নিউইয়র্ক ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে মনে হয় আমরাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৬৪১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকান্ডের সমালোচনা করে পুনরায় বলেছেন সোসাইটির ইসি নিরপেক্ষ নয়, তারা পক্ষপাত আচরণ করছেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে মনে হয় ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলই তাদের প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বি। তারা অভিযোগ করে আরো বলেন যে, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বি ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া-কে জয়ী করতেই ইসি ব্যাটটে তার (রব মিয়া) নাম সবার আগে এ গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত করতেই তার নাম মোহাম্মদ রব মিয়ার স্থলে আব্দুর রব মিয়া করেছেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন সকলের সুবিধার্থে একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ কার্যকরী গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন এবং নয়ন-আলী পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রত্যাহার করে সকল প্রার্থীদের প্রতি সমান আচরণ করবেন।

‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ এবং দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১১ অক্টোবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দেয়া মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ১২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে আলী ইমাম শিকদার, কাজী আজহারুল হক মিলন, কাজী আযম, মাকসুদুল হক চৌধুরী, ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের তার লিখিত বক্তব্যের শুরুতে ‘নয়ন-আলী’ পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামী ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করার পরিবর্তে নয়ন-আলী পরিষদকে পরাজিত করার কাজে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গতকালের (১১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনে আপনারাই তার প্রকৃত সাক্ষী, পুরো সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে তাই দেখা যায়। নির্বাচনের মাত্র অল্প কয়েকদিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন কৃর্তক আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের প্রায় সম্পূর্ণ বক্তব্যই ছিল ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল এবং এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে। আমরা নির্বাচন কমিশন কৃর্তক প্রদত্ত সকল বক্তব্য প্রত্যাখান করছি।
আবু নাসের বলেন, অত্যন্ত দু:খের বিষয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন বাকী থাকলেও এখনো ২৭,৫১০ জন ভোটার জানেন না তারা কিভাবে ভোট প্রদান করবেন। নির্বাচনী ব্যালট, মেশিন ও কোম্পানী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ভানুমতির খেলা শুরু করেছেন তা সত্যিই অপ্রত্যাশিত এবং দু:খজনক তাদের এই খেলা দেখে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার চেয়েও একটি প্যানেলকে নির্বাচিত করার জন্য বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার কিছু তথ্য প্রমাণ আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরছি।
১. মনোনয়ন জমা নেওয়ার দিন হতে আজ অবদি এই নির্বাচন কমিশন কোন নিরপেক্ষ আচরণ করেননি। মনোনয়ন জমা নেয়ার দিন কোন কোন প্রার্থী তাদের আইডি/পাসপোর্ট সাথে না আনলেও নিদিষ্ট সময়ের পরওে তাদেরকে আইডি পাশপোর্ট নিয়ে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন।
২. মনোয়ন বাচাইয়ের সময় ছোটখাট ভূলের জন্য অনেকের মনোনয়ন গৃহিত হলেও ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের ২জন সদস্যের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
৩. নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করে কমিশনের একজন সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু তার মনোনয়ন বৈধ হয়ে গেল। যিনি নির্বাচনী আইন এবং তফসীল প্রনয়ন করেছেন তিনি কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থীতা হতে পারেন তা নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।
অত্যন্ত দু:খের বিষয় গত ১১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন- পদত্যাগকৃত ঐ নির্বাচন কমিশনার নাকি কমিশনের কোন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে আমাদের প্রশ্ন জনাব মহিউদ্দীন দেওয়ানের স্বাক্ষর কিভাবে নির্বাচনী তফসীল ও আচরণবিধিতে আসল?
৪. নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যালটে প্যানেল সমুহের (অবস্থান) এ বা বি নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দেয়া ব্যাখ্যা ও সত্য নয়। যেমন তিনি বলেছেন, সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন লিখিত আবেদন করেছেন ব্যালেটে তার নাম যেন কাজী আশরাফ হোসেন-এর পরিবর্তে কাজী নয়ন দেয়া হয় এবং অপর প্যানেলের রব সাহেবও একই রকম আবেদন করেছেন তার নাম যেন মোহাম্মদ রব মিয়ার পরিবর্তে আব্দুর রব মিয়া দেয়া হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন রব সাহেবের নাম ব্যালটে শুধু আব্দুর রব মিয়া থাকলেও নয়ন সাহেবের নাম কাজী এ হোসেন (নয়ন) কেন? পাশাপাশি ডাক নাম দিয়ে কি প্যানেলের এ বা বি নির্ধারণ করা যায়?
৫. যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কোন নিয়মকানুন গঠনতন্ত্রে বা অন্য কোথাও লিখিত না থাকলে তখন প্রচলিত নিয়মানুযায়ী অতীতের রেকর্ড থেকে উদাহরণ টেনে তা গ্রহন করা হয়। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে অতীতের সব নির্বাচন কমিশন সমুহ কে তুচ্ছ করে বলেছেন, অতীতে কোন কমিশন কি করেছেন তা তিনি কেয়ার করেন না। তিনি জনি কমিশন (?)। বাংলাদেশ সোসাইটি অতীতে যারাই নির্বাচন কমিশনে দ্বায়িত্ব পালণ করেছেন তারা প্রত্যেকেই সামাজিকভাবে সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাসির আলী খান পল, মোহাম্মদ হোসেন খান, সৈয়দ টিপু সুলতান প্রমুখ। জনাব জনি সাহেবের এত দাম্ভিকতার উৎস কোথায় তা আজ ভোটাররা জানতে চাই?
৬. গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবদি চার বার ব্যালেটের নমুনা পরিবর্তন করেছেন অথচ সাংবাদিক সম্মেলনে জনি সাহেব বলেছেন ২৪ সেপ্টেম্বর সকল পক্ষ ঐ দিনের প্রর্দশিত ব্যালেট ও মেশিনের পক্ষে রায় দিয়েছেন যা পুরোটাই অসত্য। যদি তাই হয় তাহলে পরবর্তীতে আরো কয়েক রকম ব্যালটের নমুনা কেন সরবরাহ করা হল? বিচারের ভার আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত ভোটারদেন কাছে দিলাম।
আবু নাসের বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি এই নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বৈরী ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বারবার তাদের নির্বাচনী কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। আমরা চাই ব্যালট ও মেশিন কোম্পানী নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তার দুর করে। নিউইয়ক ষ্টেটের সার্টিফাইড কোম্পানী দ্বারা নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সকলের সুবিধার্থে একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ কার্যকরী গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দিবেন এবং নয়ন-আলী পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রত্যাহার করে সকল প্রার্থীদের প্রতি সমান আচরণ করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে মনে হয় আমরাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি

প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অক্টোবর ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকান্ডের সমালোচনা করে পুনরায় বলেছেন সোসাইটির ইসি নিরপেক্ষ নয়, তারা পক্ষপাত আচরণ করছেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে মনে হয় ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলই তাদের প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বি। তারা অভিযোগ করে আরো বলেন যে, ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বি ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া-কে জয়ী করতেই ইসি ব্যাটটে তার (রব মিয়া) নাম সবার আগে এ গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত করতেই তার নাম মোহাম্মদ রব মিয়ার স্থলে আব্দুর রব মিয়া করেছেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন সকলের সুবিধার্থে একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ কার্যকরী গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন এবং নয়ন-আলী পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রত্যাহার করে সকল প্রার্থীদের প্রতি সমান আচরণ করবেন।

‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ এবং দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১১ অক্টোবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দেয়া মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
সিটির জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে ১২ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বাবুল চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে আলী ইমাম শিকদার, কাজী আজহারুল হক মিলন, কাজী আযম, মাকসুদুল হক চৌধুরী, ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের তার লিখিত বক্তব্যের শুরুতে ‘নয়ন-আলী’ পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আগামী ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করার পরিবর্তে নয়ন-আলী পরিষদকে পরাজিত করার কাজে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গতকালের (১১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনে আপনারাই তার প্রকৃত সাক্ষী, পুরো সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে তাই দেখা যায়। নির্বাচনের মাত্র অল্প কয়েকদিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন কৃর্তক আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের প্রায় সম্পূর্ণ বক্তব্যই ছিল ‘নয়ন-আলী’ প্যানেল এবং এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে। আমরা নির্বাচন কমিশন কৃর্তক প্রদত্ত সকল বক্তব্য প্রত্যাখান করছি।
আবু নাসের বলেন, অত্যন্ত দু:খের বিষয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন বাকী থাকলেও এখনো ২৭,৫১০ জন ভোটার জানেন না তারা কিভাবে ভোট প্রদান করবেন। নির্বাচনী ব্যালট, মেশিন ও কোম্পানী নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ভানুমতির খেলা শুরু করেছেন তা সত্যিই অপ্রত্যাশিত এবং দু:খজনক তাদের এই খেলা দেখে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার চেয়েও একটি প্যানেলকে নির্বাচিত করার জন্য বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার কিছু তথ্য প্রমাণ আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরছি।
১. মনোনয়ন জমা নেওয়ার দিন হতে আজ অবদি এই নির্বাচন কমিশন কোন নিরপেক্ষ আচরণ করেননি। মনোনয়ন জমা নেয়ার দিন কোন কোন প্রার্থী তাদের আইডি/পাসপোর্ট সাথে না আনলেও নিদিষ্ট সময়ের পরওে তাদেরকে আইডি পাশপোর্ট নিয়ে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন।
২. মনোয়ন বাচাইয়ের সময় ছোটখাট ভূলের জন্য অনেকের মনোনয়ন গৃহিত হলেও ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের ২জন সদস্যের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
৩. নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করে কমিশনের একজন সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু তার মনোনয়ন বৈধ হয়ে গেল। যিনি নির্বাচনী আইন এবং তফসীল প্রনয়ন করেছেন তিনি কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থীতা হতে পারেন তা নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।
অত্যন্ত দু:খের বিষয় গত ১১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন- পদত্যাগকৃত ঐ নির্বাচন কমিশনার নাকি কমিশনের কোন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে আমাদের প্রশ্ন জনাব মহিউদ্দীন দেওয়ানের স্বাক্ষর কিভাবে নির্বাচনী তফসীল ও আচরণবিধিতে আসল?
৪. নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যালটে প্যানেল সমুহের (অবস্থান) এ বা বি নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দেয়া ব্যাখ্যা ও সত্য নয়। যেমন তিনি বলেছেন, সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন লিখিত আবেদন করেছেন ব্যালেটে তার নাম যেন কাজী আশরাফ হোসেন-এর পরিবর্তে কাজী নয়ন দেয়া হয় এবং অপর প্যানেলের রব সাহেবও একই রকম আবেদন করেছেন তার নাম যেন মোহাম্মদ রব মিয়ার পরিবর্তে আব্দুর রব মিয়া দেয়া হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন রব সাহেবের নাম ব্যালটে শুধু আব্দুর রব মিয়া থাকলেও নয়ন সাহেবের নাম কাজী এ হোসেন (নয়ন) কেন? পাশাপাশি ডাক নাম দিয়ে কি প্যানেলের এ বা বি নির্ধারণ করা যায়?
৫. যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কোন নিয়মকানুন গঠনতন্ত্রে বা অন্য কোথাও লিখিত না থাকলে তখন প্রচলিত নিয়মানুযায়ী অতীতের রেকর্ড থেকে উদাহরণ টেনে তা গ্রহন করা হয়। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে অতীতের সব নির্বাচন কমিশন সমুহ কে তুচ্ছ করে বলেছেন, অতীতে কোন কমিশন কি করেছেন তা তিনি কেয়ার করেন না। তিনি জনি কমিশন (?)। বাংলাদেশ সোসাইটি অতীতে যারাই নির্বাচন কমিশনে দ্বায়িত্ব পালণ করেছেন তারা প্রত্যেকেই সামাজিকভাবে সম্মানিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নাসির আলী খান পল, মোহাম্মদ হোসেন খান, সৈয়দ টিপু সুলতান প্রমুখ। জনাব জনি সাহেবের এত দাম্ভিকতার উৎস কোথায় তা আজ ভোটাররা জানতে চাই?
৬. গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবদি চার বার ব্যালেটের নমুনা পরিবর্তন করেছেন অথচ সাংবাদিক সম্মেলনে জনি সাহেব বলেছেন ২৪ সেপ্টেম্বর সকল পক্ষ ঐ দিনের প্রর্দশিত ব্যালেট ও মেশিনের পক্ষে রায় দিয়েছেন যা পুরোটাই অসত্য। যদি তাই হয় তাহলে পরবর্তীতে আরো কয়েক রকম ব্যালটের নমুনা কেন সরবরাহ করা হল? বিচারের ভার আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত ভোটারদেন কাছে দিলাম।
আবু নাসের বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি এই নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বৈরী ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বারবার তাদের নির্বাচনী কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। আমরা চাই ব্যালট ও মেশিন কোম্পানী নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তার দুর করে। নিউইয়ক ষ্টেটের সার্টিফাইড কোম্পানী দ্বারা নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সকলের সুবিধার্থে একটি সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ কার্যকরী গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দিবেন এবং নয়ন-আলী পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রত্যাহার করে সকল প্রার্থীদের প্রতি সমান আচরণ করবেন।