নেতা-কর্মীরা চাইলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই
- প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭
- / ১১৯১ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বিশিষ্ট রাজনীতিক, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন আমাদের বাঙালী জাতিসত্তার শেকড় আর মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, গৌরব। যে গৌরবের বীর সেনানী, ‘জাতির জনক’ স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর জনসেবাই আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে দেশে-প্রবাসে ছড়িয়ে দিতে আমি বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, বিএনপি-জামায়াতের চরম বিরোধীতার পরও দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে, জাতিসংঘসহ বহি:বিশ্বের বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য যেখানে জনসেবা। সেই লক্ষ্যে দেশ পেরিয়ে প্রবাসেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করে চলেছি। ইতিপূর্বে নিজ উপজেলা ও জাতীয় সংসদের সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর-কোম্পানীগঞ্জ) থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচিত হয়েছি, জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি, রাজনীতি করার উৎসাহ পেয়েছি। যে উৎসাহ-উদ্দীপনা আমার আগামী দিনের রাজনীতির পাথেয় হয়ে থাকবে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ)-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ উপরোক্ত কথা বলেন। ইউএনএ’র সাথে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান এবং মায়ানমারের নির্যাতিত-নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের মানবতার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানকে সময়োচিত ও যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ ও প্রবাস জীবনের রাজনীতি সম্পর্কে ফারুক আহমেদ বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। সেই রাজনীতির ধারাবাহিকতায় প্রবাসেও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতাভাবে জড়িয়ে আছি। যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমার শ্রম, মেধা আর যোগ্যতায় দল আমাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরাতন বড় রাজনৈতিক দল। বলতে দ্বিধা নেই, সেকারণেই দেশের মতো এই প্রবাসেও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতা স্বাভাবিক। সেই প্রতিযোগিতার রেশ ধরেই কেউ কেউ কারো প্রতি এমন আচরণ করেন যা প্রতিহিংসায় পরিণত হয়। কিন্তু আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি না করলেও কারণে-অকারণে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পড়ি। যা আমাকে ব্যথিত করে। তিনি বলেন, দেশ ও প্রবাসে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমার ঈর্ষনীয় সাফল্যের কারণে কেউ কেউ বিরোধীতা করছেন, অপ্রপ্রচার চালাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান এবং তাঁর নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে ফারুক আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এবারের নিউইয়র্ক সফর ঐতিহাসিক সফর হয়েছে। কেননা, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রধানন্ত্রীর ভাষণ ও ৫ দফা প্রস্তাব সহ সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ ও নিউইয়র্ক সফরের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘসহ বহি:বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উজ্জল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সম্বর্ধনাও সফল হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ফারুক আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশ ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর পরিকল্পনাও এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে ফারুক আহমেদ বলেন, একথা সত্য বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সংগঠনের কাউন্সিল হচ্ছে না। দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। এটা সবার দাবী। আমরা আমরা আশা করছি সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে নিয়ে সুন্দর কাউন্সিল উপহার দিতে পারবো। এজন্য আগামী ৯ অক্টোবর কার্যকরী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে এবং ঐ সভায় কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করছি। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। তাই দল যদি মনে করে, নেতা-কর্মীরা যদি চান তাহলে আগামী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। তারপরও বলবো, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেই দায়িত্ব পালন করবো। আমার কাছে পদের চেয়ে দল বড়। তবে কাজ করতে হলে পদ-পদবী দরকার। আর যোগ্য লোক, যোগ্য পদে না থাকলে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা যায় না। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আগামী কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যোগ্য পদে যোগ্য নেতৃত্বই প্রতিষ্টিত হবে বলে আশা করছি।