২৭ হাজার ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার প্রত্যাশা : সোসাইটিকে মামলাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করা হবে
- প্রকাশের সময় : ০২:০০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮
- / ৪৬৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের নির্বাচনী সভায় বক্তা বালেন, সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে কে কাকে ভোটার করেছেন, বা কে কেত ভোট করেছেন সেটা বড় কথা নয়। আমরা মনে করি সোসাইটির ২৭ হাজার ৫১০জন ভোটারের সকলেই আমাদের ভোটার। ইনশাল্লাহ তাদের সবার ভোটেই ‘রব-রুহুল’ প্যানেল সোসাইটির নির্বাচনে বিজয়ী হবে। সভায় বক্তারা সোসাইটির বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সম্মিলতভাবে সোসাইটিকে মামলাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করা হবে। সেই সাথে কুচক্রীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
জ্যামাইকার পানসী রেষ্টুরেন্টে গত ৭ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট রাজনীতিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট, দেবীদ্ধার কলেজের সাবেক ভিপি জহির মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আহমেদ পাটোয়ারী (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক প্রফেসর আব্দুল বাসির আহমেদ, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য ও নোয়াখালী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী মফিজুর রহমান, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য ও ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাসিম হাসনু, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা নিশান রহীম, একে এম নূরুল হক ও জাকির হোসেন, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা ছদরুন নূর, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ইউএস চ্যাপ্টারের সেক্রেটারী আনিসুল কবীর জাসির, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহিদ মিন্টু, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজু মিয়া, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন ও সহ সভাপতি মোহাম্মদ বিল্লাহ, জ্যামাইকা বাংলা স্কুলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চুন্নু, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশনের (অপরাংশ) সভাপতি আবু রব বাবুল, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সোসাইটির উপদেষ্টা শহীদুল হক, সাবেক সভাপতি দবির হোসেন শামীম, সহ সভাপতি কাজী আশিকুজ্জামান তপু, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম মজনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোহাম্মদ দস্তগীর, ব্রক্ষণবাড়িয়া কমিউনিটি অব ইউএসএ’র সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সভাপতি মোতাহার হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মনজুরুল আলম রবিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শমসের আলী, নরসিংদী জেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মৃধা, রাজশাহী জেলা সমিতির সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ আকন্দ ও দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হক, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম মজনু, মাদারীপুর জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রীস আলী, ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের অন্যতম উপদেষ্টা শহীদুল ইসলাম শহীদ, ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বাসেত রহমান, প্রধান সমন্বয়কারী জেড মোল্লা সানি, জুডিশিয়াল ডেলিগেড মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রবাসী বরিশাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন নাছির, জেবিবিএ’র সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তা আলী খান কনক, মোক্তার হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি লোকমান হোসেন লুকু, বাংলাদেশী-আমেরিকান এডভান্সমেন্টের কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আহ্বাব হোসেন খোকন, আবু তাহের ভূইয়া, আশিকুজ্জামান তপু, গোলাম ছাত্তার চৌধুরী, কামাল ভূইয়া লিটন, ফারুক আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল, জিয়াউল করীম মজুমদার, মনির উদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন ভূইয়া, আবুল কালাম আজাদ, বদিউল আলম ভূইয়া, আব্দুল হান্নান, আলম মিয়া, আব্দুল মান্নাফ, ফয়সল কবীর, ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা তনিম চৌধুরী, নিউকার্ক পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। সভায় এই প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
সভায় ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুর রব মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও সোসাইটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ অতিথিদের মধ্যে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। সময় স্বল্পতার কারণে অনেকেই বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকেন বা বক্তব্য রাখেননি।
সভায় আব্দুর রব মিয়া তার বক্তব্যে দীর্ঘ প্রবাস জীবনের নানা চরাই-উৎরাইয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশে ও প্রবাসে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সাধ্যমতো সমাজ সেবায় অবদান রেখে সামাজিক কর্মকান্ড করে চলেছি। আমি আমার জন্য নয়, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সোসাইটির সেবা দিতেই সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। তিনি বরেন, আমি কম কথায় আর কাজে বিশ্বাসী। নিরবে-নিভৃতে কাজ করতে ভালোবাসি। তবে আমি চাই যোগ্য লোক সোসাইটির নেতৃত্বে আসুক। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটিতে একবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আবার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। আবার সবার অনুরোধে এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছি। তিনি বলেন, সোসাইটির ২৭ হাজার ৫১৩জন ভোটারই আমার ভোটার। আমি সাধারণ ভোটারের প্রার্থী। সোসাইটিতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই আমার কামনা।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, সোসাইটির যোগ্য সভাপতি কামাল আহমেদের কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষা আর তার অসমাপ্ত কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতেই ‘রব-রুহুল’ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেল জয়ী হলে সোসাইটির চলমান কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সময়োপযোগী নতুন কর্মসূচী গ্রহণ এবং সোসাইটিকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
আহ্বাব হোসেন খোকন বলেন, যেকোন গাড়ীর জন্য ভালো চালক দরকার। গাড়ী যতই মূল্যবান হোক না কেন, ভালো চালক না হলে গাড়ী সঠিকভাবে চলবে না। সেই বিচেনায় ‘রব-রুহুল’ প্যানেল যোগ্য প্যানেল। আর ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কোন সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য নন। অর্থের বিনিময়ে তিনি সোসাইটির নেতৃত্ব দখল করতে চান।
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, নির্বাচন ঘিরে সোসাইটিতে সচল আর অচল লোকের সমাগম দেখছি। আমরা সচলদের পক্ষে রয়েছি। তিনি বলেন, নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে ‘রব-রুহুল’ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গও রয়েছেন। আজকের সভা প্রমাণ করে জ্যামাইকাবাসী ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সাথে রয়েছে।
জাহিদ মিন্টু বলেন, তার নেতৃত্বে আমরা নোয়াখালী সমিতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার গচ্ছিত রাখতে পারি তিনিই সোসাইটির যোগ্য প্রার্থী। তিনি অপর প্যানেলের সমালোচনা করে বলেন, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের একজন সহ সভাপতি পদপ্রার্থী বাড়ী ভাড়া না দেয়ার কারণে মার্শাল কর্তৃক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ হয়েছিলেন। যারা চট্টগ্রাম সমিতিকে ধ্বংসের পথে নিয়েছিলেন, তারাই আজ সোসাইটির নেতৃত্ব দিতে চান। তিনি বলেন, ২৭ হাজার ভোটারই প্রায় আমাদের ভোটার। তাই ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের বিজয় নিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী নির্বাচিত হলে সোসাইটিতে কার্যত তিনজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। অপর দু’জনের একজন হচ্ছেন তার ভাই কাজী আযম, আরেকজন হচ্ছেন নির্বাচনী মৌসুমের সক্রিয় ব্যক্তি আলী ইমাম শিকদার। তাই সোসাইটির নির্বাচনে যোগ্য প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী নয়ন চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী নেয়ার কথা বলছেন। অথচ সেই সময়ে ঐ কলেজে মাস্টার্স ডিগ্রী ছিলো না। তিনি সত্য কথা বলছেন না।
সভায় বক্তারা ‘রব-রুহুল’ প্যানেলকে সোসাইটির জন্য যোগ্য প্যানেল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন এই প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাটির মানুষ। তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান, সহ সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ (বাকির), কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভুঁইয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. শাহনাজ লিপি, জন সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ টিপু খান, সাহিত্য সম্পাদক ফয়সল আহমদ, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক মাইনুল উদ্দিন মাহবুব, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য, কার্যকরী সদস্য মোঃ সাদী মিন্টু, ফারহানা চৌধুরী, শাহ মিজান, আবুল বাশার, আক্তার হোসেন বাবুল ও সুশান্ত দত্ত।
‘রব-রুহুল’ প্যানেলের পরিচিত সভা আগামী ১৪ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা ৭টায় উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিচিতি সভায় সকল প্রবাসী বাংলাদেশীকে উপস্থিত থাকার জন্য ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।