নিউইয়র্ক ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কমিউনিটি ক্ষমতায়নের নতুন সম্ভাবনায় তরুণ প্রজন্ম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২২৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে ক্ষমতায়নের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। আমেরিকান রাজনীতিতে কমিউনিটিকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসাই তাদের এই উদ্যোগের মুল লক্ষ্য। নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশীরা শুধুই দিয়ে আসছেন। সেই তুলনায় প্রাপ্তির খাতা শুন্য। এই শুন্যতা কাটাতেই এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। কমিউনিটি ক্ষমতায়নের প্রত্যয়ে এজন্য নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হলো ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’(বাপ)। ‘কমিউনিটি পাওয়ার’ শ্লোগানে মূলধারার রাজনীতিকদের উপস্থিতিতে জ্যাকসন হাইটসের কিং কাবাব রেষ্টুরেন্টে গত ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় কেক কেটে ‘বাপ’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে মৌমিতা আহমেদ ও তাহিতুন মারিয়াম-এর যৌথ সঞ্চালনায় ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বাপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাসেল রহমান। এছাড়া নতুন সংগঠনের ভবিষ্যত ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন, নাওরিন আকতার, ডাঃ রায়হান ফারুকী, আরিফ উল্লাহ, শাহানা হানিফ, আবেদা খানম, রায়হান ফারুকী, ইমতিয়াজ হোসেন, রোকসানা আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারদের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিষয়ে নিজের গবেষনা লব্ধ পরিসংখ্যানের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন ডাঃ রায়হান ফারুকী। পরে প্রশ্নত্তোর পর্বে বাপ নেতৃবৃন্দ তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, এশিয়ান আমেরিকান ফাউন্ডেশনের জরিপ মোতাবেক নিউইয়র্ক সিটির ৫ ব্যুরোর মধ্যে কুইন্স বরোতে শতকরা ৬৫ ভাগ, ব্রঙ্কস বরোতে শতকরা ১৬ ভাগ, ব্রুকলীন বরোতে শতকরা ১৫ ভাগ, ম্যানহাটান বরোতে শতকরা ৩ ভাগ আর স্টেটেন আইল্যান্ডে শতকরা এক ভাগ বাংলাদেশী রয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী-আমেরিকানরা নিউইয়র্কের যেকোন নির্বাচনে আগামী দিনে ফ্যাক্টর হবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্যোক্তারা বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশীরা অন্যতম বর্ধিষ্ণু কমিউনিটি। চলতি বছরের জরিপ মোতাবেক নিউইয়র্কে শুধু বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সংখ্যা বাড়ছেই না, পাশাপাশি সিটির বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন অফিস-আদালত ও প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতেও বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশের অবস্থান দৃশ্যমান।
উদ্যোক্তারা বলেন, আমাদের বাপ-দাদা-দাদী, ভাই-বোনেরা বাংলাদেশী রাজনীতির চর্চা করলেও আমরা ঐ রাজনীতি করতে চাই না। আমরা আমেরিকান রাজনীতি করতে চাই।
অনুষ্ঠানে ইউএস কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও’র প্রতিনিধি ছাড়াও নিউইয়র্ক কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীংগার, সিটি কাউন্সিলম্যান ডানিয়েল ড্রম, জিমি ভ্যানব্রেমার,কস্টা,আলেয়া লতিফ, সিনেটর লুইসের প্রতিনিধি নীপা রইস সহ ডেমোক্র্যাট পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংগঠন প্রগতিশীল অন্যান্য গ্রপের সাথে জোট স্থাপনের মাধ্যমে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত কমিউনিটির সাহায্যে বাংলাদেশীদের উজ্জিবিত করবে বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থীদের মধ্যে কংগ্রেস সদস্য প্রার্থী সানিয়াত চৌধুরী ষ্টেট অ্যাসেম্বলী প্রার্থী মেরী জোবায়দা ও জয় চৌধুরী, সিটি কাউন্সিল প্রার্থী শাহানা হানিফকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো থেকে বিপুল সংখ্যক ডেমোক্র্যাট সমর্থক নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি সহ অভিভাবগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাপ নেতৃবৃন্দ জানান, ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্তকরণ, প্রোগ্রেসিভ ভোটিং ব্লক তৈরী, প্রোগ্রেসিভ প্রার্থীকে সমর্থন ও তাদের জয়ী করাল লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
অনুষ্ঠানে ভোটার রেজিষ্ট্রেশন, ভোট প্রদানে উদ্ধুদ্ধকরন, ক্যাম্পেইনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের আমেরিকান রাজনীতিতে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে এই সংগঠন সবাইকে নিয়ে কাজ করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষন ছিলেন, কুইন্স ব্যরো ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী পদে সদ্য প্রতিদ্বন্দ্বী টিফানী কাবান। মুর্হুর্মুহু করতালী আর হর্ষধ্বনীর মধ্যে তিনি তার বক্তব্য রাখেন। টিফানী কাবান বলেন, আমেরিকান রাজনীতিতে নতুন প্রজন্ম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। তরুণ ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে ভালো ফল পাওয়া যায় বিগত নির্বাচনে সেটা প্রমান করেছে। তিনি ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
রাসেল কবীর রহমান জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি। নতুন প্রজন্ম সহ বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অনেকেই আমেরিকান রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু আমাদের কোন প্ল্যাটফরম ছিলো না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের জন্য টিফানী কাবানের সাথে নির্বাচন করতে গিয়ে আমরা বাংলাদেশী-আমেরিকান প্ল্যাটফরম করার তাগিদ অনুভব করি। ঐ নির্বাচনে টিফানী কাবান জয়ী হতে না পরলেও আলোড়ন তুলেছিলেন। আমরা ভোট ব্যাংক তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বাপ আগামী দিনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ভোট ব্যাংক তৈরীতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাপ এখনো প্রার্থীদের এনডোর্সমেন্ট নীতি ফাইনাল করেনি। তাই আমরা অফিসিয়ালী এখনো কাউকে এনডোর্স করতে পারবো না। এজন্য কাজ চলছে। ভবিষ্যতে বাপ সঠিক প্রার্থীকে এডডোর্স করে তাদের জন্য কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন, রাসেল রহমান, অরিফ উল্লাহ, তীর্থ দত্ত, ইফতি চৌধুরী, ইমতিয়াজ হোসেন, জয় চৌধুরী, মৌমিতা আহমেদ, নওরীন আক্তার, মৌমিতা জামান, তাহিতুন মারিয়াম, রায়হান ফারুকী, রিমা বেগম, রোকসানা আলী, শাহানা হানিফ, মেরী জোবায়দা, সানিয়াত চৌধুরী, মারজিয়ান আলম, এনাতলী আশরাফ, আবেদা খানম, শিরহাদ মিয়া, মাহের সাত্তার ও মনজুর আহমেদ।
‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান বলেন, একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি হিসেবে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের এমন উদ্যোগ আগেই নেয়া উচিৎ ছিলো। দেরীতে হলেও আমাদের নতুন প্রজন্মরা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহের ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ ‘বাপ’ এর উদ্যেক্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সময়ের দাবী পূরনে ‘বাপ’ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রগ্রেসিভ ফোরামের খোরশেদ আলম। (বাংলা পত্রিকা )

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কমিউনিটি ক্ষমতায়নের নতুন সম্ভাবনায় তরুণ প্রজন্ম

প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে ক্ষমতায়নের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। আমেরিকান রাজনীতিতে কমিউনিটিকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসাই তাদের এই উদ্যোগের মুল লক্ষ্য। নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশীরা শুধুই দিয়ে আসছেন। সেই তুলনায় প্রাপ্তির খাতা শুন্য। এই শুন্যতা কাটাতেই এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। কমিউনিটি ক্ষমতায়নের প্রত্যয়ে এজন্য নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হলো ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’(বাপ)। ‘কমিউনিটি পাওয়ার’ শ্লোগানে মূলধারার রাজনীতিকদের উপস্থিতিতে জ্যাকসন হাইটসের কিং কাবাব রেষ্টুরেন্টে গত ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় কেক কেটে ‘বাপ’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে মৌমিতা আহমেদ ও তাহিতুন মারিয়াম-এর যৌথ সঞ্চালনায় ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বাপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাসেল রহমান। এছাড়া নতুন সংগঠনের ভবিষ্যত ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন, নাওরিন আকতার, ডাঃ রায়হান ফারুকী, আরিফ উল্লাহ, শাহানা হানিফ, আবেদা খানম, রায়হান ফারুকী, ইমতিয়াজ হোসেন, রোকসানা আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারদের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা বিষয়ে নিজের গবেষনা লব্ধ পরিসংখ্যানের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন ডাঃ রায়হান ফারুকী। পরে প্রশ্নত্তোর পর্বে বাপ নেতৃবৃন্দ তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে, এশিয়ান আমেরিকান ফাউন্ডেশনের জরিপ মোতাবেক নিউইয়র্ক সিটির ৫ ব্যুরোর মধ্যে কুইন্স বরোতে শতকরা ৬৫ ভাগ, ব্রঙ্কস বরোতে শতকরা ১৬ ভাগ, ব্রুকলীন বরোতে শতকরা ১৫ ভাগ, ম্যানহাটান বরোতে শতকরা ৩ ভাগ আর স্টেটেন আইল্যান্ডে শতকরা এক ভাগ বাংলাদেশী রয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী-আমেরিকানরা নিউইয়র্কের যেকোন নির্বাচনে আগামী দিনে ফ্যাক্টর হবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্যোক্তারা বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশীরা অন্যতম বর্ধিষ্ণু কমিউনিটি। চলতি বছরের জরিপ মোতাবেক নিউইয়র্কে শুধু বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সংখ্যা বাড়ছেই না, পাশাপাশি সিটির বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন অফিস-আদালত ও প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতেও বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশের অবস্থান দৃশ্যমান।
উদ্যোক্তারা বলেন, আমাদের বাপ-দাদা-দাদী, ভাই-বোনেরা বাংলাদেশী রাজনীতির চর্চা করলেও আমরা ঐ রাজনীতি করতে চাই না। আমরা আমেরিকান রাজনীতি করতে চাই।
অনুষ্ঠানে ইউএস কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও’র প্রতিনিধি ছাড়াও নিউইয়র্ক কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীংগার, সিটি কাউন্সিলম্যান ডানিয়েল ড্রম, জিমি ভ্যানব্রেমার,কস্টা,আলেয়া লতিফ, সিনেটর লুইসের প্রতিনিধি নীপা রইস সহ ডেমোক্র্যাট পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংগঠন প্রগতিশীল অন্যান্য গ্রপের সাথে জোট স্থাপনের মাধ্যমে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত কমিউনিটির সাহায্যে বাংলাদেশীদের উজ্জিবিত করবে বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থীদের মধ্যে কংগ্রেস সদস্য প্রার্থী সানিয়াত চৌধুরী ষ্টেট অ্যাসেম্বলী প্রার্থী মেরী জোবায়দা ও জয় চৌধুরী, সিটি কাউন্সিল প্রার্থী শাহানা হানিফকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস বরো থেকে বিপুল সংখ্যক ডেমোক্র্যাট সমর্থক নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি সহ অভিভাবগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাপ নেতৃবৃন্দ জানান, ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্তকরণ, প্রোগ্রেসিভ ভোটিং ব্লক তৈরী, প্রোগ্রেসিভ প্রার্থীকে সমর্থন ও তাদের জয়ী করাল লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
অনুষ্ঠানে ভোটার রেজিষ্ট্রেশন, ভোট প্রদানে উদ্ধুদ্ধকরন, ক্যাম্পেইনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের আমেরিকান রাজনীতিতে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে এই সংগঠন সবাইকে নিয়ে কাজ করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষন ছিলেন, কুইন্স ব্যরো ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী পদে সদ্য প্রতিদ্বন্দ্বী টিফানী কাবান। মুর্হুর্মুহু করতালী আর হর্ষধ্বনীর মধ্যে তিনি তার বক্তব্য রাখেন। টিফানী কাবান বলেন, আমেরিকান রাজনীতিতে নতুন প্রজন্ম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। তরুণ ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে ভালো ফল পাওয়া যায় বিগত নির্বাচনে সেটা প্রমান করেছে। তিনি ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
রাসেল কবীর রহমান জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি। নতুন প্রজন্ম সহ বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অনেকেই আমেরিকান রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু আমাদের কোন প্ল্যাটফরম ছিলো না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নী পদের জন্য টিফানী কাবানের সাথে নির্বাচন করতে গিয়ে আমরা বাংলাদেশী-আমেরিকান প্ল্যাটফরম করার তাগিদ অনুভব করি। ঐ নির্বাচনে টিফানী কাবান জয়ী হতে না পরলেও আলোড়ন তুলেছিলেন। আমরা ভোট ব্যাংক তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বাপ আগামী দিনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ভোট ব্যাংক তৈরীতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাপ এখনো প্রার্থীদের এনডোর্সমেন্ট নীতি ফাইনাল করেনি। তাই আমরা অফিসিয়ালী এখনো কাউকে এনডোর্স করতে পারবো না। এজন্য কাজ চলছে। ভবিষ্যতে বাপ সঠিক প্রার্থীকে এডডোর্স করে তাদের জন্য কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন, রাসেল রহমান, অরিফ উল্লাহ, তীর্থ দত্ত, ইফতি চৌধুরী, ইমতিয়াজ হোসেন, জয় চৌধুরী, মৌমিতা আহমেদ, নওরীন আক্তার, মৌমিতা জামান, তাহিতুন মারিয়াম, রায়হান ফারুকী, রিমা বেগম, রোকসানা আলী, শাহানা হানিফ, মেরী জোবায়দা, সানিয়াত চৌধুরী, মারজিয়ান আলম, এনাতলী আশরাফ, আবেদা খানম, শিরহাদ মিয়া, মাহের সাত্তার ও মনজুর আহমেদ।
‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান বলেন, একটি গ্রোয়িং কমিউনিটি হিসেবে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের এমন উদ্যোগ আগেই নেয়া উচিৎ ছিলো। দেরীতে হলেও আমাদের নতুন প্রজন্মরা এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহের ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ ‘বাপ’ এর উদ্যেক্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সময়ের দাবী পূরনে ‘বাপ’ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রগ্রেসিভ ফোরামের খোরশেদ আলম। (বাংলা পত্রিকা )