নিউইয়র্ক ০২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে রঙ ছড়ালো বাফা’র চন্ডালিকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬
  • / ৩০৬১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী নৃত্যনাট্য ‘চন্ডালিকা’ প্রথম বারের মত মঞ্চায়ন করেই বাজিমাত করে দিল বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস বাফার শিল্পীরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের পিএস ১০৬ এর কানায় কানায় পূর্ণ সুপরিসর হলঘরে পিন পতন নীরবতায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান সহ ট্রাইস্টেট থেকে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ছিলোনা কোন বক্তব্যের পালা। শ্রোতা দর্শকরা মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন বাফার শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।
শ্রেনীবৈষম্য ও বর্ণবৈষম্য বিরোধী সামাজিক জাগরণ এবং জীবনজয়ের ছন্দময় এক অমরবাণী চন্ডালিকা। জীবনকে বিকশিত করতে, চিত্তকে আনন্দিত করতে ও মানুষকে প্রেমময় করতে হৃদয় ছোঁয়া অনবদ্য এক মানবিক আবেদন এই চন্ডালিকা গীতি নৃত্যনাট্য।
চন্ডালিকা গীতি নৃত্যনাট্যে ‘প্রকৃতি’ এক অস্পৃশ্য রমনী,যে সমাজের এক অতি নিচুজাত চন্ডাল। তাকে কেউ কিছু ছুঁতে দেয়না এবং তার কাছ থেকেও কেউ কিছু নিতেও চায়না। একদিন তার জীবনে আবির্ভাব ঘটে আনন্দের। আনন্দ সেই বৌদ্ধ ভিক্ষু যে কিনা তার হাতের জল গ্রহন করে এবং তাকে দেয় নতুন জীবনের আস্বাদ। প্রকৃতির হৃদয় মনে জাগায় আশার আলো।নতুন চেতনায় জীবনকে ভাবতে শেখায়।কুসংস্কারের আগল ভেঙ্গেই প্রকৃতি মানবতার জয়গানে জীবন জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজে পায়। জগতে শুভ সুন্দর সত্যময় কল্যাণী শক্তির বাণী বন্দনার উৎকৃষ্ট উপাদান নিয়েই, সমাজ প্রগতির সাহসী এক জয়ধ্বনি গীতি নৃত্যনাট্য চন্ডালিকা অনুষ্ঠানটি।
IMG_5574নৃত্যনাট্যটি পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ। চরিত্র রুপায়নে ছিলেন প্রকৃতি -মারজিয়া স্মৃতি, আনন্দ- মোহাম্মদ নাসিরউল্লাহ, বৌদ্ধ ভিক্ষু- সামিউল ও দিপু ,মা-অন্তরা সাহা, দই ওয়ালা ও রাজার প্রহরী- মৃদুলা আলম, চুড়িওয়ালা- আরিয়া জান্নাত এবং নৃত্যে- নিরমা গোলদার, ইশানি চৌধুরী, মৃদুলা আলম, নুঝহাত ফাইজা, সানজিদা ইসলাম,আনিকা সাহা, সেজুতি ভৌমিক, রিতু ভৌমিক, আরিয়া জান্নাত, ফাতিহা নুর, আনিকা কায়সার, ইশা রয় ও মিথুন দেব। মঞ্চ ও গ্রাফিক ডিজাইনে ছিলেন: টিপু আলম, পোশাক পরিকল্পনায় অনুপ কুমার দাশ ও ফরিদা ইয়াসমিন, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় শামিম আরা বেগম ও মোশারফ হোসেন, শব্দ নিয়ন্ত্রনে: মুনির এলকন লাইটিং, আলোক নিয়ন্ত্রনে: শামিম লিটন, তত্ত্বাবধানে: ফারজানা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনায়: ফরিদা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে ছাত্র ছাত্রীদেরকে সনদ প্রদান করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব মুত্তালিব বিশ্বাস ও আভাদি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ব্যারিস্টার ইসরাত সামি ও জানকী পেট্রিক।
‘ঐ নুতনের কেতন উড়ে’ সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে: সানজিদা ইসলাম, দিপু চৌধুরী, ফাহিম ফয়সাল,মোনা চৌধুরী, সাইশা ইসলাম,মুসাম্মেদ খানম শান্ত, অন্তরা অধিকারি,সোহানা আহমেদ, তাসনিয়া হক,ববী পোদ্দার, কিংশুক ও বাবুল সরকার।সংগীত পরিচালনায় ছিলেন রণজিৎ কুমার দাস,তবলায় তপন মোদক ও মন্দিরায় সহিদ উদ্দিন ও গ্রন্থনায় ছিলেন শামিম আরা বেগম।
‘হৃদয় আমাIMG_6285র নাচেরে আজিকে’ নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ফাতিহা, আরপিতা, ঋতু, ইশা, তিশা, জয়িতা, আনিকা, কৃষ্ণা, জারা, কথা, চৈতন্য, রিয়া, শ্রেয়া, মায়া, দিবা, রিদিতা, অদিতি, নিরজা ও তুলসি। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ। পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ ও ফরিদা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও নিউইয়র্ক কনস্যুলেট’র কনসাল জেনারেল মো: শামিম আহসান বক্তব্য রাখেন।
বাফা আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৬ পুরোটাই ছিল সুপরিকল্পিত, গোছালো ও সাবলীল।বাফার চেনা জানা মানুষগুলো নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ছিলেন সচেতন ও তৎপর।বিশাল এই অনুষ্ঠানে কোথাও কোন ছন্দপতন হয়নি,এক কথায় বলাচলে মনে রাখার মত-অসাধারন ও চমৎকার একটি অনুষ্ঠান বাফা উপহার দিলো শ্রোতা দর্শকদের।
প্রকৃতি নামের চমৎকার এই চরিত্রটি মারজিয়া স্মৃতির অনায়াস অভিনয়ে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। শামীম লিটনের আলো’র কাজ ছিল খুব ভালো- এককথায় চমৎকার।
অনুষ্ঠানের পরিচালক অনুপ কুমার দাশের কথা কিছু না বললেই নয়। একেবারে আনকোড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি যে মায়ার খেলা দেখিয়ে হল ভর্তি দর্শকদের মন্ত্র মুগ্ধকরে রাখলেন তা দর্শকরা ভুলবেনা অনেকদিন। তিনি সম্ভবত চেয়েছেন একটি মানবিক ও হৃদয়গ্রাহী কাহিনীকে খুব স্বচ্ছন্দ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর তিনি তা পেরেছেনও অত্যন্ত সফলভাবে।
অত্যন্ত সুচারু অথচ দৃষ্টিনন্দন মঞ্চসজ্জা করে টিপু আলম তার মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
IMG_6067নৃত্য পরিচ্ছদ এবং নৃত্য ভাবনা ছিলো অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। বিশেষ করে গানের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচ্ছদের রঙের ব্যবহার ছিলো প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথের ‘চন্ডালিকা’ মঞ্চস্থ করার জন্য বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন যে সাহস দেখিয়েছেন সেজন্য তিনি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। উপযুক্ত মহড়া, অনুশীলন এবং কণ্ঠ চর্চার সঙ্গে অনুভবের সম্মেলনে অনুষ্ঠানটি হয়েছিলো সার্থক ও সুন্দর। কুশীলবদের টীম ওয়ার্ক ছিলো চোখে পড়ার মত। তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফল চন্ডালিকা দীর্ঘদিন শ্রোতা দর্শকদের মনকে ছুঁয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে রঙ ছড়ালো বাফা’র চন্ডালিকা

প্রকাশের সময় : ০২:১৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

নিউইয়র্ক: রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী নৃত্যনাট্য ‘চন্ডালিকা’ প্রথম বারের মত মঞ্চায়ন করেই বাজিমাত করে দিল বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস বাফার শিল্পীরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের পিএস ১০৬ এর কানায় কানায় পূর্ণ সুপরিসর হলঘরে পিন পতন নীরবতায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান সহ ট্রাইস্টেট থেকে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ছিলোনা কোন বক্তব্যের পালা। শ্রোতা দর্শকরা মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন বাফার শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।
শ্রেনীবৈষম্য ও বর্ণবৈষম্য বিরোধী সামাজিক জাগরণ এবং জীবনজয়ের ছন্দময় এক অমরবাণী চন্ডালিকা। জীবনকে বিকশিত করতে, চিত্তকে আনন্দিত করতে ও মানুষকে প্রেমময় করতে হৃদয় ছোঁয়া অনবদ্য এক মানবিক আবেদন এই চন্ডালিকা গীতি নৃত্যনাট্য।
চন্ডালিকা গীতি নৃত্যনাট্যে ‘প্রকৃতি’ এক অস্পৃশ্য রমনী,যে সমাজের এক অতি নিচুজাত চন্ডাল। তাকে কেউ কিছু ছুঁতে দেয়না এবং তার কাছ থেকেও কেউ কিছু নিতেও চায়না। একদিন তার জীবনে আবির্ভাব ঘটে আনন্দের। আনন্দ সেই বৌদ্ধ ভিক্ষু যে কিনা তার হাতের জল গ্রহন করে এবং তাকে দেয় নতুন জীবনের আস্বাদ। প্রকৃতির হৃদয় মনে জাগায় আশার আলো।নতুন চেতনায় জীবনকে ভাবতে শেখায়।কুসংস্কারের আগল ভেঙ্গেই প্রকৃতি মানবতার জয়গানে জীবন জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজে পায়। জগতে শুভ সুন্দর সত্যময় কল্যাণী শক্তির বাণী বন্দনার উৎকৃষ্ট উপাদান নিয়েই, সমাজ প্রগতির সাহসী এক জয়ধ্বনি গীতি নৃত্যনাট্য চন্ডালিকা অনুষ্ঠানটি।
IMG_5574নৃত্যনাট্যটি পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ। চরিত্র রুপায়নে ছিলেন প্রকৃতি -মারজিয়া স্মৃতি, আনন্দ- মোহাম্মদ নাসিরউল্লাহ, বৌদ্ধ ভিক্ষু- সামিউল ও দিপু ,মা-অন্তরা সাহা, দই ওয়ালা ও রাজার প্রহরী- মৃদুলা আলম, চুড়িওয়ালা- আরিয়া জান্নাত এবং নৃত্যে- নিরমা গোলদার, ইশানি চৌধুরী, মৃদুলা আলম, নুঝহাত ফাইজা, সানজিদা ইসলাম,আনিকা সাহা, সেজুতি ভৌমিক, রিতু ভৌমিক, আরিয়া জান্নাত, ফাতিহা নুর, আনিকা কায়সার, ইশা রয় ও মিথুন দেব। মঞ্চ ও গ্রাফিক ডিজাইনে ছিলেন: টিপু আলম, পোশাক পরিকল্পনায় অনুপ কুমার দাশ ও ফরিদা ইয়াসমিন, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় শামিম আরা বেগম ও মোশারফ হোসেন, শব্দ নিয়ন্ত্রনে: মুনির এলকন লাইটিং, আলোক নিয়ন্ত্রনে: শামিম লিটন, তত্ত্বাবধানে: ফারজানা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনায়: ফরিদা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে ছাত্র ছাত্রীদেরকে সনদ প্রদান করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব মুত্তালিব বিশ্বাস ও আভাদি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ব্যারিস্টার ইসরাত সামি ও জানকী পেট্রিক।
‘ঐ নুতনের কেতন উড়ে’ সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে: সানজিদা ইসলাম, দিপু চৌধুরী, ফাহিম ফয়সাল,মোনা চৌধুরী, সাইশা ইসলাম,মুসাম্মেদ খানম শান্ত, অন্তরা অধিকারি,সোহানা আহমেদ, তাসনিয়া হক,ববী পোদ্দার, কিংশুক ও বাবুল সরকার।সংগীত পরিচালনায় ছিলেন রণজিৎ কুমার দাস,তবলায় তপন মোদক ও মন্দিরায় সহিদ উদ্দিন ও গ্রন্থনায় ছিলেন শামিম আরা বেগম।
‘হৃদয় আমাIMG_6285র নাচেরে আজিকে’ নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ফাতিহা, আরপিতা, ঋতু, ইশা, তিশা, জয়িতা, আনিকা, কৃষ্ণা, জারা, কথা, চৈতন্য, রিয়া, শ্রেয়া, মায়া, দিবা, রিদিতা, অদিতি, নিরজা ও তুলসি। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ। পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন অনুপ কুমার দাশ ও ফরিদা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও নিউইয়র্ক কনস্যুলেট’র কনসাল জেনারেল মো: শামিম আহসান বক্তব্য রাখেন।
বাফা আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৬ পুরোটাই ছিল সুপরিকল্পিত, গোছালো ও সাবলীল।বাফার চেনা জানা মানুষগুলো নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ছিলেন সচেতন ও তৎপর।বিশাল এই অনুষ্ঠানে কোথাও কোন ছন্দপতন হয়নি,এক কথায় বলাচলে মনে রাখার মত-অসাধারন ও চমৎকার একটি অনুষ্ঠান বাফা উপহার দিলো শ্রোতা দর্শকদের।
প্রকৃতি নামের চমৎকার এই চরিত্রটি মারজিয়া স্মৃতির অনায়াস অভিনয়ে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। শামীম লিটনের আলো’র কাজ ছিল খুব ভালো- এককথায় চমৎকার।
অনুষ্ঠানের পরিচালক অনুপ কুমার দাশের কথা কিছু না বললেই নয়। একেবারে আনকোড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি যে মায়ার খেলা দেখিয়ে হল ভর্তি দর্শকদের মন্ত্র মুগ্ধকরে রাখলেন তা দর্শকরা ভুলবেনা অনেকদিন। তিনি সম্ভবত চেয়েছেন একটি মানবিক ও হৃদয়গ্রাহী কাহিনীকে খুব স্বচ্ছন্দ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর তিনি তা পেরেছেনও অত্যন্ত সফলভাবে।
অত্যন্ত সুচারু অথচ দৃষ্টিনন্দন মঞ্চসজ্জা করে টিপু আলম তার মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
IMG_6067নৃত্য পরিচ্ছদ এবং নৃত্য ভাবনা ছিলো অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। বিশেষ করে গানের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচ্ছদের রঙের ব্যবহার ছিলো প্রশংসনীয়। রবীন্দ্রনাথের ‘চন্ডালিকা’ মঞ্চস্থ করার জন্য বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন যে সাহস দেখিয়েছেন সেজন্য তিনি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। উপযুক্ত মহড়া, অনুশীলন এবং কণ্ঠ চর্চার সঙ্গে অনুভবের সম্মেলনে অনুষ্ঠানটি হয়েছিলো সার্থক ও সুন্দর। কুশীলবদের টীম ওয়ার্ক ছিলো চোখে পড়ার মত। তাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফল চন্ডালিকা দীর্ঘদিন শ্রোতা দর্শকদের মনকে ছুঁয়ে যাবে।