উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার : প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তুতার ব্যাখ্যা

- প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৪৬ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসি-তে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার নিজের ভেরিফায়ডে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে গোলাম মোর্তজা লেখেন, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও তদন্তাধীন। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে যার যেমন ইচ্ছে তেমন মন্তব্য করছেন। আমার নাম উল্লেখ করেও কেউ কেউ বলছেন, একটা মামলা হয়েছিল। আমি নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করে ফেলেছি। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে ভিত্তিহীন, তথ্যহীন ও অসত্য মত প্রকাশ করলে আমার কিছু করার থাকে না। শুধু সত্যটা মানুষকে জানাতে পারি। সেই হিসেবে কয়েকটি সত্য তথ্য জানাতে চাই।
গোলাম মোর্তজা
তিনি আরও লেখেন, ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে। আমার দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে। আমি অতিথি হিসেবে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, অংশ নিয়েছি ও আয়োজনে সহায়তা করেছি।
দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার পুরো বিষয়টি নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে লিখিতভাবে, সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে ভিডিও ফুটেজসহ নিউইয়র্ক পুলিশ এবং সিক্রেট সার্ভিসকে জানিয়েছে। ওয়াশিংটন দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্টেটস ডিপার্টমেন্ট এবং সিক্রেট সার্ভিসকে একইভাবে জানানো হয়েছে। দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক কনস্যুলেট প্রতিনিয়ত বিষয়টির খোঁজ রাখছে। নিউইয়র্ক ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি উইং ও নিউইয়র্ক মেয়র অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারে পক্ষ থেকে সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটকে সংখ্যা উল্লেখ না করে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
তৃতীয়ত, তদন্ত সম্পন্ন হলে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট ও দূতাবাসকে সুনির্দিষ্ট করে জানাবে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা। তদরন্ত যে অভিযোগ পাওয়া যাবে তার ওপর ভিত্তি করে মামলা করতে হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। অভিযোগ জানানো হয়েছে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রক্রিয়া। মামলা করার পর্যায় আসেনি।
গোলাম মোর্তজা লেখেন, ২৪ আগস্টের ঘটনা, ১৮ সেপ্টেম্বর; এত সময় লাগছে কেন? এই প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত প্রক্রিয়া সাধারণভাবে সময়সাপেক্ষ। কারও প্রভাবে; দ্রæত তদন্ত হয় না। তদন্ত চলাকালীন সময়ে কলস্যুলেট বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করাটাও শোভনীয় নয়। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেরে সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষের কোনও ঘটনা ঘটেনি, কারও সেই সুযোগ নেই। আমার তো নাই-ই। আমি বা অন্য যে কারও পক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্তাধীন বিষয়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপস করার বা তদন্তকারীদের প্রভাবিত করার কোনও সুযোগ নেই।
তিনি আরও লেখেন, তদন্তের সর্বশেষ তথ্যসহ নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হবে। এখানে আপস বা গোপনীয়তার কোনও সুযোগ নেই।