নিউইয়র্ক ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস রচনার দাবী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৪৯৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ১৯৭০’র ২২ ফেব্রুয়ারী স্মরণে নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক দিন। কেননা, এদিন ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ছাত্র ইউনিয়নের জনসভায় ১১ দফা কর্মসূচী সম্বলিত প্রচারপত্রে ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা’ ঘোষণা দেয়া হয়। ছাত্র সমাজের যে ঘোষণা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। বক্তারা বলেন, মূলত: ১৯৪৭ সালের পর থেকেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১-এর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আর দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের নেপথ্যের মূল রূপকার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনিই সর্বপ্রথম ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে স্বায়াত্তশাসনের কথা বলেন, স্বাধীনতার কথা বলেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস রচনা করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রকৃত বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে। বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ আন্দোলন আর ৭০-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের ভিত্তিতেই ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। যেকোন মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী সমাজ-এর ব্যানারে ১৯৭০-এর ২২ ফেব্রুয়ারী স্মরণে গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে এই সভার আয়োজন করে। সাবেক ছাত্রনেতা, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সাল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান সালু পরবর্তীকালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক (১৯৭০-১৯৭১) ও সভাপতি (১৯৭২-১৯৭৩) ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আতিকুর রহমান ইউসুফজাই, ডা. ওয়াজেদ এ খান ও লুবনা কাইজার।
সভায় আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু তার দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ থেকে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা প্রতিষ্ঠার ডাক দেয়া হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার। বক্তব্য রাখেন ১৯৬২-এর আইয়ুবের সামরিক শাসন ও শরিফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বিরোধী আন্দোলনের নেতা এবং তৎকালীন শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদ (মরহুম সাবেক প্রধানমন্ত্রী), ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও তৎকালীন উদীয়মান কৃষক নেতা রাশেদ খান মেনন (সাবেক বিমান ও পরিবহন মন্ত্রী) এবং ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহবুবউল্লা (ড. মাহবুবউল্লা)।
ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারীর জনসভার শুরুতে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলার (কর্মসূচী) প্রস্তাবনা পাঠ করার সুযোগ হওয়ার কথা উল্লেখ করে আতিকুর রহমান সালু বলেন, ঐ সভায় স্বাধীন বাংলার পক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সামরিক আদালতে কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেননকে তাদের অনুপস্থিতিতে ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া মোস্তফা জামাল হায়দার ও মাহবুবউল্লাকে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। আমাকে (সালু) পুলিশ হন্য হয়ে খুজে। তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারী পল্টনের জনসভা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক।
আতিকুর রহমান সালু বলেন, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন ছিলো ছাত্র আন্দোলনের ‘নেইম ও ফেইম’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ‘ভ্যান গার্ড’-এর ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, তৎকালীন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান (সাবেক মন্ত্রী), সাদেক হোসেন খোকা (সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র), জসিম উদ্দিন আহমেদ (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি), শিল্পী ফকির আলমগীর, কাজী সিরাজ (সাংবাদিক) প্রমুখ অংশ নেন। তিনি বলেন, ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম জনসভা করে প্রকাশ্যে স্বাধীনতার ডাক দেই।
আতিকুর রহমান সালু বলেন, ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা তথা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল সুর ও আকঙ্খা ছিলো সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল বৈষম্যের অবসান এবং শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজো বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেন, সত্তুরের ২২ ফেব্রুয়ারী আমাদের জাতীয় জীবনের অনন্য দিন, ইতিহাসের বাতিঘর। দেশের চলমান রাজনীতির মত পার্থক্য ও কলুষ রাজনীতি দিয়ে সত্তুরের ২২ ফেব্রুয়ারীকে বিচার করলে চলবে না। ২২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিতহাসের ‘মাইল ফলক’। তাই স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২২ ফেব্রুয়ারী চিরকাল আমাদের পথ দেখাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস রচনার দাবী

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ১৯৭০’র ২২ ফেব্রুয়ারী স্মরণে নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিনটি ঐতিহাসিক দিন। কেননা, এদিন ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ছাত্র ইউনিয়নের জনসভায় ১১ দফা কর্মসূচী সম্বলিত প্রচারপত্রে ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা’ ঘোষণা দেয়া হয়। ছাত্র সমাজের যে ঘোষণা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। বক্তারা বলেন, মূলত: ১৯৪৭ সালের পর থেকেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১-এর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আর দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের নেপথ্যের মূল রূপকার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনিই সর্বপ্রথম ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে স্বায়াত্তশাসনের কথা বলেন, স্বাধীনতার কথা বলেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস রচনা করতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রকৃত বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে। বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ আন্দোলন আর ৭০-এর ছাত্র-গণ আন্দোলনের ভিত্তিতেই ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। যেকোন মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। খবর ইউএনএ’র।
সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী সমাজ-এর ব্যানারে ১৯৭০-এর ২২ ফেব্রুয়ারী স্মরণে গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে এই সভার আয়োজন করে। সাবেক ছাত্রনেতা, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সাল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান সালু পরবর্তীকালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক (১৯৭০-১৯৭১) ও সভাপতি (১৯৭২-১৯৭৩) ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আতিকুর রহমান ইউসুফজাই, ডা. ওয়াজেদ এ খান ও লুবনা কাইজার।
সভায় আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু তার দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ থেকে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা প্রতিষ্ঠার ডাক দেয়া হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার। বক্তব্য রাখেন ১৯৬২-এর আইয়ুবের সামরিক শাসন ও শরিফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বিরোধী আন্দোলনের নেতা এবং তৎকালীন শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদ (মরহুম সাবেক প্রধানমন্ত্রী), ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও তৎকালীন উদীয়মান কৃষক নেতা রাশেদ খান মেনন (সাবেক বিমান ও পরিবহন মন্ত্রী) এবং ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও ১১ দফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহবুবউল্লা (ড. মাহবুবউল্লা)।
ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারীর জনসভার শুরুতে স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলার (কর্মসূচী) প্রস্তাবনা পাঠ করার সুযোগ হওয়ার কথা উল্লেখ করে আতিকুর রহমান সালু বলেন, ঐ সভায় স্বাধীন বাংলার পক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সামরিক আদালতে কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেননকে তাদের অনুপস্থিতিতে ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া মোস্তফা জামাল হায়দার ও মাহবুবউল্লাকে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। আমাকে (সালু) পুলিশ হন্য হয়ে খুজে। তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারী পল্টনের জনসভা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক।
আতিকুর রহমান সালু বলেন, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন ছিলো ছাত্র আন্দোলনের ‘নেইম ও ফেইম’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ‘ভ্যান গার্ড’-এর ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, তৎকালীন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান (সাবেক মন্ত্রী), সাদেক হোসেন খোকা (সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র), জসিম উদ্দিন আহমেদ (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি), শিল্পী ফকির আলমগীর, কাজী সিরাজ (সাংবাদিক) প্রমুখ অংশ নেন। তিনি বলেন, ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম জনসভা করে প্রকাশ্যে স্বাধীনতার ডাক দেই।
আতিকুর রহমান সালু বলেন, ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা তথা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল সুর ও আকঙ্খা ছিলো সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল বৈষম্যের অবসান এবং শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজো বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেন, সত্তুরের ২২ ফেব্রুয়ারী আমাদের জাতীয় জীবনের অনন্য দিন, ইতিহাসের বাতিঘর। দেশের চলমান রাজনীতির মত পার্থক্য ও কলুষ রাজনীতি দিয়ে সত্তুরের ২২ ফেব্রুয়ারীকে বিচার করলে চলবে না। ২২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিতহাসের ‘মাইল ফলক’। তাই স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২২ ফেব্রুয়ারী চিরকাল আমাদের পথ দেখাবে।