নিউইয়র্ক ১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মুশরাতকে কর্নেল হাসপাতালে স্থানান্তর : ডিপোর্টেশনের অপেক্ষায় বাবা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ এপ্রিল ২০১৮
  • / ১২২৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: অঝোর কান্না আর বুকে পাথর চেপে ডিপোর্টেশনের অপেক্ষায় আরেক বাংলাদেশী। হতভাগ্য এ অভিবাসী কুইন্সের জ্যামাইকার বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘বৈধ-অভিবাসন’ প্রত্যাশী মোজাম্মেল হকের সব প্রচেষ্টাই এখন ব্যর্থ। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে, এমন একটি সময়ে তাকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যখন দুর্ঘটনার-শিকার হয়ে তার ১৯ বছর বয়সী আদরের কন্যাটি মৃত্যুপথ-যাত্রী। ইউএস সিটিজেন ৩ সন্তানের জনক মোজাম্মেল হকের বুকভরা আর্তনাদই এখন তার সঙ্গী। ‘স্বপ্নের সোনার হরিণ’ হয়তো আর ছোঁয়া হবে না তার; সেই আক্ষেপ নেই। কিন্তু হাসপাতালে অচেতন বড় মেয়েটি শেষ পরিণতি আর ছোট দুই সন্তানের অনাগত ভবিষ্যৎ কি হবে? এমনটি ভাবতেই স্তব্ধ-বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অসহায় বাংলাদেশী মোজাম্মেলক হক। এদিকে গত শনিবার তিন সন্তানের জননী সেলিনা সিকান্দার নামের এক বাংলাদেশীকে ডিপোর্ট করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২৭ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলন মোজাম্মেল হক। আইনি মারপ্যাচের শিকার এ বাংলাদেশী এখন জোরপূবর্ক দেশত্যাগের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন। এমন একটি সময়ে তাকে দেশত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যখন একমাত্র কন্যা হাসপাতালের কোমায়। সবশেষ খবরে জানা গেছে, জ্যামাইকার কুইন্স হসাপাতাল থেকে ম্যানহাটানস্থ ‘কর্নেল হাসপাতালে’ স্থানান্তর করা হয়েছে অচেতন ‘মুশরাতকে’। তার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৬ মার্চ সোমবার হিলসাইড অ্যাভিনিউতে রাস্তা পারাপারের সময় তাঁর ১৯ বছরের মুশরাত গাড়ি চাপার শিকার হন। মৃত্যুপথ যাত্রী একমাত্র কন্যাকে হাসপাতালের আইসিউতে রেখেই ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস-এনফোর্সমেন্ট-আইসের দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে হতভাগ্য মোজাম্মেল হককে।
আইনজীবীদের আশা মোজাম্মেল হকের মৃত্যুপথযাত্রী একমাত্র কন্যা মুশরাতের অবস্থান বিবেচনায় তার ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া স্থগিতের সুযোগ রয়েছে। তবে, মোজাম্মেল হকের দাবী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের যোগ্য করার সব চেষ্টাই তিনি করেছিলেন। নিয়মতান্ত্রিক ইমিগ্রেশন অফিসে হাজিরাও দিয়েছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টায়ই ব্যর্থ হয়েছে। মুশরাত ছাড়াও তার আরও দুই ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি নিজেই তার সন্তানদের দেখাশোনা করেন। তাঁর মেয়ে মুশরাত বেশ মেধাবী ও বিনয়ী হিসেবে জ্যামাইকার বাংলাদেশীদের কাছে পরিচিত।
এদিকে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো মোজাম্মেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর মুশরাত’সহ তিন সন্তান নিয়ে জ্যামাইকাতে বসবাস করছেন তিনি। এমতাবস্থায় পিতাকে হারানো এসব সন্তানদের আগামী দিনগুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ কথাটা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন  মোজাম্মেল হকের প্রতিবেশী ও বাংলাদেশী-আমেরিকান এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা রাশিক মালিক।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মোজাম্মেল হকের দুর্দশা আর বহিষ্কারের খবর তুলে ধরে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক চ্যানেল পিক্স-ইলেভেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো কমিউনিটিতে। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের তিনজন কংগ্রেসম্যান ও মানবাধিকার কর্মীরা মোজাম্মেল হকের দেশত্যাগ বন্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে।
গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের স্থানীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম পিক্স-২ চ্যানেল মোজাম্মেল হকের দুর্দশা আর বহিষ্কারের হুমকি নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। ওই প্রতিবেদন দেখে ও বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মীদের তৎপরতায় নিউইয়র্কের তিনজন কংগ্রেস সদস্য তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এমনকি নিউইয়র্ক নগরের মেয়র অফিসের তরফ থেকেও মোজাম্মেল হকের পক্ষে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মোজাম্মেল হকের আইনজীবী এই কর্মসূচি পালনে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ এশীয়দের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ড্রাম-এর বাংলাদেশি সংগঠক কাজি ফৌজিয়া। এই অভিযোগের ব্যাপারে মোজাম্মেল হকের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে, পিক্স-২ চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘মোজাম্মেলের জন্য আগেই একটি পিটিশন দায়ের করা আছে। এমনও হতে পারে, তাঁকে বহিষ্কার করার পরিবর্তে গ্রিনকার্ড পাওয়ার পথ বলে দিতে পারে আইস দপ্তর।’
অপরদিকে জোরপূর্বক দেশের ত্যাগের তালিকায় কেবল নিউইয়র্কের মোজাম্মেল হকই নন। আরো অসংখ্য বাংলাদেশীও এই তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে গত শনিবার (৩১ মার্চ) নিউজার্সীর থেকে সেলিনা সিকান্দর নামে অপর এক বাংলাদেশী নারীকে ডিপোর্ট করা হয়েছে। তার স্বামী সামচ্ছুদ্দিনকে গত নভেম্বরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে স্থানীয় সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
জ্যামাইকায় মানব বন্ধন কর্মসূচী: নিউইয়র্কের জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউতে গত ২৬ মার্চ সোমবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী মুশরাত হক, যিনি হাসপাতালের আইসিইউ (কোমা)তে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণ অবস্থায় চিকিৎসারত রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ী চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দুর্ঘটনাস্থল ১৬৭ স্ট্রিট এবং হিলসাইড এভিনিউতে সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন বলে নিসচা যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন স্বপন ও সদস্য সচিব স্বীকৃতি বড়ুয়া জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

মুশরাতকে কর্নেল হাসপাতালে স্থানান্তর : ডিপোর্টেশনের অপেক্ষায় বাবা

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ এপ্রিল ২০১৮

হককথা ডেস্ক: অঝোর কান্না আর বুকে পাথর চেপে ডিপোর্টেশনের অপেক্ষায় আরেক বাংলাদেশী। হতভাগ্য এ অভিবাসী কুইন্সের জ্যামাইকার বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘বৈধ-অভিবাসন’ প্রত্যাশী মোজাম্মেল হকের সব প্রচেষ্টাই এখন ব্যর্থ। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে, এমন একটি সময়ে তাকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যখন দুর্ঘটনার-শিকার হয়ে তার ১৯ বছর বয়সী আদরের কন্যাটি মৃত্যুপথ-যাত্রী। ইউএস সিটিজেন ৩ সন্তানের জনক মোজাম্মেল হকের বুকভরা আর্তনাদই এখন তার সঙ্গী। ‘স্বপ্নের সোনার হরিণ’ হয়তো আর ছোঁয়া হবে না তার; সেই আক্ষেপ নেই। কিন্তু হাসপাতালে অচেতন বড় মেয়েটি শেষ পরিণতি আর ছোট দুই সন্তানের অনাগত ভবিষ্যৎ কি হবে? এমনটি ভাবতেই স্তব্ধ-বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অসহায় বাংলাদেশী মোজাম্মেলক হক। এদিকে গত শনিবার তিন সন্তানের জননী সেলিনা সিকান্দার নামের এক বাংলাদেশীকে ডিপোর্ট করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ২৭ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলন মোজাম্মেল হক। আইনি মারপ্যাচের শিকার এ বাংলাদেশী এখন জোরপূবর্ক দেশত্যাগের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন। এমন একটি সময়ে তাকে দেশত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যখন একমাত্র কন্যা হাসপাতালের কোমায়। সবশেষ খবরে জানা গেছে, জ্যামাইকার কুইন্স হসাপাতাল থেকে ম্যানহাটানস্থ ‘কর্নেল হাসপাতালে’ স্থানান্তর করা হয়েছে অচেতন ‘মুশরাতকে’। তার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৬ মার্চ সোমবার হিলসাইড অ্যাভিনিউতে রাস্তা পারাপারের সময় তাঁর ১৯ বছরের মুশরাত গাড়ি চাপার শিকার হন। মৃত্যুপথ যাত্রী একমাত্র কন্যাকে হাসপাতালের আইসিউতে রেখেই ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস-এনফোর্সমেন্ট-আইসের দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে হতভাগ্য মোজাম্মেল হককে।
আইনজীবীদের আশা মোজাম্মেল হকের মৃত্যুপথযাত্রী একমাত্র কন্যা মুশরাতের অবস্থান বিবেচনায় তার ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া স্থগিতের সুযোগ রয়েছে। তবে, মোজাম্মেল হকের দাবী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের যোগ্য করার সব চেষ্টাই তিনি করেছিলেন। নিয়মতান্ত্রিক ইমিগ্রেশন অফিসে হাজিরাও দিয়েছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টায়ই ব্যর্থ হয়েছে। মুশরাত ছাড়াও তার আরও দুই ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তবে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি নিজেই তার সন্তানদের দেখাশোনা করেন। তাঁর মেয়ে মুশরাত বেশ মেধাবী ও বিনয়ী হিসেবে জ্যামাইকার বাংলাদেশীদের কাছে পরিচিত।
এদিকে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো মোজাম্মেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর মুশরাত’সহ তিন সন্তান নিয়ে জ্যামাইকাতে বসবাস করছেন তিনি। এমতাবস্থায় পিতাকে হারানো এসব সন্তানদের আগামী দিনগুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ কথাটা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন  মোজাম্মেল হকের প্রতিবেশী ও বাংলাদেশী-আমেরিকান এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা রাশিক মালিক।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মোজাম্মেল হকের দুর্দশা আর বহিষ্কারের খবর তুলে ধরে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক চ্যানেল পিক্স-ইলেভেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো কমিউনিটিতে। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের তিনজন কংগ্রেসম্যান ও মানবাধিকার কর্মীরা মোজাম্মেল হকের দেশত্যাগ বন্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে।
গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের স্থানীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম পিক্স-২ চ্যানেল মোজাম্মেল হকের দুর্দশা আর বহিষ্কারের হুমকি নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। ওই প্রতিবেদন দেখে ও বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মীদের তৎপরতায় নিউইয়র্কের তিনজন কংগ্রেস সদস্য তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এমনকি নিউইয়র্ক নগরের মেয়র অফিসের তরফ থেকেও মোজাম্মেল হকের পক্ষে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মোজাম্মেল হকের আইনজীবী এই কর্মসূচি পালনে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ এশীয়দের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ড্রাম-এর বাংলাদেশি সংগঠক কাজি ফৌজিয়া। এই অভিযোগের ব্যাপারে মোজাম্মেল হকের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে, পিক্স-২ চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘মোজাম্মেলের জন্য আগেই একটি পিটিশন দায়ের করা আছে। এমনও হতে পারে, তাঁকে বহিষ্কার করার পরিবর্তে গ্রিনকার্ড পাওয়ার পথ বলে দিতে পারে আইস দপ্তর।’
অপরদিকে জোরপূর্বক দেশের ত্যাগের তালিকায় কেবল নিউইয়র্কের মোজাম্মেল হকই নন। আরো অসংখ্য বাংলাদেশীও এই তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে গত শনিবার (৩১ মার্চ) নিউজার্সীর থেকে সেলিনা সিকান্দর নামে অপর এক বাংলাদেশী নারীকে ডিপোর্ট করা হয়েছে। তার স্বামী সামচ্ছুদ্দিনকে গত নভেম্বরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে স্থানীয় সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
জ্যামাইকায় মানব বন্ধন কর্মসূচী: নিউইয়র্কের জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউতে গত ২৬ মার্চ সোমবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী মুশরাত হক, যিনি হাসপাতালের আইসিইউ (কোমা)তে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণ অবস্থায় চিকিৎসারত রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ী চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দুর্ঘটনাস্থল ১৬৭ স্ট্রিট এবং হিলসাইড এভিনিউতে সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন বলে নিসচা যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন স্বপন ও সদস্য সচিব স্বীকৃতি বড়ুয়া জানান।