নিউইয়র্ক ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশে পুন:নির্বাচনের দাবীতে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৫৬৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুন:নির্বাচনের দাবীতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গত ১৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে এ দাবী জানানো হয়। সমাবেশ চলাকালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। খবর বিএনিউজ’র।
মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলাদেশী আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরাম’ (বাপফ)-এর আয়োজনে সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি আর তামাশাপূর্ণ নির্বাচনে জাতির কষ্ট আরও বাড়বে। শেখ হাসিনা জিদের বশবর্তী হয়ে নির্বাচন করছে ঠিকই কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে দেশও দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন পরিচালনার সাথে জড়িত সকলের সাধারণ মানুষের সাথে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জিদের ফসল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে দেশবাসীর অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সুতরাং আর কখনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের একপেশী আচরণে নির্বাচনে সকল প্রার্থীর জন্য প্রচারের সমান সুযোগ ছিল না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। এতে বিশাল অঙ্কের অর্থের অপচয় করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকবিহীন এই প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের পাতায় ঘৃণিত হয়ে থাকবে।
বক্তারা বলেন, ক্ষমতা ও খুনের নেশায় মাতাল এ সরকার দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব, পুলিশ এবং ছাত্র-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে ভোটের আগের দিন সারা দেশে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বাক্সগুলো ভরপুর রাখে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীনভাবে একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে ত্রাস-ভীত সৃষ্টি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছে সরকার। নূরুল হুদা কমিশন ও কলঙ্কজনক নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দাবী করে বক্তারা বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের মনে কথা বুঝতে চেষ্টা করুন। জোর-জুলুম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয় না, এটাই চিরন্তর সত্য। নির্বাচন তফসিল ঘোষনার পর থেকে সরকারের প্রতিটি কথাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথার প্রতিধ্বনি ছিল। বিশ্ববাসী তা দেখেছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এক দিন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ার দাড়াঁতে হবে। প্রবাস থেকে আমরা ভোট ডাকাতির এই নির্বাচনের ফলাফলকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি। নচেৎ পুরো বিশ্ববাসীকে জানান দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টেমেন্ট ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সদর দপ্তরে স্বারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেন তারা।
প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহমেদ আবু উবাইদা, সাফায়েত হোসাইন সাফা, মাওলানা সিহাব উদ্দিন, আবু জাফর, নাঈম উদ্দিন, মাইনুদ্দীন হাসান।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা পুন:নির্বাচনের দাবিতে শ্লোগান ছিলো: ‘ভোটিং রাইট হিউম্যান রাইট’ রক্তে কেনা স্বাধীনতা রক্ত দিয়ে রাখবো, ধিক- নির্বাচন কমিশন, ধিক দলীয় সরকার প্রধান হাসিনা-ধিক, ভোট ডাকাতির নির্বাচন মানিনা, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ছিল একটি গণতন্ত্রের উপহাস’ ‘সর্বকালের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ নির্বাচন., ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নতুন নির্বাচন চাই, দিতে হবে’ ইত্যাদি। December 30, 2018 Election is a Mockery of Democracy, Hasina Rigged the election and Has no Legitimacy,   December 30, 2018 Biggest Rigged election Ever, Voting Right is Human Right, “We demand fresh election under neutral caretaker Government.

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশে পুন:নির্বাচনের দাবীতে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুন:নির্বাচনের দাবীতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। গত ১৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে এ দাবী জানানো হয়। সমাবেশ চলাকালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। খবর বিএনিউজ’র।
মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলাদেশী আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরাম’ (বাপফ)-এর আয়োজনে সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতি আর তামাশাপূর্ণ নির্বাচনে জাতির কষ্ট আরও বাড়বে। শেখ হাসিনা জিদের বশবর্তী হয়ে নির্বাচন করছে ঠিকই কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে দেশও দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন পরিচালনার সাথে জড়িত সকলের সাধারণ মানুষের সাথে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জিদের ফসল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে দেশবাসীর অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সুতরাং আর কখনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের একপেশী আচরণে নির্বাচনে সকল প্রার্থীর জন্য প্রচারের সমান সুযোগ ছিল না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। এতে বিশাল অঙ্কের অর্থের অপচয় করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকবিহীন এই প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের পাতায় ঘৃণিত হয়ে থাকবে।
বক্তারা বলেন, ক্ষমতা ও খুনের নেশায় মাতাল এ সরকার দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব, পুলিশ এবং ছাত্র-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে ভোটের আগের দিন সারা দেশে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বাক্সগুলো ভরপুর রাখে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীনভাবে একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে ত্রাস-ভীত সৃষ্টি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছে সরকার। নূরুল হুদা কমিশন ও কলঙ্কজনক নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দাবী করে বক্তারা বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের মনে কথা বুঝতে চেষ্টা করুন। জোর-জুলুম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয় না, এটাই চিরন্তর সত্য। নির্বাচন তফসিল ঘোষনার পর থেকে সরকারের প্রতিটি কথাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথার প্রতিধ্বনি ছিল। বিশ্ববাসী তা দেখেছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এক দিন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ার দাড়াঁতে হবে। প্রবাস থেকে আমরা ভোট ডাকাতির এই নির্বাচনের ফলাফলকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি। নচেৎ পুরো বিশ্ববাসীকে জানান দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টেমেন্ট ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সদর দপ্তরে স্বারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেন তারা।
প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহমেদ আবু উবাইদা, সাফায়েত হোসাইন সাফা, মাওলানা সিহাব উদ্দিন, আবু জাফর, নাঈম উদ্দিন, মাইনুদ্দীন হাসান।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা পুন:নির্বাচনের দাবিতে শ্লোগান ছিলো: ‘ভোটিং রাইট হিউম্যান রাইট’ রক্তে কেনা স্বাধীনতা রক্ত দিয়ে রাখবো, ধিক- নির্বাচন কমিশন, ধিক দলীয় সরকার প্রধান হাসিনা-ধিক, ভোট ডাকাতির নির্বাচন মানিনা, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন ছিল একটি গণতন্ত্রের উপহাস’ ‘সর্বকালের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ নির্বাচন., ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নতুন নির্বাচন চাই, দিতে হবে’ ইত্যাদি। December 30, 2018 Election is a Mockery of Democracy, Hasina Rigged the election and Has no Legitimacy,   December 30, 2018 Biggest Rigged election Ever, Voting Right is Human Right, “We demand fresh election under neutral caretaker Government.