যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের বিজয় সমাবেশ
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০২:০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০১৫
- / ৭৫৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যে সীমান্তে ছিটমহল সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ প্রশস্ত, সদ্য অনুষ্ঠিত বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকীসহ চার বাঙালীর বিজয়ে এবং ২০০৭ সালের ৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে বাংলাদেশ ফিরে গিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ বিজয় সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে গত ১০ মে রোববার রাতে আয়োজিত ‘আলোচনা সভা ও বিজয় উল্লাস’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সমাদ আজাদ। সভামঞ্চে উপবিষ্ট থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী ও সামসুদ্দীন আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষযক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সোলেমান আলী, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস ও কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাাদক এডভোকেট শাহ বখতিয়ার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক নূরে আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র কৃষক লীগের সভাপতি হাজী নিজাম উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, বর্তমান সভাপতি আজিজুল হক খোকন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য শামসুল আবদীন, হোসেন সোহেল রানা, আলী হোসেন গজনবী, নূরুন্নবী চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন চৌধুরী, ব্রুকলীন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নজরুল, ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী ও মফিজ উদ্দিন সহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া, সহ সভাপতি মহির উদ্দিন, শেখ হাসিনা মঞ্চের সহ সভাপতি টি মোল্লা, নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সেবুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহীমুজ্জামান সুমন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সদস্য সেবু রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুমানা অক্তার, নূরুন্নাহার গিনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা এক ক্রান্তিকালে প্রবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খালিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলেমান আলী, ওয়াশিংটনের জাহানারা হাসান, ওমর ইসলাম ও রফিক পারভেজকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যান। তাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত চার নেতা যথাক্রমে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, আব্দুস সামাদ আজাদ, ফারুক আহমেদ ও সোলেমান আলীকে অনুষ্ঠানের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতার অভাব নেই । জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের দু:সময়ে নেত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে ‘ত্যাগী নেতা’ আখ্যায়িত এবং এই ঘটনাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে ‘বিরল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জোয়ারকে ধরে রাখতে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছিটমহল সমস্যার সমাধানে কূটনৈতিক সফল্যের জন্য বাংলাদেশ সরকার, বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত চার বাঙালী-বৃটিশ রুশনারা আলী, অধ্যাপক ড. রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিকী ও ইমরান হোসেনের জয়লাভ এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশে দেশে বাঙালীদের বসবাস বাড়ছে। বাঙালীরা বিশ্বজয়ের পথে। সেই সাথে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। এই সাফল্য শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য। বক্তরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী রাজনীতি চিরতরে বন্ধের দাবী জানান।