নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির আলোচিত ঘটনা
- প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৫
- / ৮৯২ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বিদায় ২০১৪, স্বাগতম ইংরেজী ২০১৫ সাল। ঘটনাবহুল বিদায় বছরে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির একাধিক ঘটনা ছিলো আলোচিত। এই বছর কমিউনিটি হারিয়েছে একাধিক আপনজন, কমিউনিটির পরিচিত মুখ। ঘটেছে বেদনা-বিধূর একাধিক ঘটনা। এসবের উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়েই এই বিশেষ প্রতিবেদন। বিদায় বছরে কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ৫ জানুয়ারী নিউইয়র্কের জ্যামাইকাস্থ ১৬৯ স্ট্রীট ও হল্যান্ড অ্যাভিনিউতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বাংলাদেশী তানজিনা খাতুন, ১৫ জানুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন ডা. শাহীন, ৩ মার্চ ইন্তেকাল করেন বাংলা একাডেমীর পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক আলী আনোয়ার, ৭ মার্চ বাংলাদেশে ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক সংবাদ-এর সম্পাদক গজনফর আলী চৌধুরী ও সাবেক এমপি সৈয়দা হাসান চৌধুরীর কনিষ্ঠপুত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. মনজুর হাসান চৌধুরী, ১০ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন প্রবাসের সঙ্গীত শিল্পী রাসেল ঠাকুর, গৃহপরিচালকের মামলায় ২৪ মার্চ গোপনে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ তৎকালীন কনসাল জেনারেল ও মরোক্কতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, ১ এপ্রিল ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানবাধিকার নেতা রতন বড়–য়ার মৃত্যু, ২১ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের ব্রুসন ভবনে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ভস্মিভূত, ১৬ মে আলাবামায় দূর্বৃত্তের গুলিতে বাংলাদেশী চিত্র পরিচালক এম বি মানিক নিহত, ২৩ মে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্স্যুলেট থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি চুরি এবং পরবর্তীতে ভাঙা অবস্থায় ছবিটি উদ্ধার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন্দলে ১৭ জুন নিউইয়র্কে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সম্বর্ধণা বাতিল, ৯ জুলাই ভোর সাড়ে চারটার দিকে নিউইয়র্কের ওজনপার্ক এলাকার ৭৬ স্ট্রীটে দুই স্প্যানিশ যুবকের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি নজমুল ইসলাম খুন, ১৪ সেপ্টেম্বর শিকাগো শহরে জিয়াউর রহমানওয়ের উদ্বোধন, উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী নতুন প্রজন্ম ও অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর টাইম টেলিভিশন-এর আনুষ্ঠানিক সম্প্রসার শুরু, ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যানারে সর্বজনীন সম্বর্ধনা প্রদান, ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পবিত্র হজ্ব, মহানবী, তাবলীগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য প্রদান, ১ অক্টোবর একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবীদ ও খান টিউটোরিয়ালের কর্ণধার ড. মনসুর খানের ইন্তেকাল, ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে আজমল হোসেন কুনু সভাপতি ও আব্দুর রহীম হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক পদে পুন: নির্বাচিত, ৮ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির ঘটনায় ২০ নভেম্বর ব্রুকলীন টেকের বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত, বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মাহবুব জামান দোষী সাব্যস্ত, ১ ডিসেম্বর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বাংলাদেশীদের জন্য ‘দেশী সিনিয়র সেন্টার’ উদ্বোধন, ৩ ডিসেম্বর কমিউনিটির পরিচিত মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত জাহাঙ্গীর আলম এবং ২০ ডিসেম্বর কমিউনিটির পরিচিত মুখ, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক কূটনীতিক আব্দুর রাজ্জাক খান ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা জাকিয়া খানের একমাত্র পুত্র প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত জুবিন রাজ্জাক খান (৩৫) ইন্তেকাল করেন। এছাড়া ফেব্রুয়ারী মাসে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রামকানাই দাসের একুশে পদক লাভ, প্রবাসের বিশিষ্ট লেখক পূরবী বসু ও মাহফুজুর রহমান বাংলা একাডেমীর পুরষ্কার লাভ এবং স্টক এক্সেচেঞ্জে ব্যবসার মাধ্যমে ৭২ মিলিয়ন ডলার আয়ের খবরের পর নন্দিত বাংলাদেশী কিশোর মোহাম্মদ ইসলাম ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে নিন্দিত হওয়ার ঘটনা ছিলো কমিউনিটির অন্যতন উল্লেখযোগ্য ও আলোচিত ঘটনা।
ব্রুকলীনে ব্যবসায়ী দুলাল খুন : নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন দুলালকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ১০ জানুয়ারী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুলালকে হত্যার অভিযোগে নিহতের বাংলাদেশী ভাড়াটিয়া রাসেল সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম সমিতি’র নির্বাচনে ‘আকবর-সেলিম’ পরিষদের জয়লাভ
চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র নির্বাচনে ‘আকবর-সেলিম’ পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করে জয়ী হয়। তুমুল এই প্রতিদ্বন্দীতামূলক নির্বাচনে ‘জিয়া-তাহের’ পরিষদের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদে জয় হন অঅবু তাহের। ৩১ আগষ্ট অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইর্কের ব্রুকলীন ও কুইন্স, নিউজার্সির আটলান্টিক সিটি, প্যানসিলভেনিয়া, কানেকটিকার্ট ও ম্যাসাচুসেটস’সহ মোট সাতটি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ প্রাথমিক ফলাফল ঘোষনা করেন। ফলাফল ঘোষনার পুরো অনুষ্ঠান টাইম টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। প্রায় ৫হাজার ৩শ ৫০জন ভোটারের মধ্যে কাস্টিং ভোট দেখানো হয় ৩ হাজার ১শ ৫৬ ভোটের।
কানেকটিকাটে বাংলাদেশী যুবক খুন : যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের স্ট্যামফোর্ডে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাংলাদেশী এক ট্যাক্সিচালক। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদ কামালউদ্দিনের (৪৭) নামের ওই বাংলাদেশীকে হত্যার পর রাস্তার ধারে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্ট্যামফোর্ডের ডোটেল রোডে নির্মাণ শ্রমিকরা প্রথমে কামালের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত কামালের দেহে ১৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। নিহত কামালউদ্দিনের (৪৭) বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের আগস্ট মাসেও একই রাজ্যের হার্টফোর্ড সিটিতে মুদি দোকানের কর্মচারী বেলাল তালুকদার (৪৭) ডাকাতের গুলিতে নিহত হন। ওই হত্যা মামলার রায়ে গত ১৩ আগস্ট কেজলিন মেন্ডেজ নামের এক আসামিকে ৫৫ বছরের কারাদন্ড দেয় আদালত।
শিকাগোতে ‘জিয়াউর রহমান’ সড়ক উদ্বোধন : উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে সড়ক উদ্বোধন হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার অপরাহ্ন তিনটায় ‘অনারারী জিয়াউর রহমান ওয়ে’র নাম ফলক উন্মোচন করে এই সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পাটির চেয়ার এমিরেটাস ওল্ডার ম্যান জোসেফ মোর ও সিটি কাউন্সিলম্যান অ্যালডারম্যান। উল্লেখ্য, গত ২৬ মে সিটি কাউন্সিলের ৫০ জন সদস্যের মধ্যে ৪৮ জনের উপস্থিতিতে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে শিকাগো শহরে একটি সড়কের নামকরণের প্রস্তাব পাস হয়। সেক্রেটারি অব স্টেট জেসি হোয়াইট এর কাউন্সিল মেম্বার শাহ মোজাম্মেল নান্টু ‘জিয়াউর রহমানের ওয়ে’র প্রধান উদ্যোক্তা।
নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাট প্রাইমারী নির্বাচনে জুডিশিয়াল ডেলিগেট পদে চার বাংলাদেশীর জয়লাভ : নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রাইমারী নির্বাচনে জুডিশিয়াল ডেলিগেট পদে চার বাংলাদেশী-আমেরিকান জয়লাভ করেন। নির্বাচিতরা হলেন মঞ্জুর চৌধুরী, মোহাম্মদ সেবুল উদ্দিন, ইমরুল শাহ রন ও সামিহা তাসনিম। নির্বাচনে জুডিশিয়াল ডেলিগেট হিসেবে কুইন্স কাউন্টি থেকে মঞ্জুর চৌধুরী, কুইন্সের অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ থেকে মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন, ব্রঙ্কসের অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ৮৭ থেকে একই পদে এমরান শাহ রন ও অল্টারনেট জুডিশিয়াল ডেলিগেট হিসেবে সামিহা তাসনিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। প্রাইমারী নির্বাচনে তাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকলেও ব্যালট পেপারে তাদের নাম ছিলো। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচালয়ে জজ (বিচারক) নিয়োগের ক্ষেত্রে জুলিশিয়াল ডেলিগেটদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে ‘কুনু-রহীম’ প্যানেল ১০ ‘কামাল-সানি’ প্যানেলে ৮ পদে জয়ী : বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্কের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে (২০১৫-২০১৬) আজমল হোসেন কুনু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুর রহীম হাওলাদার পুন: নির্বাচত হয়েছেন। গত ২৬ অক্টোবর রোববার এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ‘কুনু-রহীম’ ও ‘কামাল-সানী’ প্যানেল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচন কমিশনের বেসরকারী ফলাফলে ‘কুনু-রহীম’ প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ ১০টি পদে অপরদিকে ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাপতি পদসহ ৯জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। চুড়ান্ত ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক রাত একটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯ পদে দুই প্যানেল থেকে ৩৮জন প্রার্থী ছিলেন। সোসাইটির নির্বাচনে কুইন্স ও ব্রুকলীন দু’টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল ৯টায় কুইন্সের ভোট কেন্দ্র (গুলশান ট্যারেস) আর ব্রুকলীন কেন্দ্র পিএস ২১৪-এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলো ৪,০৩৬ জন। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক, সদস্য মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া ও আজমল আলী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আজিজ। এছাড়াও ৭জন পুলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির নির্বাচনে ‘রব-জাহিদ’ প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৃহত্তর নোয়াখালী অভিবাসীদের প্রাণের সংগঠন ‘দি গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইন্্ক’র নির্বাচনে ‘রব-জাহিদ’ প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। নির্বাচনে দু’টি প্যানেল ‘রব-জাহিদ ও সুফিয়ান-কামাল’ পরিষদ প্রতিদ্বন্দিতা করে। গত ১৯ অক্টোবর ব্রুকলীনস্থ পিএস ১৭৯ মিলনায়তনে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলো ৯শ ৫৬জন। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের, কমিশনের সদস্যরা ছিলেন আবুল কাশেম, আবুল কালাম, মোহাম্মদ সোহেল (হেলাল) ও আশীষ ভৌমিক।
‘প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সর্বজনীন নয় দলীয়’ : যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগে আবার বিভক্তি ॥ অপ্রীতিকর ঘটনা
চলতি বছরের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ দলীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে আবার দলীয় বিভক্তি দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সর্বজনিনতা নিয়ে। সর্বজনীন সম্বর্ধনা সভায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ বা মহিলা লীগের কোন নেতাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। সম্বর্ধনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না পাওয়ায় তারাও বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। এনিয়ে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালেই হোটেল লবিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে প্রশ্ন উঠে সম্বর্ধনার সর্বজনীনতা নিয়েও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে যোগদান উপলক্ষ্যে তাঁর নিউইয়র্ক সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগে বিবদমান বিভেদ-বিভক্তি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক উদ্যোগী হয়ে দলের বিভেদ-বিভক্তি দূর করার চেষ্টা করেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দল থেকে বহিস্কৃত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন ও প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজি এনাম) এবং কার্যকরী সদস্য জসিম উদ্দিন খান মিঠুকে দলের স্ব স্ব পদে ফিরিয়ে নেয়া হয়। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ কর্তৃক বাতিলকৃত ‘মিসবাহ-ফরিদ’ নেতৃত্বাধীন যুবলীগের সাথেও সমঝোতা করা হয়। ‘মিসবাহ-ফরিদ’ নেতৃত্বাধীন যুবলীগ বা কেন্দ্রীয় যুবলীগ ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির কোন নেতাকেই প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেয়ায় সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ হন। অনেকে সম্বর্ধনা স্থলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যুবলীগ নেতৃবৃন্দের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাথে প্রতারণা করেছে।
সম্বর্ধনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর পরই বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা বিশেষ করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগের নেতারা ঘিরে ধরেন দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সম্বর্ধনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেটেলে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই হোটেল লবিতে গিয়ে সমবেত হন। সেখানে দলের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন দলের দপ্তর সম্পাদক ও সম্বর্ধনা সভা পরিচালনাকারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর মুখোমুখী হন। এসময় আইরীন পারভীনকে সভা পরিচালনায় সুযোগ না দেয়ার জন্য মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে ‘চার্জ’ করেন। প্রতিউত্তরে সিদ্দিকী বলেন, ‘এটি আমার সিদ্ধান্ত নয়। দলের সিদ্ধান্ত’। আপনার কোন কথা থাকলে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাস করেন’। এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সম্বর্ধনা সভা সর্বজনীন বলে দাবী করা হলেও সেই সভায় যুক্তরাষ্ট্র জাসদ (সভায় আওয়ামী জাসদ বলে উল্লেখ করা হয়) সভাপতি আব্দুল মুসাব্বির ছাড়া মহাজোট সরকারের জাতীয় পার্টি, জাপা (মঞ্জু)সহ শরীক দলগুলোর অন্য কোন নেতা বা কমিউনিটির কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীর কোন প্রতিনিধিত্ব ছিলো না ঐ সভায়। এমনকি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বজনীন সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির কোন প্রতিনিধিকেও সম্বর্ধনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে এই সভাকে ‘সর্বজনীন সম্বর্ধনা’ না বলে ‘দলীয় সম্বর্ধনা সভা’ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন সচেতন প্রবাসীরা। অথচ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সম্বর্ধনা সভার বিজ্ঞাপনে শত শত মানুষের নাম প্রকাশিত হয়েছে। সভার আহ্বায়ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি আর সদস্য সচিবও ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ।
মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বেসামাল মন্তব্য : হজ্ব অর্থের অপচয় : টক’শোর আলোচকরা ‘টক মারানী’ : জয় আবার কে?
তৎকালীন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্ক সফরকালীন সময় ২৮ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসে প্রবাসী টাঙ্গাইল প্রবাসীদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের অবস্থান নিয়ে কঠোর ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন। লতিফ সিদ্দিকী বলেন ‘সজিব ওয়াজেদ জয় কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তার কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই। জয় শুধু উপদেশ দিতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক সরকার।’
এর আগে ম্যানহাটনের হোটেল ম্যারিয়ট মার্কিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও তার পুত্র জয়ে’র উপস্থিতিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তার ভূয়শী প্রসংশা করেন লতিফ সিদ্দিকী। রাত পেরিয়ে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঠিক বিপরীত কথা বলেন এই মন্ত্রী।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দিবেন। প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা গুলোকে লতিফ সিদ্দিকী টয়লেট পেপার বলে আখ্যায়িত করেন। টিভির টক’শোতে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদেরকে ‘টক মারানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এছাড়াও এসব টক’শোতে যোগদানকারি আর ‘চুতমারানিদের’ মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য তাঁর। মন্ত্রী বলেন , ‘আমি যাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে ১ লাখ পেয়েছি তাদের কোন তদবির আমি এখন রক্ষা করিনা।’
এছাড়াও উক্ত সভায় তিনি ধর্ম নিয়েও আপত্তিকর বেশ কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি হজ্ব এবং তাবলীগের ঘোর বিরোধী। আমি জামায়াতকে যেমন ঘৃণা করি, ঠিক তেমনি ভাবে হজ্ব এবং তাবলীগকেও ঘৃণা করি। ১ লাখ লোক হজ্বে গেলে দেশের ৫শ’ কোটি টাকার অপচয় হয়।’ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) কে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহপুত্র মোহাম্মদ কোরাইশদের আর্থিক সুবিধার জন্য হজ্ব উৎসব চালু করেন।’
সরকারের একজন শীর্ষ মন্ত্রীর এসব আপত্তিজনক কথাবার্তায় সভাস্থল থেকে অনেকেই বের হয়ে যান। এসময় অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে এবং বাইরে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে লতিফ সিদ্দিকী অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী এমন অশোভন মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। লতিফ সিদ্দিকীর এ ধরণের অশোভন আচরণ প্রবাসী তথা কমিউনিটির ‘টক অব দ্যা টাউন’ এ পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে অপসারণ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে থানায় আতœসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে তিনি এখনও এমপি পদে বহাল রয়েছেন।
সড়ক দূর্ঘটনায় হাজী ওবায়দুল হকের পুত্র কচির মৃত্যু : নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন কমিউনিটির পরিচিত মুখ ওবায়দুল হকের পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন হক ওরফে মোহাম্মদ হক কচি (৩৫)। তার মরদেহ গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে দাফন করা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি ইউএসএ ও চার্চ-ম্যকডোনাল্ড বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (সিএমবিবিএ)-এর সাবেক সভাপতি, ব্রুকলীনের প্রগতি গ্রোসারীর স্বত্তাধিকারী হাজী ওবায়দুল হকের পুত্র কচি গত ২৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে এক সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি পিতা, মাতা, স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অনেক আতœীয়-স্বজন রেখে যান। উল্লেখ্য, পিতা হাজী ওবায়দুল হক দেশে অবস্থানকালেই তার পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পান। পরবর্তীতে পারিবারিক সিদ্ধান্তে কচির মরদেহে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সুদর্শন কচি গত ২৪ নভেম্বর সোমবার ভোর রাতে সোয়া তিনটার দিকে একাকী গাড়ী যোগে ব্রঙ্কস থেকে ব্রুকলীনস্থ বাসায় ফেরার পথে মারাত্বক দূর্ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানোর সময় কচি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে তার গাড়িটি (ফোর্ড এক্সপ্লোরার) একটি পাশ্ববর্তী গাছের সাথে ধাক্কা খেলে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশের ধারণা ঘটনাস্থলেই কচি মৃত্যুবরণ করেন।
বেগমগঞ্জ সোসাইটির নির্বাচনে আমিন-বাদল পরিষদ প্যানেলে জয়ী : ‘দি গ্রেটার বেগমগঞ্জ সোসাইটির ইউএসএ ইনক’র নির্বাচনে ‘আমিন-বাদল’ পরিষদ পুর্ণ প্যানেল জয়লাভ করেছে। গত ২০ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন সভাপতি ও মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন ‘হক-সেলিম’ পরিষদ। নির্বাচনে ১১০০ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বৃহত্তর বেগমগঞ্জ সোসাইটির অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় এবারের নির্বাচন ছিলো তাৎপর্যপূর্ণ।
৭২ মিলিয়ন ডলার আয়! নন্দিত বাংলাদেশী কিশোর ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে নিন্দিত
মোহাম্মদ ইসলাম নামের বাংলাদেশী কিশোর নিউইয়র্কের স্টাইভিসেন্ট হাইস্কুলের টুয়েলভ গ্রেডের ছাত্র। এই বালকের বিস্ময়কর ৭২ মিলিয়ন ডলার অর্থ আয়ের কাহিনী নিয়ে প্রতিবেদন ছাপে প্রথমে নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন ও নিউইয়র্ক টাইমস। একে একে সংবাদের শিরোনাম হয় ডেইলি নিউজ সিএনএন’সহ শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমেও। মাত্র ১৭ বছরের বাংলাদেশী কিশোর-বালকের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয় কমিউিনিটির গণমাধ্যমও। মুলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশী কমিউনিটির গণমাধ্যমও ফলাও করে প্রচার করে মোহাম্মদ ইসলামের এই অর্থ আয়ের সাফল্যের খবর। সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, সাপ্তাহিক রানার’সহ বেশ ক’টি গণমাধ্যম বাংলাদেশী কিশোরের সাফল্য গাঁথা অর্জনকে সাধুবাদ জানিয়ে খবর প্রকাশ করে। ফুটিয়ে তোলা হয় ১৭ বছরের কিশোরের এই সাফল্য শুধু বাংলাদেশীদের নয়; পুরো বিশ্বের সেরা অর্জন হিসেবে। কিন্তু বিধি বাম। মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। মাথায় বাজ পড়ে সবার। যে খবরে উচ্ছ্বসিত হয় স্টাইভিসেন্ট স্কুলে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী-আমেরিকান শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটি। ঠিক তার উল্টো চিত্র প্রকাশিত হয় মাত্র দু’দিনের মাথায়।
দু’দিন আগে ৭২ মিলিয়ন ডলার অর্জনের জন্য নন্দিত বাংলাদেশী কিশোর মোহাম্মদ ইসলাম দু’দিন পরেই পরিণত হলেন নিন্দিত ব্যক্তিতে। মূলধারা এবং কমিউনিটির মিডিয়াগুলো যেখানে বড় বড় করে তার সংবাদ ছেপেছে। পরবর্তীতে তারাই উল্টো দুঃখ প্রকাশ করে। কারণ বাংলাদেশী ঐ কিশোরের ৭২ মিলিয়ন ডলার অর্জনের খবরটি ছিল সাজানো নাটক এবং মিথ্যা।