নিউইয়র্ক: ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ষ্টেট অফিস অফ ব্রডকাস্ট সাপোর্ট গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল প্রবাসের স্বনামধন্য খান টিউটোরিয়াল-এর ব্রঙ্কসস্থ ক্যাসেল হিল ও জ্যামাইকাস্থ সাতফিন শাখা দুটি পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধিদলটি এসময় টিউটোরিয়ালটির কর্মকর্তা-স্টাফ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং খান টিউটোরিয়ালের কর্মকান্ড বিশেষ করে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে খোজ খবর নেন। বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ‘বাংলাদেশ লাইফ ইন আমেরিকা’ শীর্ষক কর্মসূচীতে গ্রুপটি যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রসরমান বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটির সর্বস্তরের অভিবাসী ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। খবর ইউএনএ’র।
খান টিউটোরিয়াল সূত্রে জানা গেছে, ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরকারী বাংলাদেশের অন্যতম চ্যানেল ২৪. প্রতিনিধি দলটি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ষ্টেট অফিস অফ ব্রডকাস্ট সাপোর্ট গ্রুপের সহযোগিতায় বাংলাদেশী কমিউনিটির উপর প্রতিবেদন তৈরী করছেন। লিন্ডা লিন-এর নেতৃত্বে ব্রডকাস্ট গ্রুপের প্রতিনিধি দলটি গত ৭ এপ্রিল নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস্থ ক্যাসেল হিল এবং ৮ এপ্রিল জ্যামাইকাস্থ সাতফিনের খান টিউটোরিয়ালের শাখা দুটি পরিদর্শন করেন। খান টিউটোরিয়ালের সিইও ড. ইভান খান এসময় প্রতিনিধি দলকে স্বাগতম জানান এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড বিশেষ কর শিক্ষা কার্যক্রম তুলে ধরে। ড. ইভান খান বলেন, খান টিউটিারিয়ালের ১,৮৭৮জন শিক্ষার্থী নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্পেশালাইজড স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান লুইস সেপুলভেদা ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে খান টিউটোরিয়াল কিভাবে কাজ করতে তা তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দল ড. ইভান খানের সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেন। এসময় ব্রঙ্কস বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এডভোকেট এস মজুমদার, সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় লিন্ডা লিন তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, বাংলাদেশী-আমেরিকানরা তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী দায়িত্বশীল। সন্তানদের শিক্ষিত করা বাংলাদেশী অভিবাসীদের চাওয়া-পাওয়ায় প্রথম অগ্রাধিকার। সিটির স্পেশিয়ালাইজড স্কুলে বাংলাদেশী-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের ভর্তির সাফল্যের খবর স্থানীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এই সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে খান টিউটোরিয়ালের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোচিং ব্যবস্থা। লিন্ডা বলেন, সন্তানদের সাফল্যের খবর নি¤œ আয় সম্পন্ন বাংলাদেশীদের জন্য অনেক সুখবর বয়ে আনছে।
অপরদিকে প্রতিনিধি দলটি খান টিউটোরিয়ারের সাতফিন শাখা পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপার্সন নাঈমা খান ও সিইও ড. ইফান খান, পরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ হোসেন সহ অন্যান কর্মকর্তা তাদের স্বাগত জানান। এসময় নাঈমা খান তার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিনিধিদলকে খান টিউটোরিয়ালের কর্মকান্ড, সাফল্য ও শিক্ষা পদ্ধতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া ‘কলেজ অ্যাক্সেস প্রোগ্রাম’-এর আতওতায় খান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে আর্থিক সংকটাপন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রি উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থার কথাও প্রতিনিধিদলকে জানান নাঈমা খান।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ড. মনসুর খান ১৯৮৪ সালে খান টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কস, ব্রুকলীন, জ্যামাইকা, ফ্লোরাল পার্ক, রিচসন্ড হিল এলাকার ১০টি স্থানে খান টিউটোরিয়ালের শাখা রয়েছে।