মসিজদে শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় স্থম্ভিত কমিউনিটি
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
- / ৭৬৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: সিটির কুইন্সের ইস্ট এলমাহার্স্টে অবস্থিত আবু হুরায়রা মসজিদে সংগঠিত যৌন নির্যাতন মামলা এখন কমিউনিটির আলোচিত ঘটনা। বাংলাদেশী বেশ কয়েকটি মসজিদে এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে গিয়ে আবু হুরায়রা মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যার ফলে পুরো ঘঠনা নিয়ে সৃুষ্টি হয়েছে বড় ধরনের ধু¤্রজাল।
এবিষয়ে কুইন্স ডিষ্টিক্ট এটর্নী অফিস দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবু হুরায়রা মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ রানা ৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর শরীর স্পর্শ করেন। শিশু শিক্ষার্থীর জন্য এটা ছিল অত্যন্ত বিব্রতকর। বিষয়টি সে তার মাকে অবহিত করলেও তিনি এনিয়ে উচ্চাবাচ্য করতে চাননি। সম্প্রতি স্কুলে ‘গুড টাচ/বেড টাচ’ বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে উক্ত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। সেখানে আয়োজকদের বিষয়টি অবহিত করে ৯ বছরের এই শিক্ষার্থী । এর পরই শুরু হয় ত্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন। যার প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারী বুধবার মসজিদ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর পরই মোয়াজ্জিনকে তারা কাজ থেকে অব্যাহতি দেন। এই পর্যায়ে রাতে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের দু’জন গোয়েন্দা মসজিদে এসে ইমাম ফায়েকুদ্দীনের সাথে কথা বলেন। তারা বলেন, আমরা মোয়াজ্জিনের সাথে কথা বরতে চাই। এ পর্যায়ে মোহাম্মদ রানাকে খবর দিয়ে আনা হলে তারা তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ৫০ হাজারের বন্ডে ২৫ হাজার ডলার ক্যাশে নির্ধারন করা হয় তার জামিন।
জানা গেছে, ঘটনার পর পর মোহাম্মদ নুরের আচরণ মসজিদের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাতে দেখা হয়েছে। কুইন্স ডিষ্টিক্ট এটর্নী অফিসও সব প্রমান ও তথ্যাদি সংগ্রহ করেছে। আদালতে দোষী সাব্যস্থ হলে মোহাম্মদ নুরের ৭ বছরের সাজা হতে পারে বলে কুইন্স ডিষ্টিক্ট এটর্নী অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এবিষয়ে আবু হুরায়রা মসজিদ কমিটির তৎপরতা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এস্টোরিয়া নিবাসী একজন অভিবাবক আলাপকালে বলেন, বিভিন্ন মসজিদে এধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তারপরও আবু হুরায়রা মসজিদ কমিটি কেন সতর্ক হলো না আমরা এর ব্যখা দাবী করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী বিভিন্ন মসজিদে প্রতি উইকেন্ডে শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই বেড ও গুড টাচ কি সেটা অবহিত নন। এবিষয়ে প্রতিটি মসজিদে পেশাদার প্রশিক্ষনের প্রয়োজন বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)