নিউইয়র্ক ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৬৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের এক বিস্ময়। একটি অনুন্নত দেখ হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমেরিকার উন্নয়নকেও হার মানিয়েছে। একটি অতি উন্নত দেশ হিসেবে গত বিশ বছরে আমেরিকার উন্নয়নের তুলনায় অনেক বেশী এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামাতের শাসনামলে মাথাপিছু ইনকাম ছিল ৫০ ডলার। এটা এখন তা দুই হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। দলীয় শিক্ষানীতি নয়, একটি জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় সার্বজনীন মানবিক একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। যা দেশে বিদেশে প্রশসংসিত হয়েছে।
নিউইয়র্কে নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। দেশী সিনিয়র সেন্টার পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবর্ধনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অহিদুর রহমান মুক্তা। অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মহি উদ্দীন মহি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত দেশের উন্নয়নের চাকাকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা স্বপরিবারে নিহত করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর চক্রান্তের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি জামাত আবারো ক্ষমতায় এসে দেশে দূর্নীতি ও জঙ্গীবাদের জন্ম দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগকে দেশকে উন্নয়নের এক মহা পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নত দেশের তালিকাতে নিজের অবস্থান নিয়েছে। নারী শিক্ষা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার জাতিসংঘের মানদন্ডে উন্নীত করেছে বাংলাদেশ।
নিজের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেট এক সময় শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে পড়েছিলো। এই অবস্থা এখন অনেকটা কাটিয়ে আনা হয়েছে। আগামীতে সিলেট তার হৃত গৌরব ফিরে পাবে বলে আমরা আশা করছি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শিক্ষাক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। এটা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে একটি রুল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এরই অংশ হিসেবে এখন তিনি দূর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের নজর কাড়লেও দূর্নীতিতে দেশটি আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থা থেকে একটি দূর্নীতিমুক্ত স্বচ্চ সুশাসন জবাবদিহীমুলক সরকার প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেছে সরকার। যার প্রেক্ষিতে এখন বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ধরা হচ্ছে। দূনীতি বিরোধী এই অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য রয়েছে একটি হেলথ ক্লিনিক। যার ফলে এখন যেকোন অসুখবিসুখে যে কেউ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। এর ফলে দেশে অকাল মুত্যুর হার কমেছে। খাদ্যে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ায় এখন মঙ্গা নামের শব্দটি আর শুনা যায় না। এর সাথে সুষম খাদ্য গ্রহনের বিষয়ে গনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে মানুষের গড় আয়ু এখন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিয়ানী বাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল, গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর পক্ষে হেলিম আহমদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাজী আব্দুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস টিটো, কামরুল হক, কমর উদ্দীন, আব্দুল হাসিব, কবির আহমদ চৌধুরী, হেলাল আহমদ, সফর উদ্দীন লোদি, সাব্বির আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, আইরীন পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শামীম আহমদ, ওয়াহিদ পারভেজ ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

নিউইয়র্ক: সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের এক বিস্ময়। একটি অনুন্নত দেখ হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমেরিকার উন্নয়নকেও হার মানিয়েছে। একটি অতি উন্নত দেশ হিসেবে গত বিশ বছরে আমেরিকার উন্নয়নের তুলনায় অনেক বেশী এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামাতের শাসনামলে মাথাপিছু ইনকাম ছিল ৫০ ডলার। এটা এখন তা দুই হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। দলীয় শিক্ষানীতি নয়, একটি জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় সার্বজনীন মানবিক একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। যা দেশে বিদেশে প্রশসংসিত হয়েছে।
নিউইয়র্কে নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। দেশী সিনিয়র সেন্টার পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবর্ধনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অহিদুর রহমান মুক্তা। অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মহি উদ্দীন মহি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত দেশের উন্নয়নের চাকাকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা স্বপরিবারে নিহত করেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর চক্রান্তের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি জামাত আবারো ক্ষমতায় এসে দেশে দূর্নীতি ও জঙ্গীবাদের জন্ম দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগকে দেশকে উন্নয়নের এক মহা পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নত দেশের তালিকাতে নিজের অবস্থান নিয়েছে। নারী শিক্ষা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার জাতিসংঘের মানদন্ডে উন্নীত করেছে বাংলাদেশ।
নিজের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেট এক সময় শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে পড়েছিলো। এই অবস্থা এখন অনেকটা কাটিয়ে আনা হয়েছে। আগামীতে সিলেট তার হৃত গৌরব ফিরে পাবে বলে আমরা আশা করছি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শিক্ষাক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। এটা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে একটি রুল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এরই অংশ হিসেবে এখন তিনি দূর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের নজর কাড়লেও দূর্নীতিতে দেশটি আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থা থেকে একটি দূর্নীতিমুক্ত স্বচ্চ সুশাসন জবাবদিহীমুলক সরকার প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেছে সরকার। যার প্রেক্ষিতে এখন বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ধরা হচ্ছে। দূনীতি বিরোধী এই অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য রয়েছে একটি হেলথ ক্লিনিক। যার ফলে এখন যেকোন অসুখবিসুখে যে কেউ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। এর ফলে দেশে অকাল মুত্যুর হার কমেছে। খাদ্যে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ায় এখন মঙ্গা নামের শব্দটি আর শুনা যায় না। এর সাথে সুষম খাদ্য গ্রহনের বিষয়ে গনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে মানুষের গড় আয়ু এখন আগের চাইতে অনেক বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিয়ানী বাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল, গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর পক্ষে হেলিম আহমদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাজী আব্দুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস টিটো, কামরুল হক, কমর উদ্দীন, আব্দুল হাসিব, কবির আহমদ চৌধুরী, হেলাল আহমদ, সফর উদ্দীন লোদি, সাব্বির আহমদ, খসরুজ্জামান খসরু, আইরীন পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শামীম আহমদ, ওয়াহিদ পারভেজ ।