সোসাইটির সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যের প্রতিবাদ ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের
- প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮
- / ৬৭১ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র নির্বাচন ঘিরে মামলা পরবর্তীতে প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সোসাইটি কার্যালয়ে আয়োজিত কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল। প্যানেলটির পক্ষে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের ও সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে উপরোক্ত প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে ‘নাসের-বাবুল’ বলেন, ২১ অক্টোবর ররোববার বাংলাদেশ সোসাইটির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের উপর কুইন্স সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারকের দেয়া নির্বাচনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর উক্ত নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশন কতৃর্ক দায়েরকৃত আপীল মাননীয় আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সোসাইটির ব্যানারে তড়িঘড়ি করে সাংবাদিক সম্মেলনের আহ্বান করা হয় যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে আমাদের দেখার সুযোগ হয়েছে। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি যে বক্তব্য উপাস্থাপন করেছেন তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, অমূলক এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ২৭,৫১০ জন ভোটারদের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা তাদের সকল বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা সকলে জানি নৈতিকভাবে এবং গঠনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি। বাংলাদেশ সোসাইটি’র বর্তমান কার্যকরী পরিষদের বেশীরভাগ সদস্য ‘রব-রুহুল’ প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিধন্দ্বিতা করছেন। সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ নিজেও ‘রব-রুহুল’ পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম মুখপাত্র। কামাল আহমেদ ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের বেশীরভাগ প্রার্থী ও উক্ত পরিষদের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আজিমুর রহমান বোরহান-কে নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির ব্যানারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগন উপসিস্থত হয়ে একটি প্যানেলের বিরুদ্ধে যে সকল অসত্য, বানোয়াট বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, তাতে এই ‘জনি কমিশন’ কতটুকু নিরপেক্ষ তার বিচারের ভার বাংলাদেশ সোসাইটির সম্মানিত সকল সদস্যদের উপর ন্যস্ত করলাম। জনি কমিশন ২ জন সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যের নির্বাচনে অংশগ্রহনের মনোনয়ন বৈধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে উক্ত ২ জন সদস্য প্রার্থী ও ‘নয়ন আলী’ প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, কার্যকরী পরিষদ ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্যদের মাধ্যমে সামাধানের চেষ্টা করেও সভাপতি কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী’র অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। উক্ত দুই প্রার্থী আর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে অন্য একজন সাধারণ সদস্যকে নিয়ে মাননীয় আদালতের শরনাপন্ন হন। মাননীয় আদালত তাদের আবেদনের যুক্তিকতা বুঝতে পেরে তাদের নাম নির্বাচনী ব্যালটে কেন সংযুক্ত করা হবেনা এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য মহিউদ্দীন দেওয়ানের নাম ব্যালট থেকে কেন বাদ দেয়া হবেনা মর্মে শোকজ করে ২১ তারিখের নির্বাচনী কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন কিন্তু নির্বাচন কমিশন উক্ত নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল নির্বাচন কমিশনের শত অনিয়ম সত্বেও ১৭ জন প্রার্থী নিয়ে ২১ অক্টোবর রোববার নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম কিন্তু মাননীয় আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সকল ধরনের নির্বাচনী কর্মকান্ড স্থগিত রেখেছি অপরদিকে ‘রব-রুহুল’ প্যানেল মামলার অন্যতম বিবাদী সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদকে নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারনার নামে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন যা আদালত অবমাননা বলে আমারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বিবৃতিতে ‘নাসের-বাবুল’ তাদের বিবৃতিতে আরো বলেন, সাংবাদিক সম্মেলনে সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ তার বক্তব্যে মাননীয় বিচারককে নিয়ে যে উদ্ধ্যত্বপুর্ণ কথা বলেছেন তা সত্যিই দু:খজনক। বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি একজন বিচারককে পাগল কিংবা পারিবারিক সমস্যায় জর্জরিত বলে যে মন্তব্য করেছেন তাতে এদেশের পুরো বিচার ব্যবস্থা ও বাংলাদেশী কমিউনিটিকে অসম্মানিত করেছেন। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি মামলার একজন বিবাদীর এধরনের বক্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে। আমরা কামাল আহমেদের এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি, পাশাপাশি তার বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা মনে করি আইন সবার জন্য সমান। যে ২ জন সদস্যের প্রার্থীতা বাতিল করে ‘জনি কমিশন’ যে অন্যায় করেছেন, মাননীয় আদালতের রায়ের মাধ্যমে তারা তাদের প্রার্থীতা ফেরত পাবেন এবং কমিউনিটির সেবা করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের একগুয়েমী মনোভাবের কারণে আমরা সকল প্রার্থীরা ও সম্মানীত ভোটাররা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি তার জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থী ও ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং তাদের আবেগী ও একগুয়েমী মনোভাব পরিহার করে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহন যোগ্য নির্বাচন উপহার দিয়ে সকল ভোটারদেরকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করবেন।