নিউইয়র্ক ১১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

২০০১ সাল থেকে হাফিজ হয়েছেন ৮৩ জন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৭৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর জামিয়া কুরআনিয়া একাডেমী থেকে এই বছরেও হাফিজি পাস করে বের হলেন আরো চার জন। এনিয়ে এই প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর ৮৩ জন হাফিজ হলেন। এখান থেকে পাস করা হাফিজগণ বিভিন্ন মসজিদে ইমামতী করছেন ও বিভিন্ন প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। স্ব স্ব অঙ্গনে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জেএমসি এই কষ্টসাধ্য কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে। যেসব বাবা-মা কিংবা অভিভাবকরা তার পরিবারের কোন সদস্যকে হাফিজি পড়াতে চান তারা জেএমসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। হাফিজি পড়ার জন্য নিদির্ষ্ট বয়সের বিধি নিষেধ নেই। এখানে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হয়।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের জামিয়া কুরআনিয়া একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। এরপর থেকে প্রতি বছরই হাফিজি পাস করে সেখান থেকে স্টুডেন্ট বের হচ্ছেন। ২০০১ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত ৮৩ জন হাফেজী পাস করেন। এবছর যারা হাফেজী পাস করেছেন তারা হলেন: হাফিজ মীর ফাইয়াজ ফরিদ, হাফিজ ওমর ফারুক, হাফিজ ইউসুফ রহমান, হাফিজ ইউসুফ আব্দুর রহমান।
জেএমসিতে গত ৯ আগষ্ট এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে হাফিজ হওয়ার সনদ তুলে দেওয়া হয়। তাদেরকে সম্মাননা হিসাবে পাগড়ী পড়িয়ে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় উপহারও। অনুষ্ঠানে হিফজের বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। এবার অনুষ্ঠিত হলো ১১ তম আসর। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওয়ালিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জ্যামাইকা মুসিলম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেএমসির জেনারেল সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে একাডেমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মুজাহিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের একাদশ গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সকলকে আসার জন্য স্বাগত জানান ও ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে হিফজ ক্লাসের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন। যারা এই বছর হাফিজি পাস করলেন তিনি তাদেরকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে ধনবাদ জানান। সেই সঙ্গে তাদের পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে জেএমসির বিভিন্ন কর্মসুচীতে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান। ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি, পবিত্র কোরআন পড়া শেখানোর বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে এই সব শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার ব্যাপারেও আহ্বান জানান। বলেন, আমাদের কর্মসূচীর লক্ষ্য হচ্ছে চার বছরের মধ্যে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করা। তারা এই সময়ে হিফজ পড়ার পাশাপাশি নিউইয়র্ক বোর্ড অফ এডুকেশনের একাডেমিক ক্যারিকুলামও সম্পন্ন করে থাকে। হিফজ স্কুলের ছাত্ররা সিটিওয়াইড টেস্টে ও টেরানোভা টেস্টের জন্য জেএমসির আল মামুর স্কুলের সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়। যাতে তারা বোর্ড অফ এডুকেশনের শিক্ষার দিক থেকে কোনভাবে পিছিয়ে না পড়ে। তিনি জানান, টেরানোভা ও ইএলএ পরীক্ষায় তাদের ছাত্রদের সাফল্য সন্তোষজনক। হিফজ স্কুল থেকে বের হয়ে তারা সিটির বিভিন্ন স্পেশালাইজড হাইস্কুলে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ও সেখানে ভর্তিরও সুযোগ পাচ্ছে। জেএমসি’র হিফজ স্কুল থেকে যারা ইতোমধ্যে পাস করেছেন তারা নিউইয়র্কের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইসলামী সেমিনারেও তারা প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখছেন। মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছেন। তারা মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি অনেকেই প্রচলিত ধারায় পরবর্তীতে লেখাপড়া করে সেখানেও সাফল্য অর্জন করছেন। ভাল চাকরিও করছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামিয়া কোরআনিয়া একাডেমীর শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ। এরমধ্যে ছিলেন হাফিজ ইউসুফ আবদুর রহমান, হাফিজ নাঈম উদ্দিন, শেখ শাহিদুল হক, শেখ আবু সুফিয়ান, শেখ আকিব চৌধুরী। হাফিজ ও একাডেমিক রেজাল্টের পুরস্কার বিতরণ করেন জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। অনুষ্ঠানে হাফিজ মামুনুর রশিদ, হাফিজ জাহিদুল ইসলাম, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বাবুল মজুমদার, ডা. নাজমুল খান, জামিল চৌধুরী, হাজী শামসুল ইসলাম, আবুল রফি উদ্দিন, হুমায়ূন খান, ডা. ইমরান হোসেন, মোস্তাফিজ বিল্লাহ, সাবুল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, বজলুল হক সহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের আরো বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যোগ দেন। এরমধ্যে ছিলেন মাওলানা রশীদ জামিল, মাওলানা আশরাফ, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মোহম্মদ ফাহিম, পারভেজ ফাররুকী, ডা. মইন হুসাইনী। অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেএমসির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল খান। তার সমাপনী বক্তব্যের পর একাডেমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মুজাহিদুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইসি সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির সদস্য, স্টাফ, অভিভাবক, শিক্ষক ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মোনাজাতে অংশ নেন।
জেএমসি পরিচালনা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের এখান থেকে যারা হিফজ পড়ে বের হচ্ছে তারা দক্ষিন আফ্রিকা, বাফেলোসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এখানেও রয়েছে। অনেকেই মূলধারার লেখাপড়ায়ও চলে যাচ্ছে। কারণ আমাদের এখানে তারা যখন তিন থেকে চার বছর হিফজ পড়ছে এই সময়ে আমরা তাদেরকে অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা তাদের পড়া শেষ করে এখানের অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারে। আমাদের একটি ক্লাসে ৬০ জন স্টুডেন্ট থাকে। এরমধ্যে প্রতিবছরই দেখা যায় ৪-৫ জন করে হিফজ কোর্স সম্পন্ন করে বের হচ্ছে। সপ্তাহের ছয়দিন সোম থেকে শনিবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তাদের ক্লাস হয়। তিনি বলেন, হিফজ ক্লাসের ক্লাস আগে আমাদের ভবনের যেখানে আল মামুর স্কুলের ক্লাস পরিচালনা করা হতো এখন সেখানে করানো হয়। এখন আল মামুর স্কুলটি পারসন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বড় পরিসরে কাজ চলছে। তিনি বলেন, এখন আমরা কেবল ছেলেদের জন্য হিফজ পড়ার ব্যবস্থা রেখেছি। আমরা নির্বাহী কমিটি অন প্রিন্সিপাল ঐক্যমত হয়েছি যে আমরা মেয়েদের জন্য এই কোর্স চালু করবো। তবে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটা জানতে পেরেছি আলিম প্রোগ্রামের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ বেশি। হিফজ প্রোগ্রামে একজন স্টুডেন্ট কেবল কোরআর মুখস্ত করা শিখবে। আলিম প্রোগ্রামের সুবিধা হলো হিফজসহ সব ধরনের ক্যারিকুল্যাম এতে সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর থেকে আমরা ছেলেদের জন্য আলিম কোর্স চালু করেছি। মেয়েদের জন্য চলতি বছরেই এই প্রোগ্রাম চালু করা হবে নাকি আগামী বছর থেকে চালু করা হবে এই ব্যাপারে আরো বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা আলিম কোর্স তাদের জন্য চালু করবো।
এর আগে যারা যারা স্নাতকোত্তর হাফিজ হয়েছেন এরমধ্যে রয়েছেন: ১. হাফিজ মুওয়াহেদ মুহাম্মদ বিল্লাহ (২০০২), ২. হাফিজ মোহাম্মদ আবু বকর ইকবাল (২০০৩), ৩. হাফিজ আবদুল্লাহ আল-কাফি (২০০৪), ৪. হাফিজ উমির খালিদ শেখ (২০০৫), ৫. হাফিজ আকিবুজ্জামান চৌধুরী (২০০৫), ৬. হাফিজ মোহাম্মদ ওমর বাট (২০০৫), ৭. হাফিজ মোহাম্মদ ইসমাইল হক (২০০৫), ৮. হাফিজ মারুফ হক (২০০৫), ৯. হাফিজ মুয়াজ জাহিদ (২০০৫), ১০. হাফিজ আবুল হাসান (২০০৫), ১১. হাফিজ মুহাম্মাদ আকিব আবির (২০০৬), ১২. হাফিজ আকিফুজ জামান (২০০৬), ১৩. হাফিজ সাইম সিদ্দিকী (২০০৬), ১৪. হাফিজ হামিদ সিদ্দিকী (২০০৬), ১৫. হাফিজ তৈমুর খান (২০০৬), ১৬. হাফিজ মুনিব এ সিদ্দিকী (২০০৬), ১৭. হাফিজ নুমান আহমেদ খান (২০০৭), ১৮. হাফিজ জাভেদ এলাহী (২০০৭), ১৯. হাফিজ উসামা মুবাশ্বির ইসলাম (২০০৭), ২০. হাফিজ আকবর আলী খান (২০০৭), ২১. হাফিজ সালমান আলী খান (২০০৭), ২২. হাফিজ বিলাল চৌহান (২০০৭), ২৩. হাফিজ উমায়ের আসগর সিদ্দিকী (২০০৭), ২৪. হাফিজ রবিউল আউয়াল আরেফ (২০০৮), ২৫. হাফিজ জায়েদ ইয়াহইয়া আজিজ (২০০৮), ২৬. হাফিজ মোস্তফা মোহাম্মদ হাগাগি (২০০৮), ২৭. হাফিজ সামিয়ামুল মোহাম্মদ হক (২০০৮), ২৮. হাফিজ খালেদ বিন হুসেন (২০০৮), ২৯. হাফিজ ওমারের রিয়াজ পরচা (২০০৮), ৩০. হাফিজ আবদুল ওয়াহাব শেখ (২০০৮), ৩১. হাফিজ সাবির আহমেদ চৌধুরী (২০০৯), ৩২. হাফিজ সৈয়দ বিলাল ইব্রাহিম ২০০৯, ৩৩. হাফিজ ফখরুল ইসলাম (২০০৯), ৩৪. হাফিজ ওমর ফারুক নাগরিয়া (২০০৯), ৩৫. হাফিজ আবু সাকের আজাদ (২০০৯), ৩৬. হাফিজ ফরহাদ সৈয়দ (২০১০), ৩৭. হাফিজ আমজাদ মির্জা (২০১০), ৩৮. হাফিজ মোহাম্মদ ফয়জান (২০১০), ৩৯. হাফিজ জাহিদুল ইসলাম (২০১০), ৪০. হাফিজ তোফাজ্জুল মির্জা (২০১০), ৪১. হাফিজ ইয়াসিন আহমদ এহসান (২০১১), ৪২. হাফিজ সৈয়দ জুলকারনাইন হুসেনী (২০১১), ৪৩. হাফিজ মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া (২০১১), ৪৪. হাফিজ আজহার সৈয়দ (২০১১), ৪৫. হাফিজ ফরাজ সৈয়দ (২০১২), ৪৬. হাফিজ সাদেক সৈয়দ (২০১২), ৪৭. হাফিজ সাফিউর রহমান (২০১২), ৪৮. হাফিজ মারওয়ান মোহাম্মদ ইসলাম (২০১২), ৪৯ হাফিজ মুনিম ইউ রব রাগহিদ (২০১২), ৫০. হাফিজ তাজরিয়ান ইসলাম (২০১২), ৫১. হাফিজ রফিউল্লাহ বেগ (২০১২), ৫২ হাফিজ হাশিম পারাচা (২০১২), ৫৩. হাফিজ আহমেদ আজিজ (২০১৩), ৫৪. হাফিজ আবরার সরগুরাহ (২০১৩), ৫৫. হাফিজ হাসান আহমেদ (২০১৩), ৫৬. হাফিজ আদিল সাদিক (২০১৩), ৫৭. হাফিজ হামদান আহমেদ ইসলাম (২০১৩), ৫৮. হাফিজ ফাইজান ওয়াজির (২০১৩), ৫৯. হাফিজ জাকির মেমন (২০১৪), ৬০. হাফিজ তালহা আমরে (২০১৪), ৬১. হাফিজ নায়েল হাসান আহমেদ (২০১৪), ৬২. হাফিজ জায়েদ নাভাইদ খান (২০১৪), ৬৩. হাফিজ তাহমিদ রহমান (২০১৫), ৬৪. হাফিজ তানজিম ফাহাদ মিয়াজ (২০১৫), ৬৫. হাফিজ জেন ফারুক আমরে (২০১৫), ৬৬. হাফিজ তাশদীদ হোসেন (২০১৫), ৬৭. হাফিজ সাদ খন্দকার (২০১৫), ৬৮. হাফিজ জায়েদ মনিরুজ্জামান (২০১৬), ৬৯. হাফিজ নিগমলদিন এলশাব্রাউই (২০১৬), ৭০. হাফিজ সাজ্জাদ আবদীন (২০১৬), ৭১. হাফিজ শায়ান টোবরিয়া (২০১৭), ৭২. হাফিজ রায়ান আহসান (২০১৭), ৭৩. হাফিজ মোস্তফা আব্দুর রহিম (২০১৭), ৭৪. হাফিজ শাকির বেলাল (২০১৭), ৭৫. হাফিজ রাহিদ চৌধুরী (২০১৭), ৭৬. হাফিজ মো: আশফাকুল হক (২০১৮), ৭৭. হাফিজ নুরালাদিন এল শাব্রাউই (২০১৮), ৭৮. হাফিজ তাসনিম আরাফাত হোসেন (২০১৮), ৭৯. হাফিজ সমীর হোসেন (২০১৮)।
উল্লেখ, জামেয়াহ কুরআনিয়া একাডেমি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালে, মাত্র তিন জন শিক্ষার্থী নিয়ে হাফেজী মাদ্রাসা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন জায়গায় এই শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। ২০০১ সালের মার্চ মাসে হাফিজ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পরে, জেএমসির সভাপতি ড. মোহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই মাদ্রাসা চালানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। পরে ২০০১ সালের জেএমসির সাধারণ সভায় মাওলানা ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ হাফেজী মাদ্রাসার এই পাইলট প্রকল্পটিকে জেএমসির প্রকল্প হিসাবে গ্রহণের জন্য সদস্যগণ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সামনে উপস্থাপন করেন। সর্বসম্মতিক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাবটি সাধারণ সভায় গৃহীত হয়। ২০০৩ সালে জেএমসির কার্যনির্বাহী কমিটি এই হাফিজি মাদ্রাসাকে জেএমসির নিজস্ব প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করেছিল। ২০০৪ সালে, হাফেজী মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে জামিয়াহ কুরআনিয়া একাডেমি করা হয়েছে। বর্তমান অবধি এই নামেই এই প্রকল্পটি চলছে। (সাপ্তাহিক ঠিকানা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

২০০১ সাল থেকে হাফিজ হয়েছেন ৮৩ জন

প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর জামিয়া কুরআনিয়া একাডেমী থেকে এই বছরেও হাফিজি পাস করে বের হলেন আরো চার জন। এনিয়ে এই প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর ৮৩ জন হাফিজ হলেন। এখান থেকে পাস করা হাফিজগণ বিভিন্ন মসজিদে ইমামতী করছেন ও বিভিন্ন প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। স্ব স্ব অঙ্গনে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জেএমসি এই কষ্টসাধ্য কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে। যেসব বাবা-মা কিংবা অভিভাবকরা তার পরিবারের কোন সদস্যকে হাফিজি পড়াতে চান তারা জেএমসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। হাফিজি পড়ার জন্য নিদির্ষ্ট বয়সের বিধি নিষেধ নেই। এখানে সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হয়।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের জামিয়া কুরআনিয়া একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। এরপর থেকে প্রতি বছরই হাফিজি পাস করে সেখান থেকে স্টুডেন্ট বের হচ্ছেন। ২০০১ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত ৮৩ জন হাফেজী পাস করেন। এবছর যারা হাফেজী পাস করেছেন তারা হলেন: হাফিজ মীর ফাইয়াজ ফরিদ, হাফিজ ওমর ফারুক, হাফিজ ইউসুফ রহমান, হাফিজ ইউসুফ আব্দুর রহমান।
জেএমসিতে গত ৯ আগষ্ট এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে হাফিজ হওয়ার সনদ তুলে দেওয়া হয়। তাদেরকে সম্মাননা হিসাবে পাগড়ী পড়িয়ে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় উপহারও। অনুষ্ঠানে হিফজের বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্য অর্জনকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। এবার অনুষ্ঠিত হলো ১১ তম আসর। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওয়ালিউর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জ্যামাইকা মুসিলম সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেএমসির জেনারেল সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে একাডেমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মুজাহিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের একাদশ গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সকলকে আসার জন্য স্বাগত জানান ও ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে হিফজ ক্লাসের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন। যারা এই বছর হাফিজি পাস করলেন তিনি তাদেরকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে ধনবাদ জানান। সেই সঙ্গে তাদের পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে জেএমসির বিভিন্ন কর্মসুচীতে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান। ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি, পবিত্র কোরআন পড়া শেখানোর বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে এই সব শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার ব্যাপারেও আহ্বান জানান। বলেন, আমাদের কর্মসূচীর লক্ষ্য হচ্ছে চার বছরের মধ্যে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করা। তারা এই সময়ে হিফজ পড়ার পাশাপাশি নিউইয়র্ক বোর্ড অফ এডুকেশনের একাডেমিক ক্যারিকুলামও সম্পন্ন করে থাকে। হিফজ স্কুলের ছাত্ররা সিটিওয়াইড টেস্টে ও টেরানোভা টেস্টের জন্য জেএমসির আল মামুর স্কুলের সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়। যাতে তারা বোর্ড অফ এডুকেশনের শিক্ষার দিক থেকে কোনভাবে পিছিয়ে না পড়ে। তিনি জানান, টেরানোভা ও ইএলএ পরীক্ষায় তাদের ছাত্রদের সাফল্য সন্তোষজনক। হিফজ স্কুল থেকে বের হয়ে তারা সিটির বিভিন্ন স্পেশালাইজড হাইস্কুলে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ও সেখানে ভর্তিরও সুযোগ পাচ্ছে। জেএমসি’র হিফজ স্কুল থেকে যারা ইতোমধ্যে পাস করেছেন তারা নিউইয়র্কের বিভিন্ন মসজিদে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইসলামী সেমিনারেও তারা প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখছেন। মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছেন। তারা মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি অনেকেই প্রচলিত ধারায় পরবর্তীতে লেখাপড়া করে সেখানেও সাফল্য অর্জন করছেন। ভাল চাকরিও করছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামিয়া কোরআনিয়া একাডেমীর শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ। এরমধ্যে ছিলেন হাফিজ ইউসুফ আবদুর রহমান, হাফিজ নাঈম উদ্দিন, শেখ শাহিদুল হক, শেখ আবু সুফিয়ান, শেখ আকিব চৌধুরী। হাফিজ ও একাডেমিক রেজাল্টের পুরস্কার বিতরণ করেন জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। অনুষ্ঠানে হাফিজ মামুনুর রশিদ, হাফিজ জাহিদুল ইসলাম, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বাবুল মজুমদার, ডা. নাজমুল খান, জামিল চৌধুরী, হাজী শামসুল ইসলাম, আবুল রফি উদ্দিন, হুমায়ূন খান, ডা. ইমরান হোসেন, মোস্তাফিজ বিল্লাহ, সাবুল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, বজলুল হক সহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের আরো বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যোগ দেন। এরমধ্যে ছিলেন মাওলানা রশীদ জামিল, মাওলানা আশরাফ, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মোহম্মদ ফাহিম, পারভেজ ফাররুকী, ডা. মইন হুসাইনী। অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেএমসির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল খান। তার সমাপনী বক্তব্যের পর একাডেমীর প্রিন্সিপাল হাফিজ মুজাহিদুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইসি সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির সদস্য, স্টাফ, অভিভাবক, শিক্ষক ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মোনাজাতে অংশ নেন।
জেএমসি পরিচালনা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের এখান থেকে যারা হিফজ পড়ে বের হচ্ছে তারা দক্ষিন আফ্রিকা, বাফেলোসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এখানেও রয়েছে। অনেকেই মূলধারার লেখাপড়ায়ও চলে যাচ্ছে। কারণ আমাদের এখানে তারা যখন তিন থেকে চার বছর হিফজ পড়ছে এই সময়ে আমরা তাদেরকে অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা তাদের পড়া শেষ করে এখানের অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারে। আমাদের একটি ক্লাসে ৬০ জন স্টুডেন্ট থাকে। এরমধ্যে প্রতিবছরই দেখা যায় ৪-৫ জন করে হিফজ কোর্স সম্পন্ন করে বের হচ্ছে। সপ্তাহের ছয়দিন সোম থেকে শনিবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তাদের ক্লাস হয়। তিনি বলেন, হিফজ ক্লাসের ক্লাস আগে আমাদের ভবনের যেখানে আল মামুর স্কুলের ক্লাস পরিচালনা করা হতো এখন সেখানে করানো হয়। এখন আল মামুর স্কুলটি পারসন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বড় পরিসরে কাজ চলছে। তিনি বলেন, এখন আমরা কেবল ছেলেদের জন্য হিফজ পড়ার ব্যবস্থা রেখেছি। আমরা নির্বাহী কমিটি অন প্রিন্সিপাল ঐক্যমত হয়েছি যে আমরা মেয়েদের জন্য এই কোর্স চালু করবো। তবে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটা জানতে পেরেছি আলিম প্রোগ্রামের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ বেশি। হিফজ প্রোগ্রামে একজন স্টুডেন্ট কেবল কোরআর মুখস্ত করা শিখবে। আলিম প্রোগ্রামের সুবিধা হলো হিফজসহ সব ধরনের ক্যারিকুল্যাম এতে সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর থেকে আমরা ছেলেদের জন্য আলিম কোর্স চালু করেছি। মেয়েদের জন্য চলতি বছরেই এই প্রোগ্রাম চালু করা হবে নাকি আগামী বছর থেকে চালু করা হবে এই ব্যাপারে আরো বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা আলিম কোর্স তাদের জন্য চালু করবো।
এর আগে যারা যারা স্নাতকোত্তর হাফিজ হয়েছেন এরমধ্যে রয়েছেন: ১. হাফিজ মুওয়াহেদ মুহাম্মদ বিল্লাহ (২০০২), ২. হাফিজ মোহাম্মদ আবু বকর ইকবাল (২০০৩), ৩. হাফিজ আবদুল্লাহ আল-কাফি (২০০৪), ৪. হাফিজ উমির খালিদ শেখ (২০০৫), ৫. হাফিজ আকিবুজ্জামান চৌধুরী (২০০৫), ৬. হাফিজ মোহাম্মদ ওমর বাট (২০০৫), ৭. হাফিজ মোহাম্মদ ইসমাইল হক (২০০৫), ৮. হাফিজ মারুফ হক (২০০৫), ৯. হাফিজ মুয়াজ জাহিদ (২০০৫), ১০. হাফিজ আবুল হাসান (২০০৫), ১১. হাফিজ মুহাম্মাদ আকিব আবির (২০০৬), ১২. হাফিজ আকিফুজ জামান (২০০৬), ১৩. হাফিজ সাইম সিদ্দিকী (২০০৬), ১৪. হাফিজ হামিদ সিদ্দিকী (২০০৬), ১৫. হাফিজ তৈমুর খান (২০০৬), ১৬. হাফিজ মুনিব এ সিদ্দিকী (২০০৬), ১৭. হাফিজ নুমান আহমেদ খান (২০০৭), ১৮. হাফিজ জাভেদ এলাহী (২০০৭), ১৯. হাফিজ উসামা মুবাশ্বির ইসলাম (২০০৭), ২০. হাফিজ আকবর আলী খান (২০০৭), ২১. হাফিজ সালমান আলী খান (২০০৭), ২২. হাফিজ বিলাল চৌহান (২০০৭), ২৩. হাফিজ উমায়ের আসগর সিদ্দিকী (২০০৭), ২৪. হাফিজ রবিউল আউয়াল আরেফ (২০০৮), ২৫. হাফিজ জায়েদ ইয়াহইয়া আজিজ (২০০৮), ২৬. হাফিজ মোস্তফা মোহাম্মদ হাগাগি (২০০৮), ২৭. হাফিজ সামিয়ামুল মোহাম্মদ হক (২০০৮), ২৮. হাফিজ খালেদ বিন হুসেন (২০০৮), ২৯. হাফিজ ওমারের রিয়াজ পরচা (২০০৮), ৩০. হাফিজ আবদুল ওয়াহাব শেখ (২০০৮), ৩১. হাফিজ সাবির আহমেদ চৌধুরী (২০০৯), ৩২. হাফিজ সৈয়দ বিলাল ইব্রাহিম ২০০৯, ৩৩. হাফিজ ফখরুল ইসলাম (২০০৯), ৩৪. হাফিজ ওমর ফারুক নাগরিয়া (২০০৯), ৩৫. হাফিজ আবু সাকের আজাদ (২০০৯), ৩৬. হাফিজ ফরহাদ সৈয়দ (২০১০), ৩৭. হাফিজ আমজাদ মির্জা (২০১০), ৩৮. হাফিজ মোহাম্মদ ফয়জান (২০১০), ৩৯. হাফিজ জাহিদুল ইসলাম (২০১০), ৪০. হাফিজ তোফাজ্জুল মির্জা (২০১০), ৪১. হাফিজ ইয়াসিন আহমদ এহসান (২০১১), ৪২. হাফিজ সৈয়দ জুলকারনাইন হুসেনী (২০১১), ৪৩. হাফিজ মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া (২০১১), ৪৪. হাফিজ আজহার সৈয়দ (২০১১), ৪৫. হাফিজ ফরাজ সৈয়দ (২০১২), ৪৬. হাফিজ সাদেক সৈয়দ (২০১২), ৪৭. হাফিজ সাফিউর রহমান (২০১২), ৪৮. হাফিজ মারওয়ান মোহাম্মদ ইসলাম (২০১২), ৪৯ হাফিজ মুনিম ইউ রব রাগহিদ (২০১২), ৫০. হাফিজ তাজরিয়ান ইসলাম (২০১২), ৫১. হাফিজ রফিউল্লাহ বেগ (২০১২), ৫২ হাফিজ হাশিম পারাচা (২০১২), ৫৩. হাফিজ আহমেদ আজিজ (২০১৩), ৫৪. হাফিজ আবরার সরগুরাহ (২০১৩), ৫৫. হাফিজ হাসান আহমেদ (২০১৩), ৫৬. হাফিজ আদিল সাদিক (২০১৩), ৫৭. হাফিজ হামদান আহমেদ ইসলাম (২০১৩), ৫৮. হাফিজ ফাইজান ওয়াজির (২০১৩), ৫৯. হাফিজ জাকির মেমন (২০১৪), ৬০. হাফিজ তালহা আমরে (২০১৪), ৬১. হাফিজ নায়েল হাসান আহমেদ (২০১৪), ৬২. হাফিজ জায়েদ নাভাইদ খান (২০১৪), ৬৩. হাফিজ তাহমিদ রহমান (২০১৫), ৬৪. হাফিজ তানজিম ফাহাদ মিয়াজ (২০১৫), ৬৫. হাফিজ জেন ফারুক আমরে (২০১৫), ৬৬. হাফিজ তাশদীদ হোসেন (২০১৫), ৬৭. হাফিজ সাদ খন্দকার (২০১৫), ৬৮. হাফিজ জায়েদ মনিরুজ্জামান (২০১৬), ৬৯. হাফিজ নিগমলদিন এলশাব্রাউই (২০১৬), ৭০. হাফিজ সাজ্জাদ আবদীন (২০১৬), ৭১. হাফিজ শায়ান টোবরিয়া (২০১৭), ৭২. হাফিজ রায়ান আহসান (২০১৭), ৭৩. হাফিজ মোস্তফা আব্দুর রহিম (২০১৭), ৭৪. হাফিজ শাকির বেলাল (২০১৭), ৭৫. হাফিজ রাহিদ চৌধুরী (২০১৭), ৭৬. হাফিজ মো: আশফাকুল হক (২০১৮), ৭৭. হাফিজ নুরালাদিন এল শাব্রাউই (২০১৮), ৭৮. হাফিজ তাসনিম আরাফাত হোসেন (২০১৮), ৭৯. হাফিজ সমীর হোসেন (২০১৮)।
উল্লেখ, জামেয়াহ কুরআনিয়া একাডেমি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালে, মাত্র তিন জন শিক্ষার্থী নিয়ে হাফেজী মাদ্রাসা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন জায়গায় এই শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। ২০০১ সালের মার্চ মাসে হাফিজ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পরে, জেএমসির সভাপতি ড. মোহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই মাদ্রাসা চালানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। পরে ২০০১ সালের জেএমসির সাধারণ সভায় মাওলানা ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ হাফেজী মাদ্রাসার এই পাইলট প্রকল্পটিকে জেএমসির প্রকল্প হিসাবে গ্রহণের জন্য সদস্যগণ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সামনে উপস্থাপন করেন। সর্বসম্মতিক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাবটি সাধারণ সভায় গৃহীত হয়। ২০০৩ সালে জেএমসির কার্যনির্বাহী কমিটি এই হাফিজি মাদ্রাসাকে জেএমসির নিজস্ব প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করেছিল। ২০০৪ সালে, হাফেজী মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে জামিয়াহ কুরআনিয়া একাডেমি করা হয়েছে। বর্তমান অবধি এই নামেই এই প্রকল্পটি চলছে। (সাপ্তাহিক ঠিকানা)