নিউইয়র্ক ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : আ. লীগের ওয়েলকাম সমাবেশ : সাক্ষাৎ পেলেন না হাজারো নেতা-কর্মী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৩৭৬ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেএফকে বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা পরিবেষ্টিত হয়ে সরাসরি ম্যানহাটনের অভিজাত লোটে গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলে যান। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন এবং এবারের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই হেটেলে অবস্থান করলেও তাঁদেও সাথে অফিসিয়ালী কোন বৈঠক বা আলোচনা হবে না। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরাও লোটে গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সাথে তার পরিবারের সদস্যবর্গের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, পরিবেশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ দুই শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ওয়েলকাম’ জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ প্রবাসীরা জেএফকে বিমানবন্দরে সমাবেত হন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ দলের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারের সমর্থনে নানা শ্লোগান দেন। এসময় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে জেএফকে মুখরিত হয়ে উঠে। আওয়ামী লীগের সমাবেশ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের বাইরে পার্কিং লটে তাদের জন্য বেস্টনি গড়ে দেওয়া হয়। তবে বরাবরের মতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কারোরই কোনো দেখা-সাক্ষাত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ পথে বিমানবন্দর ত্যাগকরে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
জেএফকে’র সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, হাজী এনাম, আব্দুল হাসিব মামুন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা ছাড়াও ফরিদ আলম, মিসবাহ আহমেদ, মহিলা লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দরুদ মিয়া রনেল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জাকারিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগের আহŸায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম আহŸায়ক সেবুল মিয়া, ইফজাল আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল কাদের মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ইউনিভার্সেল হেল্থ কভারেজ শীর্ষক দিনব্যাপী উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। এতে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরার কথা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আয়োজিত ক্লাইমেট এ্যাকশন সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও দ্যা ভ্যাকসিন এলায়েন্স ভূষিত “ভ্যাকসিন হিরো” সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারের জন্য এবছর মনোনীত করা হয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নিউইয়ক সফরকালীন সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে: আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ। তিনি বরাবরের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেবেন। একই দিন তাঁর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দেবেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনটি সাইট ইভেন্টে যোগদানের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্থেনিয়ো গুতেরাসের সাথেও তাঁর বৈঠক হবে। এছাড়াও ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। ম্যানহাটানের বিলাশবহুল ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলের বলরুমে এদিন বেলা ১২টায় এই সংবর্ধার আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বেলা ২টার দিকে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : আ. লীগের ওয়েলকাম সমাবেশ : সাক্ষাৎ পেলেন না হাজারো নেতা-কর্মী

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হককথা রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেএফকে বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা পরিবেষ্টিত হয়ে সরাসরি ম্যানহাটনের অভিজাত লোটে গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলে যান। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন এবং এবারের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই হেটেলে অবস্থান করলেও তাঁদেও সাথে অফিসিয়ালী কোন বৈঠক বা আলোচনা হবে না। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরাও লোটে গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সাথে তার পরিবারের সদস্যবর্গের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, পরিবেশ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ দুই শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ওয়েলকাম’ জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ প্রবাসীরা জেএফকে বিমানবন্দরে সমাবেত হন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ দলের অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়ে সরকারের সমর্থনে নানা শ্লোগান দেন। এসময় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে জেএফকে মুখরিত হয়ে উঠে। আওয়ামী লীগের সমাবেশ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের বাইরে পার্কিং লটে তাদের জন্য বেস্টনি গড়ে দেওয়া হয়। তবে বরাবরের মতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কারোরই কোনো দেখা-সাক্ষাত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ পথে বিমানবন্দর ত্যাগকরে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
জেএফকে’র সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, হাজী এনাম, আব্দুল হাসিব মামুন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা ছাড়াও ফরিদ আলম, মিসবাহ আহমেদ, মহিলা লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দরুদ মিয়া রনেল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের জাকারিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগের আহŸায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম আহŸায়ক সেবুল মিয়া, ইফজাল আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল কাদের মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ইউনিভার্সেল হেল্থ কভারেজ শীর্ষক দিনব্যাপী উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। এতে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্যের বিষয়টি তুলে ধরার কথা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আয়োজিত ক্লাইমেট এ্যাকশন সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও দ্যা ভ্যাকসিন এলায়েন্স ভূষিত “ভ্যাকসিন হিরো” সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারের জন্য এবছর মনোনীত করা হয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নিউইয়ক সফরকালীন সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে: আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ। তিনি বরাবরের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেবেন। একই দিন তাঁর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দেবেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনটি সাইট ইভেন্টে যোগদানের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্থেনিয়ো গুতেরাসের সাথেও তাঁর বৈঠক হবে। এছাড়াও ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। ম্যানহাটানের বিলাশবহুল ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলের বলরুমে এদিন বেলা ১২টায় এই সংবর্ধার আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বেলা ২টার দিকে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন।