নিউইয়র্ক ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন-২০১৭ : মেয়র ব্লাজিও বিপুল ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৭৬৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বিপুল ভোটে পুনরায় জয়ী হয়েছেন। মেয়র ব্লাজিও পরবর্তী চার বছরের জন্য বিশ্বেও রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হলেন। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিলো নিউইয়র্ক সিটি ১১০তম মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনে (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ডেমোক্র্যাট দলীয় ব্লাজিও পেয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলীওম্যান নিকল মাল্লিওতাকিস পেয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৪২ ভোট। মেয়র ব্লাজিও পেয়েছেন শতকরা ৬৬.৫ ভাগ ভোট। আর অ্যাসেম্বলীওম্যান নিকল মাল্লিওতাকিস পেয়েছেন শতকরা ২৭.৮ ভাগ ভোট।
নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাডভোকেট ও কম্পট্রোলার পদ ছাড়াও ৫ বরোর প্রেসিডেন্ট, ২ জন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ৫১ জন সিটি কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসব পদে ক্ষমতাসীনারই জয়লাভ করেছেন বলে প্রাথমিক খবওে জানা গেছে। নানা কারণেই নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিকভাবে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের দিন মঙ্গলবার হলো হচ্ছে ‘ইলেকশন ডে’। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে এবারের ‘ইলেকশন ডে’ ছিলো ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। এই নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটি সরব হয়ে উঠে। প্রার্থীদের সমর্থনে সভা-সমাবেশ আর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। খবর ইউএনএ’র।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ঠান্ডা সহ প্রতিকূল অবস্থা বিরাজ করায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে ভোট দিয়ে কাজে চলে গেছেন। আবার অনেকে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ভোট দেন। দিনের বেলায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিত ছিলো কম। বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে কিছুটা ভীড় বেড়ে যায়।
নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশন সূত্রে জানা যায়, এবারে নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ছাড়াও আরো ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদেও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রিফর্ম পার্টির প্রার্থী সাল আলবানিসীর প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ৮৯১, গ্রীন পার্টির প্রার্থী আকিম ব্্রাউডারের প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। এছাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মাইকেল তলকিন পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬২ ভোট, বো ডাইটল পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৯২ ভোট আর অ্যারোন কমি পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
অপরদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ৫১ আসনের মধ্যে ৪১টিতে বর্তমান পদাধিকারীগণ পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাকী ১০টি আসনে বর্তমান পদাধিকারীরা নির্বাচন করেননি না অথবা বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন থেকে সড়ে যেতে বাধ্য হন, অথবা স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়েছেন। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি পদে মঙ্গলবারের নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আর অন্যান্য পদে শুধুই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হয়।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মেয়র সহ সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র বিল ডি ব¬াজিও, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটা জেমস, কম্পট্রোলার স্কট স্টিংগার এবং পাঁচ বোরোর প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে কুইন্সের মিলিন্ডা কাটজ, ম্যানহাটনের গেইল ব্রেয়ার, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের জেমস ওডও, ব্রুকলীনের এরিখ অ্যাডামস এবং ব্রঙ্কসে রুবিন ডায়াজ পুননির্বাচন হয়েছেন। এই নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থী হিসেবে সিটির ডিস্ট্রক্ট-২৪ থেকে লড়েছেন বাংলাদেশী মোহাম্মদ টি রহমান।
ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান কউিন্সিলম্যান ররি ল্যান্সম্যান। তার প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৮৯১ ভোট। ররি’র একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বাংলাদেশী-আমেরিকান টি রহমান। তার প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিটির সকল ভোটেকেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটদাতা কেবল তার নির্দিষ্ট কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারেন। প্রতিবছরের মতো এবারও যাঁরা প্রথমবার ভোট দেন, তাঁদের জন্য ভোট কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য একাধিক সাহায্যকারী ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী পেপার ব্যালটেই ভোট হয় এবং ব্যালট পেপারের নির্দিষ্ট স্থানটি বুথে রাখা বিশেষ কলম দিয়ে ভরে (গোল) দিয়ে ব্যালট পেপারটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকিয়ে ভোট দিতে হবে। যারা ইংরেজী ভাষা জানেন না, বা ভালো করে ইরেজী বলতে পারেন না তাদের জন্য  কেন্দ্রে সাহায্যকারী দোভাষী রাখা হয়।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ। এরমধ্যে ভোটার  হচ্ছেন ৫৫ লাখ। এই বিপুল ভোটারদের মধ্যে গড়ে ৫০% ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন। সিটির ৫ বরোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশী ভোটার হচ্ছেন ব্রুকলীনে বা কিংস কাউন্টিতে। এরপরে ক্রমাগতভাবে অবস্থান করছে কুইন্স, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটান ও স্ট্যাাটান আইল্যান্ড বরো। মঙ্গলবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে কনসটিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ক প্রপোজিশন।
এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি কনস্টিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ে ‘হ্যা’, ‘না’ ভোট দেয়ার সুযোগ ছিলো। এতে ‘না’ ভোট বেশী পড়ে বলে জানা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন-২০১৭ : মেয়র ব্লাজিও বিপুল ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী

প্রকাশের সময় : ০২:১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বিপুল ভোটে পুনরায় জয়ী হয়েছেন। মেয়র ব্লাজিও পরবর্তী চার বছরের জন্য বিশ্বেও রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হলেন। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিলো নিউইয়র্ক সিটি ১১০তম মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনে (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ডেমোক্র্যাট দলীয় ব্লাজিও পেয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলীওম্যান নিকল মাল্লিওতাকিস পেয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৪২ ভোট। মেয়র ব্লাজিও পেয়েছেন শতকরা ৬৬.৫ ভাগ ভোট। আর অ্যাসেম্বলীওম্যান নিকল মাল্লিওতাকিস পেয়েছেন শতকরা ২৭.৮ ভাগ ভোট।
নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাডভোকেট ও কম্পট্রোলার পদ ছাড়াও ৫ বরোর প্রেসিডেন্ট, ২ জন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ৫১ জন সিটি কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসব পদে ক্ষমতাসীনারই জয়লাভ করেছেন বলে প্রাথমিক খবওে জানা গেছে। নানা কারণেই নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিকভাবে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের দিন মঙ্গলবার হলো হচ্ছে ‘ইলেকশন ডে’। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে এবারের ‘ইলেকশন ডে’ ছিলো ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। এই নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটি সরব হয়ে উঠে। প্রার্থীদের সমর্থনে সভা-সমাবেশ আর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। খবর ইউএনএ’র।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ঠান্ডা সহ প্রতিকূল অবস্থা বিরাজ করায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে ভোট দিয়ে কাজে চলে গেছেন। আবার অনেকে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ভোট দেন। দিনের বেলায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিত ছিলো কম। বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে কিছুটা ভীড় বেড়ে যায়।
নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশন সূত্রে জানা যায়, এবারে নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ছাড়াও আরো ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদেও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রিফর্ম পার্টির প্রার্থী সাল আলবানিসীর প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ৮৯১, গ্রীন পার্টির প্রার্থী আকিম ব্্রাউডারের প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। এছাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মাইকেল তলকিন পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬২ ভোট, বো ডাইটল পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৯২ ভোট আর অ্যারোন কমি পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
অপরদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ৫১ আসনের মধ্যে ৪১টিতে বর্তমান পদাধিকারীগণ পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাকী ১০টি আসনে বর্তমান পদাধিকারীরা নির্বাচন করেননি না অথবা বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন থেকে সড়ে যেতে বাধ্য হন, অথবা স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়েছেন। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি পদে মঙ্গলবারের নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আর অন্যান্য পদে শুধুই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হয়।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মেয়র সহ সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র বিল ডি ব¬াজিও, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটা জেমস, কম্পট্রোলার স্কট স্টিংগার এবং পাঁচ বোরোর প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে কুইন্সের মিলিন্ডা কাটজ, ম্যানহাটনের গেইল ব্রেয়ার, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের জেমস ওডও, ব্রুকলীনের এরিখ অ্যাডামস এবং ব্রঙ্কসে রুবিন ডায়াজ পুননির্বাচন হয়েছেন। এই নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থী হিসেবে সিটির ডিস্ট্রক্ট-২৪ থেকে লড়েছেন বাংলাদেশী মোহাম্মদ টি রহমান।
ডিষ্ট্রিক্ট-২৪ আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান কউিন্সিলম্যান ররি ল্যান্সম্যান। তার প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৮৯১ ভোট। ররি’র একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বাংলাদেশী-আমেরিকান টি রহমান। তার প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিটির সকল ভোটেকেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটদাতা কেবল তার নির্দিষ্ট কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারেন। প্রতিবছরের মতো এবারও যাঁরা প্রথমবার ভোট দেন, তাঁদের জন্য ভোট কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য একাধিক সাহায্যকারী ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী পেপার ব্যালটেই ভোট হয় এবং ব্যালট পেপারের নির্দিষ্ট স্থানটি বুথে রাখা বিশেষ কলম দিয়ে ভরে (গোল) দিয়ে ব্যালট পেপারটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকিয়ে ভোট দিতে হবে। যারা ইংরেজী ভাষা জানেন না, বা ভালো করে ইরেজী বলতে পারেন না তাদের জন্য  কেন্দ্রে সাহায্যকারী দোভাষী রাখা হয়।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ। এরমধ্যে ভোটার  হচ্ছেন ৫৫ লাখ। এই বিপুল ভোটারদের মধ্যে গড়ে ৫০% ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন। সিটির ৫ বরোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশী ভোটার হচ্ছেন ব্রুকলীনে বা কিংস কাউন্টিতে। এরপরে ক্রমাগতভাবে অবস্থান করছে কুইন্স, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটান ও স্ট্যাাটান আইল্যান্ড বরো। মঙ্গলবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে কনসটিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ক প্রপোজিশন।
এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি কনস্টিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ে ‘হ্যা’, ‘না’ ভোট দেয়ার সুযোগ ছিলো। এতে ‘না’ ভোট বেশী পড়ে বলে জানা গেছে।