নিউইয়র্ক ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বঙ্গবন্ধু’র পলাতক হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ‘গণস্বাক্ষর’ সংগ্রহের বিশেষ আহবান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৬৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এবং যথাযথ মর্যাদায় ৫০তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। এই বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলেন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বর্ণাঢ্য জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থান হতো না। তিনি আরো বলেন, এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ৫০তম বিজয় দিবসের সম্মিলন বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় একটি সময়। আমাদের বিজয় অর্জনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় অবদানসহ জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিপীড়িত মা-বোনদের অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। কনসাল জেনারেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র যোগ্য নেতৃত্বে সবাইকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ জানান কনসাল জেনারেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘ভিশন-২০২১’,‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেও সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যসমূহে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করেন। তিনি আমেরিকায় ভোটাধিকারপ্রাপ্ত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের হত্যাকারীদের ও যে সকল মানবতাবিরোধী অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য এবং বিচারের রায় কার্যকরের জোরালো দাবী সম্বলিত ‘গণস্বাক্ষর’ নিউইয়র্ক রাজ্যের রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করার জন্য বাংলাদেশী-আমেরিকানদের বিশেষ আহবান জানান।
বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত

অনুষ্ঠান শেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যবৃন্দ, শহীদ বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, করোনা ভাইরাসজনিত কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী-আমেরিকান ভাই-বোনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পরিশেষে, কনস্যুলেটে সদ্য যোগদানকৃত ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। নিউইয়র্কে করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে স্বাগতিক দেশের বিধি-বিধান প্রতিপালন করে কনস্যুলেটে এই দিবসটি পালন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধু’র পলাতক হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ‘গণস্বাক্ষর’ সংগ্রহের বিশেষ আহবান

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এবং যথাযথ মর্যাদায় ৫০তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। এই বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলেন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বর্ণাঢ্য জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থান হতো না। তিনি আরো বলেন, এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ৫০তম বিজয় দিবসের সম্মিলন বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় একটি সময়। আমাদের বিজয় অর্জনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় অবদানসহ জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিপীড়িত মা-বোনদের অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। কনসাল জেনারেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র যোগ্য নেতৃত্বে সবাইকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ জানান কনসাল জেনারেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘ভিশন-২০২১’,‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেও সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যসমূহে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করেন। তিনি আমেরিকায় ভোটাধিকারপ্রাপ্ত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের হত্যাকারীদের ও যে সকল মানবতাবিরোধী অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য এবং বিচারের রায় কার্যকরের জোরালো দাবী সম্বলিত ‘গণস্বাক্ষর’ নিউইয়র্ক রাজ্যের রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করার জন্য বাংলাদেশী-আমেরিকানদের বিশেষ আহবান জানান।
বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত

অনুষ্ঠান শেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যবৃন্দ, শহীদ বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, করোনা ভাইরাসজনিত কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী-আমেরিকান ভাই-বোনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পরিশেষে, কনস্যুলেটে সদ্য যোগদানকৃত ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। নিউইয়র্কে করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে স্বাগতিক দেশের বিধি-বিধান প্রতিপালন করে কনস্যুলেটে এই দিবসটি পালন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।