নিউইয়র্ক ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সিনেটর লুইসের অফিসে বাংলাদেশী নীপা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৬১৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পার্কচেষ্টার এলাকা থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে মূলধারার রাজনীতিতে আরো বেশী সম্পৃক্ত করতে চান। প্রবাসে একটি কমিউনিটিকে ক্ষমতায়নে এটিই হচ্ছে মোক্ষম পথ। বাংলাদেশীদের সাথে উঠবস ছাড়াও কমিউনিটির সাথে আরো ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে চান তিনি। এজন্য নিজ অফিসে নিয়োগ দিয়েছেন বাংলাদেশী একজন স্টাফ। নিউইয়র্কে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের তরুনী নীপা রইস। বারুক কলেজ থেকে মিডিয়া ও কমিউনিকেশনে স্মাতক করেছেন। নীপা এখন কাজ করছেন ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত সিনেটের লুইসের অফিসে।
লুইসের অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে তরুন একজন বাংলাদেশীকে হাতে কলমে শিক্ষা নিচ্ছেন রাজনীতি ও পাবলিক সার্ভিস বিষয়ে। অতি সম্প্রতি লুইসের সিনেট অফিসে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশী এই তরুনী। এবিষয়ে লুইস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি সব সময়ই গুরুত্বপূর্ন। তাদের পরিশ্রম কাজ এবং নীতি নৈতিকতাকে সম্মান করি। বাংলাদেশী কমিউনিটি আমাকে যেভাবে সমর্থন করে সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে।
স্টেট এসেম্বলীতে বাজে বৃদ্ধির ফলে সিনেটর লুইস একজন নতুন স্টাফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, যার শেকড় হচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটি। নীপা এর আগে একটি টেলিভিশনে কাজ করেছে। সিনেটর লুইসের বন্ধু ও স্বজ্জনদের সুপারিশ এবং সাক্ষাতকারে সন্তোষ্ট হয়েই নিয়োগ দেয়া হয়েছে নীপাকে।
লুইসের এই পছন্দ নীপার জন্য সৌভাগ্য বলেই বিবেচিত হচ্ছে। কারণ সিনেটর লুইসের ব্যস্ত সময়ের সিডিউল চুড়ান্ত করা ছাড়াও কমিউনিটি মিটিং সহ বিভিন্ন কাজে ভুমিকা পালন করছে নীপা।

সিনেটর লুইস সেপুলভেদার সাথে তার অফিসে নীপা রইস
এ বিষয়ে নীপা রইস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, একজন নির্বাচিত ব্যক্তির সাথে কাজ করে আমি অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারছি। এটা আমার চক্ষু ও মনোজগতকে খুলে দিচ্ছে দিনে দিনে। তিনি বলেন, মজার বিষয় হচ্ছে সিনেটরের কার্যক্রমের রুটিন করা একটা বড় কাজ। সিডিউল এবং এটাকে কার্যকর কারই হচ্চে আমার কাজের সর্বোচ্চ প্রয়াস। মনে হয় এই ব্যস্ত সময়ে প্রতিটি মিনিটকে যেন আমরা কাজে লাগাতে পারি। সব চাইতে বাজে বিষয় হচ্ছে যখন কাউকে এপয়েনমেন্ট দেয়ার পর কোন কারণে সেটা বাতিল করতে হয়।
সিনেটর লুইস বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও নীপা যেভাবে সবকাজগুলোকে লাইনবন্ধ করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পাগল হওয়ার মত অবস্থায় নীপার কাজ আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দেয়।
নীপা বলেন, এই কাজে আমার বড় শিক্ষা হচ্ছে ভোটে অংশ নেয়া। আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনীতির চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের বেশী সময় দেয়া উচিত। তাদের উচিৎ স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা এবং ভোটে অংশ নেয়া। উল্লেখ্য, ৬ বছর বয়সে নীপা যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর মাত্র দুইবার বাংলাদেশে গেছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন তিনি।
নীপা বলেন, বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। যে গ্রামে আমার জন্ম সেই গ্রাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষনীয় পরিবর্তন চোখে পড়ার মত। অফিসের বাইরে সিনেমা দেখা এবং বোন-বন্ধুদের সাথে ডাইনিং করতে পছন্দ করেন নীপা।
ভবিষ্যতে ক্রিমিনাল জাস্টিস অথবা ব্রডকাস্ট জার্নালিজমে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে চান নীপা। তবে সিনেটর ল্ইুসের সাথে কাজ করাকে তিনি জীবনের জন্য একটি শিক্ষা বলে মন্তব্য করেন। যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই শিক্ষা ভবিষ্যতের পাথেয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরো উল্লেখ্য, সিনেটর হিসেবে নির্বাচনের আগে লুইস সেপুলভেদা ষ্টেট অ্যাসম্বেলীম্যান হিসেবে ডিষ্ট্রক্ট-৮৭ থেকে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।(বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সিনেটর লুইসের অফিসে বাংলাদেশী নীপা

প্রকাশের সময় : ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৮

হককথা ডেস্ক: ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পার্কচেষ্টার এলাকা থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে মূলধারার রাজনীতিতে আরো বেশী সম্পৃক্ত করতে চান। প্রবাসে একটি কমিউনিটিকে ক্ষমতায়নে এটিই হচ্ছে মোক্ষম পথ। বাংলাদেশীদের সাথে উঠবস ছাড়াও কমিউনিটির সাথে আরো ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে চান তিনি। এজন্য নিজ অফিসে নিয়োগ দিয়েছেন বাংলাদেশী একজন স্টাফ। নিউইয়র্কে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের তরুনী নীপা রইস। বারুক কলেজ থেকে মিডিয়া ও কমিউনিকেশনে স্মাতক করেছেন। নীপা এখন কাজ করছেন ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত সিনেটের লুইসের অফিসে।
লুইসের অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে তরুন একজন বাংলাদেশীকে হাতে কলমে শিক্ষা নিচ্ছেন রাজনীতি ও পাবলিক সার্ভিস বিষয়ে। অতি সম্প্রতি লুইসের সিনেট অফিসে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশী এই তরুনী। এবিষয়ে লুইস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি সব সময়ই গুরুত্বপূর্ন। তাদের পরিশ্রম কাজ এবং নীতি নৈতিকতাকে সম্মান করি। বাংলাদেশী কমিউনিটি আমাকে যেভাবে সমর্থন করে সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে।
স্টেট এসেম্বলীতে বাজে বৃদ্ধির ফলে সিনেটর লুইস একজন নতুন স্টাফ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, যার শেকড় হচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটি। নীপা এর আগে একটি টেলিভিশনে কাজ করেছে। সিনেটর লুইসের বন্ধু ও স্বজ্জনদের সুপারিশ এবং সাক্ষাতকারে সন্তোষ্ট হয়েই নিয়োগ দেয়া হয়েছে নীপাকে।
লুইসের এই পছন্দ নীপার জন্য সৌভাগ্য বলেই বিবেচিত হচ্ছে। কারণ সিনেটর লুইসের ব্যস্ত সময়ের সিডিউল চুড়ান্ত করা ছাড়াও কমিউনিটি মিটিং সহ বিভিন্ন কাজে ভুমিকা পালন করছে নীপা।

সিনেটর লুইস সেপুলভেদার সাথে তার অফিসে নীপা রইস
এ বিষয়ে নীপা রইস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, একজন নির্বাচিত ব্যক্তির সাথে কাজ করে আমি অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারছি। এটা আমার চক্ষু ও মনোজগতকে খুলে দিচ্ছে দিনে দিনে। তিনি বলেন, মজার বিষয় হচ্ছে সিনেটরের কার্যক্রমের রুটিন করা একটা বড় কাজ। সিডিউল এবং এটাকে কার্যকর কারই হচ্চে আমার কাজের সর্বোচ্চ প্রয়াস। মনে হয় এই ব্যস্ত সময়ে প্রতিটি মিনিটকে যেন আমরা কাজে লাগাতে পারি। সব চাইতে বাজে বিষয় হচ্ছে যখন কাউকে এপয়েনমেন্ট দেয়ার পর কোন কারণে সেটা বাতিল করতে হয়।
সিনেটর লুইস বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও নীপা যেভাবে সবকাজগুলোকে লাইনবন্ধ করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পাগল হওয়ার মত অবস্থায় নীপার কাজ আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দেয়।
নীপা বলেন, এই কাজে আমার বড় শিক্ষা হচ্ছে ভোটে অংশ নেয়া। আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনীতির চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের বেশী সময় দেয়া উচিত। তাদের উচিৎ স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা এবং ভোটে অংশ নেয়া। উল্লেখ্য, ৬ বছর বয়সে নীপা যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর মাত্র দুইবার বাংলাদেশে গেছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন তিনি।
নীপা বলেন, বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। যে গ্রামে আমার জন্ম সেই গ্রাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষনীয় পরিবর্তন চোখে পড়ার মত। অফিসের বাইরে সিনেমা দেখা এবং বোন-বন্ধুদের সাথে ডাইনিং করতে পছন্দ করেন নীপা।
ভবিষ্যতে ক্রিমিনাল জাস্টিস অথবা ব্রডকাস্ট জার্নালিজমে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে চান নীপা। তবে সিনেটর ল্ইুসের সাথে কাজ করাকে তিনি জীবনের জন্য একটি শিক্ষা বলে মন্তব্য করেন। যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই শিক্ষা ভবিষ্যতের পাথেয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরো উল্লেখ্য, সিনেটর হিসেবে নির্বাচনের আগে লুইস সেপুলভেদা ষ্টেট অ্যাসম্বেলীম্যান হিসেবে ডিষ্ট্রক্ট-৮৭ থেকে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।(বাংলা পত্রিকা)