নিউইয়র্ক ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘সোসাইটিকে নেতৃত্ব দিতে ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের বিকল্প নেই’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৫৪৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের সর্বশেষ পরিচিতি সভায় হাজারো ভোটারের উপস্থিতিকে বক্তারা এই প্যানেলের বিজয়ের নিশ্চিত আভাস হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস্থ নান্দুস পার্টি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট জামালউদ্দিন আহমেদ জনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সভাপতি ডা. মাইনুল ইসলাম মিয়া ও সাবেক সভাপতি এম আজিজ । প্রধান বক্তা ছিলেন নাসির আলী খান পল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন কাজী আজহারুল হক মিলন, আলী ইমাম শিকদার, জামালউদ্দিন আহমেদ জনি, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, কামাল আহমেদ, মোঃ রুহুল আমিন ছিদ্দিকী, ওয়াসী চৌধুরী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসেন এবং গীতা পাঠ করেন মিলন কুমার রায়। সভা পরিচালনা করেন হাজী মফিজুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন জাহিদ হাসান মিন্টু, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, আবহাব চৌধুরী খোকন, সফিকুর রহমান দুলাল ও মিঠু হামিদ। পুরো অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন দেওয়ান।
সভায় নাসির আলী খান পল বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি বাংলাদেশ সোসাইটির সাথে জড়িত। সোসাইটির পদ বিক্রি হয়। ৪০ বছরের মধ্যে এবারই কেবল এমন কথা শুনতে পাচ্ছি। জ্যামাইকার দুজনকে বিশেষ একটি প্যানেলকে সমর্থন প্রদানের বিনিময়ে সোসাইটির উপদেষ্টা নিয়োগের লোভ দেখানো হয়। লোভ দেখানো হয় সভাপতি পদপ্রার্থীকে । তাকেও বলা হয় প্রতিদ্বন্ধিতা হতে সরে দাঁড়ালে উপদেষ্টার পদ দেয়া হবে। যারা নির্বাচিত হবার আগেই পদ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছেন, তারা নির্বাচিত হলে কি করবেন, সেটাই আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
‘কামাল-রুহল’ প্যানেলের প্রার্থীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, দায়িত্বপরায়ণতা ও কর্মনিষ্ঠার বেশ কিছু উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা সবাই সোসাইটি তথা কমিউনিটিকে সেবা করার জন্য ফুলটাইম সময় দেয়ার মতো মন ও সুযোগ রয়েছে। কুনু সাহেব সোসাইটির জন্য পার্টটাইম কাজ করেছেন। তিনি ৫ দিন নিজের জন্য কাজ করেন, যেখানে তিনি ফোনও ধরতে পারেন না। আমাদের ফুলটাইম সভাপতি প্রয়োজন, পার্টটাইম নয়।
নাসির আলী খান পল বলেন, আমি কুনু সাহেবকে একটি টিভি বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এমন বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, একবার আমি ইফতারের অনুষ্ঠানে কতো টাকা ব্যয় করেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে জানান যে, অন্য একজন ব্যক্তি (নাম উল্লেখ করেন) এ ব্যয় বহন করেন। অথচ ঐ ব্যক্তির কাছে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া হলে তিনি তা দিতে রাজী হননি, এ যুক্তিতে যে তিনি নামায পড়েন না। কিন্তু তিনি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিষ্ঠানে/অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ দিয়ে থাকেন।
নাসির আলী খান পল বলেন, ‘কুনু-রহিম’-এর নেতৃত্বে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ যেসব ভালো কাজ করেছে, সেগুলোতে কুনু সাহেবের কোন অবদান নেই। এগুলো হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, জামানরা করেছেন। আপনি সময় দিতে পারেন নি। কারাগার থেকে বাংলাদেশী বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারেও আপনার কোন অবদান নেই। সিটিসহ মূলধারার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আপনি নন, আব্দুর রহিম হাওলাদারই মূল ভূমিকা পালন করেন। এখন কুনু সাহেব বলেন, তিনি অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হতে চান। যিনি কোন কাজই করেননি, এমনকি কোন কাজ শুরুও করেন নি, তিনি কোন কাজটি সম্পূর্ণ করতে চান তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুর রহিম হাওলাদারের বিগত ১২ বছরের অবদান ও দক্ষতার উদাহরণ বর্ণনা করে পল খান বলেন, সিনিয়র সভাপতি হিসেবে আব্দুর রহিমের সাথে অন্যকোন প্রার্থীর কোন তুলনাই হয় না।
প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কিভাবে সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করেছেন সে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ডা. হামিদুজ্জামানের মতো ব্যক্তির উপস্থিতিতে তার পরিবর্তে আরেকজনকে সম্মান দেখিয়ে ঐ প্রার্থী পুরা সোসাইটিকে অপমান করেছেন।
জ্যামাইকার কলম্বাস হিসেবে পরিচিত নাসির আলী খান পল বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ৪০ বছরে এ সোসাইটিতে কোন ধরনের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি। কোন রাজনীতি এখানে প্রধান্য পায়নি। কিন্তু এবারই প্রথম একটি প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের দুইজনই একটি বিশেষ দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, সোসাইটিকে আমরা গণমুখী দেখতে চাই। সোসাইটিকে দুঃখী মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদেরকে ইংরেজী শিখাতে হবে। তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব কাজের জন্য তিনি ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে অধিকতর যোগ্য বলে মনে করেন।
শরাফ সরকার বলেন, যারা পরীক্ষিত আমরা তাদেরকেই বিজয়ী করব। কমিউনিটির সেবা এমনকি মৃত মানুষকে দাফন করার সময় আজিজ ভাই, রহিম ভাইকে পাওয়া যায় । যারা কমিউনিটির সেবা করেন তাদেরকে বিজয়ী করতে হবে।
অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোসাইটির প্রাণ পুরুষ ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া, নাসির আলী খান পল, মোহাম্মদ আজিজদের মতো ব্যক্তিত্ব যে প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন, তার বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি সবার, সব অঞ্চলের। একে কোন বিশেষ অঞ্চলের মধ্যে বন্দী করা ঠিক হবে না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে সোসাইটির কলেবর আরো বৃদ্ধি হবে। তিনি সোসাইটিতে সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকার জন্য এর কলেবরকে আরো বৃদ্ধি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেল বিজয়ী হলেই আপনাদের শ্রম সফল হবে। তিনি বলেন, অতীতে এম আজিজ যেসব প্যানেলের পিছনে ছিলেন সব প্যানেলই বিজয়ী হয়েছে। এবারও তার সমর্থিত প্যানেলই বিজয়ী হবে। আজকের এ বিশাল উপস্থিতিও সে ইঙ্গিত দেয়।
মাজেদা উদ্দিন সব ভোট ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি প্রগ্রেসিভ প্যানেলের সাথে আছি। এ প্যানেল বিজয়ী হলে আমি এ প্যানেলকে সিটির যেকোন লেবেলে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলী ইমাম শিকদার এ প্যানেলের প্রার্থীদেরকে উপস্থিত ভোটারদের সামনে পরিচিয় করিয়ে দিতে গিয়ে স্বদেশে-প্রবাসে প্রত্যেকের জনহিতকর ও সেবামূলক কাজের বিবরণ প্রদান করে বলেন, এরা দিনরাত কাজ করার মতো ব্যক্তিত্ব। তাদেরকে অতীতে যখন যেখানে ডাকা হয়েছে, তারা সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছেন। এরা কারাগার থেকে মানুষকে মুক্ত করেছেন, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের ব্যবস্থা করেছেন, সিটিসহ মূলধারার বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে সোসাইটিকে মূলধারায় তুলে ধরেছেন। এ প্যানেলে এমন ব্যক্তি (আব্দুল খালেক খায়ের) যিনি এলমহার্টস’এ চার মিলিয়ন ডলারের বাড়ি মসজিদকে দান করেছেন, হিসাব রক্ষক হিসেবে পরিচ্ছন্নতার পরিচয় দিয়েছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বদেশ বয়স্কদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন, সেবামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উদার হস্তে দান করছেন, দরিদ্রদের সাহায্য করছেন।
প্রত্যেক প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অতীত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আলী ইমাম শিকদার বলেন, এদের কোন বিকল্প নেই। এরা হলেন:
বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক কামাল আহমেদ সভাপতি পদপ্রার্থী। ১২ বছর ধরে সোসাইটিতে নেতৃত্বদানকারী দুইবারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওয়াদার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী। নোয়াখালী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক খায়ের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী। সাবেক দক্ষ কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিদ্দিকী সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী বাংলাদেশ সোসাসইটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এম কে জামান সহ-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রীপ্রাপ্ত আমেরিকা-ভিত্তিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দ্য অপটিমিস্ট-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কর্মী এবং বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী পুনরায় কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী। এনওয়াইপিডিতে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম ভূঁইয়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, শিল্পীকলা একাডেমীর সভাপতি ও বর্তমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায় পুনরায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী। বর্তমান কার্যকরী পষিদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল হক জামাল জন-সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট সমাজসেবী ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য নাদির এ আইয়ুব সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য এবং সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ সাহিত্য সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ নওশেদ হোসেন ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদপ্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আহসান হাবিব স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন: সমাজকর্মী ও সোসাইটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম, বর্তমান স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক এবং বিশিষ্ট নারী সংগঠক ফারহানা চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আজাদ বাকির, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সাবেক কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী মাইনুল ইসলাম মাহবুব এবং বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম ।
প্যানেল পরিচিতি শেষে বিদায়ী সভাপতি কিভাবে সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করেছেন তার কিছু উদাহরণ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে আলী ইমাম শিকদার বলেন, আমাদের অনেকেই তাদের অবদানকে ভুলে গেছেন। যিনি সোসাইটির বর্তমান বাড়ি কিনেছিলেন তাকে সে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয় নি। তিনি আবার নির্বাচিত হলে সোসাইটির দরজা সবার জন্য বন্ধ হবে।
সিটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে শিকদার বলেন, বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে আমরা আশা করতে পারি ব্রঙ্কস, ওজনপার্ক, নিউকার্ক, ব্রুকলীন, কুইন্স’এর ভাইয়েরা ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করে আবার এখানে মিলিত হবেন।
প্রধান অতিথি সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া বলেন, বিদায়ী সভাপতি দায়িত্ব পাবার পর সোসাইটির জন্য কিছুই করেননি। সোসাইটিকে তিনি তার ইচ্ছামত চালিয়েছেন। সদস্য হবার সময় শেষ হওয়ার আগেই তিনি সোসাইটি ভবনের দরজা বন্ধ করে দেন। তার কোন জবাবদিহিতা নেই। তিনি বলেন, যে বাড়ি আমরা চার লাখ ডলার দিয়ে কিনেছি তার দাম এখন চার মিলিয়ন ডলার হয়েছে। সোসাইটির জন্য একটি জমি কিনে রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সেখানেই সোসাইটির বহুতল ভবন নির্মাণ করুন। তিনি বলেন, আমাদেরকে কোন পদ দিতে হবে না, আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সোসাইটির জন্য কাজ করব।
জাহিদ হাসান মিন্টু বলেন, আমরা অবশ্যই বিজয়ী হবো। টেনশন করার কিছুই নেই। যাদেরকে দিয়ে ভালো কাজ হবে তাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি।
শাহাদাত হোসেন লিংকন বলেন, এম আজিজ, ডা. মিয়া এ দুইজনই সোসাইটির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। এ দুইজনই ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে সমর্থন ও সাহায্য করছেন। প্রার্থীদের নিজস্ব যোগ্যতা ও ভালো লোকদের সমর্থন থাকায় ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেল এ নির্বাচনে বিজয়ী হবে।
জহিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সোসাইটিতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ প্যানেলের প্রার্থীদের তেমন যোগ্যতা রয়েছে। এ প্যানেল ওজনপার্কসহ অন্যসব বরোতে বিজয়ী হবে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কামাল ভাই রুহুল ভাই যেখানে রয়েছেন, সেখানে আমি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে সাহস পাইনি। তাই আমি এ প্যানেলকে সমর্থন প্রদান করছি। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সমর্থনের জোয়ার যেন ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দলমত নির্বিশেষে আমরা এ প্যানেলকে বিজয়ী করব।
আলাউদ্দিন ভুলু বলেন, প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী তার কোন ওয়াদাই পূরণ করেননি। তিনি দুই বছরে কোন কাজই করেন নি, কোন কাজ শুরুও করেন নি। সুতরাং তার কোন অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূণ করার সুযোগও নেই। ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের সব প্রার্থী সবদিক থেকে যোগ্য এটা সর্বজনীন প্যানেল। সব অঞ্চলের সব ধর্মের প্যানেল। আমরা এ প্যানেলকেই বিজয়ী করব।
ফারুক হোসেন মজুমদার বলেন, কুনু ভাই আমাদের ১৯ জনকে ১৯ দিকে ড্রাইভার্ট করেছেন। আমাদেরকে এক থাকতে দেননি। তাই অনৈক্যের কারণে আমরা কিছুই করতে পারিনি। তথাপি সোসাইটির কাজে আব্দুর রহিম হাওলাদার, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আমি মিলেমিশে বারবার সিটি হলে গিয়েছি।
ওয়াসি চৌধুরী ১৮ হাজার ৫০৩ জন ভোটারকে পুনরায় সদস্য হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা যারা এখানে এসেছি তারা সবাই এই প্যানেলকে সমর্থন করি। আমরা এ প্যানেলে তো ভোট দিবই, আবার আমেরিকার প্রতিটি নির্বাচনেও ভোট প্রদান করব।
মিঠু হামিদ বলেন, ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করতে ১০০% ভোট প্রদান করব। আমরা সব বরোতেই এগিয়ে রয়েছি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কাজী আজহারুল হক মিলন, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, মকবুল রহিম চুনাই, হাজী আব্দুল মান্নান, মফিজ্জুজামান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, রুবেল, আকতার হোসেন, তারেক হাসান, এবি সিদ্দিক, সিরাজউদ্দিন সোহাগ, লিটন চৌধুরী প্রমুখ তাদের বক্তব্যে কামাল-রুহুল প্যানেলের প্রার্থীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার বিবরণ তুলে ধরে ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে সোসাইটির সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি বিপুল উপস্থিত হবার জন্য ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ২৩ অক্টোবর রোববার ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করে পুনরায় একত্রিত হবার আশা ব্যক্ত করেন।
সভায় দর্শক সারিতে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন বরো থেকে আগত কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে হাজী আলী আক্কাস, রমেশ চন্দ্র দেবনাথ, সেলিম চৌধুরী বাবুল, আকতার হোসেন, আবু তাহের, হারুন মিয়া, শহীদুল ইসলাম এমপি, শাহজাহান সিরাজী, হাজী রফিকুল ইসলাম, মনির হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, মানিক চেয়ারম্যান, লুৎফর রহমান বাবু, জে মোল্লা সানি, মনিরুজ্জামান, নাজমুল আলম, শহীদুল ইসলাম, মকবুল রহিম চুনাই, আজিমুর রহমান বোরহান, সদরুল নুর, রুহুল আমিন, মাসুদুল হক, আবদুল বাসিত খান, আব্দুস শহীদ, আব্দুল হাসেম হাসনু, গিয়াস উদ্দিন কামরান, কায়সার জামান কায়েস, মজিবুর রহমান তোতা, এম এ মতিন, মইনুজ্জামান চৌধুরী, সাইফুর রহমান, মইনুল ইসলাম, লোকমান হোসেন লুকু, জাকির আহমেদ, লোকমান মিয়া, জাকির খান, আখরুজ্জামান হ্যাপী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফখর উদ্দিন, কাওসার আহমেদ, একেএম কামাল, আবদুল মান্নান, গোলাম সারোয়ার, নুরুল আমিন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তাজু মিয়া, শামীম মাহমুদ, কায়সার আহমেদ, আইনুল ইসলাম সোহেল, হাজী আবদুল মান্নান, আবুল হাসেম, ইউসুফ জসীম, মহিউদ্দিন, হাসানুজ্জামান বাদল, আবদুল কাইয়ুম, রহমত উল্লাহ, এবি ছিদ্দিক, সালে আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া, আনোয়ার হোসেন, নাসিম উদ্দিন, সামসুল ইসলাম, আব্দুল আলীম জেহাদী, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, কাজী আবু নাসের, কবির আনোয়ার, বোরহান উদ্দিন হাওলাদার, তফাজ্জল করিম, আবুল হোসেন, সৈয়দ এনাম আহমেদ, আব্দুর রউফ তুলন, রুহুল আমিন, সামস্ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আহমেদ, মিজান খান, সাগর নন্দি, চৌধুরী মোমিত তানিশ, মিসবাহ মজিদ, ছমির উদ্দিন, ইয়াকুত রহমান, ময়নুজ্জামান চৌধুরী, মিনহাজ আহমদ মাশু, সাইফুল ইসলাম রহিম, আখতার আহমেদ চৌধুরী, কফিল আহমেদ চৌধুরী, কাওছারুজ্জামান কয়েস, মোমেনুল ইসলাম, আলতা মিয়া, শাহেদ আহমেদ, আক্কাস আলী, জাকির আহমেদ, আরিফ আহমেদ, মকন মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন কামরান, এম এ মতিন, ডা. আবদুল লতিফ, মঞ্জুর আলম রবিন, মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন, আবদুল মজিদ আকন্দ, সোয়েব হোসেন খান, মনিুরুজ্জামন ভূঁইয়া বিল্লাল, জয়নাল আবেদীন আমান, তরিকুল ইসলাম বাদল, ফারুক হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম খোকা, টি মোল্লা, শেখ এস. আলী, আব্দুল করিম, খালিদ আহমেদ বাবু, এমদাদুল হক কামাল, আমিন জাকির খান, শফিক রহমান দুলাল, আকবর চৌধুরী, মাহমুদ আলম, কাজী এম রহমান, মোহাম্মদ মিয়া উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, কাজী আবুল খায়ের, ফজলুল এইচ. মোল্লা, মোহাম্মদ হারিছ আলী, স্বপ্না খান সহ বিপুল সংখ্যক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘সোসাইটিকে নেতৃত্ব দিতে ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের বিকল্প নেই’

প্রকাশের সময় : ১২:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৬

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের সর্বশেষ পরিচিতি সভায় হাজারো ভোটারের উপস্থিতিকে বক্তারা এই প্যানেলের বিজয়ের নিশ্চিত আভাস হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস্থ নান্দুস পার্টি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট জামালউদ্দিন আহমেদ জনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সভাপতি ডা. মাইনুল ইসলাম মিয়া ও সাবেক সভাপতি এম আজিজ । প্রধান বক্তা ছিলেন নাসির আলী খান পল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন কাজী আজহারুল হক মিলন, আলী ইমাম শিকদার, জামালউদ্দিন আহমেদ জনি, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, কামাল আহমেদ, মোঃ রুহুল আমিন ছিদ্দিকী, ওয়াসী চৌধুরী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসেন এবং গীতা পাঠ করেন মিলন কুমার রায়। সভা পরিচালনা করেন হাজী মফিজুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন জাহিদ হাসান মিন্টু, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, আবহাব চৌধুরী খোকন, সফিকুর রহমান দুলাল ও মিঠু হামিদ। পুরো অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন দেওয়ান।
সভায় নাসির আলী খান পল বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি বাংলাদেশ সোসাইটির সাথে জড়িত। সোসাইটির পদ বিক্রি হয়। ৪০ বছরের মধ্যে এবারই কেবল এমন কথা শুনতে পাচ্ছি। জ্যামাইকার দুজনকে বিশেষ একটি প্যানেলকে সমর্থন প্রদানের বিনিময়ে সোসাইটির উপদেষ্টা নিয়োগের লোভ দেখানো হয়। লোভ দেখানো হয় সভাপতি পদপ্রার্থীকে । তাকেও বলা হয় প্রতিদ্বন্ধিতা হতে সরে দাঁড়ালে উপদেষ্টার পদ দেয়া হবে। যারা নির্বাচিত হবার আগেই পদ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছেন, তারা নির্বাচিত হলে কি করবেন, সেটাই আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
‘কামাল-রুহল’ প্যানেলের প্রার্থীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, দায়িত্বপরায়ণতা ও কর্মনিষ্ঠার বেশ কিছু উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা সবাই সোসাইটি তথা কমিউনিটিকে সেবা করার জন্য ফুলটাইম সময় দেয়ার মতো মন ও সুযোগ রয়েছে। কুনু সাহেব সোসাইটির জন্য পার্টটাইম কাজ করেছেন। তিনি ৫ দিন নিজের জন্য কাজ করেন, যেখানে তিনি ফোনও ধরতে পারেন না। আমাদের ফুলটাইম সভাপতি প্রয়োজন, পার্টটাইম নয়।
নাসির আলী খান পল বলেন, আমি কুনু সাহেবকে একটি টিভি বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এমন বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, একবার আমি ইফতারের অনুষ্ঠানে কতো টাকা ব্যয় করেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে জানান যে, অন্য একজন ব্যক্তি (নাম উল্লেখ করেন) এ ব্যয় বহন করেন। অথচ ঐ ব্যক্তির কাছে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া হলে তিনি তা দিতে রাজী হননি, এ যুক্তিতে যে তিনি নামায পড়েন না। কিন্তু তিনি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিষ্ঠানে/অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ দিয়ে থাকেন।
নাসির আলী খান পল বলেন, ‘কুনু-রহিম’-এর নেতৃত্বে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ যেসব ভালো কাজ করেছে, সেগুলোতে কুনু সাহেবের কোন অবদান নেই। এগুলো হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, জামানরা করেছেন। আপনি সময় দিতে পারেন নি। কারাগার থেকে বাংলাদেশী বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারেও আপনার কোন অবদান নেই। সিটিসহ মূলধারার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আপনি নন, আব্দুর রহিম হাওলাদারই মূল ভূমিকা পালন করেন। এখন কুনু সাহেব বলেন, তিনি অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হতে চান। যিনি কোন কাজই করেননি, এমনকি কোন কাজ শুরুও করেন নি, তিনি কোন কাজটি সম্পূর্ণ করতে চান তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী আব্দুর রহিম হাওলাদারের বিগত ১২ বছরের অবদান ও দক্ষতার উদাহরণ বর্ণনা করে পল খান বলেন, সিনিয়র সভাপতি হিসেবে আব্দুর রহিমের সাথে অন্যকোন প্রার্থীর কোন তুলনাই হয় না।
প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কিভাবে সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করেছেন সে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ডা. হামিদুজ্জামানের মতো ব্যক্তির উপস্থিতিতে তার পরিবর্তে আরেকজনকে সম্মান দেখিয়ে ঐ প্রার্থী পুরা সোসাইটিকে অপমান করেছেন।
জ্যামাইকার কলম্বাস হিসেবে পরিচিত নাসির আলী খান পল বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ৪০ বছরে এ সোসাইটিতে কোন ধরনের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়নি। কোন রাজনীতি এখানে প্রধান্য পায়নি। কিন্তু এবারই প্রথম একটি প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের দুইজনই একটি বিশেষ দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, সোসাইটিকে আমরা গণমুখী দেখতে চাই। সোসাইটিকে দুঃখী মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদেরকে ইংরেজী শিখাতে হবে। তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব কাজের জন্য তিনি ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে অধিকতর যোগ্য বলে মনে করেন।
শরাফ সরকার বলেন, যারা পরীক্ষিত আমরা তাদেরকেই বিজয়ী করব। কমিউনিটির সেবা এমনকি মৃত মানুষকে দাফন করার সময় আজিজ ভাই, রহিম ভাইকে পাওয়া যায় । যারা কমিউনিটির সেবা করেন তাদেরকে বিজয়ী করতে হবে।
অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোসাইটির প্রাণ পুরুষ ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া, নাসির আলী খান পল, মোহাম্মদ আজিজদের মতো ব্যক্তিত্ব যে প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন, তার বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি সবার, সব অঞ্চলের। একে কোন বিশেষ অঞ্চলের মধ্যে বন্দী করা ঠিক হবে না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে সোসাইটির কলেবর আরো বৃদ্ধি হবে। তিনি সোসাইটিতে সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকার জন্য এর কলেবরকে আরো বৃদ্ধি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেল বিজয়ী হলেই আপনাদের শ্রম সফল হবে। তিনি বলেন, অতীতে এম আজিজ যেসব প্যানেলের পিছনে ছিলেন সব প্যানেলই বিজয়ী হয়েছে। এবারও তার সমর্থিত প্যানেলই বিজয়ী হবে। আজকের এ বিশাল উপস্থিতিও সে ইঙ্গিত দেয়।
মাজেদা উদ্দিন সব ভোট ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি প্রগ্রেসিভ প্যানেলের সাথে আছি। এ প্যানেল বিজয়ী হলে আমি এ প্যানেলকে সিটির যেকোন লেবেলে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলী ইমাম শিকদার এ প্যানেলের প্রার্থীদেরকে উপস্থিত ভোটারদের সামনে পরিচিয় করিয়ে দিতে গিয়ে স্বদেশে-প্রবাসে প্রত্যেকের জনহিতকর ও সেবামূলক কাজের বিবরণ প্রদান করে বলেন, এরা দিনরাত কাজ করার মতো ব্যক্তিত্ব। তাদেরকে অতীতে যখন যেখানে ডাকা হয়েছে, তারা সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছেন। এরা কারাগার থেকে মানুষকে মুক্ত করেছেন, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের ব্যবস্থা করেছেন, সিটিসহ মূলধারার বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে সোসাইটিকে মূলধারায় তুলে ধরেছেন। এ প্যানেলে এমন ব্যক্তি (আব্দুল খালেক খায়ের) যিনি এলমহার্টস’এ চার মিলিয়ন ডলারের বাড়ি মসজিদকে দান করেছেন, হিসাব রক্ষক হিসেবে পরিচ্ছন্নতার পরিচয় দিয়েছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বদেশ বয়স্কদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন, সেবামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উদার হস্তে দান করছেন, দরিদ্রদের সাহায্য করছেন।
প্রত্যেক প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অতীত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আলী ইমাম শিকদার বলেন, এদের কোন বিকল্প নেই। এরা হলেন:
বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক কামাল আহমেদ সভাপতি পদপ্রার্থী। ১২ বছর ধরে সোসাইটিতে নেতৃত্বদানকারী দুইবারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওয়াদার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী। নোয়াখালী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক খায়ের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী। সাবেক দক্ষ কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিদ্দিকী সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী বাংলাদেশ সোসাসইটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এম কে জামান সহ-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রীপ্রাপ্ত আমেরিকা-ভিত্তিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দ্য অপটিমিস্ট-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কর্মী এবং বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী পুনরায় কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী। এনওয়াইপিডিতে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম ভূঁইয়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, শিল্পীকলা একাডেমীর সভাপতি ও বর্তমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায় পুনরায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী। বর্তমান কার্যকরী পষিদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল হক জামাল জন-সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট সমাজসেবী ও বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য নাদির এ আইয়ুব সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য এবং সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ সাহিত্য সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ নওশেদ হোসেন ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদপ্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আহসান হাবিব স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন: সমাজকর্মী ও সোসাইটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম, বর্তমান স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক এবং বিশিষ্ট নারী সংগঠক ফারহানা চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আজাদ বাকির, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সাবেক কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী মাইনুল ইসলাম মাহবুব এবং বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম ।
প্যানেল পরিচিতি শেষে বিদায়ী সভাপতি কিভাবে সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করেছেন তার কিছু উদাহরণ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে আলী ইমাম শিকদার বলেন, আমাদের অনেকেই তাদের অবদানকে ভুলে গেছেন। যিনি সোসাইটির বর্তমান বাড়ি কিনেছিলেন তাকে সে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয় নি। তিনি আবার নির্বাচিত হলে সোসাইটির দরজা সবার জন্য বন্ধ হবে।
সিটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে শিকদার বলেন, বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে আমরা আশা করতে পারি ব্রঙ্কস, ওজনপার্ক, নিউকার্ক, ব্রুকলীন, কুইন্স’এর ভাইয়েরা ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করে আবার এখানে মিলিত হবেন।
প্রধান অতিথি সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. মইনুল ইসলাম মিয়া বলেন, বিদায়ী সভাপতি দায়িত্ব পাবার পর সোসাইটির জন্য কিছুই করেননি। সোসাইটিকে তিনি তার ইচ্ছামত চালিয়েছেন। সদস্য হবার সময় শেষ হওয়ার আগেই তিনি সোসাইটি ভবনের দরজা বন্ধ করে দেন। তার কোন জবাবদিহিতা নেই। তিনি বলেন, যে বাড়ি আমরা চার লাখ ডলার দিয়ে কিনেছি তার দাম এখন চার মিলিয়ন ডলার হয়েছে। সোসাইটির জন্য একটি জমি কিনে রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সেখানেই সোসাইটির বহুতল ভবন নির্মাণ করুন। তিনি বলেন, আমাদেরকে কোন পদ দিতে হবে না, আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সোসাইটির জন্য কাজ করব।
জাহিদ হাসান মিন্টু বলেন, আমরা অবশ্যই বিজয়ী হবো। টেনশন করার কিছুই নেই। যাদেরকে দিয়ে ভালো কাজ হবে তাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি।
শাহাদাত হোসেন লিংকন বলেন, এম আজিজ, ডা. মিয়া এ দুইজনই সোসাইটির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। এ দুইজনই ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে সমর্থন ও সাহায্য করছেন। প্রার্থীদের নিজস্ব যোগ্যতা ও ভালো লোকদের সমর্থন থাকায় ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেল এ নির্বাচনে বিজয়ী হবে।
জহিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সোসাইটিতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ প্যানেলের প্রার্থীদের তেমন যোগ্যতা রয়েছে। এ প্যানেল ওজনপার্কসহ অন্যসব বরোতে বিজয়ী হবে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কামাল ভাই রুহুল ভাই যেখানে রয়েছেন, সেখানে আমি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে সাহস পাইনি। তাই আমি এ প্যানেলকে সমর্থন প্রদান করছি। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সমর্থনের জোয়ার যেন ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দলমত নির্বিশেষে আমরা এ প্যানেলকে বিজয়ী করব।
আলাউদ্দিন ভুলু বলেন, প্রতিদ্বন্ধী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী তার কোন ওয়াদাই পূরণ করেননি। তিনি দুই বছরে কোন কাজই করেন নি, কোন কাজ শুরুও করেন নি। সুতরাং তার কোন অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূণ করার সুযোগও নেই। ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের সব প্রার্থী সবদিক থেকে যোগ্য এটা সর্বজনীন প্যানেল। সব অঞ্চলের সব ধর্মের প্যানেল। আমরা এ প্যানেলকেই বিজয়ী করব।
ফারুক হোসেন মজুমদার বলেন, কুনু ভাই আমাদের ১৯ জনকে ১৯ দিকে ড্রাইভার্ট করেছেন। আমাদেরকে এক থাকতে দেননি। তাই অনৈক্যের কারণে আমরা কিছুই করতে পারিনি। তথাপি সোসাইটির কাজে আব্দুর রহিম হাওলাদার, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আমি মিলেমিশে বারবার সিটি হলে গিয়েছি।
ওয়াসি চৌধুরী ১৮ হাজার ৫০৩ জন ভোটারকে পুনরায় সদস্য হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা যারা এখানে এসেছি তারা সবাই এই প্যানেলকে সমর্থন করি। আমরা এ প্যানেলে তো ভোট দিবই, আবার আমেরিকার প্রতিটি নির্বাচনেও ভোট প্রদান করব।
মিঠু হামিদ বলেন, ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করতে ১০০% ভোট প্রদান করব। আমরা সব বরোতেই এগিয়ে রয়েছি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কাজী আজহারুল হক মিলন, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, মকবুল রহিম চুনাই, হাজী আব্দুল মান্নান, মফিজ্জুজামান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, রুবেল, আকতার হোসেন, তারেক হাসান, এবি সিদ্দিক, সিরাজউদ্দিন সোহাগ, লিটন চৌধুরী প্রমুখ তাদের বক্তব্যে কামাল-রুহুল প্যানেলের প্রার্থীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার বিবরণ তুলে ধরে ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে সোসাইটির সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি বিপুল উপস্থিত হবার জন্য ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ২৩ অক্টোবর রোববার ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলকে বিজয়ী করে পুনরায় একত্রিত হবার আশা ব্যক্ত করেন।
সভায় দর্শক সারিতে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন বরো থেকে আগত কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে হাজী আলী আক্কাস, রমেশ চন্দ্র দেবনাথ, সেলিম চৌধুরী বাবুল, আকতার হোসেন, আবু তাহের, হারুন মিয়া, শহীদুল ইসলাম এমপি, শাহজাহান সিরাজী, হাজী রফিকুল ইসলাম, মনির হোসেন, আবুল কাশেম চৌধুরী, মানিক চেয়ারম্যান, লুৎফর রহমান বাবু, জে মোল্লা সানি, মনিরুজ্জামান, নাজমুল আলম, শহীদুল ইসলাম, মকবুল রহিম চুনাই, আজিমুর রহমান বোরহান, সদরুল নুর, রুহুল আমিন, মাসুদুল হক, আবদুল বাসিত খান, আব্দুস শহীদ, আব্দুল হাসেম হাসনু, গিয়াস উদ্দিন কামরান, কায়সার জামান কায়েস, মজিবুর রহমান তোতা, এম এ মতিন, মইনুজ্জামান চৌধুরী, সাইফুর রহমান, মইনুল ইসলাম, লোকমান হোসেন লুকু, জাকির আহমেদ, লোকমান মিয়া, জাকির খান, আখরুজ্জামান হ্যাপী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফখর উদ্দিন, কাওসার আহমেদ, একেএম কামাল, আবদুল মান্নান, গোলাম সারোয়ার, নুরুল আমিন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তাজু মিয়া, শামীম মাহমুদ, কায়সার আহমেদ, আইনুল ইসলাম সোহেল, হাজী আবদুল মান্নান, আবুল হাসেম, ইউসুফ জসীম, মহিউদ্দিন, হাসানুজ্জামান বাদল, আবদুল কাইয়ুম, রহমত উল্লাহ, এবি ছিদ্দিক, সালে আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া, আনোয়ার হোসেন, নাসিম উদ্দিন, সামসুল ইসলাম, আব্দুল আলীম জেহাদী, জাহাঙ্গীর আলম সরকার, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, কাজী আবু নাসের, কবির আনোয়ার, বোরহান উদ্দিন হাওলাদার, তফাজ্জল করিম, আবুল হোসেন, সৈয়দ এনাম আহমেদ, আব্দুর রউফ তুলন, রুহুল আমিন, সামস্ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আহমেদ, মিজান খান, সাগর নন্দি, চৌধুরী মোমিত তানিশ, মিসবাহ মজিদ, ছমির উদ্দিন, ইয়াকুত রহমান, ময়নুজ্জামান চৌধুরী, মিনহাজ আহমদ মাশু, সাইফুল ইসলাম রহিম, আখতার আহমেদ চৌধুরী, কফিল আহমেদ চৌধুরী, কাওছারুজ্জামান কয়েস, মোমেনুল ইসলাম, আলতা মিয়া, শাহেদ আহমেদ, আক্কাস আলী, জাকির আহমেদ, আরিফ আহমেদ, মকন মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন কামরান, এম এ মতিন, ডা. আবদুল লতিফ, মঞ্জুর আলম রবিন, মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন, আবদুল মজিদ আকন্দ, সোয়েব হোসেন খান, মনিুরুজ্জামন ভূঁইয়া বিল্লাল, জয়নাল আবেদীন আমান, তরিকুল ইসলাম বাদল, ফারুক হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম খোকা, টি মোল্লা, শেখ এস. আলী, আব্দুল করিম, খালিদ আহমেদ বাবু, এমদাদুল হক কামাল, আমিন জাকির খান, শফিক রহমান দুলাল, আকবর চৌধুরী, মাহমুদ আলম, কাজী এম রহমান, মোহাম্মদ মিয়া উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, কাজী আবুল খায়ের, ফজলুল এইচ. মোল্লা, মোহাম্মদ হারিছ আলী, স্বপ্না খান সহ বিপুল সংখ্যক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।