হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রথম) ফারুক আহমদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। সিলেট-৪ (গোয়াইন ঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পাণীগঞ্জ) আসন থেকে আমি ইতিপূর্বে নির্বাচন করেছি। দল চাইলে আগামী নির্বাচনে একই আসন থকে প্রার্থী হতে চাই। তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী রজিনীতির সাথে জড়িত। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাথে রাজনীতি করছি। পাশাপাশি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের খেদমতে সাধ্যমতো নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য বিশেষ করে সিলেট-৪ আসনের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এজন্য দলীয় মনোনয়ন চাই। আশা করি দল আমাকে সেই সুযোগ দেবে। তিনি বলেন, আমার এলাকার মানুষ নতুন নেতৃত্ব চায়।
ফারুক আহমদ বলেন, সিলেট-৪ আসনের মানুষের জন্যই আমি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাই। এজন্যই আগামী ৬ জুন দেশে যাচ্ছি। তিনি বলেন, উক্ত আসনের বর্তমান এমপি ইমরান আহমেদ একজন ভালো মানুষ। দলের নিবেদিত প্রাণ। কিন্তু বয়সের কারণে জনগনের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না বলেই এলাকাবাসী নতুন নেত্বত্ব হিসেবে আমাকেই খুঁজছেন। তাদের দাবীর মুখে আমি দেশে যাচ্ছি এবং দলের মনোনয়ন পেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি এবং অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও প্রায় ২৫ হাজার ভোট পাই। যার জন্য আমি এলাকাবাসীর প্রতি ঋণী। আগামী নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিমের ভোট ব্যাংক গোয়াইন ঘাট উপজেলা। আমার বাড়ীও গোয়াইন ঘাট উপজেলা। তাই আসন্ন নির্বাচনে দলের সহযোগিতা পেলে আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। কেননা, জৈন্তাপুর ও কোম্পাণীগঞ্জ উপজেলা মিলে যে ভোট গোয়াইন ঘাট উপজেলার ভোট প্রায় সমান। তাই জাতীয় নির্বাচনে গোয়াইন ঘাট উপজেলার ভোট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য ফ্যাক্টর।
ফারুক আহমদ বলেন, বিগত ২০০৯ সালে গোয়াইন ঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৬, হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থান ছিলাম। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরো তিন জন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু অল্প ভোটের ব্যাবধানে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আব্দুল হাকিম চৌধুরী জয়ী হন।
তিনি বলেন, জনগনের জন্যই আমার রাজনীতি। প্রবাসের পাশাপাশি নিজ এলাকার জনগণের জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলেও বা না দিলেও আমি দলের সাথে আছি, থাকবো। তিনি সকল প্রবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ফারুক আহমদের রাজনীতি, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দল ও দেশের জন্য প্রবাসেও কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করে তাকে সম্মানিত করা হয়। ব্রঙ্কসের আল আসকা পার্টি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বাবক ও ইফতার মাহফিল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হেলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুবলীগের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইফতার মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব রহিমুজ্জামান সুমন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত করায় ফারুক আহমদ ও তার পরিবার যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সফলতা কামনা করেন।(বাংলা পত্রিকা)