নিউইয়র্ক ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের জয়জয়কার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৬২ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট : নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অংশগ্রহন আর নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল সদস্য ও একটি কাউন্টি জাজ সহ অন্যান্য পদে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশীরা মূলধারার রাজনীতিতে নতুন মাত্র যোগ করলেন।

গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাজনে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ, কুইন্স কাউন্টি জাজ পদে এটর্নী সোমা সাঈদ, নিউজার্সী রাজ্যের প্লেনসবারোতে ড. নূররন নবীর বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পুনরায় জয়, পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ডেলওয়ার কাউন্টির মিলবর্ন বরোর মেয়র পদে মাহবুবুল তৈয়ব এবং আটলান্টিক সিটির স্থানীয় অফিসিয়াল পদে বাংলাদেশী-আমেরিকারে জয়লাভে কমিউনিটিতে আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে।
এছাড়াও ডেলওয়ার কাউন্টির মিলবর্ন বরোতে আরো একটি পদ (ট্যাক্স কালেক্টর) বাংলাদেশীর দখলে এসেছে। ফলে সব মিলিয়ে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের জয়জয়কার লক্ষনীয়।

নব্বই দশকে নিউইয়র্ক সিটির স্কুল বোর্ডে ডেমোক্র্যাট মোর্শেদ আলমের বিজয়ের মধ্য দিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হাসেম ক্লার্কের মিশিগান রাজ্য থেকে ইউএস কংগ্রেস জয়, বর্তমানে জর্জিয়া রাজ্যে ষ্টেট সিনেটে শেখ রহমানের জয়ের মধ্যদিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিকালের নির্বাচনে নিউইয়র্কে ষ্টেট অ্যাসেম্বলীওম্যান পদে মেহরেুন্নেসা জোবায়দা, কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট লীডার পদে মৌমিতা আহমেদ অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েও আলোড়ন তুলেছেন। অপরদিকে পেনসেলভেনিয়া রাজ্যে ড. নিনা আহমেদ প্রাইমারীতে জিতেও চুড়ান্ত নির্বাচনে পরাজিত হন। সবশেষ গত ২ নভেম্বরের নির্বাচনে শাহানা হানিফ আর এটর্ণী সোমা সাঈদ জয়ী হয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির মুখ উজ্জল করে ইতিহান সৃষ্টি করেছেন।

ছবি: মাহবুবুল তৈয়ব

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশী মেয়র মাহবুবুল তৈয়ব

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ডেলওয়ার কাউন্টিতে মিলবর্ন বরোর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী আমেরিকান মাহবুবুল তৈয়ব। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোন শহরের মেয়র হলেন।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বীও ছিলেন আরেক বাংলাদেশী। তারা দু’জনই চট্টগ্রামের সন্তান। মেয়রের রানিংমেট নির্বাচিত তিনজন কাউন্সিলমেম্বারও বাংলাদেশী। এই বরোতে আরো একটি পদ বাংলাদেশীদের দখলে গেছে। সেটি হচ্ছে ট্যাক্স কালেক্টরের পদ।

কমিউনিটিতে আনন্দ উৎসব-মিষ্টি বিতরণ সিটি কাউন্সিলে শাহানা, কাউন্টি জাজ সোমা

নিউইয়র্ক সিটির নির্বচনে এরিক আদমস (৬১) বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি মেয়র বিল ডি বøাজিও স্থলাভিক্ত হচ্ছেন। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে তিনি হবেন দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র। তিনি ব্রæকলীন বরোর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালন করছিলেন। অপরদিকে সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ এই প্রথম একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান ও প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন। অপরদিকে কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে অপর বাংলাদেশী-আমেরিকান সোমা সাঈদ প্রথমবারের মতো জয়ী হয়ে ইতিহাসের অংশ হলেন। মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রæকলীনের কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ (কেনসিংটন, পার্ক ¯েøাপ এবং সেন্ট্রাল ব্রæকলীন) থেকে শাহানা হানিফ জয়ী হন। তার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্প্যানিশ ও জুইশ কমিউনিটির বসবাস। খবর ইউএনএ’র।
বোর্ড অব ইলেকশন অফিস সূত্রে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, নির্বাচনে এরিক আদমস ৬,৭৬,৪৮১ ভোট অর্থাৎ শতকরা ৬৬ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব রিপাবলিকান পার্টিও প্রার্থী কুর্টিস ¯øীওয়া পেয়েছেন ২,৯৩,১২৭ ভোট অর্থাৎ শতকরা ২৮ দশমিক ৮ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।
সিটি প্রশাসনের অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে কম্পট্রোলার পদে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ব্যাড ল্যান্ডার এবং পাবলিক এডভোকেট পদে একই দলের প্রার্থী জুমানী এবং উইলিয়ামস জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে শাহানা হানিফ মোট ভোটের ৮৯% পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির উইনকোফ পেয়েছেন মাত্র ৮% ভোট। চট্টগ্রামের সন্তান, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফের জ্যেষ্ঠ কন্যা শাহানা হানিফ।
এদিকে ভোটের দিন রাতে ব্রæকলীনে ডেমোক্র্যাট দলীয় উৎসব পার্টিতে শাহানা হানিফের বিজয়ী বক্তব্যের সময় তার বাবা-মা পাশেই ছিলেন।
উল্লেখ্য, শাহানা হানিফের বাড়ি চট্টগ্রামের নাজিরহাটের প‚র্ব ফরহাদাবাদে। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ প‚র্ণিমার ফুফাতো বোন শাহানা। বোনের সাফল্যের এই খবরে ভীষণ আনন্দিত প‚র্ণিমা।
অপরদিকে কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে সোমা সাঈদও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সিটির জ্যামাইকায় বসবাসকারী টাঙ্গাইলের বিল্লাহ পরিবারের অন্যতম সদস্য সোমা ব্যক্তিগত জীবনে পেশায় এটর্নী। তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। তার বাবা মরহুম আফতাব সৈয়দ বাংলাদেশ সরকারের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) ছিলেন।
এদিকে, শাহানা হানিফ ও সোমা সাঈদের বিজয়ের সংবাদে উল্লাস করেছেন প্রবাসীরা। দলমত-নির্বিশেষে সকলেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহানা-সোমাকে। বিশেষ করে শাহানাকে নিয়ে ব্রæকলীনে আর সোমাকে নিয়ে জ্যামাইকায় বিজয় উৎসব হয়েছে। এই উৎসবে মিষ্টি খাওয়ার ধুম লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে আরো দুই বাংলাদেশী অংশ নেন। কুইন্সের কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ থেকে কনারভেটিভ পার্টি থেকে মুজিব-উর রহমান ও কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে শাহ শহীদুল হক প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে পরাজিত হন।

নিউজার্সীর প্লেইন্সবরো টাউনশিপে ড. নবী পুনরায় কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত

ছবি: ড. নূরুন নবী

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আবারো নিউজার্সী রাজ্যের প্লেইন্সবোরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মত কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হলেন। গত ২ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমেক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী ড. নূরুন নবীর বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির কোন প্রার্থীই ছিল না। ড. নবী ২০০৭ থেকে একটানা দক্ষতার সাথে কাউন্সিলম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবার তিনি পরবর্তী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হলেন।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান ড. নবী নির্বাচনের পর তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি আমার এ বিজয় বাংলাদেশী-আমেরিকানদেরকে ম‚লধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের জয়জয়কার

প্রকাশের সময় : ০৯:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

হককথা রিপোর্ট : নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অংশগ্রহন আর নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল সদস্য ও একটি কাউন্টি জাজ সহ অন্যান্য পদে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশীরা মূলধারার রাজনীতিতে নতুন মাত্র যোগ করলেন।

গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবারের নির্বাজনে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ, কুইন্স কাউন্টি জাজ পদে এটর্নী সোমা সাঈদ, নিউজার্সী রাজ্যের প্লেনসবারোতে ড. নূররন নবীর বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পুনরায় জয়, পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ডেলওয়ার কাউন্টির মিলবর্ন বরোর মেয়র পদে মাহবুবুল তৈয়ব এবং আটলান্টিক সিটির স্থানীয় অফিসিয়াল পদে বাংলাদেশী-আমেরিকারে জয়লাভে কমিউনিটিতে আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে।
এছাড়াও ডেলওয়ার কাউন্টির মিলবর্ন বরোতে আরো একটি পদ (ট্যাক্স কালেক্টর) বাংলাদেশীর দখলে এসেছে। ফলে সব মিলিয়ে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের জয়জয়কার লক্ষনীয়।

নব্বই দশকে নিউইয়র্ক সিটির স্কুল বোর্ডে ডেমোক্র্যাট মোর্শেদ আলমের বিজয়ের মধ্য দিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হাসেম ক্লার্কের মিশিগান রাজ্য থেকে ইউএস কংগ্রেস জয়, বর্তমানে জর্জিয়া রাজ্যে ষ্টেট সিনেটে শেখ রহমানের জয়ের মধ্যদিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিকালের নির্বাচনে নিউইয়র্কে ষ্টেট অ্যাসেম্বলীওম্যান পদে মেহরেুন্নেসা জোবায়দা, কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট লীডার পদে মৌমিতা আহমেদ অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েও আলোড়ন তুলেছেন। অপরদিকে পেনসেলভেনিয়া রাজ্যে ড. নিনা আহমেদ প্রাইমারীতে জিতেও চুড়ান্ত নির্বাচনে পরাজিত হন। সবশেষ গত ২ নভেম্বরের নির্বাচনে শাহানা হানিফ আর এটর্ণী সোমা সাঈদ জয়ী হয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটির মুখ উজ্জল করে ইতিহান সৃষ্টি করেছেন।

ছবি: মাহবুবুল তৈয়ব

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশী মেয়র মাহবুবুল তৈয়ব

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ডেলওয়ার কাউন্টিতে মিলবর্ন বরোর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী আমেরিকান মাহবুবুল তৈয়ব। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোন শহরের মেয়র হলেন।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বীও ছিলেন আরেক বাংলাদেশী। তারা দু’জনই চট্টগ্রামের সন্তান। মেয়রের রানিংমেট নির্বাচিত তিনজন কাউন্সিলমেম্বারও বাংলাদেশী। এই বরোতে আরো একটি পদ বাংলাদেশীদের দখলে গেছে। সেটি হচ্ছে ট্যাক্স কালেক্টরের পদ।

কমিউনিটিতে আনন্দ উৎসব-মিষ্টি বিতরণ সিটি কাউন্সিলে শাহানা, কাউন্টি জাজ সোমা

নিউইয়র্ক সিটির নির্বচনে এরিক আদমস (৬১) বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি মেয়র বিল ডি বøাজিও স্থলাভিক্ত হচ্ছেন। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে তিনি হবেন দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র। তিনি ব্রæকলীন বরোর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালন করছিলেন। অপরদিকে সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফ এই প্রথম একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান ও প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন। অপরদিকে কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে অপর বাংলাদেশী-আমেরিকান সোমা সাঈদ প্রথমবারের মতো জয়ী হয়ে ইতিহাসের অংশ হলেন। মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রæকলীনের কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ (কেনসিংটন, পার্ক ¯েøাপ এবং সেন্ট্রাল ব্রæকলীন) থেকে শাহানা হানিফ জয়ী হন। তার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্প্যানিশ ও জুইশ কমিউনিটির বসবাস। খবর ইউএনএ’র।
বোর্ড অব ইলেকশন অফিস সূত্রে প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, নির্বাচনে এরিক আদমস ৬,৭৬,৪৮১ ভোট অর্থাৎ শতকরা ৬৬ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব রিপাবলিকান পার্টিও প্রার্থী কুর্টিস ¯øীওয়া পেয়েছেন ২,৯৩,১২৭ ভোট অর্থাৎ শতকরা ২৮ দশমিক ৮ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।
সিটি প্রশাসনের অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে কম্পট্রোলার পদে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ব্যাড ল্যান্ডার এবং পাবলিক এডভোকেট পদে একই দলের প্রার্থী জুমানী এবং উইলিয়ামস জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে শাহানা হানিফ মোট ভোটের ৮৯% পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির উইনকোফ পেয়েছেন মাত্র ৮% ভোট। চট্টগ্রামের সন্তান, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফের জ্যেষ্ঠ কন্যা শাহানা হানিফ।
এদিকে ভোটের দিন রাতে ব্রæকলীনে ডেমোক্র্যাট দলীয় উৎসব পার্টিতে শাহানা হানিফের বিজয়ী বক্তব্যের সময় তার বাবা-মা পাশেই ছিলেন।
উল্লেখ্য, শাহানা হানিফের বাড়ি চট্টগ্রামের নাজিরহাটের প‚র্ব ফরহাদাবাদে। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ প‚র্ণিমার ফুফাতো বোন শাহানা। বোনের সাফল্যের এই খবরে ভীষণ আনন্দিত প‚র্ণিমা।
অপরদিকে কুইন্স কাউন্টির জাজ পদে সোমা সাঈদও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সিটির জ্যামাইকায় বসবাসকারী টাঙ্গাইলের বিল্লাহ পরিবারের অন্যতম সদস্য সোমা ব্যক্তিগত জীবনে পেশায় এটর্নী। তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর। তার বাবা মরহুম আফতাব সৈয়দ বাংলাদেশ সরকারের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) ছিলেন।
এদিকে, শাহানা হানিফ ও সোমা সাঈদের বিজয়ের সংবাদে উল্লাস করেছেন প্রবাসীরা। দলমত-নির্বিশেষে সকলেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহানা-সোমাকে। বিশেষ করে শাহানাকে নিয়ে ব্রæকলীনে আর সোমাকে নিয়ে জ্যামাইকায় বিজয় উৎসব হয়েছে। এই উৎসবে মিষ্টি খাওয়ার ধুম লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে আরো দুই বাংলাদেশী অংশ নেন। কুইন্সের কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ থেকে কনারভেটিভ পার্টি থেকে মুজিব-উর রহমান ও কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট-২৫ থেকে রিপাবলিকান পার্টি থেকে শাহ শহীদুল হক প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে পরাজিত হন।

নিউজার্সীর প্লেইন্সবরো টাউনশিপে ড. নবী পুনরায় কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত

ছবি: ড. নূরুন নবী

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আবারো নিউজার্সী রাজ্যের প্লেইন্সবোরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মত কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হলেন। গত ২ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমেক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী ড. নূরুন নবীর বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির কোন প্রার্থীই ছিল না। ড. নবী ২০০৭ থেকে একটানা দক্ষতার সাথে কাউন্সিলম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবার তিনি পরবর্তী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হলেন।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান ড. নবী নির্বাচনের পর তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি আমার এ বিজয় বাংলাদেশী-আমেরিকানদেরকে ম‚লধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করবে।