সভাপতি পদে দু’জন, ১৮টি পদে একজন করে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৫
- / ৭৮৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র দ্বি-বার্ষিক (২০১৬-২০১৭) নির্বাচনে সভাপতি পদে দু’জন এবং সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরী পরিষদের বাকী ১৮টি পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২৬ আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে ১৮টি পদে সবাইকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। শুধুমাত্র সভাপতি পদে নির্বাচন হবে আগামী ২৭ সে্েপ্টম্বর।
গত ২৩ আগষ্ট রোববার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন। এস্টোরিয়ার সুন্দরবন রেস্টুরেন্টে এদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৯টি পদে ২০জন প্রাথী তাদের সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদদ আনোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনার কামাল হোসেন, আবুল হোসেন ও রিজু মোহাম্মদ এবং সমিতির সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের মূখপাত্র রিজু মোহাম্মদ জানান, সভাপতি পদে দুজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক ছানু ও সমিতির আজীবন সদস্য আব্দুর রহিম। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক পদে মুহিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ইসলাম জহিরুল, কোষাধ্যক্ষ পদে হেলিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আমিনুল হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আব্দুল কাদির, দপ্তর সম্পাদক পদে রেজাউল হক, প্রচার সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মোহাম্সদ জয়নুল হক, মহিলা সম্পাদক পদে আক্তার জাহান ইসলাম নার্গিস এবং কার্যকরী সদস্য পদে আহমেদ মোস্তফা, মোহাম্মদ এ আহাদ, নূরুল ইসলাম, আব্দুর নূর হারুন, বাহার উদ্দিন, কাওসার হক ও জামাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে আব্দুর রহিম ছাড়া বাকী সবাই একটি প্যানেলের প্রার্থী হিসাবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচিন কমিশনের কাছে যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আমরা তা গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথাযথভাবে পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনার কামাল হোসেন বলেন, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের সুনাম অক্ষুণœ রেখেই আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধ পরিকর।
নির্বাচন কমিশনার আবুল হোসেন বলেন, অতীতের গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা আশা করছি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
নির্বাচন কমিশনার রিজু মোহাম্মদ বিয়ানীবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, একজন তরুণ হিসাবে আমাকে যে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে সমিতির স্বার্থে আমি সেই দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে পালনের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বিয়ানীবাজার সমিতি নতুন প্রজন্ম ও তারুণ্যকে সবসময় অগ্রাধিকার দেয়। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে আমাকে নির্বাচন কমিশনারের গুরুদায়িত্ব প্রদান করে এই সমিতি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা প্রবাসে নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যত নেতৃত্বদানে উৎসাহিত করবে।
বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান নির্বাচন কমিশনের কাযক্রমে সন্তোষ প্রকাশ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি বলেন, এই সমিতির সুনাম অক্ষুণœ রাখা সবার দায়িত্ব। ১৯৯১ সাল থেকে সমিতির নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ১৩তম নির্বাচন অতীতের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিয়ানীবাজারবাসী অতীতের মত তাদের নেতৃত্ব বেছে নেবেন।
মনোনয়নপত্র জমা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান সাবু, সাবেক উপদেষ্টা আজিজুর রহমা পাখি ও মুজিব আহম্মেদ তোতা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মহি উদ্দিন, সমিতির সহ-সভাপতি গৌছ উদ্দিন খান ও শহিদুল ইসলাম দুখু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রবীণ সদস্য ফখর উদ্দিন, সাইকুল ইসলাম, ছমির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, গোলাম মোর্তজা, এনাম আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।