নিউইয়র্ক ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও স্মারক বক্তৃতা ৯ সেপ্টেম্বর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ১৪৬৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২০১৭’। জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিব্য যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত এবারের সম্মেলনের বিষয় হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের গ্রাম’। এতে স্মারক বক্তা থাকবেন জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. নজরুল ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত করতে পরিষদ অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অনুষ্ঠানের চমৎকারিত্ব হলো এর বক্তা একজন এবং বক্তব্যের প্রতিপাদ্য হলো ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’। এবারকার স্মারক বক্তৃতার বিষয় হচ্ছে: ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের গ্রাম’ এবং বক্তৃতা দেবেন জাতিসংঘে কর্মরত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত পঞ্চম বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২০১৭ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টার অডিটোরিয়ামে। প্রথম থেকে চতুর্থ ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও স্মারক বক্তৃতা’’ সফল হবার পর এবার পঞ্চম সম্মেলন। বঙ্গবন্ধু’র ওপর বিশেষজ্ঞদের একক বক্তৃতা সুধীমহলে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। সেই আলোকে এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা এবং এটি অনুষ্ঠিত হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের এস্টোরিয়াস্থ ক্লাব সনম-এ অনুষ্ঠিত প্রথম অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা ছিলেন প্রফেসর মুনতাসির মামুন। জ্যাকসন হাইটসের পালকি সেন্টারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর। তৃতীয় ও চতুর্থ সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন যথাক্রমে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লে: কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহীর (বীর প্রতিক) এবং টিভি ব্যক্তিত্ব, কলামিষ্ট বেলাল বেগ।
এক বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি ড. নূরুন নবী ও সাধারণ সম্পাদক শিতাংশু গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচেছিলেন। এই সামান্য সময়ের মধ্যে তিনি বাঙ্গালীকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেন। একজন মানুষের কাছে, বাঙ্গালীর আর কি চাই? আমরা নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসে যে কথা বলতে পারছি, তাও তারই জন্যে, তিনি আমাদের একটি সবুজ পাসপোর্ট দিয়েছিলেন বলেই? বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত  আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইগুলো এখন প্রকাশিত হয়েছে। ‘জাতির জনক’-কে জানতে এই বইগুলো পড়ার জন্যে পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিন্দুকেরা বারবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইলেও ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরভাস্মর থাকবেন। বঙ্গবন্ধু স্মারক বতৃতায় আমরা ‘জাতির জনক’-কে জানতে চেষ্টা করি। এবারের বক্তা ড. নজরুল নিশ্চয় আমাদের অনেক নুতন তথ্য দেবেন। শ্রোতারা গভীর মনোনিবেশ সহকারে তার কথা শুনবেন। এবার পঞ্চম  ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃৃতা-৫’ অনুষ্ঠানমালা। সবার সহযোগিতায় এটা চলবে। বঙ্গবন্ধু যত শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশ তত এগিয়ে যাবে; জামাত-হেফাজত বা স্বাধীনতা বিরোধীরা দুর্বল হবে, যুদ্বাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে, বাঙালী উন্নত জাতিতে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যেই দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও স্মারক বক্তৃতা ৯ সেপ্টেম্বর

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউইয়র্ক: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২০১৭’। জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিব্য যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত এবারের সম্মেলনের বিষয় হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের গ্রাম’। এতে স্মারক বক্তা থাকবেন জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. নজরুল ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানটি নিয়মিত করতে পরিষদ অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অনুষ্ঠানের চমৎকারিত্ব হলো এর বক্তা একজন এবং বক্তব্যের প্রতিপাদ্য হলো ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’। এবারকার স্মারক বক্তৃতার বিষয় হচ্ছে: ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের গ্রাম’ এবং বক্তৃতা দেবেন জাতিসংঘে কর্মরত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত পঞ্চম বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা-২০১৭ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টার অডিটোরিয়ামে। প্রথম থেকে চতুর্থ ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও স্মারক বক্তৃতা’’ সফল হবার পর এবার পঞ্চম সম্মেলন। বঙ্গবন্ধু’র ওপর বিশেষজ্ঞদের একক বক্তৃতা সুধীমহলে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। সেই আলোকে এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা এবং এটি অনুষ্ঠিত হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের এস্টোরিয়াস্থ ক্লাব সনম-এ অনুষ্ঠিত প্রথম অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা ছিলেন প্রফেসর মুনতাসির মামুন। জ্যাকসন হাইটসের পালকি সেন্টারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর। তৃতীয় ও চতুর্থ সম্মেলনে স্মারক বক্তা ছিলেন যথাক্রমে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লে: কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহীর (বীর প্রতিক) এবং টিভি ব্যক্তিত্ব, কলামিষ্ট বেলাল বেগ।
এক বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি ড. নূরুন নবী ও সাধারণ সম্পাদক শিতাংশু গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচেছিলেন। এই সামান্য সময়ের মধ্যে তিনি বাঙ্গালীকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেন। একজন মানুষের কাছে, বাঙ্গালীর আর কি চাই? আমরা নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসে যে কথা বলতে পারছি, তাও তারই জন্যে, তিনি আমাদের একটি সবুজ পাসপোর্ট দিয়েছিলেন বলেই? বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত  আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইগুলো এখন প্রকাশিত হয়েছে। ‘জাতির জনক’-কে জানতে এই বইগুলো পড়ার জন্যে পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিন্দুকেরা বারবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইলেও ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরভাস্মর থাকবেন। বঙ্গবন্ধু স্মারক বতৃতায় আমরা ‘জাতির জনক’-কে জানতে চেষ্টা করি। এবারের বক্তা ড. নজরুল নিশ্চয় আমাদের অনেক নুতন তথ্য দেবেন। শ্রোতারা গভীর মনোনিবেশ সহকারে তার কথা শুনবেন। এবার পঞ্চম  ‘বঙ্গবন্ধু সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃৃতা-৫’ অনুষ্ঠানমালা। সবার সহযোগিতায় এটা চলবে। বঙ্গবন্ধু যত শক্তিশালী হবে, বাংলাদেশ তত এগিয়ে যাবে; জামাত-হেফাজত বা স্বাধীনতা বিরোধীরা দুর্বল হবে, যুদ্বাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে, বাঙালী উন্নত জাতিতে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যেই দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।