ক, প্যারালাল অ্যারাবিক সেশন, ইয়্যুথ ডিবেট কম্পিটেশন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রভৃতি। এদিন মুনা’র ফান্ড রেইজ করা হয়।
মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শনিবারের কর্মসূচী শেষ হয়।
সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়: এদিকে শনিবারের কর্মসূচী শেষে মুনা ও কনভেনশন কমিটির নেতৃবৃন্দ রাত ১১টার সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় কনভেনশন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আরিফ। এরপর মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন ও কনভেনশনের কনভেনর আরমান চৌধুরী কনভেনশনে যোগদানকারী সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় রশীদ আহমদ সহ মুনা’র অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তৃতীয় ও শেষ দিন: মুনা কনভেনশন-এর তৃতীয় ও শেষ দিন রোববারের (৭ জুলাই) কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো বিষয় ভিত্তিক আলোচনা, ইয়্যুথ সেশন আর সমাপনী অনুষ্ঠান। এদিন সকালে মূল মঞ্চে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মির্জা গালিব, ইমাম হাসান আকবর, আবু এ নুরুজ্জামান ও ইমাম আসিফ হারিনী। একই সময়ে বলরুমে অনুষ্ঠিত ইয়্যুথ সেশনের আলোচনায় অংশ নেন ডা. আলতাফ হোসাইন, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, ওস্তাদ ওয়াজ ছিলো প্রশ্ন-উত্তর। এদিন মূল মঞ্চে মুনা’র ফান্ড রেইজ করা হয়। এতে বিপুল সাড়া পাওয়া যায়।
সবশেষে ছিলো সমাপনী অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে অপরাহ্ন একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই পর্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. ফারহান আজিজ, আবুল বাসার ফাইজুল্লাহ, শাইখ আব্দুল কাইয়্যুম, ওস্তাদ ওয়াহাজ তারিন ও ওসামা জামাল। এই পর্বে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসাইন।
রোববার জোহরের নামাজের পর মুনা কনভেনশনে যোগদানকারীরা বাসা-বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফিলাডেলফিয়া ত্যাগ করেন। যারা বাসে এসেছেন তারা বাসে আবার যারা নিজস্ব গাড়ীতে এসেছেন তারা গাড়ীতে ফিরাডেলফিয়া ত্যাগ করেন। এর আগে সংশ্লিষ্টরা হোটেল ত্যাগ করেন। ফলে মহুতেই রোববারের ফিলাডেলফিয়া ঐতিহাসিক পেনসেলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টার নিরাবতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ছবি: রশিদ আহমেদ