নিউইয়র্কের সেমিনারে বক্তারা
বাংলাদেশের আইটি খাত থেকে ট্রিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব
- প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
- / ২৭৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): পৃথিবী আইটি যুগে প্রবেশ করেছে। ইউরোপ-আমেরিকা সহ সকল দেশের দৃষ্টি এখন আইটি জগত। এই জগতে বাংলাদেশের আকাশ সহ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের শিক্ষিত তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা গেলে দেশের আইটি খাত থেকে ট্রিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব বলে মনে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। আগামী ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী আইটি খাতে ২৮ মিলিয়ন কর্মীর প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে আইটি খাতে বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ-তরূনীদের সামনে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বেসরকারী পর্যায়ের পাশাপাশি সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় সিটির জ্যামাইকায় আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘আইসিটি ইনোভেশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী এই সেমিনারে বাংলাদেশের আইটি পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের অ্যালটেক্স ও স্পৃহা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিলো আইটি নেটওয়ার্ক সার্ভিস, এনআরবি বিজনেস নেটওয়ার্ক ও আইজে ক্রিয়েটিভ সলিউসন্স। খবর ইউএনএ’র।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের সাম্প্রতি ‘জুলাই বিপ্লব’ আন্দোলনে শহীদ সহ দেশের সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআরবি বিজনেস নেটওয়ার্ক-এর সিইও মোহাম্মদ আনিসুল কবীর জাসির। পরবর্তীতে ¯øাইড শোর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইটি জগতের অবস্থান এবং সম্ভাবনার বিস্তারিত তুলে ধরেন আইটি নেটওয়ার্ক সার্ভিস-এর এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মিজান চৌধুরী এবং ওয়ানমেইন ফাইন্যান্সিয়াল-এর সিনিয়র আইটি বিজনেস এনালিন্স মোহাম্মদ শাফি চৌধুরী। এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন স্পৃহা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক তাজিন শাদিদ ও হেড অব গ্রোথ হালিমা তাস-সাদিয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবপ্রতিষ্ঠিত ইসলামিক স্কুল এলমা একাডেমী’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আইটি সেক্টরে বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে। তবে তা আশানুরূপ নয়। এই সেক্টেরে আরো আরোবিনিয়োগ দরকার এবং দেশের তরুণ-তরুণীদের সম্পৃক্ত করা দরকার। এজন্য প্রয়োজন সকল মহলের সার্বিক সহযেগিতা। বক্তারা বলেন, দিনে দিনে আইটি বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমেরিকার আইটি বাজারে একটি বড় অংশ ভারতীয় তরুণরা দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশর তরুণরাও সেই বাজারে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে পারে। প্রসঙ্গত বক্তারা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব’এর মধ্যদিয়ে দেশের তরুণরা প্রমান করেছে, তারা চাইলে অনেক কিছুই পারে এবং পারবে। এখন সময় শুধু তাদের সহযোগিতা করা।
সেমিনারে আইজে ক্রিয়েটিভ সলিউসন্স-এর সিইও সালমা জাহান, সিওও মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম সনি ছাড়াও বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বাংলাদেশী ছাড়াও আইটি পেশায় আগ্রহী প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, স্পৃহা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ‘কোয়ালিটি এন্ড অ্যাফোর্ডেবল হেলথকেয়ার ফর অল’ শ্লোগান নিয়ে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস-এর যোগদান উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ইংরেজী ম্যাগাজিন ‘দ্যা নিউইয়র্ক এডিটরিয়াল’-এর বিশেষ সংখ্যা তুলে দেয়া হয়।