নিউইয়র্ক ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ অনুষ্ঠান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৬৮৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অভিবাসী বাঙালী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চর্চ্চাকে আদর্শভিত্তিক চেতনার দর্শনে ঐক্যগড়ে তুলতে দীর্ঘ বিশ বছর ধরে ভূমিকা রেখে আসছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা। গত ১৮ জানুয়ারী নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জ্যুইস সেন্টারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ধারাবাহিক সক্রিয়তার কুড়ি বছরপূর্তি “শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর” আয়োজনের মধ্যে ছিলো আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, আলোচনা এবং চিত্র প্রদর্শনী ‘সত্তার খনন’। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চিত্র প্রর্দশনী ও বিশ বছর পূর্তি আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেমব্লিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা থেকে আগত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি ও গণ সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক ও ‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রর্দশনীর কিউরেটর মিথুন আহমেদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটেরে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করার কথা, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার কথা।
অ্যাসেমব্লিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ তার বক্তব্যে প্রবাসে বাঙালী অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি কর্মকান্ড ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জাতিগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের প্রকাশই বহুজাতিক ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক শহরের বৈচিত্রকে সমৃদ্ধ করে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমেরিকার মুলধারার সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত হবার পথকে প্রশস্থ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘চিত্রকর্ম হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা তার জাতিগত কৃষ্টিকে তুলে ধরে বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও গৌরবের ইতিহাস- এই চিত্রপ্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে তা অন্যান্য দেশীয় অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সন্মূখে তুলে ধরবার জন্য তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।’
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে। তিনি রাষ্ট্রদূত হবার পর থেকে প্রতি বছর জোটের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। গভীর রাতে কনকনে শীতের রাত্রিতে জ্যাকসন হাইটসে রাস্তায় প্রদীপ প্রজ্জলন, আলোক শোকযাত্রার কথা উল্লেখ করে বলেন এই আলোক শোকযাত্রায় অংশগ্রহন করা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দ্বায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম না থাকলে কখনোই তা সম্ভব হতো না। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার প্রবাসে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি করে যাবার জন্য জোটকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর বলেন, প্রাবাসে এমন আয়োজন দেখে- একই সংস্কৃতি, একই ভাষা শুনে হৃদয় জুড়ায়। গানে গানে, কথায় কথায় এই সম্প্রীতিকে প্রবাসে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা তাদের আদর্শিক অবস্থান ও সংগ্রামী চেতনার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে তিনি ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা গানটি’ পরিবেশন করেন এবং জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ককে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পথ চলায় সকল সংগঠন, কর্মী, সংগঠন সমর্থক ও নেতৃবৃন্দকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ‘মধ্য আশিতে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট তৈরী হয়, সেই সময়ের সমান্তরাল আদর্শ ও সংগ্রামী মানুষেরা এই প্রবাসেও জোট গঠন করেছে, গত বিশ বছর তাদের সক্রিয়তা অব্যহত রেখেছে। নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সেই তরুন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠা শুরুর সময়কার একজন তরুণ সাংস্কৃতিক কর্মী মিথুন আহমেদ, সেই সমান্তরাল চিন্তার মানুষদের একজন। মিথুন আহমেদ এই নিউইর্য়কেও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গঠন করেছেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে জোটের ভুমিকা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন।
মিথুন আহমেদ বলেন, সকলের উপস্থিতি আমাদের জোট উত্তর আমেরিকার ‘শিল্প ও দ্রোহের এই বিশ বছর পূর্তি’- আয়োজনকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, ঠিক তেমনি করেছে ঐক্যবদ্ধ। সংগ্রামের পথকে করেছে সাহসী। এই মুহূর্তকে ধারণ করে আগামীর পথে হাঁটবার উৎস সঞ্চার করতে আপনাদের এই সমর্থন আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্যই এক আনন্দঘন ও গৌরবের দিন। আজ থেকে দুই দশক আগে ১৯৯৮-তে নিউইর্য়কে গঠিত হয়েছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা। শিল্পের দায়বদ্ধতা, শিল্পীর সংগ্রামী প্রতিশ্রুতিই কেবল নয়- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা তার প্রতিটি কর্মসূচী, আয়োজন, অনুষ্ঠান, প্রতিবাদ, সেমিনার, মানববন্ধন, সংহতি সমাবেশ, শোক ও স্মরণ অনুষ্ঠান, বিশেষ উৎসব ও উদযাপন, বিশেষ বিশেষ প্রযোজনা নির্ভর পরিবেশনায়, শিল্পের নন্দনতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ধ্রুপদী মানসন্মত, সুরুচিনির্ভর, সৃজনশীলতার, সর্বচ্চ উৎকর্ষকেও সর্বদা প্রাধান্য দিয়ে আসছে। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে-বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে-বাক্য বক্তব্য ও উপস্থাপনকে সৃজননৈপুণ্য ও ব্যঞ্জনা দিয়ে, বাঙালী জাতীয়তাবাদের অতলগত পূর্ণপ্রাণকে প্রকাশ করতে চেয়েছে।
মিথুন আহমেদ বলেন, বাঙালী জাতিসত্তার উৎস অন্বেষণ ও তার বিকাশমানতার ধারা থেকে বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র গঠনের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও এই ‘জাতি রাষ্ট্রের জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাজ, রাজনীতির দীক্ষাপথ, মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সংগ্রামের আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০ লক্ষ শহীদ, একাত্তরের সম্ভ্রমহীনাদের প্রতি শ্রদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর মর্মবেদন নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা, তাদের অভিযাত্রাকে সংকল্পবদ্ধ করে এই দীর্ঘ ২০ বছরের সক্রিয়তাকে অব্যহত রেখেছে।
তিনি বলেন, সকল প্রকার আপোষকামীতার বিরুদ্ধে প্রশ্রয়হীনভাবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা সংগ্রামী ভূমিকাকে জারি রাখে সকল সময়। জয় হোক মানুষের। বাঙালীর সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গন ও গোলকায়নের নতুন পৃথিবী হোক উদার ও মানবিক। বহু জাতিসত্তার বিশ্বায়নে শুদ্ধ সুস্থ ও প্রকৃত সংস্কৃতির হোক মুক্ত বিচরণ, প্রতিষ্ঠিত হোক মানবিক বিশ্ব।
সেমন্তী ওয়াহেদ তার উপস্থাপনার শুরুতেই চমৎকার করে জোটের প্রেক্ষাপট, ভূমিকা, প্রয়োজনীয়তা ও প্রবাসে জোট গঠনের কার্যকারনের বিস্তৃত ভূমিকা দিয়ে সমস্ত আয়োজনের সঞ্চালনার এক একটি পর্বকে বাইল্যাঙ্গুয়্যাল সংযোজনায় অভূতপূর্ব এক বহুব্যঞ্জনময় পরিবেশ সৃষ্টি করে শ্রোতা-দর্শকদের আকৃষ্ট করেন।
আয়োজনের শুরুতেই এক মিনিটের উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। নৃত্য অংশগ্রহণকারীরা হলেন চন্দ্রিমা দে, সুস্বনা চৌধুরী, উদিতা তন্বী এবং নৃত্যমূদ্রার নকশা পরিকল্পনায় ছিলেন সেমন্তী ওয়াহেদ। এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনন্দধ্বনীর শিল্পীরা। তারা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে’, ‘অন্তর মম বিকশিত করো’ ও ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়’ গানগুলো পরিবেশন করেন। অংশগ্রহনে ছিলেন নীপা ভৌমিক, প্রজ্ঞা বড়ুয়া, অনুপ দাস, শফি চৌধুরী হারুন, তাহরিনা পারভীন প্রীতি, পূর্নতা, অধরা, স্বতরূপা তালুকদার, লিলি মজুমদার, রুদ্রনীল দাস, মারুতি মহান বিশ্বাস, আল্পনা গুহ, লিপি রোজারিও, শতাব্দী সরকার, অর্ঘ্য সারথী সিকদার। পরিচালনায় ছিলেন নীপা ভৌমিক। এই পর্বে উপস্থাপনা করেন সেমন্তী ওয়াহেদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিনহাজ আহমদ।
উল্লেখ্য, এবারের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার-এর বিশ বছর পূর্তি আয়োজন ও উদযাপন আয়োজনে উপদেষ্টামন্ডলীতে ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ ও শামসুল আলম বকুল।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পূর্তির ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ আয়োজনে বাংলাদেশের ফেডারেটিভ বডির শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট (সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ), বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন (সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ), বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর ও সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ), বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ (সভাপতি মান্নান হীরা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস), শর্টফিল্ম ফোরাম (সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান), জাতীয় কবিতা পরিষদ (সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত), জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ (সভাপতি সনজীদা খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম), বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা (সভাপতি মিনু হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ), বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি ফকির আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট), রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা (সভাপতি তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আকবর), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ (সভাপতি জামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট (সভাপতি আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), সাধারণ সম্পাদক ফালগুনী হামিদ), অভিনয় শিল্পী সংঘ (সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম), বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়), প্রামণ্যচিত্রী পরিষদ (সভাপতি মানজারে হাসিন মুরাদ), বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার (সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক- তৌফিক হাসান ময়না)।
বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ স্মারক গ্রন্থে জোট উত্তর আমেরিকার কার্যক্রম ও স্মৃতিকখা নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুছ, ফকির আলমগীর, সেলিম জাহান, লুবনা মরিয়ম, ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পূরবী বসু, মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, নিনি ওয়াহেদ, সাদিয়া ফয়জুননেসা, কৌশিক আহমেদ, মিথুন আহমেদ, আকবর হায়দার কিরণ, ফাহিম রেজা নুর, শামসুল আলম বকুল, আহকাম উল্লাহ, জামাল আহমেদ, কামাল পাশা চৌধুরী, কামাল বায়েজিদ, আহম্মদ গিয়াস, ফকির ইলিয়াস, আহমেদ হোসেন, নাজরা চৌধুরী, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, সঞ্জীবন কুমার, মাহতাব সোহেল, খাইরুল ইসলাম পাখি, আমান-উদ-দৌলা, আদনান সৈয়দ, শিতাংশু গুহ, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আহমাদ মাযহার, আবেদীন কাদের, মিনহাজ আহমদ, মুজিব বিন হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফি আহমেদ, আতাউর রহমান, কাউসার চৌধুরী, বাবুল বিশ্বাস, আব্দুস সেলিম, সেমন্তী ওয়াহেদ, সেলিম চৌধুরী, এনায়েত করিম বাবুল।
এছাড়াও উত্তর আমেরিকার জোটের পক্ষ থেকে বিগত বছরগুলোর জোটের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে- সালেক খান, মিথুন আহমেদ, মুজিব বিন হক, নিনি ওয়াহেদ, নার্গিস আহমেদ, লুৎফুন নাহার লতা, এ্যানি ফেরদৌস, নাজরা চৌধুরী, আমান উদ দৌলা, শহীদ হাসান, শ্যামলিপি শ্যামা, ফজলুল কবির, স্বপ্না কাউসার, শহীদ উদ্দিন, আবীর আলমগীর, টিটু গাজী, শাহানা আক্তার প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়।
জোট আহবায়ক মিথুন আহমেদ দীর্ঘ এই বিশ বছরের পথ চলায় সবসময় যারা সক্রিয় অংশগ্রহন ও কর্মসূচী সমূহকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করেন এবং যারা উপস্থিত ছিলেন দর্শকদের মাঝ থেকে তাদেরকে পরিচিত করিয়ে দেন ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নাম স্মরণ করেন ড. নুরান নবী, সৈয়দ মোহম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, ডা. জিয়াউদ্দিন, সুব্রত বিশ্বাস, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, জীবন বিশ্বাস, নাসির আলী খান পল, তাজুল ইমাম, শিতাংশু গুহ, সরাফ সরকার, ডা. মাসুদুর রহমান, ফাহিম রেজা নূর, ডা. প্রতাপ দাশ, শামস আল মোমিন, ফকির ইলিয়াস, সাবিনা হাই উর্বি, হাসানাত আব্দুল্লাহ, এর্টনী অশোক কর্মকার, রাহাত মক্তাদির, ফাহিম রেজা নূর, ইসমত চৌধুরী, মহসীন ননী, কামাল আহমেদ, প্রদীপ সাহা, জাকারিয়া চৌধুরী, দেদারুল ইসলাম বাবলা, মুজাহিদ আনসারী, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, আল আমীন বাবু, শহীদ উদ্দিন সহ আরো অনেকের নাম ।
বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক মানস বিকাশের লক্ষ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির কর্মযজ্ঞকে বিশ্বপটে জাগরুক রাখবার প্রক্রিয়ায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সাথে চেতনাগত একাত্মিত সংগঠন ও জোটভুক্ত সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জোট আদর্শের সাথে সংহতিপুর্ণ সমচেতনার সাংস্কৃতিক সংগঠন ও উপস্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ উদীচী, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট পারফর্মিং আর্ট (বিপা), সংগীত পরিষদ, সুর ছন্দ, একুশে চেতনা পরিষদ, থিয়েটার থিয়েটার, ঢাকা ড্রামা, ড্রামা সার্কল, বাংলাদেশ থিয়েটার অব এমেরিকা (বিটিএ), স্যামস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড রাইটার এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার, সাহিত্য পরিষদ, রঙ্গালয়, নৃত্যাঞ্জলী, প্রকৃতি, আনন্দধ্বনি, বেইজমেন্টাল, পন্ডিত কিষাণ মহারাজ তাল-তরঙ্গ ইনষ্টিটিউশন, বহুবচন, নিউ ইয়র্ক আর্টিষ্ট ইউনিটি, সাহিত্য একাডেমী, বাঙলা থিয়েটার, সুরবাহার, বাচনিক, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পরিষদ, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদ এর নাম ও সংগঠনগুলোর কর্মকান্ড এবং জোট প্রক্রিয়ায় তাদের সকল অংশগ্রহনের প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানানো হয়।
যাদের নিরলস পরিশ্রমে ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ আয়োজনটি স্বার্থক হয়ে উঠেছে, সেই সব সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং নেপথ্য কর্মীদের নাম হলো: চিত্র প্রদর্শনীর ‘সত্তার খনন’ এর কিউরেটর-মিথুন আহমেদ, চিত্র প্রদর্শনী সহযোগী-নিউইয়র্ক আর্টিস্ট ইউনিটি, ব্রোশিওর প্রিন্টিং- গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ড, ডিজাইন সহায়তা- আর্টিস্ট আইল, শিল্প তত্ত্বাবধান- টিপু আলম, আলোকচিত্র- নিহার সিদ্দিকী, ছবি বাঁধাই ও ফ্রেমিং সহায়তা- জাহেদ শরীফ, টিভিসি ভয়েস ওভার- সেমন্তী ওয়াহেদ, মিলনায়তন ব্যবস্থাপনা- পারভীন সুলতানা, মহম্মদ ফজলে আলী কচি, মঞ্চ ব্যবস্থাপনা- গোপাল সান্যাল, অতিথি অভ্যর্থনা- শুভ রায়, মিডিয়া সহায়তা- আকবর হায়দার কিরণ, চিত্র প্রদর্শনী ডিসপ্লে সমন্বয়- দেওয়ান মাহবুবুল হাসান শোভন, তথ্য- সঞ্জীবন কুমার, প্রযুক্তি- দেওয়ান আশরাফ আলম, সম্পাদনা পরামর্শক- আহমাদ মাযহার, বাংলাদেশ সমন্বয়- নাজিব তারেক, সুমন আহমেদ, বিশেষ সংযোগ উপদেশক- মোর্শেদ আলম, বিশেষ সহায়তা- মাহফুজুর রহমান, আলো ও শব্দ ব্যবস্থাপনা- অনুপ কুমার, আয়োজন সংযোগ ও প্রস্তুতি সহায়তা- সেমন্তী ওয়াহেদ, প্রকাশনা ও প্রচার- আশরাফুল হাবিব চৌধুরী মিহির, আয়োজন ব্যবস্থাপনা- ওবায়েদুল্লাহ মামুন, আয়োজন সমন্বয়কারী- মিনহাজ আহমদ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রদর্শনী আমন্ত্রিত অতিথিরা ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। একই সাথে একইভাবে পরস্পর সমান্তরালে বিবেচিত হয়েছে বিষয়ের বস্তুগত দুইটি লক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে এই চিত্র প্রদর্শনীর শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে চিন্তাশীল মানবিক সত্তার নৈঃশব্দিক খনন ও জাতিসত্তার নিঃবস্তগত খনন। চিত্র প্রদর্শনীতে শুরু অনুষ্ঠানে জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের পক্ষ থেকে নিনি ওয়াহেদ এবং উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের পক্ষ থেকে মুহম্মদ ফজলুর রহমান তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
আবৃত্তি পর্বে একে একে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ক্রিস্টিনা রোজারিও, আবুল হোসেনের মাতৃভাষা, ফারুক আজম নাজিম হিকমতের জেলখানার চিঠি, মিজানুর রহমান বিপ্লব, আহসান হাবীবের আমি কোন আগন্তুক নই, সেমন্তী ওয়াহেদ, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আমি বাংলায় গান গাই, জন বেজ এর সং অফ বাংলাদেশ ও জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ এবং হিরা চৌধুরী- ভাস্কর চৌধুরীর আমার বন্ধু নিরঞ্জন কবিতাটি।
‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রদর্শনীতে ২২জন চারুশিল্পীর ২৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। অংশগ্রহণকারী চারুশিল্পীরা ছিলেন: মতলুব আলী, খুরশিদ আলম সেলিম, শামীম বেগম, কাজী রকিব, নাজমা চৌধুরী, জামাল আহমেদ, মুস্তাফা খালিদ পলাশ, মাসুদা কাজী, নাজিব তারেক, কাজী ইকবাল টুলু, জেমরিনা বিনতে আলী, মিথুন আহমেদ, সৈয়দ আজিজুর রহমান তারিফ, টিপু আলম, শুভা রহমান, আফজাল হোসেন, এম ডি টোকন, মাহফিল আলী, লায়লা ফারজানা, ফারজানা আফরোজ বাপ্পী, আখতার আহমেদ রাশা ও আলমা ফেরদৌসী লিয়া।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছরপূর্তি আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ অনুষ্ঠান

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯

নিউইয়র্ক: অভিবাসী বাঙালী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চর্চ্চাকে আদর্শভিত্তিক চেতনার দর্শনে ঐক্যগড়ে তুলতে দীর্ঘ বিশ বছর ধরে ভূমিকা রেখে আসছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা। গত ১৮ জানুয়ারী নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জ্যুইস সেন্টারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ধারাবাহিক সক্রিয়তার কুড়ি বছরপূর্তি “শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর” আয়োজনের মধ্যে ছিলো আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, আলোচনা এবং চিত্র প্রদর্শনী ‘সত্তার খনন’। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চিত্র প্রর্দশনী ও বিশ বছর পূর্তি আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেমব্লিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা থেকে আগত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি ও গণ সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক ও ‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রর্দশনীর কিউরেটর মিথুন আহমেদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানান নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটেরে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
অনুষ্ঠানের অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করার কথা, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার কথা।
অ্যাসেমব্লিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ তার বক্তব্যে প্রবাসে বাঙালী অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি কর্মকান্ড ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জাতিগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের প্রকাশই বহুজাতিক ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক শহরের বৈচিত্রকে সমৃদ্ধ করে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমেরিকার মুলধারার সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত হবার পথকে প্রশস্থ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘চিত্রকর্ম হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা তার জাতিগত কৃষ্টিকে তুলে ধরে বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও গৌরবের ইতিহাস- এই চিত্রপ্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে তা অন্যান্য দেশীয় অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সন্মূখে তুলে ধরবার জন্য তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।’
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে। তিনি রাষ্ট্রদূত হবার পর থেকে প্রতি বছর জোটের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। গভীর রাতে কনকনে শীতের রাত্রিতে জ্যাকসন হাইটসে রাস্তায় প্রদীপ প্রজ্জলন, আলোক শোকযাত্রার কথা উল্লেখ করে বলেন এই আলোক শোকযাত্রায় অংশগ্রহন করা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দ্বায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম না থাকলে কখনোই তা সম্ভব হতো না। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার প্রবাসে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি করে যাবার জন্য জোটকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর বলেন, প্রাবাসে এমন আয়োজন দেখে- একই সংস্কৃতি, একই ভাষা শুনে হৃদয় জুড়ায়। গানে গানে, কথায় কথায় এই সম্প্রীতিকে প্রবাসে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা তাদের আদর্শিক অবস্থান ও সংগ্রামী চেতনার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে তিনি ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা গানটি’ পরিবেশন করেন এবং জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ককে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পথ চলায় সকল সংগঠন, কর্মী, সংগঠন সমর্থক ও নেতৃবৃন্দকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ‘মধ্য আশিতে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট তৈরী হয়, সেই সময়ের সমান্তরাল আদর্শ ও সংগ্রামী মানুষেরা এই প্রবাসেও জোট গঠন করেছে, গত বিশ বছর তাদের সক্রিয়তা অব্যহত রেখেছে। নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সেই তরুন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠা শুরুর সময়কার একজন তরুণ সাংস্কৃতিক কর্মী মিথুন আহমেদ, সেই সমান্তরাল চিন্তার মানুষদের একজন। মিথুন আহমেদ এই নিউইর্য়কেও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গঠন করেছেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষেত্রে জোটের ভুমিকা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন।
মিথুন আহমেদ বলেন, সকলের উপস্থিতি আমাদের জোট উত্তর আমেরিকার ‘শিল্প ও দ্রোহের এই বিশ বছর পূর্তি’- আয়োজনকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, ঠিক তেমনি করেছে ঐক্যবদ্ধ। সংগ্রামের পথকে করেছে সাহসী। এই মুহূর্তকে ধারণ করে আগামীর পথে হাঁটবার উৎস সঞ্চার করতে আপনাদের এই সমর্থন আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্যই এক আনন্দঘন ও গৌরবের দিন। আজ থেকে দুই দশক আগে ১৯৯৮-তে নিউইর্য়কে গঠিত হয়েছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা। শিল্পের দায়বদ্ধতা, শিল্পীর সংগ্রামী প্রতিশ্রুতিই কেবল নয়- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা তার প্রতিটি কর্মসূচী, আয়োজন, অনুষ্ঠান, প্রতিবাদ, সেমিনার, মানববন্ধন, সংহতি সমাবেশ, শোক ও স্মরণ অনুষ্ঠান, বিশেষ উৎসব ও উদযাপন, বিশেষ বিশেষ প্রযোজনা নির্ভর পরিবেশনায়, শিল্পের নন্দনতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ধ্রুপদী মানসন্মত, সুরুচিনির্ভর, সৃজনশীলতার, সর্বচ্চ উৎকর্ষকেও সর্বদা প্রাধান্য দিয়ে আসছে। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে-বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে-বাক্য বক্তব্য ও উপস্থাপনকে সৃজননৈপুণ্য ও ব্যঞ্জনা দিয়ে, বাঙালী জাতীয়তাবাদের অতলগত পূর্ণপ্রাণকে প্রকাশ করতে চেয়েছে।
মিথুন আহমেদ বলেন, বাঙালী জাতিসত্তার উৎস অন্বেষণ ও তার বিকাশমানতার ধারা থেকে বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র গঠনের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও এই ‘জাতি রাষ্ট্রের জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাজ, রাজনীতির দীক্ষাপথ, মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সংগ্রামের আত্মত্যাগী মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০ লক্ষ শহীদ, একাত্তরের সম্ভ্রমহীনাদের প্রতি শ্রদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর মর্মবেদন নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা, তাদের অভিযাত্রাকে সংকল্পবদ্ধ করে এই দীর্ঘ ২০ বছরের সক্রিয়তাকে অব্যহত রেখেছে।
তিনি বলেন, সকল প্রকার আপোষকামীতার বিরুদ্ধে প্রশ্রয়হীনভাবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা সংগ্রামী ভূমিকাকে জারি রাখে সকল সময়। জয় হোক মানুষের। বাঙালীর সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গন ও গোলকায়নের নতুন পৃথিবী হোক উদার ও মানবিক। বহু জাতিসত্তার বিশ্বায়নে শুদ্ধ সুস্থ ও প্রকৃত সংস্কৃতির হোক মুক্ত বিচরণ, প্রতিষ্ঠিত হোক মানবিক বিশ্ব।
সেমন্তী ওয়াহেদ তার উপস্থাপনার শুরুতেই চমৎকার করে জোটের প্রেক্ষাপট, ভূমিকা, প্রয়োজনীয়তা ও প্রবাসে জোট গঠনের কার্যকারনের বিস্তৃত ভূমিকা দিয়ে সমস্ত আয়োজনের সঞ্চালনার এক একটি পর্বকে বাইল্যাঙ্গুয়্যাল সংযোজনায় অভূতপূর্ব এক বহুব্যঞ্জনময় পরিবেশ সৃষ্টি করে শ্রোতা-দর্শকদের আকৃষ্ট করেন।
আয়োজনের শুরুতেই এক মিনিটের উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। নৃত্য অংশগ্রহণকারীরা হলেন চন্দ্রিমা দে, সুস্বনা চৌধুরী, উদিতা তন্বী এবং নৃত্যমূদ্রার নকশা পরিকল্পনায় ছিলেন সেমন্তী ওয়াহেদ। এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনন্দধ্বনীর শিল্পীরা। তারা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে’, ‘অন্তর মম বিকশিত করো’ ও ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়’ গানগুলো পরিবেশন করেন। অংশগ্রহনে ছিলেন নীপা ভৌমিক, প্রজ্ঞা বড়ুয়া, অনুপ দাস, শফি চৌধুরী হারুন, তাহরিনা পারভীন প্রীতি, পূর্নতা, অধরা, স্বতরূপা তালুকদার, লিলি মজুমদার, রুদ্রনীল দাস, মারুতি মহান বিশ্বাস, আল্পনা গুহ, লিপি রোজারিও, শতাব্দী সরকার, অর্ঘ্য সারথী সিকদার। পরিচালনায় ছিলেন নীপা ভৌমিক। এই পর্বে উপস্থাপনা করেন সেমন্তী ওয়াহেদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিনহাজ আহমদ।
উল্লেখ্য, এবারের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার-এর বিশ বছর পূর্তি আয়োজন ও উদযাপন আয়োজনে উপদেষ্টামন্ডলীতে ছিলেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, গোলাম কুদ্দুছ ও শামসুল আলম বকুল।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছর পূর্তির ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ আয়োজনে বাংলাদেশের ফেডারেটিভ বডির শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট (সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ), বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন (সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ), বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর ও সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ), বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ (সভাপতি মান্নান হীরা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস), শর্টফিল্ম ফোরাম (সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান), জাতীয় কবিতা পরিষদ (সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত), জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ (সভাপতি সনজীদা খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম), বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা (সভাপতি মিনু হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ), বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি ফকির আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট), রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা (সভাপতি তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আকবর), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ (সভাপতি জামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট (সভাপতি আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), সাধারণ সম্পাদক ফালগুনী হামিদ), অভিনয় শিল্পী সংঘ (সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম), বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ (সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়), প্রামণ্যচিত্রী পরিষদ (সভাপতি মানজারে হাসিন মুরাদ), বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার (সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক- তৌফিক হাসান ময়না)।
বিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ স্মারক গ্রন্থে জোট উত্তর আমেরিকার কার্যক্রম ও স্মৃতিকখা নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুছ, ফকির আলমগীর, সেলিম জাহান, লুবনা মরিয়ম, ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পূরবী বসু, মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, নিনি ওয়াহেদ, সাদিয়া ফয়জুননেসা, কৌশিক আহমেদ, মিথুন আহমেদ, আকবর হায়দার কিরণ, ফাহিম রেজা নুর, শামসুল আলম বকুল, আহকাম উল্লাহ, জামাল আহমেদ, কামাল পাশা চৌধুরী, কামাল বায়েজিদ, আহম্মদ গিয়াস, ফকির ইলিয়াস, আহমেদ হোসেন, নাজরা চৌধুরী, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, সঞ্জীবন কুমার, মাহতাব সোহেল, খাইরুল ইসলাম পাখি, আমান-উদ-দৌলা, আদনান সৈয়দ, শিতাংশু গুহ, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আহমাদ মাযহার, আবেদীন কাদের, মিনহাজ আহমদ, মুজিব বিন হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফি আহমেদ, আতাউর রহমান, কাউসার চৌধুরী, বাবুল বিশ্বাস, আব্দুস সেলিম, সেমন্তী ওয়াহেদ, সেলিম চৌধুরী, এনায়েত করিম বাবুল।
এছাড়াও উত্তর আমেরিকার জোটের পক্ষ থেকে বিগত বছরগুলোর জোটের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে- সালেক খান, মিথুন আহমেদ, মুজিব বিন হক, নিনি ওয়াহেদ, নার্গিস আহমেদ, লুৎফুন নাহার লতা, এ্যানি ফেরদৌস, নাজরা চৌধুরী, আমান উদ দৌলা, শহীদ হাসান, শ্যামলিপি শ্যামা, ফজলুল কবির, স্বপ্না কাউসার, শহীদ উদ্দিন, আবীর আলমগীর, টিটু গাজী, শাহানা আক্তার প্রমুখের নাম উল্লেখ করা হয়।
জোট আহবায়ক মিথুন আহমেদ দীর্ঘ এই বিশ বছরের পথ চলায় সবসময় যারা সক্রিয় অংশগ্রহন ও কর্মসূচী সমূহকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করেন এবং যারা উপস্থিত ছিলেন দর্শকদের মাঝ থেকে তাদেরকে পরিচিত করিয়ে দেন ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নাম স্মরণ করেন ড. নুরান নবী, সৈয়দ মোহম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, ডা. জিয়াউদ্দিন, সুব্রত বিশ্বাস, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, জীবন বিশ্বাস, নাসির আলী খান পল, তাজুল ইমাম, শিতাংশু গুহ, সরাফ সরকার, ডা. মাসুদুর রহমান, ফাহিম রেজা নূর, ডা. প্রতাপ দাশ, শামস আল মোমিন, ফকির ইলিয়াস, সাবিনা হাই উর্বি, হাসানাত আব্দুল্লাহ, এর্টনী অশোক কর্মকার, রাহাত মক্তাদির, ফাহিম রেজা নূর, ইসমত চৌধুরী, মহসীন ননী, কামাল আহমেদ, প্রদীপ সাহা, জাকারিয়া চৌধুরী, দেদারুল ইসলাম বাবলা, মুজাহিদ আনসারী, আলী আহসান কিবরিয়া অনু, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, আল আমীন বাবু, শহীদ উদ্দিন সহ আরো অনেকের নাম ।
বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক মানস বিকাশের লক্ষ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির কর্মযজ্ঞকে বিশ্বপটে জাগরুক রাখবার প্রক্রিয়ায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সাথে চেতনাগত একাত্মিত সংগঠন ও জোটভুক্ত সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জোট আদর্শের সাথে সংহতিপুর্ণ সমচেতনার সাংস্কৃতিক সংগঠন ও উপস্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ উদীচী, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট পারফর্মিং আর্ট (বিপা), সংগীত পরিষদ, সুর ছন্দ, একুশে চেতনা পরিষদ, থিয়েটার থিয়েটার, ঢাকা ড্রামা, ড্রামা সার্কল, বাংলাদেশ থিয়েটার অব এমেরিকা (বিটিএ), স্যামস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড রাইটার এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার, সাহিত্য পরিষদ, রঙ্গালয়, নৃত্যাঞ্জলী, প্রকৃতি, আনন্দধ্বনি, বেইজমেন্টাল, পন্ডিত কিষাণ মহারাজ তাল-তরঙ্গ ইনষ্টিটিউশন, বহুবচন, নিউ ইয়র্ক আর্টিষ্ট ইউনিটি, সাহিত্য একাডেমী, বাঙলা থিয়েটার, সুরবাহার, বাচনিক, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পরিষদ, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদ এর নাম ও সংগঠনগুলোর কর্মকান্ড এবং জোট প্রক্রিয়ায় তাদের সকল অংশগ্রহনের প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানানো হয়।
যাদের নিরলস পরিশ্রমে ‘শিল্প ও দ্রোহের কুড়ি বছর’ আয়োজনটি স্বার্থক হয়ে উঠেছে, সেই সব সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং নেপথ্য কর্মীদের নাম হলো: চিত্র প্রদর্শনীর ‘সত্তার খনন’ এর কিউরেটর-মিথুন আহমেদ, চিত্র প্রদর্শনী সহযোগী-নিউইয়র্ক আর্টিস্ট ইউনিটি, ব্রোশিওর প্রিন্টিং- গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ড, ডিজাইন সহায়তা- আর্টিস্ট আইল, শিল্প তত্ত্বাবধান- টিপু আলম, আলোকচিত্র- নিহার সিদ্দিকী, ছবি বাঁধাই ও ফ্রেমিং সহায়তা- জাহেদ শরীফ, টিভিসি ভয়েস ওভার- সেমন্তী ওয়াহেদ, মিলনায়তন ব্যবস্থাপনা- পারভীন সুলতানা, মহম্মদ ফজলে আলী কচি, মঞ্চ ব্যবস্থাপনা- গোপাল সান্যাল, অতিথি অভ্যর্থনা- শুভ রায়, মিডিয়া সহায়তা- আকবর হায়দার কিরণ, চিত্র প্রদর্শনী ডিসপ্লে সমন্বয়- দেওয়ান মাহবুবুল হাসান শোভন, তথ্য- সঞ্জীবন কুমার, প্রযুক্তি- দেওয়ান আশরাফ আলম, সম্পাদনা পরামর্শক- আহমাদ মাযহার, বাংলাদেশ সমন্বয়- নাজিব তারেক, সুমন আহমেদ, বিশেষ সংযোগ উপদেশক- মোর্শেদ আলম, বিশেষ সহায়তা- মাহফুজুর রহমান, আলো ও শব্দ ব্যবস্থাপনা- অনুপ কুমার, আয়োজন সংযোগ ও প্রস্তুতি সহায়তা- সেমন্তী ওয়াহেদ, প্রকাশনা ও প্রচার- আশরাফুল হাবিব চৌধুরী মিহির, আয়োজন ব্যবস্থাপনা- ওবায়েদুল্লাহ মামুন, আয়োজন সমন্বয়কারী- মিনহাজ আহমদ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রদর্শনী আমন্ত্রিত অতিথিরা ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। একই সাথে একইভাবে পরস্পর সমান্তরালে বিবেচিত হয়েছে বিষয়ের বস্তুগত দুইটি লক্ষণকে প্রাধান্য দিয়ে এই চিত্র প্রদর্শনীর শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে চিন্তাশীল মানবিক সত্তার নৈঃশব্দিক খনন ও জাতিসত্তার নিঃবস্তগত খনন। চিত্র প্রদর্শনীতে শুরু অনুষ্ঠানে জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের পক্ষ থেকে নিনি ওয়াহেদ এবং উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের পক্ষ থেকে মুহম্মদ ফজলুর রহমান তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
আবৃত্তি পর্বে একে একে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ক্রিস্টিনা রোজারিও, আবুল হোসেনের মাতৃভাষা, ফারুক আজম নাজিম হিকমতের জেলখানার চিঠি, মিজানুর রহমান বিপ্লব, আহসান হাবীবের আমি কোন আগন্তুক নই, সেমন্তী ওয়াহেদ, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আমি বাংলায় গান গাই, জন বেজ এর সং অফ বাংলাদেশ ও জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ এবং হিরা চৌধুরী- ভাস্কর চৌধুরীর আমার বন্ধু নিরঞ্জন কবিতাটি।
‘সত্তার খনন’ চিত্র প্রদর্শনীতে ২২জন চারুশিল্পীর ২৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। অংশগ্রহণকারী চারুশিল্পীরা ছিলেন: মতলুব আলী, খুরশিদ আলম সেলিম, শামীম বেগম, কাজী রকিব, নাজমা চৌধুরী, জামাল আহমেদ, মুস্তাফা খালিদ পলাশ, মাসুদা কাজী, নাজিব তারেক, কাজী ইকবাল টুলু, জেমরিনা বিনতে আলী, মিথুন আহমেদ, সৈয়দ আজিজুর রহমান তারিফ, টিপু আলম, শুভা রহমান, আফজাল হোসেন, এম ডি টোকন, মাহফিল আলী, লায়লা ফারজানা, ফারজানা আফরোজ বাপ্পী, আখতার আহমেদ রাশা ও আলমা ফেরদৌসী লিয়া।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার বিশ বছরপূর্তি আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।