নিউইয়র্ক ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের রুদ্ধদার বৈঠকে ঐক্য : সাজ্জাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • / ৭৭৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় এক নেতার উপস্থিতে দ্বিধা-বিভক্ত নেতৃবৃন্দের মধ্যকার রুদ্ধদার বৈঠকে এই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যকার সকল ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ ঘটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকেও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যকে শোডাউন করতে ৯ জুলাই নিউইয়র্কে বিশেষ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সফল নারী রাষ্ট্রনায়ক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ১৮ জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মানে ভূষিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে এই বিশেষ সমাবেশ আয়োজন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ঐক্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ সম্পর্কে দলের কোন নেতাই মুখ খুলছেন না। তবে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ একাধিক নেতা এই প্রতিবেদকে ফোনে জানিয়েছেন ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন’। এরবেশী কোন মন্তব্য তারা করেননি। তবে সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ আর বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মিডিয়াকে কোন কিছু না জানানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তারা বলেন. দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাদিক নেতা এই প্রতিনিধিকে বলেন, সবায় কেন্দ্রীয় নেতা ড. গোলাপের উপস্থিতিতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দলের বর্তমান পরিস্থিতি অবহিত করেছেন এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী নির্বাচনের আগে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যকার ঐক্য ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচরে দলের জন্র কাজ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্র মতে, সভায় পাল্টাল্টি কথা ও বক্তব্য আসলেও ঐক্যর স্বার্থে অতীতের সকল ভুল বুঝাবুঝি ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ-এর বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে বলে সূত্র জানায়।
যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগে মতবিরোধ: বিগত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ তিন বছরের স্থলে প্রায় সাত বছর হতে চললো। দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবীর পরও নতুন কমিটি গঠনের কোন খবর নেই। কেন্দ্রের দোহাই দিয়ে বর্তমান কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্চে বলে দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর অভিযোগ। ঐসময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন উপদেষ্টা ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পাশাপাশি নিউইয়র্ক ষ্টেট ও নিউইয়র্ক মহানগর কমিটিও অনুমোদন করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দর, কোন কোন নেতার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ বিভিন্ন অভিযোগে দলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ-কে বহিস্কার এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীনসহ দলের ৮ নেতাকে কারণ দর্শানোর চিঠি প্রদান করা হয়। ফলশ্রুতিতে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সাজ্জাদকে বহিস্কার করে দলের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে দলের নতুন কাউন্সিল, সাজ্জাদকে বহিষ্কার এবং ৮ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর চিঠি প্রভৃতি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয় এবং পাল্টাপাল্টি সমাবেশ সহ দলীয় সভায় অপ্রীতিকর ঘটনা ও পুলিশ ডাকাডাকির মতো ঘটনা ঘটে। অপরদিকে দলের একটি গ্রুপ নতুন কাউন্সিলের দাবীতে সভাপতি ড. সিদ্দিক বিরোধী সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখে।
যেভাবে হলো ‘রুদ্ধদার বৈঠক’: গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক নিউইয়র্ক আসলে দলের কাউন্সিল দাবীদার নেতা-কর্মীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করে দলের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নয়, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন কেন্দ্রীয় নেতা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। ঐ সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে না দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তারা সভায় নেই কেন বলে সভায় উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে জানতে চান। এসময় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। আমার অনেক পরিচিতজনকে আজকের সভায় দেখছি না। তিনি সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দলীয় ঐক্যর উপর গুরুত্বারোপ করেন। পরবর্তীতে গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার
সূত্র মতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির জন্য কাউন্সিল দাবীদার নেতা-কর্মীরা ড. গোলাপের সাতে এক  বৈঠকে মিলিত হন। জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে এই সভা হয় বলে সূত্র জানায়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ, কার্যকরী সদস্য হিন্দাল কাদীর বাপ্পা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ দলের সর্বশেষ পরিস্থিতি ড. গোলাপকে অবহিত করলে তিনি দলের মধ্যকার বহিস্কার-আবিষ্কারসহ অনেক বিষয়েই কেন্দ্র অবহিত নয় বলে জানান। ড. গোলাপ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে এবং এই গঠনতন্ত্র মোতাবেকই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দল পরিচালিত হচ্ছে। তাই গঠনতন্ত্রের আলোকেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে পরিচালিত করতে হবে। তিনি যেকোন মূল্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন।
ড. গোলাপের সাথে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের ৪ জুলাই সভার প্রেক্ষিতেই ৫ জুলাই বুধবার দলের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের বৈঠক তথা ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ আহ্বান করা হয়। ঐদিন (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসস্থ নিউজ মেজবান রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে অনুষ্ঠিত সভা শুরু হয় রাত ৯টার দিকে। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহ দলের কয়েকজন নেতা সন্ধ্যায় সভা হলে উপস্থিত হলেও কাউন্সিল দাবীদাররা সভায় আসেন সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে। কেন্দ্রীয় নেতা ড. গোলাম সভাস্থলে আসেন রাত পৌনে ৯টার দিকে। দলের অন্যতম উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসাসের সাথে তাকে ঐ রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, মহিলা লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দূরুদ মিয়া রনেল ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে সভাস্থলে প্রবেশ করে আবার ফিরে আসতে দেখা যায়। এসময় ফিরে আসা নেতৃবৃন্দ জানান, আজকের সভাটি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সভা। সভায় কোন মিডিয়ার প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ বা প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি বলে সূত্র জানান।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে কোন রাগ-বিরাগ বা ক্ষোভের শিকার না হয়ে দলীয় স্বার্থে ঐক্য বজার রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন দাবীর ব্যাপারে কেন্দ্রকে অবহিত করে ড. গোলাপ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বলে সূত্র জানায়।
আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি: এদিকে দলের ‘রুদ্ধদার বৈঠক’-এর পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসবক লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার ব্যাপারে দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়।
দলের দপ্তর সম্পাদক প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রেরীত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সফল নারী রাষ্ট্রনায়ক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ১৮ জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মানে ভূষিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ৭ জুলাই এক কর্মী সভায় মিলিত হয় এবং ৯ জুলাই নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে আহুত বিশেষ সমাবেশ সফল করতে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে ডাকা উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে সকলের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: স্থানীয় মেজবান রেষ্টুরেন্টে ডাকা উক্ত প্রস্তুতি সভায় সভার সভাপতি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বনেত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্তি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদকে ভূষিত হওয়া, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ এবং তার সম্মানে ডাকা বিশেষ সমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি উক্ত সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি প্রদানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।
আলোচনা পর্বে সর্বমোট ৩৮জন নেতা অংশগ্রহণ এবং ৯ জুলাই এর বিশেষ সমাবেশ সফল করতে সকল স্ব-স্ব অবস্থান থেকে যা যা করণীয় তার অঙ্গীকার করেন এবং সবাই মিলে অতীতের ন্যায় বিশাল সমাবেশ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করতে দলে দলে যোগদান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে ইউনেস্কো শান্তিপদক, সেরেস পদক, সাউথ-সাউথ পদকসহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং ডজন খানেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রীতে ভূষিত হয়েছেন যা, বাঙালী ও বাংলাদেশের জন্যে বিরাট গর্বের বিষয়। সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, দূর্যোগ মোকাবেলা, সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সৃষ্টি, প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন তা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সম্পাদক আহরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আব্দুল হাসিব মামুুন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ, ত্রাণ বিষযক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহম্মেদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষযক সম্পাদক ফরিদ আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কোষাধ্যক্ষ্য আবুল মনসুর খাঁন, কার্যকরী সদস্য হিন্দাল কাদীর বাপ্পা, শরীফ কামরুল আলম হীরা, জহিরুল ইসলাম, এম আনোয়ার, খোরশেদ খন্দকার, আশাফ মাসুক, ইলিয়ার রহমান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী  মমতাজ শাহনাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দূরুদ মিয়া রনেল ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ, যুবলীগের যুগ্ম  আহ্বায়ক জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, হুমায়ুন চৌধুরী, রহিমুজ্জামান সুমন, ইফজাল চৌধুরী, রিঙ্কুলাল দাস ও আনিসুর রহমান, নিউইয়র্ক সিটি যুগলীগের সভাপতি মামুন হোসেন, কুইন্স যুবলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হাসান। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মিসেস শাহানারা রহমান, আবুল কাশেম ভূইয়া, নূরুল আবসার সেন্টু প্রমুখ।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী ও মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সফল অ¯্রপচার থেকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা মো: মুজাহিদ আলী।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের রুদ্ধদার বৈঠকে ঐক্য : সাজ্জাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র

প্রকাশের সময় : ১১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিউইয়র্ক: অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় এক নেতার উপস্থিতে দ্বিধা-বিভক্ত নেতৃবৃন্দের মধ্যকার রুদ্ধদার বৈঠকে এই ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যকার সকল ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ ঘটিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকেও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যকে শোডাউন করতে ৯ জুলাই নিউইয়র্কে বিশেষ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সফল নারী রাষ্ট্রনায়ক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ১৮ জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মানে ভূষিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে এই বিশেষ সমাবেশ আয়োজন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ঐক্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ সম্পর্কে দলের কোন নেতাই মুখ খুলছেন না। তবে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ একাধিক নেতা এই প্রতিবেদকে ফোনে জানিয়েছেন ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন’। এরবেশী কোন মন্তব্য তারা করেননি। তবে সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ আর বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মিডিয়াকে কোন কিছু না জানানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তারা বলেন. দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাদিক নেতা এই প্রতিনিধিকে বলেন, সবায় কেন্দ্রীয় নেতা ড. গোলাপের উপস্থিতিতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দলের বর্তমান পরিস্থিতি অবহিত করেছেন এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী নির্বাচনের আগে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যকার ঐক্য ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচরে দলের জন্র কাজ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্র মতে, সভায় পাল্টাল্টি কথা ও বক্তব্য আসলেও ঐক্যর স্বার্থে অতীতের সকল ভুল বুঝাবুঝি ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ-এর বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে বলে সূত্র জানায়।
যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগে মতবিরোধ: বিগত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ তিন বছরের স্থলে প্রায় সাত বছর হতে চললো। দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবীর পরও নতুন কমিটি গঠনের কোন খবর নেই। কেন্দ্রের দোহাই দিয়ে বর্তমান কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্চে বলে দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর অভিযোগ। ঐসময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন উপদেষ্টা ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন। পাশাপাশি নিউইয়র্ক ষ্টেট ও নিউইয়র্ক মহানগর কমিটিও অনুমোদন করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দর, কোন কোন নেতার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ বিভিন্ন অভিযোগে দলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ-কে বহিস্কার এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীনসহ দলের ৮ নেতাকে কারণ দর্শানোর চিঠি প্রদান করা হয়। ফলশ্রুতিতে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সাজ্জাদকে বহিস্কার করে দলের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে দলের নতুন কাউন্সিল, সাজ্জাদকে বহিষ্কার এবং ৮ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর চিঠি প্রভৃতি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয় এবং পাল্টাপাল্টি সমাবেশ সহ দলীয় সভায় অপ্রীতিকর ঘটনা ও পুলিশ ডাকাডাকির মতো ঘটনা ঘটে। অপরদিকে দলের একটি গ্রুপ নতুন কাউন্সিলের দাবীতে সভাপতি ড. সিদ্দিক বিরোধী সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখে।
যেভাবে হলো ‘রুদ্ধদার বৈঠক’: গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক নিউইয়র্ক আসলে দলের কাউন্সিল দাবীদার নেতা-কর্মীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করে দলের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নয়, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন কেন্দ্রীয় নেতা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। ঐ সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে না দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তারা সভায় নেই কেন বলে সভায় উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে জানতে চান। এসময় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। আমার অনেক পরিচিতজনকে আজকের সভায় দেখছি না। তিনি সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দলীয় ঐক্যর উপর গুরুত্বারোপ করেন। পরবর্তীতে গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার
সূত্র মতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির জন্য কাউন্সিল দাবীদার নেতা-কর্মীরা ড. গোলাপের সাতে এক  বৈঠকে মিলিত হন। জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে এই সভা হয় বলে সূত্র জানায়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ, কার্যকরী সদস্য হিন্দাল কাদীর বাপ্পা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ দলের সর্বশেষ পরিস্থিতি ড. গোলাপকে অবহিত করলে তিনি দলের মধ্যকার বহিস্কার-আবিষ্কারসহ অনেক বিষয়েই কেন্দ্র অবহিত নয় বলে জানান। ড. গোলাপ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে এবং এই গঠনতন্ত্র মোতাবেকই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দল পরিচালিত হচ্ছে। তাই গঠনতন্ত্রের আলোকেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে পরিচালিত করতে হবে। তিনি যেকোন মূল্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন।
ড. গোলাপের সাথে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের ৪ জুলাই সভার প্রেক্ষিতেই ৫ জুলাই বুধবার দলের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের বৈঠক তথা ‘রুদ্ধদার বৈঠক’ আহ্বান করা হয়। ঐদিন (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসস্থ নিউজ মেজবান রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে অনুষ্ঠিত সভা শুরু হয় রাত ৯টার দিকে। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহ দলের কয়েকজন নেতা সন্ধ্যায় সভা হলে উপস্থিত হলেও কাউন্সিল দাবীদাররা সভায় আসেন সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে। কেন্দ্রীয় নেতা ড. গোলাম সভাস্থলে আসেন রাত পৌনে ৯টার দিকে। দলের অন্যতম উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসাসের সাথে তাকে ঐ রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, মহিলা লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দূরুদ মিয়া রনেল ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে সভাস্থলে প্রবেশ করে আবার ফিরে আসতে দেখা যায়। এসময় ফিরে আসা নেতৃবৃন্দ জানান, আজকের সভাটি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সভা। সভায় কোন মিডিয়ার প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ বা প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি বলে সূত্র জানান।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে কোন রাগ-বিরাগ বা ক্ষোভের শিকার না হয়ে দলীয় স্বার্থে ঐক্য বজার রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন দাবীর ব্যাপারে কেন্দ্রকে অবহিত করে ড. গোলাপ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বলে সূত্র জানায়।
আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি: এদিকে দলের ‘রুদ্ধদার বৈঠক’-এর পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসবক লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার ব্যাপারে দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়।
দলের দপ্তর সম্পাদক প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রেরীত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত বিশ্বের সফল নারী রাষ্ট্রনায়ক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ১৮ জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মানে ভূষিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ৭ জুলাই এক কর্মী সভায় মিলিত হয় এবং ৯ জুলাই নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে আহুত বিশেষ সমাবেশ সফল করতে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে ডাকা উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে সকলের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ নেয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: স্থানীয় মেজবান রেষ্টুরেন্টে ডাকা উক্ত প্রস্তুতি সভায় সভার সভাপতি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বনেত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্তি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদকে ভূষিত হওয়া, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ এবং তার সম্মানে ডাকা বিশেষ সমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি উক্ত সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি প্রদানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।
আলোচনা পর্বে সর্বমোট ৩৮জন নেতা অংশগ্রহণ এবং ৯ জুলাই এর বিশেষ সমাবেশ সফল করতে সকল স্ব-স্ব অবস্থান থেকে যা যা করণীয় তার অঙ্গীকার করেন এবং সবাই মিলে অতীতের ন্যায় বিশাল সমাবেশ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করতে দলে দলে যোগদান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বে ইউনেস্কো শান্তিপদক, সেরেস পদক, সাউথ-সাউথ পদকসহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং ডজন খানেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রীতে ভূষিত হয়েছেন যা, বাঙালী ও বাংলাদেশের জন্যে বিরাট গর্বের বিষয়। সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, দূর্যোগ মোকাবেলা, সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সৃষ্টি, প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন তা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সম্পাদক আহরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আব্দুল হাসিব মামুুন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ, ত্রাণ বিষযক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহম্মেদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষযক সম্পাদক ফরিদ আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কোষাধ্যক্ষ্য আবুল মনসুর খাঁন, কার্যকরী সদস্য হিন্দাল কাদীর বাপ্পা, শরীফ কামরুল আলম হীরা, জহিরুল ইসলাম, এম আনোয়ার, খোরশেদ খন্দকার, আশাফ মাসুক, ইলিয়ার রহমান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী  মমতাজ শাহনাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দূরুদ মিয়া রনেল ও সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথ, যুবলীগের যুগ্ম  আহ্বায়ক জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, হুমায়ুন চৌধুরী, রহিমুজ্জামান সুমন, ইফজাল চৌধুরী, রিঙ্কুলাল দাস ও আনিসুর রহমান, নিউইয়র্ক সিটি যুগলীগের সভাপতি মামুন হোসেন, কুইন্স যুবলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হাসান। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মিসেস শাহানারা রহমান, আবুল কাশেম ভূইয়া, নূরুল আবসার সেন্টু প্রমুখ।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী ও মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সফল অ¯্রপচার থেকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা মো: মুজাহিদ আলী।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)