নিউইয়র্ক ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘প্রধানমন্ত্রী নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৩৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ১০০ ইকোনমিক জোন স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ২১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার (২০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে স্পিকার এ মন্তব্য করেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের গন্ডি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নেও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। তৃণমূলের নারীদের উন্নয়নও এখন দৃশ্যমান।
সিনেটরদের সঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধরী
সাক্ষাৎকালে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার, নারী ক্ষমতায়ন, তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন স্কলারশীপ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশীরা নিউইয়র্ক সিটিতে বড় অবদান রেখে চলেছেন উল্লেখ করে লুইস সেপুলভেদা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রাখতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন বলে স্পিকারকে জানান তিনি।
এ সময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তৈরী পোশাক ও খাদ্যপণ্য আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য সিনেটর জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, কেভিন এ পার্কার এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক জাগরণ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

‘প্রধানমন্ত্রী নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন’

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ১০০ ইকোনমিক জোন স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ২১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার (২০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটর লুইস সেপুলভেদার নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে স্পিকার এ মন্তব্য করেন।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের গন্ডি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নেও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। তৃণমূলের নারীদের উন্নয়নও এখন দৃশ্যমান।
সিনেটরদের সঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধরী
সাক্ষাৎকালে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়, বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার, নারী ক্ষমতায়ন, তৈরী পোশাকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন স্কলারশীপ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশীরা নিউইয়র্ক সিটিতে বড় অবদান রেখে চলেছেন উল্লেখ করে লুইস সেপুলভেদা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রাখতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন বলে স্পিকারকে জানান তিনি।
এ সময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তৈরী পোশাক ও খাদ্যপণ্য আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য সিনেটর জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি, কেভিন এ পার্কার এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক জাগরণ)