আগামীতে ৬৪ হাজার ভোটার করে ঘরে ফিরবো: কুনু সোসাইটি কারো ঈশারায় চলবে না : আজম

- প্রকাশের সময় : ১২:৩০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৬
- / ১১৯৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক নিউইয়র্কের আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের সর্বশেষ পরিচিতি সভা প্যানেলটির সভাপতি পদপ্রার্থী ও সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আজমল হোসেন কুনু সকল ভোটারের ভোট প্রার্থনা করে বলেছেন, আবার নির্বাচিত হলে সোসাইটিকে সম্পূর্ণ রাজনীতি, আঞ্চলিক আর ব্যক্তি মুক্ত করে সকল প্রবাসীর তথা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সংগঠনে পরিণত করবো। তিনি বলেন, এবারের ১৮ হাজার ভোটার করার ধারাবাহিকতায় ৬৪ হাজার ভোটার না করে ঘরে ফিরবো না। সভায় প্যানেলটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কাজী আজম বলেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমরা নির্বাচিত হলে সোসাইটিতে সত্যিকারার্থেই গণমুখী সংগঠনে পরিণত করবো। সোসাইটি কারো ঈশারায় নয়, প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরামর্শে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে ১৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যানেলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবু নাসের। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান ও নার্গিস আহমেদ, ডা. মাসুদ রহমান, ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি বদরুন্নাহার খান মিতা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী ও মুজাহিদুল ইসলাম, কমিউনিটি লীডার ডা. এনাম, আব্দুল হাই জিয়া, সোসাইটির সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, ওয়াসী চৌধুরী ও আতাউর রহমান সেলিম, সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সোসাইটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ফিরোজ আহমেদ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি বুরহান উদ্দিন কফিল, চট্টগ্রাম সমিতির ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক উপদেষ্টা শামসুল আলম ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন (একাংশ)-এর সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, ফাউন্ডেশনের অপরাংশের সভাপতি আতাউল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ডিকেন্স, নারায়নগঞ্জ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মহসীন ও সাবেক সভাপতি নির্মল পাল, ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এস এম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এন আমীন, ইসলাম সরকার, আবু সুফিয়ান, বদরুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিক আব্দুল খালেক লালু, আব্দুল মুসাব্বির, আব্দুল হাসিব মামুন, সৈয়দ রেজা, জয়নাল আবেদীন, রফিকুল মওলা, রাফেল তালুকদার, জেবিবিএ নিউইয়র্ক-এর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, বড়লেখা সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান, মিরেশ্বরাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মনির আহমেদ, কুইন্সের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এম এ মান্নান, ব্রুকলীনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ব্রঙ্কসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম, ওজনপার্কের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
এছাড়াও ‘কনু-আজম’ প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ ও সহ সভাপতি পদপ্রার্থী সাফি আলম লাল মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
সভায় অতিথিবৃন্দ ছাড়াও ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করীম চৌধুরী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ঢাকা সোসাইটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সভার মূল কর্মকান্ড পরিচালনা করেন সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মাকসুদুল হক চৌধুরী ও আব্দুল বাসিত খান বুলবুল।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন যুবনেতা আমানাত হোসেন আমান, গীতা থেকে পাঠ করেন সুভাষ মজুমদার এবং ত্রিপিঠক থেকে পাঠ করেন বৈদ্য রতন বড়–য়া। এরপর ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের সাস্কৃতিক সম্পদক পদপ্রার্থী সেলিম ইব্রাহীমের নেতৃত্বে প্রবাসের শিল্পীরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর প্যানেলটি নিয়ে রচিত দু’টি গান পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন সভার সভাপতি আবু নাসের। এছাড়া সভাপতি পদপ্রার্থী আজমল হোসেন কুনু ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী আজমকে পরিচয় করিয়ে দেন যুবনেতা মিজানুর রহমান মিজান। এসময় সকল প্রার্থী তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং প্যানেলটির সকল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচত করার আহ্বান জানান।
সভায় ড. দেলোয়ার হোসেন ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সর্বমহলে সোসাইটির গ্রহণযোগ্যতা আর মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান বলেন, আমাদের সময়ে সোসাইটির সাড়ে তিন হাজার ভোটার ছিলো। আজ সাড়ে ১৮ হাজার। এই কৃতিত্ব সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আজমল হোসেন কুনুর। তিনি দেখিয়েছেন সোসাইটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন। সোসাইটি আজ গণমুখী হয়েছে। ‘কুনু-আজম’ প্যানেলে আমার সময়ের অনেকই প্রার্থী হয়েছেন। তাই এই প্যানেল আমার প্যানেল। তিনি ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক ভোটার যাতে সুষ্ঠুভাবে সময়মত ভোট দিতে পারে সেজন্য যথাযথ উদ্যোগ ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নার্গিস আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি প্রবাসে বাংলাদেশীদের মর্যাদা সম্পন্ন সংগঠন। এই সংগঠনের যারা মর্যাদা ধরে রাখতে পারবেন তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সোসাইটির সাবেক নেতৃবৃন্দের কারো কারো কাছ থেকে আমি সম্মান পাইনি। আমি চাই নারী-পুরুষ সকল প্রবাসীই যেনো সোসাইটিতে মর্যাদা পান। তিনি বলেন, ‘কুনু-আজম’ যোগ্য প্যানেল তাই যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
বদরুল হোসেন খান ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজকের পরিচিতি সভা স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সভা। এই সভার জনশ্রোত দেখে নিজেদের বিজয়ী ভাববার কোন কারণ নেই। ভোটের দিন সকল ভোটারের ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘কুনু-আজম’ প্যানেল নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সোসাইটি প্রবাসে বাংলাদেশীদেরই প্রতিনিধিত্ব করবে।
মুকিত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটিতে অমুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পেয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান আমরা মেনে নিতে পারি না।
মনিরুল ইসলাম সোসাইটির সাবেক এক সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের মাঝে একজন ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন। আমরা কোন ব্যক্তির দখলে সোসাইটি বা সোসাইটির নেতৃত্ব দিতে পারি না, তা দেখতেও চাই না। তিনি ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে নির্বাচিত করত সকল প্রার্থী আর সমর্থককে সকল ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ওসমান চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সোসাইটির ইতিহাসে সাড়ে ১৮ হাজার ভোটার নেই। এটা শুভ লক্ষণ। তিনি আগামীতে সোসাইটির সদস্য/ভোটার হওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন, সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে সোসাইটির ফ্রি সদস্য পদ প্রদান এবং যারা বোটার হবেন তাদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তাব রাখেন।
সরকার ইসলাম বলেন, ‘কুনু-আজম’ প্যানেল হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আশা-আকাঙ্খার প্যানেল। তাই তাদের নির্বাচিত করতে হবে।
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি সচল না কি অচল ধারায় চলবে, নাকি সোসাইটি ব্যক্তি কেন্দ্রীক হবে, না বি সবার সংগঠন হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে ২৩ অক্টোবরের নির্বাচনে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এক ব্যক্তির জন্য কমিউনিটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা কথা দিয়ে কথা রাখেন না, বা যারা নিজের নয় অন্যের বুদ্ধি-পরামর্শে চলেন তাদের হাতে সোসাইটির নেতৃত্ব দিতে পারি না।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কুনু-আজম’ নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ সোসাইটি সুষ্ঠু ধারায় ফিরে আসবে।
রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে নির্বাচিত করতে প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেবো।
সভায় আজমল হোসেন কুনু তার বক্তব্যের শুরুতে সভায় উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি আখ্যায়িত করে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি মরহুম এনামুল মালিক, ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য মরহুম রশীদ আহমদ, সাবেক কর্মকর্তা মরহুম আব্দুর রউফ খান মিষ্টু ও মরহুম নিয়ামুল করীকে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনই প্রবাসে আমার শেষ নির্বাচন। বিগত নির্বাচনে একটি ভোট নিয়ে নির্বাচন করে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। প্রবাসীদের ভালবাসার প্রমাণ পেয়েছি। আর নির্বাচিত হয়ে দুই প্যানেল থেকে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের সমন্বয় করে কাজের মাধ্যমে সোসাইটিকে গণমুখী করেছি। তিনি বলেন, সোসাইটির গঠনতন্ত্রে কিছু বাঁধা-বিপত্তি থাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রাষ্টি বোর্ড গঠন করা সম্ভব হয়নি। ‘কুনু-আজম’ প্যানেল নির্বাচিত হলে এসব ত্রুটি দূর করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যদ্যের কোন প্যানেলের পক্ষে কাজ করা অনৈতিক।
কাজী আজম তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘কুনু-আজম’ প্যানেল নির্বাচত হলে হলে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা, সোসাইটিতে আইটি ক্লাশ চালু, জিএসপি সুবিধা আদায়ে লবিং, নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান চালুর আন্দোলন জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি সোসাইটির গঠনতন্ত্রের ত্রুটি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের শেষ পরিচিতি সভা সন্ধ্য রাত ৮টার দিকে শুরু হয়ে চলে মধ্য রাত ১২টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির পাঁচ বুরোর বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। অনেকেই যোগ দেন সপরিবারে। ছিলো প্রবাসীদের উপচে পড়া ভীড়। ফলে অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর হয়ে উঠে। এদিকে পরিচিতি পর্বের সময় প্যানেলটির ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক, বাংলাদেশের সাবেক জাতীয় ফুটবলার স¤্রাট হোসেন এমিলি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের সময় সকল বুরোর ভোটারদের উদ্দেশ্যে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে ‘ফুটবল’ ছুড়ে দেন। বিষয়টি ছিলো উপভোগ্য।