নিউইয়র্ক ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জ্যামাইকায় প্রস্তুতি সভা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩৯০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে জ্যামাইকায় সভা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে আয়োজিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল প্রবাসীদের সমন্বয়ে ব্যাপক আয়োজনে আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য প্রাথমিক আলোচনায় কতিপয় প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। কমিউনিটি নেতা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির আলী খান পলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভাটি যৌথভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর ও কবীর কিরণ। খবর ইউএনএ’র।
সভায় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান, ড. মহসীন পাটোয়ারী, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক নিনি ওয়াহিদ, লেখক-কলমিষ্ট হাসান ফেরদৌস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা এমাদ চৌধুরী, ফার্মাসিস্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, প্রবীণ প্রবাসী ছদরুন নূর, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. টমাস দুলু রায়, মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিক মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, মমতাজ শাহনাজ, সাংবাকি হাকিকুল ইসলাম খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আমিনুল ইসলাম চুন্ন, খান শওকত, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, নিলুফার খান, চঞ্চল, সেবুল মিয়া প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ও সমাজসেবী আনোয়ার হোসেন, এম এ ইসলাম, আনাফ আলম, মর্তুজা কামাল সিদ্দিকী, রোমানা ইসলাম, আতিকুর রহমান, সুদীপ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, পঙ্কজ তালুকদার, রূপা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাসির আলী খান পল। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট এবং প্রাথমিক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেন, আমরা ব্যাপক আয়োজনে সকল প্রবাসী বাঙালীদের নিয়ে জ্যামাইকায় দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে চাই। এজন্য প্রাথমিকভাবে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করার পর সার্বিক আয়োজনের জন্য এই প্রথম প্রস্তুতি সভা আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার ব্যয় হবে। অনুষ্ঠানটি সফল করতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল দল ও মতের উর্ধ্বে রেখে বাংলাদেশ আর দেশের জনগণের নেতা হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি যথাযথ সম্মান প্রদানের মধ্য দিয়ে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, আমরা কাউকে যথাযথভাবে সম্মান জানাতে না পারলেও কাউকে অপমান অপমান না করি। বক্তরা বলেন, অনুষ্ঠানটি জ্যামাইকায় আয়োজিত হলেও এটি যেনো জ্যাাইকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুষ্ঠানে পরিণত না হয়। অনুষ্ঠানটি হতে হবে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদেও অনুষ্ঠান। আর তাহলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে। কেননা, বঙ্গবন্ধু কোন একক দল বা গোষ্ঠীর নয়, বঙ্গবন্ধু সবার, সকল বাংলাদেশীর, সকল বাঙালীর নেতা।
সভায় কোন কোন বক্তা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান কোন গতানুগতিক অনুষ্ঠান হলে চলবে না। অনুষ্ঠানটি হতে হবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল প্রবাসীর অনুষ্ঠান। বিশ্ব দরবারে তাঁকে তুলে ধরার অনুষ্ঠান। সই সাথে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ম্যাসেজ দিতে হবে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথায়ত সম্মান জানাতে হবে। বক্তারা বলেন, এতে অন্যকোন দল বা মতের মানুষের স্থান যাতে না হয় বা কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যাপক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যেমন অর্থের প্রয়োজন, তেমনী কোন স্বাধীনতা বিরোধী কেউ যেনো এই সুযোগ নিতে না পারে সেব্যাপারেও লক্ষ্য রাখতে হবে। বক্তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে সুন্দও ও সফল অনুষ্ঠান করে প্রবাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে শত ফুট দীর্ঘ কেক কাটা, ¯øাইড শোর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা, বর্ণাঢ্য র‌্যালী, মিনি ম্যারাথন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের নানা প্রতিযোগিতা ও সমাবেশ, প্রবাসে বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, আলোচনা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী প্রভৃতি অনুষ্ঠান বা কর্মকান্ড অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জ্যামাইকায় প্রস্তুতি সভা

প্রকাশের সময় : ০১:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে জ্যামাইকায় সভা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে আয়োজিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল প্রবাসীদের সমন্বয়ে ব্যাপক আয়োজনে আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য প্রাথমিক আলোচনায় কতিপয় প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। কমিউনিটি নেতা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির আলী খান পলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভাটি যৌথভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর ও কবীর কিরণ। খবর ইউএনএ’র।
সভায় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান, ড. মহসীন পাটোয়ারী, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক নিনি ওয়াহিদ, লেখক-কলমিষ্ট হাসান ফেরদৌস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা এমাদ চৌধুরী, ফার্মাসিস্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, প্রবীণ প্রবাসী ছদরুন নূর, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. টমাস দুলু রায়, মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিক মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, মমতাজ শাহনাজ, সাংবাকি হাকিকুল ইসলাম খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আমিনুল ইসলাম চুন্ন, খান শওকত, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, নিলুফার খান, চঞ্চল, সেবুল মিয়া প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর ও সমাজসেবী আনোয়ার হোসেন, এম এ ইসলাম, আনাফ আলম, মর্তুজা কামাল সিদ্দিকী, রোমানা ইসলাম, আতিকুর রহমান, সুদীপ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, পঙ্কজ তালুকদার, রূপা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাসির আলী খান পল। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট এবং প্রাথমিক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেন, আমরা ব্যাপক আয়োজনে সকল প্রবাসী বাঙালীদের নিয়ে জ্যামাইকায় দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে চাই। এজন্য প্রাথমিকভাবে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করার পর সার্বিক আয়োজনের জন্য এই প্রথম প্রস্তুতি সভা আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার ব্যয় হবে। অনুষ্ঠানটি সফল করতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল দল ও মতের উর্ধ্বে রেখে বাংলাদেশ আর দেশের জনগণের নেতা হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি যথাযথ সম্মান প্রদানের মধ্য দিয়ে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, আমরা কাউকে যথাযথভাবে সম্মান জানাতে না পারলেও কাউকে অপমান অপমান না করি। বক্তরা বলেন, অনুষ্ঠানটি জ্যামাইকায় আয়োজিত হলেও এটি যেনো জ্যাাইকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুষ্ঠানে পরিণত না হয়। অনুষ্ঠানটি হতে হবে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদেও অনুষ্ঠান। আর তাহলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে। কেননা, বঙ্গবন্ধু কোন একক দল বা গোষ্ঠীর নয়, বঙ্গবন্ধু সবার, সকল বাংলাদেশীর, সকল বাঙালীর নেতা।
সভায় কোন কোন বক্তা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান কোন গতানুগতিক অনুষ্ঠান হলে চলবে না। অনুষ্ঠানটি হতে হবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল প্রবাসীর অনুষ্ঠান। বিশ্ব দরবারে তাঁকে তুলে ধরার অনুষ্ঠান। সই সাথে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ম্যাসেজ দিতে হবে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথায়ত সম্মান জানাতে হবে। বক্তারা বলেন, এতে অন্যকোন দল বা মতের মানুষের স্থান যাতে না হয় বা কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যাপক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যেমন অর্থের প্রয়োজন, তেমনী কোন স্বাধীনতা বিরোধী কেউ যেনো এই সুযোগ নিতে না পারে সেব্যাপারেও লক্ষ্য রাখতে হবে। বক্তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে সুন্দও ও সফল অনুষ্ঠান করে প্রবাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে শত ফুট দীর্ঘ কেক কাটা, ¯øাইড শোর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা, বর্ণাঢ্য র‌্যালী, মিনি ম্যারাথন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের নানা প্রতিযোগিতা ও সমাবেশ, প্রবাসে বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, আলোচনা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী প্রভৃতি অনুষ্ঠান বা কর্মকান্ড অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেন।