নিউইয়র্ক ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে : ভোটারের উপস্থিতি কম : দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পথে মেয়র ব্লাজিও

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৬০১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ চলছে। এটি নিউইয়র্ক সিটি ১১০তম মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাডভোকেট ও কম্পট্রোলার পদ ছাড়াও ৫ বরোর প্রেসিডেন্ট, ২ জন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ৫১ জন সিটি কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নানা কারনেই নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিকভাবে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের দিন মঙ্গলবার হলো হচ্ছে ‘ইলেকশন ডে’। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে এবারের ‘ইলেকশন ডে’ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। এই নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটি সরব হয়ে উঠেছে। প্রার্থীদের সমর্থনে সভা-সমাবেশ আর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। খবর ইউএনএ’র।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে ভোট দিয়ে কাজে চলে গেছেন। আবার অনেকে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ভোট দেবেন। বেশ ঠান্ডা উপেক্ষা করে যারা ভোট কেন্দ্রে এসেছেন তারা বলছেন মেয়র পদে বর্তমান ব্লাজিওই জয়ী হবেন।
কুইন্স বরোর কমিউনিটি বোর্ড-৮ এর সদস্য বাংলাদেশী-আমেরিকান ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, ডেমোক্র্যাট রাজ্য হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনে মেয়র ব্লাজিও অবশ্যই জিতবেন। তারা সিটির অন্যান্য পদে ক্ষমতাসীনরাই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিত কম। বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে কিছুটা ভীড় বাড়বে।
ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাংলাদেশী-আমেরিকান মাহমুদা খাতুন এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, ভোট দেয়া নাগরিক অধিকার বলেই তিনি শীতের মধ্যেও ভোট দিতে চলেছেন। আর সকালের দিবে কেন্দ্রে ভীড় কম থাকায় শান্ত পরিবেশে তিনি ভোট দিতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ন আর আমরা কতজন বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোট দিলাম সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি সকল বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশন সূত্রে জানা গেছে, এবারে নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এরা হলেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র বিল ডি ব্লাজিও, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নিকল মাল্লিওতাকিস এবং ইন্ডেপেন্ডেন্ট প্রার্থী রবি ঘোসিন। মেয়র পদে বিল ডি ব্লাজিও দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। প্রাথমিক হিসেবে ডেমোক্র্যাট ষ্টেট হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ব্লাজিও আবার নির্বাচিত হতে চলেছেন। অপরদিকে সিটি কাউন্সিলের ৫১ আসনের মধ্যে ৪১টিতে বর্তমান পদাধিকারীগণ পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকী ১০টি আসনে বর্তমান পদাধিকারীরা নির্বাচন করছেন না অথবা বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন থেকে সড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, অভতা স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়েছেন। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর অন্যান্য পদে শুধুই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মেয়র সহ সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র বিল ডি ব¬াজিও, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটা জেমস, কম্পট্রোলার স্কট স্টিংগার এবং পাঁচ বোরোর প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে কুইন্সের মিলিন্ডা কাটজ, ম্যানহাটনের গেইল ব্রেয়ার, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের জেমস ওডও, ব্রুকলীনের এরিখ অ্যাডামস এবং ব্রঙ্কসে রুবিন ডায়াজ পুননির্বাচন করছেন। এই নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থী হিসেবে সিটির ডিস্ট্রক্ট-২৪ থেে লড়ছেন বাংলাদেশী মোহাম্মদ টি রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিটির সকল ভোটেকেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটদাতা কেবল তাঁর নির্দিষ্ট কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন। ভোটাররা কোথায় ভোট দেবেন তা নির্বাচন অফিস থেকে মেইলযোগে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অনলাইনে ওয়েবসাইটের (ঠিকানা: https://nyc.pollsitelocator.com/search) মাধ্যমেও নির্বাচন, ভোট কেন্দ্র সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য জানা যাবে। নির্বাচনে ব্যালট কেমন হবে, তা-ও জানা যাবে ওয়েবসাইটে। অবশ্য প্রার্থীর ভিন্নতার কারণে একেক এলাকার ব্যালট একেক রকম হবে। এ ছাড়াও সিটির লাইব্রেরীগুলো থেকেও ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য পাওয়া যাবে। যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন, তাঁদের জন্য ভোট কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য একাধিক সাহায্যকারী থাকবেন। নিয়ম অনুযায়ী পেপার ব্যালটেই ভোট হবে। ব্যালট পেপারের নির্দিষ্ট স্থানটি বুথে রাখা বিশেষ কলম দিয়ে ভরে (গোল) দিয়ে ব্যালট পেপারটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকিয়ে দিতে হবে। যারা ইংরেজী ভাষা জানেন না, বা ভালো করে ইরেজী বলতে পারেন তাদের জন্য  কেন্দ্রে সাহায্যকারী দোভাষী থাকবেন।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ। এরমধ্যে ভোটার  হচ্ছেন ৫৫ লাখ। এই বিপুল ভোটারদের মধ্যে গড়ে ৫০% ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন। সিটির ৫ বরোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশী ভোটার হচ্ছেন ব্রুকলীনে বা কিংস কাউন্টিতে। এরপরে ক্রমাগতভাবে অবস্থান করছে কুইন্স, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটান ও স্ট্যাাটান আইল্যান্ড বরো। মঙ্গলবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে কনসটিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ক প্রপোজিশন।
এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি কনস্টিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ে ‘হ্যা’, ‘না’ ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে। মূলধারাসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এক্ষেত্রে ‘না’ ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে : ভোটারের উপস্থিতি কম : দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পথে মেয়র ব্লাজিও

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোট গ্রহণ চলছে। এটি নিউইয়র্ক সিটি ১১০তম মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাডভোকেট ও কম্পট্রোলার পদ ছাড়াও ৫ বরোর প্রেসিডেন্ট, ২ জন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ৫১ জন সিটি কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নানা কারনেই নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিকভাবে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের দিন মঙ্গলবার হলো হচ্ছে ‘ইলেকশন ডে’। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে এবারের ‘ইলেকশন ডে’ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। এই নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটি সরব হয়ে উঠেছে। প্রার্থীদের সমর্থনে সভা-সমাবেশ আর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা। খবর ইউএনএ’র।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে ভোট দিয়ে কাজে চলে গেছেন। আবার অনেকে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ভোট দেবেন। বেশ ঠান্ডা উপেক্ষা করে যারা ভোট কেন্দ্রে এসেছেন তারা বলছেন মেয়র পদে বর্তমান ব্লাজিওই জয়ী হবেন।
কুইন্স বরোর কমিউনিটি বোর্ড-৮ এর সদস্য বাংলাদেশী-আমেরিকান ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, ডেমোক্র্যাট রাজ্য হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনে মেয়র ব্লাজিও অবশ্যই জিতবেন। তারা সিটির অন্যান্য পদে ক্ষমতাসীনরাই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিত কম। বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে কিছুটা ভীড় বাড়বে।
ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাংলাদেশী-আমেরিকান মাহমুদা খাতুন এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, ভোট দেয়া নাগরিক অধিকার বলেই তিনি শীতের মধ্যেও ভোট দিতে চলেছেন। আর সকালের দিবে কেন্দ্রে ভীড় কম থাকায় শান্ত পরিবেশে তিনি ভোট দিতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ন আর আমরা কতজন বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোট দিলাম সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি সকল বাংলাদেশী-আমেরিকান ভোটারকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশন সূত্রে জানা গেছে, এবারে নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এরা হলেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র বিল ডি ব্লাজিও, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নিকল মাল্লিওতাকিস এবং ইন্ডেপেন্ডেন্ট প্রার্থী রবি ঘোসিন। মেয়র পদে বিল ডি ব্লাজিও দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। প্রাথমিক হিসেবে ডেমোক্র্যাট ষ্টেট হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ব্লাজিও আবার নির্বাচিত হতে চলেছেন। অপরদিকে সিটি কাউন্সিলের ৫১ আসনের মধ্যে ৪১টিতে বর্তমান পদাধিকারীগণ পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকী ১০টি আসনে বর্তমান পদাধিকারীরা নির্বাচন করছেন না অথবা বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন থেকে সড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, অভতা স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়েছেন। ফলে হাতেগোনা কয়েকটি পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর অন্যান্য পদে শুধুই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মেয়র সহ সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র বিল ডি ব¬াজিও, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিটা জেমস, কম্পট্রোলার স্কট স্টিংগার এবং পাঁচ বোরোর প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে কুইন্সের মিলিন্ডা কাটজ, ম্যানহাটনের গেইল ব্রেয়ার, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের জেমস ওডও, ব্রুকলীনের এরিখ অ্যাডামস এবং ব্রঙ্কসে রুবিন ডায়াজ পুননির্বাচন করছেন। এই নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশী-আমেরিকান প্রার্থী হিসেবে সিটির ডিস্ট্রক্ট-২৪ থেে লড়ছেন বাংলাদেশী মোহাম্মদ টি রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিটির সকল ভোটেকেন্দ্রে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটদাতা কেবল তাঁর নির্দিষ্ট কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন। ভোটাররা কোথায় ভোট দেবেন তা নির্বাচন অফিস থেকে মেইলযোগে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অনলাইনে ওয়েবসাইটের (ঠিকানা: https://nyc.pollsitelocator.com/search) মাধ্যমেও নির্বাচন, ভোট কেন্দ্র সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য জানা যাবে। নির্বাচনে ব্যালট কেমন হবে, তা-ও জানা যাবে ওয়েবসাইটে। অবশ্য প্রার্থীর ভিন্নতার কারণে একেক এলাকার ব্যালট একেক রকম হবে। এ ছাড়াও সিটির লাইব্রেরীগুলো থেকেও ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য পাওয়া যাবে। যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন, তাঁদের জন্য ভোট কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য একাধিক সাহায্যকারী থাকবেন। নিয়ম অনুযায়ী পেপার ব্যালটেই ভোট হবে। ব্যালট পেপারের নির্দিষ্ট স্থানটি বুথে রাখা বিশেষ কলম দিয়ে ভরে (গোল) দিয়ে ব্যালট পেপারটি স্ক্যান মেশিনে ঢুকিয়ে দিতে হবে। যারা ইংরেজী ভাষা জানেন না, বা ভালো করে ইরেজী বলতে পারেন তাদের জন্য  কেন্দ্রে সাহায্যকারী দোভাষী থাকবেন।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ। এরমধ্যে ভোটার  হচ্ছেন ৫৫ লাখ। এই বিপুল ভোটারদের মধ্যে গড়ে ৫০% ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন। সিটির ৫ বরোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশী ভোটার হচ্ছেন ব্রুকলীনে বা কিংস কাউন্টিতে। এরপরে ক্রমাগতভাবে অবস্থান করছে কুইন্স, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটান ও স্ট্যাাটান আইল্যান্ড বরো। মঙ্গলবারের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে কনসটিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ক প্রপোজিশন।
এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি কনস্টিটিউশনাল কনভেনশন বিষয়ে ‘হ্যা’, ‘না’ ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে। মূলধারাসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এক্ষেত্রে ‘না’ ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।