নিউইয়র্ক ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাড়কে প্রবাসীদের আরো সহযোগিতা কামনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭
  • / ১০৬৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের উন্নয়নের মহাড়ককে আরো এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, অগামী দিনে শুধু নির্বাচনের জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে তার হাতকে শক্তিশালী করতে, তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই সিলেটবাসী তথা দেশের জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারীতে বাংলাদেশে ‘এনআরবি উইক’ পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সমস্যা আর সম্ভানা নিয়ে কথা হবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে শীর্ষ কর্তারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ‘এনআরবি উইক’ সফল করুন, নিজেদের দাবী-দাওয়ার ব্যাপারে আওয়াজ তুলুন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের স্বার্থ বিঘিœত হয় এমন আইন করা হবে না। খবর ইউএনএ’র।
ড. মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রস্থ সিলেট বিভাগীয় আওয়ামী পরিবারের মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৫ জুন সোমবার বিকেলে সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ কাবাব কিং রেষ্টুরেন্ট মিলনায়তনে এই সভার আযোজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি সৈয়দ বসারত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র সভাপতি বদরুল হোসেন খান, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও আব্দুল হাসিব মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, সৈয়দ আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ ও অ্যাডভোকেট এন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা কফিল চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বৃহত্তরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিজক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মাসুদুল হক ছানু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট এম এইচ মতিন, ইভা তালুকদার, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেবুল মিয়া ও রিন্টু লাল দাস, যুবলীগ নেতা শোয়েব আহমদ, আবু তাহের, নাজমুল হোসেন, অলি চৌধুরী, মিজান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, সাগর এম সানু, পংকজ তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, সভার সকল বক্তাই বৃহত্তর সিলেটের প্রবাসী।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মামুন হোসেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ জামাল হোসেন। যুবলীগের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ইফজাল আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বৃহত্তর সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, হবিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকার পক্ষ থেকে ড. মোমেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রস্থ সিলেট বিভাগীয় আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে প্ল্যাক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ইফতারের পূর্বে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন এম এইচ মতিন। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, জকিগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইনক’র সভাপতি মোহাম্মদ আবিদুর রহমান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটার আইডি কন্স্যুলেট থেকে প্রদান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকা মহাড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন, বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার ও সম্প্রসারণ, সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠা, হাওর সহ সকল নদ-নদীর ড্রেজিং করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ড. মোমেনের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা করার পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানান।
সভায় কোন কোন বক্তা বলেন, ড. মোমেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের অভিভাবক। তার অনুপস্থিতে আমাদেরকে এতিম হয়ে হয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে তিনি সারা দিয়েছে দেশে ফিরে গেছেন। তিনি আলোর মতো। তার আলোকিত কর্মকান্ড দিয়ে তিনি সিলেটকে আরো আলোকিত করবেন এই আমাদের কামনা। বক্তরা ড. মোমেনকে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদে আসীন দেখতে চান।
সভায় ড. মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাস্তবাদী মানুষ আখ্যায়িত করে বৃহত্তর সিলেটে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, ‘জাকির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষের বন্ধু। যার ফলে গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের সূচকে ভারতের পরই বাংলাদেশ অবস্থান করছে, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন সেক্টরের কতিপয় দুষ্ট লোকের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে আর ভোগান্তি হচ্ছে জনগণের।
তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং অর্থমন্ত্রীর পরামর্শে সিলেটবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সিলেটের বড় সমস্যা গ্যাস সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পথ অনুসরণ করে সিলেটকে ডিজিটাল শহরে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সদর এলাকার ১১টি স্কুলে আইটি কোর্স চালু করা হয়েছে। শহরে ৩৮৩টি সিসি ক্যামেরা লাগালো হবে। সিলেট-ঢাকা মাহসড়ক চার নয়, ছয় লেনের হবে। ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দর তিন গুণ বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠা করা হবে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সিলেটকে সৌন্দর্য্যরে নগরীতে পরিণত করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাড়কে প্রবাসীদের আরো সহযোগিতা কামনা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের উন্নয়নের মহাড়ককে আরো এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, অগামী দিনে শুধু নির্বাচনের জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে তার হাতকে শক্তিশালী করতে, তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই সিলেটবাসী তথা দেশের জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারীতে বাংলাদেশে ‘এনআরবি উইক’ পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সমস্যা আর সম্ভানা নিয়ে কথা হবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে শীর্ষ কর্তারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ‘এনআরবি উইক’ সফল করুন, নিজেদের দাবী-দাওয়ার ব্যাপারে আওয়াজ তুলুন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের স্বার্থ বিঘিœত হয় এমন আইন করা হবে না। খবর ইউএনএ’র।
ড. মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রস্থ সিলেট বিভাগীয় আওয়ামী পরিবারের মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৫ জুন সোমবার বিকেলে সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ কাবাব কিং রেষ্টুরেন্ট মিলনায়তনে এই সভার আযোজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি সৈয়দ বসারত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র সভাপতি বদরুল হোসেন খান, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ ও আব্দুল হাসিব মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, সৈয়দ আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ ও অ্যাডভোকেট এন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা কফিল চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বৃহত্তরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিজক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মাসুদুল হক ছানু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট এম এইচ মতিন, ইভা তালুকদার, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেবুল মিয়া ও রিন্টু লাল দাস, যুবলীগ নেতা শোয়েব আহমদ, আবু তাহের, নাজমুল হোসেন, অলি চৌধুরী, মিজান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, সাগর এম সানু, পংকজ তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, সভার সকল বক্তাই বৃহত্তর সিলেটের প্রবাসী।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মামুন হোসেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ জামাল হোসেন। যুবলীগের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ইফজাল আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বৃহত্তর সিলেটের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, হবিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকার পক্ষ থেকে ড. মোমেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রস্থ সিলেট বিভাগীয় আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে প্ল্যাক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ইফতারের পূর্বে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন এম এইচ মতিন। এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, জকিগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইনক’র সভাপতি মোহাম্মদ আবিদুর রহমান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা প্রবাসীদের ভোটার আইডি কন্স্যুলেট থেকে প্রদান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকা মহাড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন, বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার ও সম্প্রসারণ, সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠা, হাওর সহ সকল নদ-নদীর ড্রেজিং করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ড. মোমেনের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা করার পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানান।
সভায় কোন কোন বক্তা বলেন, ড. মোমেন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের অভিভাবক। তার অনুপস্থিতে আমাদেরকে এতিম হয়ে হয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে তিনি সারা দিয়েছে দেশে ফিরে গেছেন। তিনি আলোর মতো। তার আলোকিত কর্মকান্ড দিয়ে তিনি সিলেটকে আরো আলোকিত করবেন এই আমাদের কামনা। বক্তরা ড. মোমেনকে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদে আসীন দেখতে চান।
সভায় ড. মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাস্তবাদী মানুষ আখ্যায়িত করে বৃহত্তর সিলেটে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, ‘জাকির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষের বন্ধু। যার ফলে গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের সূচকে ভারতের পরই বাংলাদেশ অবস্থান করছে, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন সেক্টরের কতিপয় দুষ্ট লোকের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে আর ভোগান্তি হচ্ছে জনগণের।
তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং অর্থমন্ত্রীর পরামর্শে সিলেটবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সিলেটের বড় সমস্যা গ্যাস সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পথ অনুসরণ করে সিলেটকে ডিজিটাল শহরে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সদর এলাকার ১১টি স্কুলে আইটি কোর্স চালু করা হয়েছে। শহরে ৩৮৩টি সিসি ক্যামেরা লাগালো হবে। সিলেট-ঢাকা মাহসড়ক চার নয়, ছয় লেনের হবে। ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দর তিন গুণ বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠা করা হবে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সিলেটকে সৌন্দর্য্যরে নগরীতে পরিণত করা হবে।