নিউইয়র্ক ০৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলা পত্রিকা’য় প্রকাশিত রিপোর্টের ব্যাখ্যায় তমাল মনসুরের আইনজীবি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮
  • / ৫৭৭ বার পঠিত

হককথা  ডেস্ক: গত ২১ মে সোমবার বাংলা পত্রিকা’য় প্রকাশিত ‘হাজী ক্যাস্প মসজিদ ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা ॥ নিউইয়র্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম তনয়ের ১২টি এপার্টমেন্ট’ শীর্ষক রিপোর্টের বিষয়ে সংশোধনী ও ব্যাখ্যা প্রেরণ করেছেন তমাল মনসুরের আইনজীবি থমাস ই বারিনাটো। বাংলা পত্রিকার ফ্যাক্সে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, তমাল মনসুর ও লাম্বডা প্রোপার্টিজ এন ওয়াই এলএলসি এর প্রতিনিধি হিসেবে আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্যের ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
চিঠিতে বলা হয়, আপনার পত্রিকায় মসজিদ মিশন ইনক, মসজিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে বিষয়টি হচ্ছে লাম্বডা প্রোপার্টিজ অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে এর মধ্যে মসজিদ মিশন ইনক হচ্ছে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান।
মামলার অন্যতম কারণ হচ্ছে মসজিদ মিশন নিউইয়র্ক সিটি বিল্ডিং কোডের নিয়ম ভঙ্গ করে সেখানে অতিরিক্ত জনসমাগম ও অনুষ্ঠান করছে। এর ফলে সেখানে মুসল্লীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াও ভবনের বিরুদ্ধে সিটি আইন ভায়োলেশনের সমূহ আশংকা রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের অতিরিক্ত চার্জ বহন করতে হচ্ছে। এর বাইরে বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট কমিটি কনডোমোনিয়াম আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এটাকে অবহেলা করে আসছিল।
রিপোর্টের মাধ্যমে আমার ক্লায়েন্টকে ধর্মের ব্যাপারে অসংবেদনশীল হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চেতনা অনুযায়ী প্রত্যেকেই আইনের দৃষ্টিতে সমান। এজন্য সবার নিরাপত্তায় প্রণীত যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক সিটি ও নিউইয়র্ক স্টেটের বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে উপাসনাকারী ও ভবনের বাসিন্দাদের স্বার্থে। এখানে মসজিদের বিষয়টিকে শুধু দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মসজিদ ছাড়াও ম্যানেজমেন্ট কমিটির সবার বিরুদ্ধেই আইনের আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। সুতরাং এখানে শুধু মসজিদকে টার্গেট করা হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়, তমাল মনসুরের জন্ম একটি মুসলিম পরিবারে, তিনি একজন ধর্মভীরু মুসলিম এবং গত ৩৮ বছর থেকে তিনি ধর্ম পালন করে আসছেন। যিনি ফেডারেল ও স্টেট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই সময়ে তাকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করে তার চারিত্রিক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
২. মি. মনসুর বাংলাদেশের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। তার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কোন ধরনের ব্যবসার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন সম্পর্ক নেই।
তমাল মনসুর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিক্সে বিএ করেছেন। এরপর তিনি মিঃ আজহারুল ইসলামের অধীনে কাজ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কিন্তু বাংলা পত্রিকা’র রিপোর্টে তাকে এমনভাবে উত্থাপন করা হয়েছে যাতে মনে হয় তিনি তার পিতার প্রভাবেই সবকিছু করেছেন। যা তার ইমেজ হননের প্রয়াস। রিপোর্টে মনে হয়েছে এখানে তার ব্যবসার পেছনে পিতা বা পরিবারের প্রভাব রয়েছে যা কোন প্রমাণ ছাড়াই ছাপা হয়েছে। সত্য কথা হচ্ছে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য নিয়ে নিয়ে তিনি তার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে তার পিতার কোন সম্পর্ক নেই।
পত্রিকার রিপোর্টে তার ১২ ইউনিটের কথা যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। এই ১২ ইউনিট ও পার্কিং স্পট সোলারের কাছ থেকে আইকোনিক প্রোপার্টিজ ইনকের ফিনান্সে কেনা হয়েছে। যার মালিক মি তমাল মনসুর নন। এছাড়াও সেখানে যে অর্থের হিসেব দেয়া হয়েছে সঠিক তথ্য নেই। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে আমার ক্লায়েন্ট যা কিছুই করেছেন সেটা তার অভিজ্ঞতা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে।
পরিশেষে বলতে চাই আমার মক্কেল তমাল মনসুরের যা কিছুই আছে তার সাথে বাংলাদেশ বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন যোগাযোগ নেই। তিনি সবই করেছেন তার নিজের যোগ্যতায়।
রিপোর্টে হাফেজ রফিকুল ইসলামের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে তিনি আমার মক্কেলের পারিবারিক দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করতেই এসব বলেছেন।
পরিশেষে এধরনের একটি রিপোর্ট প্রকাশের জন্য বাংলা পত্রিকাকে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলা পত্রিকা’য় প্রকাশিত রিপোর্টের ব্যাখ্যায় তমাল মনসুরের আইনজীবি

প্রকাশের সময় : ১২:০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮

হককথা  ডেস্ক: গত ২১ মে সোমবার বাংলা পত্রিকা’য় প্রকাশিত ‘হাজী ক্যাস্প মসজিদ ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে মামলা ॥ নিউইয়র্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম তনয়ের ১২টি এপার্টমেন্ট’ শীর্ষক রিপোর্টের বিষয়ে সংশোধনী ও ব্যাখ্যা প্রেরণ করেছেন তমাল মনসুরের আইনজীবি থমাস ই বারিনাটো। বাংলা পত্রিকার ফ্যাক্সে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, তমাল মনসুর ও লাম্বডা প্রোপার্টিজ এন ওয়াই এলএলসি এর প্রতিনিধি হিসেবে আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্যের ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
চিঠিতে বলা হয়, আপনার পত্রিকায় মসজিদ মিশন ইনক, মসজিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে বিষয়টি হচ্ছে লাম্বডা প্রোপার্টিজ অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে এর মধ্যে মসজিদ মিশন ইনক হচ্ছে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান।
মামলার অন্যতম কারণ হচ্ছে মসজিদ মিশন নিউইয়র্ক সিটি বিল্ডিং কোডের নিয়ম ভঙ্গ করে সেখানে অতিরিক্ত জনসমাগম ও অনুষ্ঠান করছে। এর ফলে সেখানে মুসল্লীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াও ভবনের বিরুদ্ধে সিটি আইন ভায়োলেশনের সমূহ আশংকা রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের অতিরিক্ত চার্জ বহন করতে হচ্ছে। এর বাইরে বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট কমিটি কনডোমোনিয়াম আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এটাকে অবহেলা করে আসছিল।
রিপোর্টের মাধ্যমে আমার ক্লায়েন্টকে ধর্মের ব্যাপারে অসংবেদনশীল হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চেতনা অনুযায়ী প্রত্যেকেই আইনের দৃষ্টিতে সমান। এজন্য সবার নিরাপত্তায় প্রণীত যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক সিটি ও নিউইয়র্ক স্টেটের বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে উপাসনাকারী ও ভবনের বাসিন্দাদের স্বার্থে। এখানে মসজিদের বিষয়টিকে শুধু দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মসজিদ ছাড়াও ম্যানেজমেন্ট কমিটির সবার বিরুদ্ধেই আইনের আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। সুতরাং এখানে শুধু মসজিদকে টার্গেট করা হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়, তমাল মনসুরের জন্ম একটি মুসলিম পরিবারে, তিনি একজন ধর্মভীরু মুসলিম এবং গত ৩৮ বছর থেকে তিনি ধর্ম পালন করে আসছেন। যিনি ফেডারেল ও স্টেট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই সময়ে তাকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করে তার চারিত্রিক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
২. মি. মনসুর বাংলাদেশের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। তার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কোন ধরনের ব্যবসার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন সম্পর্ক নেই।
তমাল মনসুর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিক্সে বিএ করেছেন। এরপর তিনি মিঃ আজহারুল ইসলামের অধীনে কাজ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কিন্তু বাংলা পত্রিকা’র রিপোর্টে তাকে এমনভাবে উত্থাপন করা হয়েছে যাতে মনে হয় তিনি তার পিতার প্রভাবেই সবকিছু করেছেন। যা তার ইমেজ হননের প্রয়াস। রিপোর্টে মনে হয়েছে এখানে তার ব্যবসার পেছনে পিতা বা পরিবারের প্রভাব রয়েছে যা কোন প্রমাণ ছাড়াই ছাপা হয়েছে। সত্য কথা হচ্ছে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য নিয়ে নিয়ে তিনি তার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে তার পিতার কোন সম্পর্ক নেই।
পত্রিকার রিপোর্টে তার ১২ ইউনিটের কথা যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। এই ১২ ইউনিট ও পার্কিং স্পট সোলারের কাছ থেকে আইকোনিক প্রোপার্টিজ ইনকের ফিনান্সে কেনা হয়েছে। যার মালিক মি তমাল মনসুর নন। এছাড়াও সেখানে যে অর্থের হিসেব দেয়া হয়েছে সঠিক তথ্য নেই। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে আমার ক্লায়েন্ট যা কিছুই করেছেন সেটা তার অভিজ্ঞতা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে।
পরিশেষে বলতে চাই আমার মক্কেল তমাল মনসুরের যা কিছুই আছে তার সাথে বাংলাদেশ বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন যোগাযোগ নেই। তিনি সবই করেছেন তার নিজের যোগ্যতায়।
রিপোর্টে হাফেজ রফিকুল ইসলামের যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে তিনি আমার মক্কেলের পারিবারিক দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করতেই এসব বলেছেন।
পরিশেষে এধরনের একটি রিপোর্ট প্রকাশের জন্য বাংলা পত্রিকাকে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।