নিউইয়র্ক ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন : প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রবাসীদের বাংলা বর্ষবরণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৭২১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা নতুন বাংলা বছর ১৪২৫ বরণ করেছে। বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বাংলাদেশী অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। নতুন বছরে নিউইয়র্কে ড্রামা সার্কল, বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব পারফমিংস আর্টস (বিপা), আনন্দধারা, ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি সংগঠনের মনোজ্ঞ আয়োজন ছিলো।
প্রতিবছরের মতো এবছরও বাংলা নববর্ষ পালনে মোটেও ঘাটতি ছিল না এই প্রবাসে। প্রবাসের প্রতিটি পরিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। নিউইয়র্ক সিটি’র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশের সাথে মিল রেখে নতুন বছরকে বরণ করে। নতুন বছরের দিন ১৪ এপ্রিল শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় সিটি বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। আর বৈশাখের প্রথম দিনে মেলা হবে না, তা হবে না, তা হবে না। হোক না সুদূর আমেরিকা। বাংলা নববর্ষের মূল আকর্ষনতো এ বর্ষবরণ নির্ভর মেলাকে কেন্দ্র করে।
প্রতি বছর মহাধুমধামে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কে। এরই অংশ হিসেবে পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনেই বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্রে ছিল বৈশাখী আমেজ। ‘জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন’-জেবিবি’র একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। এর আগে সিটির আরেক বাংলাদেশী অধ্যুষিত ‘ব্রুকলীনেও অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী শোভাযাত্রা। প্রবাসীদের প্রাণের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব পারফমিংস আর্টস-বিপা’র জমকালো এ আয়োজনটি ছিল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ।
এদিকে, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার হোটেলগুলো। লাইন দিয়ে খাবার নিতে দেখা যায় এসব রেস্তোরায়। এসব রেস্তোরায় ইলিশের চাহিদা ছিল সব চেয়ে বেশি। শুটকী-ভর্তাও কম যায় নি। দিনব্যাপী এ উৎসব আয়োজনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সম্পৃক্ত ছিলেন প্রবাসীরা। দেশীয় মালিকানার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বৈশাখী ভোজের পাশাপাশি অনুকুল আবহাওয়া থাকায় দশর্নীয় স্থানগুলো চষে বেড়িয়েছেন কর্মব্যস্ত মানুষগুলো। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ হাজার মাইল দুরে থেকেও দেশের সংস্কৃতিকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীরা।
ড্রামা সার্কল: নিউইয়র্কের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ড্রামা-সার্কলের’ বৈশাখী আয়োজন ছিলো শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে। বাংলা নতুন বছরকে বরণে ঐতিহ্যবাহী ‘পান্তা-ইলিশ’ ভোজ উৎসবে ছিল সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। প্রতিবছরের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা বর্ষ বরণ করেছে ড্রামা সার্কেল। নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে ‘ইলিশ-ভর্তা-ভাত’ ভোজন ছাড়াও ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ ছাড়াও বিশিষ্ট সমাজসেবী ড. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি এম, এম শাহীন, এটর্নী মইন চৌধুরী, উৎসব.কম-এর সিইও রায়হান জামান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বেদারুল ইসলাম বাবলা, ওয়েলকেয়ার-এর সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জন ফাহিম, সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা কাজী, কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক্ট-৫ এর প্রার্থী  মিজান চৌধুরী সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। নৃত্য পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের জেরিন মাইসা সহ প্রিয়া ডায়েস প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন অভিনেতা জাহির মাহমুদ। এছাড়াও ছিলো মনোজ্ঞ ফ্যাশন শো।
কমিউনিটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ-এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ড্রামা সার্কল-কে প্রক্লেমোশন প্রদান করা হয়। সংগঠনের পক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নার্গিস আহমেদ ও সভাপতি আবীর আলমগীর প্রক্লেমেশনটি গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড্রামা সার্কল’র সভাপতি আবীর আলমগীর এবং আদিবা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবাসীদের পান্তা-ইলিশ আর ভর্তা ভাতে আপ্যায়িত করানো হয়। পান্তা-ইলিশ পর্ব উদ্বোধন করেন ডা. মাসুদুল হাসান।
সন্ধ্যা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলে। শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানি উপভোগ করেন। এছাড়া রংবেরং-এর বাহারী পোষাকে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা সহ নারী-পুরুষ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখ হয়ে উঠা পাশাপাশি কুইন্স প্যালেস এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সাল থেকে ড্রামা সার্কল ব্যতিক্রমী আয়োজনে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করে আসছে।

Processed with VSCO with g3 preset

বিপা: প্রবাসের অন্যতম জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্ট (বিপা) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রুকলীন ও এস্টোরিয়ায় বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিপা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে পহেলা বৈশাখের দিন ১৪ এপ্রিল শনিবার ব্রুকলীনের রাস্তায় ছিল নাচ গান আর ঢোলের বাদ্য। বাংলা বর্ষবরণকে স্বাগত জানাতেই এত আয়োজন। ঢাক-ঢোল রকমারী বাজনা-বাজিয়ে পুরানকে বিদায় জানান অংশগ্রহণকারীরা। এতে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বিভিন্ন সাংস্কৃৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ পুরো আয়োজনে এনে দেয় নতুন মাত্রা।
অপরদিকে বিপার আয়োজনে বরাবরের মতো এবারো, কথা ছিল উন্মুক্ত আকাশের নিচেই হবে বৈশাখ উদযাপন। র‌্যালী হবে সড়কে। পথের ধারে মেলা হবে আবার খোলা মঞ্চের নাচ-গানের আয়োজন থাকবে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ‘বাড়া ভাতে পানি দেয়া’র কাজটি সাড়ে। ফলে ইনডোরেই সারতে হয় সব আয়োজন। কুইন্সের এস্টোরিয়াস্থ ‘পিএস হান্ড্রড টুয়েলভ’ স্কুলের বারান্দাতেই বৈশাখের বর্ণাঢ্য ‘শোভাযাত্রায় শুরু হয় ১৫ এপ্রিল রোববার। যাতে  বাঘ, হাতি, হাঁস, নৌকাসহ রকমামি প্রতিকৃতি প্রদর্শনে স্বগাত জানানো হয় নতুন বছরকে। ব্যানার ও ফেস্টুনে রঙ-বেরঙের মুখোশ, পেপার ম্যাশ এবং দেশের ঐতিহ্যবাহি অসাধারণ সব প্রতিকৃতির স্থান পায় এ আনন্দ যাত্রায়। লাল-সাদার মিশেলে জামদানী-টাঙ্গাইল আর ঢাকাই শাড়িতে নারী ও শিশুদের বাহারী সাজ উৎসবে ভিন্ন মাত্রা আনে।
বিপার অনুষ্ঠানমালা আয়োজনে সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন নিলোফার আহমেদ, সেলিমা আশরাফ, এ্যানি ফেরদৌস, জাফর ফেরদৌস, শেখ সিরজুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
আনন্দধ্বনী: এদিকে শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত গানে ও কবিতায় নতুন বছরকে স্বাগত জানায় আনন্দধ্বনি ইউএসএ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এবং চমৎকার আবহাওয়ার কারণে শত শত নারী-পুরুষ সিটির উডসাইডের কুইন্স প্যালেসের এই অনুষ্ঠানে ভিড় জমান। আয়োজকরা তাদের সকালের নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের মন কাড়ে।
আনন্দধ্বনি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অর্ঘ্য সারথী সিকদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমরা বরণ করেছি বাংলা নতুন বছরকে।
সংস্কৃতি কর্মী মিথুন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনন্দধ্বনির অর্ধশতাধিক শিল্পী বাংলাদেশ লোকগীতি, বৈশাখ এবং রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আনন্দধ্বনি’র শিল্পীরা ছাড়াও নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসানসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
জেবিবিএ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে শনিবার (১ বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। স্থানীয় ৩৭ রোডে অনুষ্ঠিত এই বৈশাখী মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপচেভরা ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মেলার উদ্বোধন করেন জেবিবিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ পিয়ার ও আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম। এসময় খান’স টিউটোরিয়াল-এর চেয়ারপার্সন নাঈমা খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার সাংস্কৃতিক পর্বে নতুন প্রজন্ম এবং প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
নিউ আমেরিকান  ওমেন্স ফোরাম ও ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরাম, নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব ও নিউ আমেরিকান ইয়্যুথ ফোরাম যৌথভাবে শনিবার অপরাহ্নে জ্যামাইকার পিএস ৯৫ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো পান্তা-ইলিশ আর ভর্তা ভাত ভোজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন মুলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মো: আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৈশাখী মেলা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক রুবাইয়া রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখের উমেন্স ফেরারামের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, মেলা কমিটির সদস্য সচিব আহনাফ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন উৎপল চৌধুরী এবং পরিচালায় ছিলেন ডালিয়া চৌধুরী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের শিল্পরা ছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, রানো নেওয়াজ প্রমুখ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সহযোগিতায় ছিলেন হুসনে আরা বেগম, শিরিন কামাল, রোমানা জেসমিন, সালমা ফেরদৌস প্রমুখ।
বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন: নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে গত রোববার জমকালো আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ বর্ষবরণ উৎসবেও ছিল নানা আয়োজন। বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়েই শুরু হয় এর মূল আয়োজন। বৈশাখী শোভা যাত্রার (র‌্যালী) উদ্বোধন করেন ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ উদ্বোধন করেন। এর আগে স্থানীয় গোল্ডেন প্যালেসে পান্তা-ইলিশ ভোজনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের ক্যাসেল-হীল ‘গুলশান প্যালেস’র সামনে থেকেই র‌্যালী শুরু হয়। অসহনীয় ঠান্ডা উপক্ষো করে র‌্যালিটি আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন শেষে নির্ধারিত স্থানে এসে পৌঁছায়।
বৈশাখী র‌্যালীতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু, সাধারণ সম্পাদক আহবাব চৌধুরী খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ সহ আব্দুস শহীদ, বদরুজ্জামান রুহেল, রফিকুল ইসলাম, সাদী মিন্টু, জে মোল্লা সানী, জুনেদ এ খান, মনজুর চৌধুরী জগলুল, মখন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন চৌধুরী সহ এন মজুমদার, আব্দুর রহীম বাদশা প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন : প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রবাসীদের বাংলা বর্ষবরণ

প্রকাশের সময় : ০১:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

হককথা ডেস্ক: প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা নতুন বাংলা বছর ১৪২৫ বরণ করেছে। বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বাংলাদেশী অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। নতুন বছরে নিউইয়র্কে ড্রামা সার্কল, বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব পারফমিংস আর্টস (বিপা), আনন্দধারা, ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি সংগঠনের মনোজ্ঞ আয়োজন ছিলো।
প্রতিবছরের মতো এবছরও বাংলা নববর্ষ পালনে মোটেও ঘাটতি ছিল না এই প্রবাসে। প্রবাসের প্রতিটি পরিবার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। নিউইয়র্ক সিটি’র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশের সাথে মিল রেখে নতুন বছরকে বরণ করে। নতুন বছরের দিন ১৪ এপ্রিল শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় সিটি বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। আর বৈশাখের প্রথম দিনে মেলা হবে না, তা হবে না, তা হবে না। হোক না সুদূর আমেরিকা। বাংলা নববর্ষের মূল আকর্ষনতো এ বর্ষবরণ নির্ভর মেলাকে কেন্দ্র করে।
প্রতি বছর মহাধুমধামে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কে। এরই অংশ হিসেবে পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনেই বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্রে ছিল বৈশাখী আমেজ। ‘জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন’-জেবিবি’র একাংশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। এর আগে সিটির আরেক বাংলাদেশী অধ্যুষিত ‘ব্রুকলীনেও অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী শোভাযাত্রা। প্রবাসীদের প্রাণের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইন্সটিউট অব পারফমিংস আর্টস-বিপা’র জমকালো এ আয়োজনটি ছিল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ।
এদিকে, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার হোটেলগুলো। লাইন দিয়ে খাবার নিতে দেখা যায় এসব রেস্তোরায়। এসব রেস্তোরায় ইলিশের চাহিদা ছিল সব চেয়ে বেশি। শুটকী-ভর্তাও কম যায় নি। দিনব্যাপী এ উৎসব আয়োজনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সম্পৃক্ত ছিলেন প্রবাসীরা। দেশীয় মালিকানার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বৈশাখী ভোজের পাশাপাশি অনুকুল আবহাওয়া থাকায় দশর্নীয় স্থানগুলো চষে বেড়িয়েছেন কর্মব্যস্ত মানুষগুলো। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ হাজার মাইল দুরে থেকেও দেশের সংস্কৃতিকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীরা।
ড্রামা সার্কল: নিউইয়র্কের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ড্রামা-সার্কলের’ বৈশাখী আয়োজন ছিলো শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে। বাংলা নতুন বছরকে বরণে ঐতিহ্যবাহী ‘পান্তা-ইলিশ’ ভোজ উৎসবে ছিল সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। প্রতিবছরের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা বর্ষ বরণ করেছে ড্রামা সার্কেল। নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে ‘ইলিশ-ভর্তা-ভাত’ ভোজন ছাড়াও ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ ছাড়াও বিশিষ্ট সমাজসেবী ড. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি এম, এম শাহীন, এটর্নী মইন চৌধুরী, উৎসব.কম-এর সিইও রায়হান জামান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বেদারুল ইসলাম বাবলা, ওয়েলকেয়ার-এর সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জন ফাহিম, সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা কাজী, কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক্ট-৫ এর প্রার্থী  মিজান চৌধুরী সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। নৃত্য পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের জেরিন মাইসা সহ প্রিয়া ডায়েস প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন অভিনেতা জাহির মাহমুদ। এছাড়াও ছিলো মনোজ্ঞ ফ্যাশন শো।
কমিউনিটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ-এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ড্রামা সার্কল-কে প্রক্লেমোশন প্রদান করা হয়। সংগঠনের পক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নার্গিস আহমেদ ও সভাপতি আবীর আলমগীর প্রক্লেমেশনটি গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড্রামা সার্কল’র সভাপতি আবীর আলমগীর এবং আদিবা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবাসীদের পান্তা-ইলিশ আর ভর্তা ভাতে আপ্যায়িত করানো হয়। পান্তা-ইলিশ পর্ব উদ্বোধন করেন ডা. মাসুদুল হাসান।
সন্ধ্যা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলে। শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানি উপভোগ করেন। এছাড়া রংবেরং-এর বাহারী পোষাকে শিশু-কিশোর-কিশোরীরা সহ নারী-পুরুষ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখ হয়ে উঠা পাশাপাশি কুইন্স প্যালেস এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সাল থেকে ড্রামা সার্কল ব্যতিক্রমী আয়োজনে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করে আসছে।

Processed with VSCO with g3 preset

বিপা: প্রবাসের অন্যতম জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্ট (বিপা) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রুকলীন ও এস্টোরিয়ায় বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিপা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে পহেলা বৈশাখের দিন ১৪ এপ্রিল শনিবার ব্রুকলীনের রাস্তায় ছিল নাচ গান আর ঢোলের বাদ্য। বাংলা বর্ষবরণকে স্বাগত জানাতেই এত আয়োজন। ঢাক-ঢোল রকমারী বাজনা-বাজিয়ে পুরানকে বিদায় জানান অংশগ্রহণকারীরা। এতে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বিভিন্ন সাংস্কৃৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ পুরো আয়োজনে এনে দেয় নতুন মাত্রা।
অপরদিকে বিপার আয়োজনে বরাবরের মতো এবারো, কথা ছিল উন্মুক্ত আকাশের নিচেই হবে বৈশাখ উদযাপন। র‌্যালী হবে সড়কে। পথের ধারে মেলা হবে আবার খোলা মঞ্চের নাচ-গানের আয়োজন থাকবে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ‘বাড়া ভাতে পানি দেয়া’র কাজটি সাড়ে। ফলে ইনডোরেই সারতে হয় সব আয়োজন। কুইন্সের এস্টোরিয়াস্থ ‘পিএস হান্ড্রড টুয়েলভ’ স্কুলের বারান্দাতেই বৈশাখের বর্ণাঢ্য ‘শোভাযাত্রায় শুরু হয় ১৫ এপ্রিল রোববার। যাতে  বাঘ, হাতি, হাঁস, নৌকাসহ রকমামি প্রতিকৃতি প্রদর্শনে স্বগাত জানানো হয় নতুন বছরকে। ব্যানার ও ফেস্টুনে রঙ-বেরঙের মুখোশ, পেপার ম্যাশ এবং দেশের ঐতিহ্যবাহি অসাধারণ সব প্রতিকৃতির স্থান পায় এ আনন্দ যাত্রায়। লাল-সাদার মিশেলে জামদানী-টাঙ্গাইল আর ঢাকাই শাড়িতে নারী ও শিশুদের বাহারী সাজ উৎসবে ভিন্ন মাত্রা আনে।
বিপার অনুষ্ঠানমালা আয়োজনে সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন নিলোফার আহমেদ, সেলিমা আশরাফ, এ্যানি ফেরদৌস, জাফর ফেরদৌস, শেখ সিরজুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
আনন্দধ্বনী: এদিকে শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত গানে ও কবিতায় নতুন বছরকে স্বাগত জানায় আনন্দধ্বনি ইউএসএ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এবং চমৎকার আবহাওয়ার কারণে শত শত নারী-পুরুষ সিটির উডসাইডের কুইন্স প্যালেসের এই অনুষ্ঠানে ভিড় জমান। আয়োজকরা তাদের সকালের নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের মন কাড়ে।
আনন্দধ্বনি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অর্ঘ্য সারথী সিকদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমরা বরণ করেছি বাংলা নতুন বছরকে।
সংস্কৃতি কর্মী মিথুন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আনন্দধ্বনির অর্ধশতাধিক শিল্পী বাংলাদেশ লোকগীতি, বৈশাখ এবং রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আনন্দধ্বনি’র শিল্পীরা ছাড়াও নিউইয়র্কের জনপ্রিয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসানসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
জেবিবিএ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে শনিবার (১ বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল) দুপুরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। স্থানীয় ৩৭ রোডে অনুষ্ঠিত এই বৈশাখী মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপচেভরা ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মেলার উদ্বোধন করেন জেবিবিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ পিয়ার ও আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম। এসময় খান’স টিউটোরিয়াল-এর চেয়ারপার্সন নাঈমা খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী সহ সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার সাংস্কৃতিক পর্বে নতুন প্রজন্ম এবং প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
নিউ আমেরিকান  ওমেন্স ফোরাম ও ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে নিউ আমেরিকান ওমেন্স ফোরাম, নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব ও নিউ আমেরিকান ইয়্যুথ ফোরাম যৌথভাবে শনিবার অপরাহ্নে জ্যামাইকার পিএস ৯৫ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো পান্তা-ইলিশ আর ভর্তা ভাত ভোজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন মুলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মো: আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৈশাখী মেলা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক রুবাইয়া রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখের উমেন্স ফেরারামের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, মেলা কমিটির সদস্য সচিব আহনাফ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন উৎপল চৌধুরী এবং পরিচালায় ছিলেন ডালিয়া চৌধুরী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের শিল্পরা ছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, রানো নেওয়াজ প্রমুখ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সহযোগিতায় ছিলেন হুসনে আরা বেগম, শিরিন কামাল, রোমানা জেসমিন, সালমা ফেরদৌস প্রমুখ।
বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন: নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে গত রোববার জমকালো আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ বর্ষবরণ উৎসবেও ছিল নানা আয়োজন। বৈশাখী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়েই শুরু হয় এর মূল আয়োজন। বৈশাখী শোভা যাত্রার (র‌্যালী) উদ্বোধন করেন ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ উদ্বোধন করেন। এর আগে স্থানীয় গোল্ডেন প্যালেসে পান্তা-ইলিশ ভোজনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের ক্যাসেল-হীল ‘গুলশান প্যালেস’র সামনে থেকেই র‌্যালী শুরু হয়। অসহনীয় ঠান্ডা উপক্ষো করে র‌্যালিটি আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন শেষে নির্ধারিত স্থানে এসে পৌঁছায়।
বৈশাখী র‌্যালীতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু, সাধারণ সম্পাদক আহবাব চৌধুরী খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ সহ আব্দুস শহীদ, বদরুজ্জামান রুহেল, রফিকুল ইসলাম, সাদী মিন্টু, জে মোল্লা সানী, জুনেদ এ খান, মনজুর চৌধুরী জগলুল, মখন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন চৌধুরী সহ এন মজুমদার, আব্দুর রহীম বাদশা প্রমুখ।