নিউইয়র্ক ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কারো নাম ও লগো ব্যবহারের অধিকার নেই : ৩০ অক্টোবর অভিষেক ॥ নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৫০৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নিউইয়র্ক-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কারো নাম ও লগো ব্যবহারের অধিকার নেই। আর যেদি কেউ আদলতের আদেশ অমান্য করে জেবিবিএ’র নাম লগো ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি বহাল থাকার পর সাধারণ সভা ডাকারও কোন সুযোগ নেই। সাধারণ সভা ডাকতে হলে কার্যকরী পরিষদই ডাকবে। এদিকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জেবিবিএ’র নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টারা হলেন জাকারিয়া মাসুদ জিকো, মোহাম্মদ মাহবুব এ চৌধুরী, তারেক হাসান খান, আনোয়ার হোসেন ও এডভোকেট জাকির এইচ মিয়া। অপরদিকে আগামী ৩০ অক্টোবর জেবিবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটসে শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দরা উপরোক্ত তথ্য জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু। এরপর সভাপতি শাহ নেওয়াজ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় জেবিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান ছাড়াও মোহাম্মদ মাহবুব এ চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও বেলাল আহমেদ সহ জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের ১৫জন কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দু’জন কর্মকর্তা বাংলাদেশ অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, সভাপতি শাহ নেওয়াজ আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু নেতৃত্বাধীন কমিটিই জেবিবিএ’র নির্বাচিত ও বৈধ কমিটি। কিন্তু কে বা কারা বা কোন এক কুচক্রীমহল বেনামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জেবিবিএ’র লগো ব্যবহার করে সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। যাতে আদালতের আদেশ অমান্য হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, জেবিবিএ’র নির্বাচন ঘিরে ইতিপূর্বে দায়ের করা আদালতের রায়ে জেবিবিএ’র নাম ও লগো অন্য কারো ব্যবহারে বাধা নিষেধ রয়েছে। আগামীতে যদি কেউ পুনরায় জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরপর সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ’র গত নির্বাচন ঘিরে বিগত দিনে যারা মামলার বাদী হয়েছিলেন তারা জেবিবিএ’র সদস্য ছিলেন না। আর আদালতের রায় আছে জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কেউ জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই কার্যকরী পরিষদ ছাড়া অন্য কারো সাধারণ সভা ডাকারও কোন সুযোগ নেই। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি কে বা কারা জেবিবিএ’র নামে ও লগো ব্যবহার করে সাধারণ আহ্বান করেছে, যা অবৈধ। আমরা এব্যাপারে এটর্নীর সাথে কথা বলেছি এবং আগামী দিনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের প্রথম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার জেবিবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঐদিন জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনো পার্টি হলে এই অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
এরপর সাধারণ সম্পাদক টুকু জেবিবিএ’র নতুন উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জেবিবিএ’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিদায়ী সভাপতি হিসেবে জাকারিয়া মাসুদ জিকো ছাড়াও আরো ৪জনকে উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের সভায় উপদেষ্টা মনোনয়নের জন্য ১২জনের নাম উত্থাপিত হলে সেখান থেকে ৪জনকে মনোনীত করা হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না এবং কার্যকরী পরিষদেও থাকতে পারবেন না। তারা শুধু উপদেশ দিয়ে যাবেন।
পরবর্তীতে প্রশ্নোত্তর পর্বে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম জেবিবিএ’র একটি নিজস্ব অফিস প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে মামলা-মোকদ্দমা আর ব্যবসায়ীদের মধ্যকার অনৈক্যের কারণে অফিস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ব্যহত হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, এবার জেবিবিএ’র ভোটার তালিকায় কোন ভুয়া ভোটার ছিলো না। আর যারা ভোটার হননি, তারা তো ভোট দেওয়ার অধিকারও রাখেন না। তবে নির্বাচনের আগে আমরা প্রতিপক্ষের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম যে জেবিবিএ’র সদস্য হতে হলে সবাই মিলে গাইড লাইন তৈরী করি। কিন্তু সে প্রস্তাবে তারা এগিয়ে আসেনি। আর নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্ট পরিবর্তন করতে পারেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, বিভক্তিতে আমরা হ্যাপি নই। কিন্তু আমরা বসে থাকতেও পারি না।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান বলেন, সংগঠনকে গতিশীল রাখতে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব পালন করতে হবেই। আর কেউ যদি ঐক্য না চায়, তাহলে তো বিভক্তি থাকবেই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ-তে ছোট বা বড় ব্যবসায়ী বলতে কিছু নেই। সদস্য হিসেবে সবার অধিকার সমান। যদি সাংগঠনিকভাবে কোন ছোট ব্যবসায়ী অভিজ্ঞ হন, ভালো সংগঠন বুঝেন তবে তার নেতৃত্বে আসতে বাঁধা থাকার কথা নয়। আর বড় ব্যবসায়ী হলেই যে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নয়।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কারো নাম ও লগো ব্যবহারের অধিকার নেই : ৩০ অক্টোবর অভিষেক ॥ নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত

প্রকাশের সময় : ১০:১৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নিউইয়র্ক-এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কারো নাম ও লগো ব্যবহারের অধিকার নেই। আর যেদি কেউ আদলতের আদেশ অমান্য করে জেবিবিএ’র নাম লগো ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি বহাল থাকার পর সাধারণ সভা ডাকারও কোন সুযোগ নেই। সাধারণ সভা ডাকতে হলে কার্যকরী পরিষদই ডাকবে। এদিকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জেবিবিএ’র নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টারা হলেন জাকারিয়া মাসুদ জিকো, মোহাম্মদ মাহবুব এ চৌধুরী, তারেক হাসান খান, আনোয়ার হোসেন ও এডভোকেট জাকির এইচ মিয়া। অপরদিকে আগামী ৩০ অক্টোবর জেবিবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটসে শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দরা উপরোক্ত তথ্য জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু। এরপর সভাপতি শাহ নেওয়াজ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় জেবিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান ছাড়াও মোহাম্মদ মাহবুব এ চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও বেলাল আহমেদ সহ জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের ১৫জন কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দু’জন কর্মকর্তা বাংলাদেশ অবস্থান করছেন বলে জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, সভাপতি শাহ নেওয়াজ আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু নেতৃত্বাধীন কমিটিই জেবিবিএ’র নির্বাচিত ও বৈধ কমিটি। কিন্তু কে বা কারা বা কোন এক কুচক্রীমহল বেনামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জেবিবিএ’র লগো ব্যবহার করে সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। যাতে আদালতের আদেশ অমান্য হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, জেবিবিএ’র নির্বাচন ঘিরে ইতিপূর্বে দায়ের করা আদালতের রায়ে জেবিবিএ’র নাম ও লগো অন্য কারো ব্যবহারে বাধা নিষেধ রয়েছে। আগামীতে যদি কেউ পুনরায় জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরপর সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ’র গত নির্বাচন ঘিরে বিগত দিনে যারা মামলার বাদী হয়েছিলেন তারা জেবিবিএ’র সদস্য ছিলেন না। আর আদালতের রায় আছে জেবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটি ছাড়া অন্য কেউ জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই কার্যকরী পরিষদ ছাড়া অন্য কারো সাধারণ সভা ডাকারও কোন সুযোগ নেই। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি কে বা কারা জেবিবিএ’র নামে ও লগো ব্যবহার করে সাধারণ আহ্বান করেছে, যা অবৈধ। আমরা এব্যাপারে এটর্নীর সাথে কথা বলেছি এবং আগামী দিনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের প্রথম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার জেবিবিবিএ’র নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঐদিন জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনো পার্টি হলে এই অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
এরপর সাধারণ সম্পাদক টুকু জেবিবিএ’র নতুন উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জেবিবিএ’র গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিদায়ী সভাপতি হিসেবে জাকারিয়া মাসুদ জিকো ছাড়াও আরো ৪জনকে উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের সভায় উপদেষ্টা মনোনয়নের জন্য ১২জনের নাম উত্থাপিত হলে সেখান থেকে ৪জনকে মনোনীত করা হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না এবং কার্যকরী পরিষদেও থাকতে পারবেন না। তারা শুধু উপদেশ দিয়ে যাবেন।
পরবর্তীতে প্রশ্নোত্তর পর্বে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম জেবিবিএ’র একটি নিজস্ব অফিস প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে মামলা-মোকদ্দমা আর ব্যবসায়ীদের মধ্যকার অনৈক্যের কারণে অফিস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ব্যহত হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, এবার জেবিবিএ’র ভোটার তালিকায় কোন ভুয়া ভোটার ছিলো না। আর যারা ভোটার হননি, তারা তো ভোট দেওয়ার অধিকারও রাখেন না। তবে নির্বাচনের আগে আমরা প্রতিপক্ষের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম যে জেবিবিএ’র সদস্য হতে হলে সবাই মিলে গাইড লাইন তৈরী করি। কিন্তু সে প্রস্তাবে তারা এগিয়ে আসেনি। আর নির্বাচন কমিশন ভোটার লিস্ট পরিবর্তন করতে পারেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, বিভক্তিতে আমরা হ্যাপি নই। কিন্তু আমরা বসে থাকতেও পারি না।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান বলেন, সংগঠনকে গতিশীল রাখতে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব পালন করতে হবেই। আর কেউ যদি ঐক্য না চায়, তাহলে তো বিভক্তি থাকবেই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, জেবিবিএ-তে ছোট বা বড় ব্যবসায়ী বলতে কিছু নেই। সদস্য হিসেবে সবার অধিকার সমান। যদি সাংগঠনিকভাবে কোন ছোট ব্যবসায়ী অভিজ্ঞ হন, ভালো সংগঠন বুঝেন তবে তার নেতৃত্বে আসতে বাঁধা থাকার কথা নয়। আর বড় ব্যবসায়ী হলেই যে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নয়।