নিউইয়র্ক ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যে কারণে কাবান এগিয়ে : মেলিন্ডা পিছিয়ে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • / ৩৫১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারী নির্বাচনের ফলাফলে নবাগতা টিফানী কাবান এগিয়ে রয়েছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে তার প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৯.৬। অর্থাৎ তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১৪ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট  মেলিন্ডা  কাটস-এর প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৮.৩ ভোট। অর্থাৎ তার প্রাপ্ত ভোট ৩২ হাজার ৭২৪। গত ২৫ জুন মঙ্গলবার এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেে শেষ মূহুতে সিটি কাউন্সিলম্যান ররি লেন্সম্যান তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও তার নাম ব্যালট পেপারে অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
সিটি বোর্ড অব ইলেকশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে গ্রেগরী লাসাক পেয়েছেন শতকরা ১৪.৫ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১২ হাজার ৩৭৭ ভোট। মিনা মালিক পেয়েছেন শতকরা ৩.৯ ভাগ ভোট অর্থাৎ ৩,৩১০ ভোট। ররি লেন্সম্যান পেয়েছেন শতকরা ১.৪ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১,১৬৮ ভোট এবং জোসে নিভেস পেয়েছেন শতকরা ১.৩ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১,০৭৫ ভোট। ২০১৫ সালের ডেমোক্র্যাটিক ডাটা মোতাবেক কুইন্স কাউন্টিতে জনসংখ্যার সংখ্যা হচ্ছে ২৩ লাখ ১ হাজার ১৩৯জন। ভোটের হিসাবে কোবান এখানে এগিয়ে আছেন প্রায় ১১শ’ এর কিছু বেশী ভোটে। তবে প্রায় তিন হাজারের মতো এবসেন্ট ভোট এখনো গননায় না আসার বিষয়টি নিয়ে দুদল্যমানতায় আছেন দুই পক্ষই। এই ভোটের উপর নির্ভর করছে ৩ জুলাই প্রকাশিতব্য নির্বাচনের চুড়ান্ত ফলাফল।
এদিকে নির্বাচনের দিন ভোট শেষে সিটির নর্দান বুলেভার্ডে টিফানী কাবানের নির্বাচনী কেন্দ্রে আর কুইন্স বুলেভার্ডের মেলিন্ডা কাটস-এর নির্বাচনী কেন্দ্রে তাদের নির্বাচনী কর্মকর্তা, ভলেন্টিয়ার, সমর্থক ও শুভাকঙ্খীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন এবং সর্বশেষ ফল জানেন। এসব কেন্দ্রে দুই প্রার্থীই উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাবান তার বক্তব্যে নিজেকে বিজয় ঘোসণা করেন। অপদিকে মেলিন্ডা বলেন, নির্বাচন শেষ হয়নি। তিনি সব ভোটা গণনার দাবী জানান।
অপরদিকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোটার সহ উৎসুক জনতার মাঝে এখন ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন উঠে আসছে কাবানের এগিয়ে যাওয়া আর মেলিন্ডার পিছিয়ে পড়া। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে উদীয়মান বাংলাদেশী কমিউনিটি এই নির্বাচন ঘিরে বিভবক্ত হয়ে পড়ে। কমিউনিটির একটি অংশ কাবান-এর পক্ষে অংশ নেন এবং অপরার একটি অংশ মেলিন্ডার পক্ষে অংশ নেন। অপেক্ষাকৃত তরুণরা অংশ নেন কাবানের নির্বাচনী প্রচারণায়।
টিফানী কাবান

কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের নির্বাচন ঘিরে টিফানী কাবানের সংগৃহীত তহবিলের পরিমান ছিলো ২,৪২,০৩০ ডলার। তার ডোনারের সংখ্যা ছিলো ৩,৮৮৪ জন। এরমধ্যে কুইন্সের ডোনার ছিলো ৭৭৬ জন। অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-এর সংগৃহীত তহবিলের পরিমান ছিলো ১,৭২,১৫২ ডলার। তার ডোনারের সংখ্যা ছিলো ১৩৩ জন। এরমধ্যে কুইন্সের ডোনার ছিলো ৫৭ জন।
নির্বাচনে কাবান-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন সিনেটর বার্ণী সেন্ডার্স, সিনেটর এলিজাভেথ ওয়ারেন, আইএস কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীঙ্গার ছাড়াও নিউইয়র্ক ষ্টেটের সাবেক ৪জন সিনেটর, সাবেক ৪জন ষ্টেট অ্যাসেম্বলী মেম্বার, নিউইয়র্ক সিটির ৩জন কাউন্সিলম্যান সহ দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস। এছাড়াও আরো একাধিক সংগঠন তাকে সমর্থন করে।
অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন নিউইয়র্কের গভর্ণর এন্ড্রু কুমো, লেফটেন্যান্ট গভর্ণর ক্যাথি হোচুল, নিউইয়র্কের কম্পট্রোলার থমাস ডিনাপোলী, ৪ জন ইউএস কংগ্রেস সদস্য, ৪ জন ষ্টেট সিনেটর, ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ১০ জন মেম্বার সহ বিভিন্ন বরো প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও আরো অনেক সংগঠন তাকে সমর্থন জানায়।
প্রাইমারীতে এ পর্যন্ত ফলাফলে বিজয়ী টিফানী কাবানের নির্বাচনী কর্মকর্তা বাংলাদেশী-আমেরিকান মৌমিতা আহমেদ বলেন, বিগত মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের হওয়া শুরু হয়েছে তারই ফলশ্রুতিতে প্রগ্রেসিভ কাবান জয়ী হয়েছেন। কেননা বিগত নির্বাচনে আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্টস ও নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসম্বেলীওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ জয়ী হয়ে প্রমান করেছেন যে, ভোটাররা পরিবর্তন চান, নতুন মুখ চান। সেই হিসেবেই কাবান জয়ী হয়েছেন বলে মৌমিতা মনে করেন।
তাছাড়া নতুন প্রজন্মের বিরাট একটি অংশ কাবান-কে ব্যাপকভাবে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। যেটিও কাবানের বিজয়-কে সুসংহত করে।
 মেলিন্ডা কাটস

অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-এর সমর্থকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন যে এতো ব্যাপকতা পাবে তা তারা মনে করেননি। তারা ভোটারদের আকৃষ্ট এবং ভোট কেন্দ্রেও নিতে পারেনি। মেলিন্ডার সমর্থকরা বা নির্বাচনী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তারা কাজের চেয়ে কথা বলেছেন বেশী। অনেকেই ফটো সেশন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
এব্যাপারে কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, সর্বশেষ নির্বাচনী ফলাফলে আমরা হতাশ নই। জয়ের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এবসেন্ট ভোট সহ সকল ভোট গণনার পরই চুড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে মেলিন্ডার পক্ষে যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা হওয়া উচিৎ ছিলো তা হয়নি বলেই তিনি নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন বলে দেলোয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন।(বাংলা পত্রিকা )

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

যে কারণে কাবান এগিয়ে : মেলিন্ডা পিছিয়ে

প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারী নির্বাচনের ফলাফলে নবাগতা টিফানী কাবান এগিয়ে রয়েছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে তার প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৯.৬। অর্থাৎ তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১৪ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট  মেলিন্ডা  কাটস-এর প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৮.৩ ভোট। অর্থাৎ তার প্রাপ্ত ভোট ৩২ হাজার ৭২৪। গত ২৫ জুন মঙ্গলবার এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেে শেষ মূহুতে সিটি কাউন্সিলম্যান ররি লেন্সম্যান তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও তার নাম ব্যালট পেপারে অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
সিটি বোর্ড অব ইলেকশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে গ্রেগরী লাসাক পেয়েছেন শতকরা ১৪.৫ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১২ হাজার ৩৭৭ ভোট। মিনা মালিক পেয়েছেন শতকরা ৩.৯ ভাগ ভোট অর্থাৎ ৩,৩১০ ভোট। ররি লেন্সম্যান পেয়েছেন শতকরা ১.৪ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১,১৬৮ ভোট এবং জোসে নিভেস পেয়েছেন শতকরা ১.৩ ভাগ ভোট অর্থাৎ ১,০৭৫ ভোট। ২০১৫ সালের ডেমোক্র্যাটিক ডাটা মোতাবেক কুইন্স কাউন্টিতে জনসংখ্যার সংখ্যা হচ্ছে ২৩ লাখ ১ হাজার ১৩৯জন। ভোটের হিসাবে কোবান এখানে এগিয়ে আছেন প্রায় ১১শ’ এর কিছু বেশী ভোটে। তবে প্রায় তিন হাজারের মতো এবসেন্ট ভোট এখনো গননায় না আসার বিষয়টি নিয়ে দুদল্যমানতায় আছেন দুই পক্ষই। এই ভোটের উপর নির্ভর করছে ৩ জুলাই প্রকাশিতব্য নির্বাচনের চুড়ান্ত ফলাফল।
এদিকে নির্বাচনের দিন ভোট শেষে সিটির নর্দান বুলেভার্ডে টিফানী কাবানের নির্বাচনী কেন্দ্রে আর কুইন্স বুলেভার্ডের মেলিন্ডা কাটস-এর নির্বাচনী কেন্দ্রে তাদের নির্বাচনী কর্মকর্তা, ভলেন্টিয়ার, সমর্থক ও শুভাকঙ্খীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন এবং সর্বশেষ ফল জানেন। এসব কেন্দ্রে দুই প্রার্থীই উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাবান তার বক্তব্যে নিজেকে বিজয় ঘোসণা করেন। অপদিকে মেলিন্ডা বলেন, নির্বাচন শেষ হয়নি। তিনি সব ভোটা গণনার দাবী জানান।
অপরদিকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোটার সহ উৎসুক জনতার মাঝে এখন ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন উঠে আসছে কাবানের এগিয়ে যাওয়া আর মেলিন্ডার পিছিয়ে পড়া। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে উদীয়মান বাংলাদেশী কমিউনিটি এই নির্বাচন ঘিরে বিভবক্ত হয়ে পড়ে। কমিউনিটির একটি অংশ কাবান-এর পক্ষে অংশ নেন এবং অপরার একটি অংশ মেলিন্ডার পক্ষে অংশ নেন। অপেক্ষাকৃত তরুণরা অংশ নেন কাবানের নির্বাচনী প্রচারণায়।
টিফানী কাবান

কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের নির্বাচন ঘিরে টিফানী কাবানের সংগৃহীত তহবিলের পরিমান ছিলো ২,৪২,০৩০ ডলার। তার ডোনারের সংখ্যা ছিলো ৩,৮৮৪ জন। এরমধ্যে কুইন্সের ডোনার ছিলো ৭৭৬ জন। অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-এর সংগৃহীত তহবিলের পরিমান ছিলো ১,৭২,১৫২ ডলার। তার ডোনারের সংখ্যা ছিলো ১৩৩ জন। এরমধ্যে কুইন্সের ডোনার ছিলো ৫৭ জন।
নির্বাচনে কাবান-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন সিনেটর বার্ণী সেন্ডার্স, সিনেটর এলিজাভেথ ওয়ারেন, আইএস কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীঙ্গার ছাড়াও নিউইয়র্ক ষ্টেটের সাবেক ৪জন সিনেটর, সাবেক ৪জন ষ্টেট অ্যাসেম্বলী মেম্বার, নিউইয়র্ক সিটির ৩জন কাউন্সিলম্যান সহ দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস। এছাড়াও আরো একাধিক সংগঠন তাকে সমর্থন করে।
অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন নিউইয়র্কের গভর্ণর এন্ড্রু কুমো, লেফটেন্যান্ট গভর্ণর ক্যাথি হোচুল, নিউইয়র্কের কম্পট্রোলার থমাস ডিনাপোলী, ৪ জন ইউএস কংগ্রেস সদস্য, ৪ জন ষ্টেট সিনেটর, ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ১০ জন মেম্বার সহ বিভিন্ন বরো প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও আরো অনেক সংগঠন তাকে সমর্থন জানায়।
প্রাইমারীতে এ পর্যন্ত ফলাফলে বিজয়ী টিফানী কাবানের নির্বাচনী কর্মকর্তা বাংলাদেশী-আমেরিকান মৌমিতা আহমেদ বলেন, বিগত মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের হওয়া শুরু হয়েছে তারই ফলশ্রুতিতে প্রগ্রেসিভ কাবান জয়ী হয়েছেন। কেননা বিগত নির্বাচনে আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্টস ও নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসম্বেলীওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ জয়ী হয়ে প্রমান করেছেন যে, ভোটাররা পরিবর্তন চান, নতুন মুখ চান। সেই হিসেবেই কাবান জয়ী হয়েছেন বলে মৌমিতা মনে করেন।
তাছাড়া নতুন প্রজন্মের বিরাট একটি অংশ কাবান-কে ব্যাপকভাবে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। যেটিও কাবানের বিজয়-কে সুসংহত করে।
 মেলিন্ডা কাটস

অপরদিকে মেলিন্ডা কাটস-এর সমর্থকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন যে এতো ব্যাপকতা পাবে তা তারা মনে করেননি। তারা ভোটারদের আকৃষ্ট এবং ভোট কেন্দ্রেও নিতে পারেনি। মেলিন্ডার সমর্থকরা বা নির্বাচনী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তারা কাজের চেয়ে কথা বলেছেন বেশী। অনেকেই ফটো সেশন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।
এব্যাপারে কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, সর্বশেষ নির্বাচনী ফলাফলে আমরা হতাশ নই। জয়ের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এবসেন্ট ভোট সহ সকল ভোট গণনার পরই চুড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে মেলিন্ডার পক্ষে যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা হওয়া উচিৎ ছিলো তা হয়নি বলেই তিনি নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন বলে দেলোয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন।(বাংলা পত্রিকা )