বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের উপর আদালতের স্থগিতাদেশ
- প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
- / ৫২৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র রোববারের (২১ অক্টোবর) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের উপর আদলত স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রোববারের নির্বাচন। সোসাইটির এবারের নির্বাচনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের দুজন সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিল হওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের মনোনয়ন বৈধতা এবং অপর একটি প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাপতির মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবীতে রোববারের নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ জারি জন্য সংশ্লিটরা বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) আদালতের স্মরণাপন্ন হন বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ সোসাইটি’র কর্মকর্তারা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) এই মামলার বিরুদ্ধে আপীল ফলে আদালত ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার মামলার নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। এদিকে সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় কমিউনিটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন প্রবাসীরা সোসাইটি নিয়ে মামলা-মোকদ্দার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না এবং এতে সোসাইটি বড় অংকের বারতি খরচের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। অপরদিকে শুক্রবার ব্রুকলীনে অনুষ্টিত‘রব-রুহুল’ প্যানেলের এক সভায় বক্তারা মামলাবাজদের সোসাইটি থেকে বহিষ্কার সহ সামাজিকভাবে বয়কটের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটির রোববারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেল সহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিউইয়র্কের ৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কথা। এজন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্ততিও নিয়েছে।
জানা গেছে, সোসাইটির নির্বাচন বিষয়ে প্রথম আদালতের স্মরণপন্ন হন সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ওসমান চৌধুরী। তিনি গত কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে একটি মামলা করেন (ইনডেক্স নং ৭৮৫০/২০১৮। ওসমান চৌধুরীর মামলা নিষ্পত্তি হতে না হতেই বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান এস এম জামাল ইউ আহমেদ এবং সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ-কে বিবাদী করে গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে মামলা করেন (ইনডেক্স নং ৭৮০৭/২০১৮) আলী আকবর, জিআর চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম নামের তিন সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই মামলার বাদীদের আদালতে দেখা গেলেও সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের দুই সদস্য যথাক্রমে আলী ইমাম শিকদার ও কাজী আজহারুল হক মিলন এবং সোসাইটির বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি ও ‘নন-আলী’ প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাতি পদপ্রার্থী আব্দুর রহীম হাওলাদার-কে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে মামলা এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সোসাইটি কার্যালয়ে কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এতে সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল ইউ আহমেদ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ কার্যকরী কমিটির অধিকাংশ কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জামাল ইউ আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সদস্য/সদস্য, প্রার্থী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের অবগতির জন্য যানাচ্ছি যে, আসন্ন ২১ অক্টোবর-২০১৮ অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু সোসাইটির সম্মানিত সদস্য আলী আকবর, জে আর চৌধুরী এবং শরিফুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুইন্স কাউন্টির মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট ১৮ অক্টোবর-২০১৮ এক আদেশে আসন্ন সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মোশন পিডিটশন দখিল করি। মহামান্য আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে পূর্ব নির্ধারিত ৩০ অক্টোবর-২০১৮ শুনানীর তারিখ বহাল রাখেন। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কশিশন আন্তরিকভাবে দু:খিত।
পরে সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল ইউ আহমেদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে জামাল ইউ আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন শতভাগ নিরপেক্ষ থেকে সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও বাইলজ অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করছে। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে একটি প্যানেলের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন।