নিউইয়র্ক ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : নাগরিক সম্বর্ধনা ১৯ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘে ভাষণ ২১ সেপ্টেম্বর: জেএফকেতে হাজারো নেতা-কর্মীর উষ্ণ অভ্যর্থনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ৭৭৭ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওযামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে পৌছেছেন। প্রাণের আবেগে শত-সহস্্র দলীয় নেতা-কর্মী জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানালো। এসময় তারা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে জেএফকে’র টার্মিনাল ফোর-এর পার্কিং লট। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে  এয়ারলাইন্স এর একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী জেএফকে বিমানবন্দরে পৌছান। এসময় টার্মিনালের ভিভিআইপি লাউঞ্জে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বিমান থেকে নেমে আসার পর রাষ্ট্রদূত মোমেন তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে বিশেষ পথে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে বেরিয়ে আসেন এবং তার জন্য নির্ধারিত গাড়ীতে উঠে সরাসরি ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উঠেন। নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক আগমন করেন।
দলীয় নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পৌছার পর রোববার বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা হোটেল লবিতে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দলীয় নেতাকে এমনভাবে বরণ করার ঘটনা এই প্রথম। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি এম ফজলুর রহমান, সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হক ও সাইফুল ইসলাম রহীম, কার্যকরী পরিসদ সদস্য শাহানারা রহমান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ পথ বিমান যাত্রা শেষে ক্লান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত কষ্টেও হাস্যেজ্জল মুখে দলীয় নেতাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন এবং খোঁজ-খবর নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হোটেল কক্ষে গিয়ে বিশ্রাম নেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জেএফকেতে সমাবেশ: এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে হাজারো দলীয় নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বেলা একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা জেএফকে টার্মিনালের ‘শান্তি সমাবেশে’ উপস্থিত থেকে শ্লোগান দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ‘শান্তির দূত’ আখ্যায়িত করে সরকারের পক্ষে নানা শ্লোগান দেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূইয়া (মিলন্টন) ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এবং যুবদল নেতা আতিকুল হক আহাদের সার্বিক তত্বাবধানে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী একই টার্মিনালের অদূরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সরকার বিরোধী নানা  শ্লোগান দেন। এসময় তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা পোস্টার ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন। বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অনির্বাচিত আর অবৈধ সরকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবী করা হয়। বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বেলা একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টার্মিনালে অবস্থান করেন।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে জেএফকে বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, শেখ হাসিনা মঞ্চ সহ দলের অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রঙ বে রং-এর পোষাক পরিহিত দলীয় নেতা-কর্মীরা নানা ব্যানার, পোস্টার আর প্লাকার্ড হাতে রাঙ্গিয়ে তোলেন টার্মিনাল চত্তর। তাদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত দৃশ্য অবাক বিস্ময়ে ভিনদেশীরাও অবলোকন করেন। ‘জয় বাংলা’,‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’,‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’,‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার’ প্রভৃতি শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল বিমানবন্দর। তাদের গগণবিদারী উচ্ছাস আর শ্লোগানে বার বার প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
শান্তি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আগত দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রবাসে ‘বিএনপি-জামায়াত’ এর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উচ্ছাস ছিল বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায়। ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে ঘুরে ঘুরে তারা প্রকাশ করেন উল্লাস, আবেগ আর উচ্ছাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাগরিক সম্বর্ধনা সভা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ইতিপূর্বে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সর্ম্বধনার চেয়ে চলতি বছরের সম্বর্ধনা হবে আরো ব্যাপক আয়োজনে ও চমকপ্রদ। প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সফল করতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাংখা আর স্বপ্নের প্রতীক। তাই তাকে বরণ করতে এসেছে সবাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সফল করতে দলীয়ভাবে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক নতুন মাত্রায় বিশ্বে পরিচিত করেছেন। বাংলাদেশকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ায় সারা বিশ্বে তাঁকে নিয়ে সবার কৌতুহল। তিনি শান্তির দূত হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন।
প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজি এনাম) বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে আমরা আনন্দিত, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমি তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘ জীবন ও সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
এদিকে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ পথে বিমানবন্দর ত্যাগ করায় দলীয় নেতা-কর্মীরা সরাসরি সাক্ষাৎ পাননি। তারপরও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর আগমনে নেতা-কর্মীদের ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম আর জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জেএফকে বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনারের পার্কিং লট। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, সিটি ও পোর্ট অথরিটি পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই দলীয় সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরণে আওয়ামী পরিবারের সবার অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নেবেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী হোটেলে রোববার বিশ্রামে থাকলেও সোমবার থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে ব্যস্ত সময় পার করবেন। এরই অংশ হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে দলীয় সভানেত্রীকে সব ধরণের সহযোগিতায় তৎপর থাকবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে তাকে নাগরিক সম্বর্ধনা জানাতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে নাগরিক সম্বর্ধনা সফল করতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৬টায় ম্যানহাটানের টাইম স্কয়ারস্থ ম্যারিয়ট মার্কুইস হোটেলের বলরুমে এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণে অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যা সহ বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফর কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শাখা কমিটির নেতা-কর্মীরাও পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাগরিক সম্বর্ধনা সফল করতে। অপরদিকে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর পাশাপাশি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ প্রভৃতি সংগঠন ।
জেএফকের শান্তি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ছাড়াও দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি এফ ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, সামসুদ্দীন আজাদ, আবুল কাশেম ও লুৎফুল করীম, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুর রহিম বাদশা, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ বাতেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, জন সংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, মানবাধিকার সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, মো: রফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুবলীগের আহ্বায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক বাহার খন্দকার সবুজ, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, ইফজাল আহমে চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিযা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সহ সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল, জাতীয় শ্রমিক লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস আহমেদ বিউটি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোর্শেদা জামান, কুইন্স কাউন্টির জুডিশিয়াল ডেলিগেট মনজুর চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ যুক্তরাষ্ট্র-এর সভাপতি মো: আব্দুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা শাহানা রহমান, শরাফ সরকার, খোরশেদ খন্দকার, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, জিয়াউল হক, এন আমীন, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, দেওয়ান বজলু, শাহাদৎ হোসেন, বজলুর রহমান বজলু, মোহাম্মদ হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা একেএম সফিকুল ইসলাম, সবিতা দাস প্রমুখ সহ কয়েক শত নেতা-কর্মীকে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী অীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, বছর দুই আগে দল থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর একাংশের সভাপতি আব্দুল মুসাব্বির, জাসদ অপরাংশের সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ: এদিকে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর  শনিবার নি ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর এমন এক সময়ে বিশ্বনেতারা জাতিসংঘ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন, যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের ‘মূল কারণগুলো’ দেখিয়ে তা নিরসনে বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে ।
জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানরা, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা সমস্যা: কয়েক যুগ ধরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা নির্যাতনের মুখে গত কয়েক দিনে কক্সবাজার ও আশপাশের জেলায় আরো প্রবেশ করেছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংখ্যা ১০ লাখে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের এই মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মিয়ানমার তাদের অবস্থানে অনড়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শরণার্থী সংকট এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করেছে। ‘লাখ লাখ অসহায় রোহিঙ্গাকে মানবিক সহায়তা দিতে এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ আজ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। তিনি জানান, এই সংকটের মুহূর্তে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলো প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের সুস্পষ্ট প্রস্তাব তিনি জাতিসংঘে উপস্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নজরুল ইসলাম শনিবার এএফপিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরবেন। তিনি রাখাইনে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানাবেন, তিনি যাতে রাখাইনে সহিংসতার তদন্তে দল পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিরও আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আবুধাবি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। আবুধাবিতে যাত্রাবিরতির পর শেখ হাসিনা রোববার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে কনবেনি কনফারেন্স সেন্টারে ‘গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের এক ফলোআপ বৈঠকে যোগ দেবেন। এর আগে শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। এর আগে তিনি ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে মৌরিসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জুগনাউথের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও কমনওয়েলথের বর্তমান চেয়ার-ইন অফিস মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেফ মাসকেট আয়োজিত কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি সন্ধ্যায় ম্যাডিসন এভিনিউয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত শুভেচ্ছা সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনএইচকিউতে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের ওপর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে ইউএনএইচকিউতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট মিজ কেরস্তি কালজুলাইদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
পাশাপাশি শেখ হাসিনা ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফিন্যান্সিং অ্যান্ড মনিটরিং : শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ এবং ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউতে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের ওপর ইউএনডিপি এবং ইউএন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী ‘ক্রিয়েটিং এ পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স : ফ্যাসিলিট্যাটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজিস’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউতে ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও কানাডা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য সার্বিক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ইস্যুতে ইথিওপিয়া প্রতিনিধিদল আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস স্কোওয়াব এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সদানন্দ ধুমির সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হোটেলে ভার্জিনিয়ার আইবিএমের প্রেসিডেন্ট মেরি রোমেটি সাক্ষাৎ করবেন। এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাসগিম থাচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউয়ে পানিবিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তাঁর এই জাতিসংঘ সফরের ওপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নি ইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। ভার্জিনিয়ায় এক সপ্তাহ অবস্থানের পর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। প্রধানমন্ত্রী ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
ওয়াশিংটনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা
ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্থানীয় মেট্রো ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া ও ম্যারিল্যান্ড স্টেট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওয়াশিংটন ডিসির পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও পালন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন উপলক্ষে গত বুধবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডের একটি রেস্তোরাঁয় স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের এক যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : নাগরিক সম্বর্ধনা ১৯ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘে ভাষণ ২১ সেপ্টেম্বর: জেএফকেতে হাজারো নেতা-কর্মীর উষ্ণ অভ্যর্থনা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সালাহউদ্দিন আহমেদ: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওযামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে পৌছেছেন। প্রাণের আবেগে শত-সহস্্র দলীয় নেতা-কর্মী জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানালো। এসময় তারা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে জেএফকে’র টার্মিনাল ফোর-এর পার্কিং লট। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে  এয়ারলাইন্স এর একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী জেএফকে বিমানবন্দরে পৌছান। এসময় টার্মিনালের ভিভিআইপি লাউঞ্জে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বিমান থেকে নেমে আসার পর রাষ্ট্রদূত মোমেন তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে বিশেষ পথে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে বেরিয়ে আসেন এবং তার জন্য নির্ধারিত গাড়ীতে উঠে সরাসরি ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উঠেন। নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক আগমন করেন।
দলীয় নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পৌছার পর রোববার বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা হোটেল লবিতে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দলীয় নেতাকে এমনভাবে বরণ করার ঘটনা এই প্রথম। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি এম ফজলুর রহমান, সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হক ও সাইফুল ইসলাম রহীম, কার্যকরী পরিসদ সদস্য শাহানারা রহমান, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ পথ বিমান যাত্রা শেষে ক্লান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত কষ্টেও হাস্যেজ্জল মুখে দলীয় নেতাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন এবং খোঁজ-খবর নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হোটেল কক্ষে গিয়ে বিশ্রাম নেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জেএফকেতে সমাবেশ: এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে হাজারো দলীয় নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বেলা একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা জেএফকে টার্মিনালের ‘শান্তি সমাবেশে’ উপস্থিত থেকে শ্লোগান দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ‘শান্তির দূত’ আখ্যায়িত করে সরকারের পক্ষে নানা শ্লোগান দেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূইয়া (মিলন্টন) ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এবং যুবদল নেতা আতিকুল হক আহাদের সার্বিক তত্বাবধানে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী একই টার্মিনালের অদূরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সরকার বিরোধী নানা  শ্লোগান দেন। এসময় তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা পোস্টার ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন। বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অনির্বাচিত আর অবৈধ সরকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবী করা হয়। বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বেলা একটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টার্মিনালে অবস্থান করেন।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে জেএফকে বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, শেখ হাসিনা মঞ্চ সহ দলের অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রঙ বে রং-এর পোষাক পরিহিত দলীয় নেতা-কর্মীরা নানা ব্যানার, পোস্টার আর প্লাকার্ড হাতে রাঙ্গিয়ে তোলেন টার্মিনাল চত্তর। তাদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত দৃশ্য অবাক বিস্ময়ে ভিনদেশীরাও অবলোকন করেন। ‘জয় বাংলা’,‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’,‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’,‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার’ প্রভৃতি শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল বিমানবন্দর। তাদের গগণবিদারী উচ্ছাস আর শ্লোগানে বার বার প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
শান্তি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আগত দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রবাসে ‘বিএনপি-জামায়াত’ এর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উচ্ছাস ছিল বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায়। ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে ঘুরে ঘুরে তারা প্রকাশ করেন উল্লাস, আবেগ আর উচ্ছাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাগরিক সম্বর্ধনা সভা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ইতিপূর্বে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সর্ম্বধনার চেয়ে চলতি বছরের সম্বর্ধনা হবে আরো ব্যাপক আয়োজনে ও চমকপ্রদ। প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সফল করতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাংখা আর স্বপ্নের প্রতীক। তাই তাকে বরণ করতে এসেছে সবাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সফল করতে দলীয়ভাবে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক নতুন মাত্রায় বিশ্বে পরিচিত করেছেন। বাংলাদেশকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ায় সারা বিশ্বে তাঁকে নিয়ে সবার কৌতুহল। তিনি শান্তির দূত হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন।
প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজি এনাম) বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে আমরা আনন্দিত, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমি তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘ জীবন ও সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
এদিকে নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ পথে বিমানবন্দর ত্যাগ করায় দলীয় নেতা-কর্মীরা সরাসরি সাক্ষাৎ পাননি। তারপরও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রীর আগমনে নেতা-কর্মীদের ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম আর জয় বাংলা’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জেএফকে বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনারের পার্কিং লট। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, সিটি ও পোর্ট অথরিটি পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই দলীয় সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরণে আওয়ামী পরিবারের সবার অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নেবেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী হোটেলে রোববার বিশ্রামে থাকলেও সোমবার থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে ব্যস্ত সময় পার করবেন। এরই অংশ হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে দলীয় সভানেত্রীকে সব ধরণের সহযোগিতায় তৎপর থাকবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে তাকে নাগরিক সম্বর্ধনা জানাতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে নাগরিক সম্বর্ধনা সফল করতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৬টায় ম্যানহাটানের টাইম স্কয়ারস্থ ম্যারিয়ট মার্কুইস হোটেলের বলরুমে এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণে অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যা সহ বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফর কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শাখা কমিটির নেতা-কর্মীরাও পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাগরিক সম্বর্ধনা সফল করতে। অপরদিকে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর পাশাপাশি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, কৃষক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ প্রভৃতি সংগঠন ।
জেএফকের শান্তি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ছাড়াও দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি এফ ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, সামসুদ্দীন আজাদ, আবুল কাশেম ও লুৎফুল করীম, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুর রহিম বাদশা, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ বাতেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, জন সংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, মানবাধিকার সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, মো: রফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুবলীগের আহ্বায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক বাহার খন্দকার সবুজ, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, ইফজাল আহমে চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিযা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সহ সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল, জাতীয় শ্রমিক লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস আহমেদ বিউটি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোর্শেদা জামান, কুইন্স কাউন্টির জুডিশিয়াল ডেলিগেট মনজুর চৌধুরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ যুক্তরাষ্ট্র-এর সভাপতি মো: আব্দুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা শাহানা রহমান, শরাফ সরকার, খোরশেদ খন্দকার, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, জিয়াউল হক, এন আমীন, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, দেওয়ান বজলু, শাহাদৎ হোসেন, বজলুর রহমান বজলু, মোহাম্মদ হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা একেএম সফিকুল ইসলাম, সবিতা দাস প্রমুখ সহ কয়েক শত নেতা-কর্মীকে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী অীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, বছর দুই আগে দল থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর একাংশের সভাপতি আব্দুল মুসাব্বির, জাসদ অপরাংশের সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ: এদিকে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর  শনিবার নি ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর এমন এক সময়ে বিশ্বনেতারা জাতিসংঘ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন, যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের ‘মূল কারণগুলো’ দেখিয়ে তা নিরসনে বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে ।
জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানরা, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা সমস্যা: কয়েক যুগ ধরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা নির্যাতনের মুখে গত কয়েক দিনে কক্সবাজার ও আশপাশের জেলায় আরো প্রবেশ করেছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংখ্যা ১০ লাখে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের এই মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মিয়ানমার তাদের অবস্থানে অনড়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শরণার্থী সংকট এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করেছে। ‘লাখ লাখ অসহায় রোহিঙ্গাকে মানবিক সহায়তা দিতে এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ আজ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। তিনি জানান, এই সংকটের মুহূর্তে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলো প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের সুস্পষ্ট প্রস্তাব তিনি জাতিসংঘে উপস্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নজরুল ইসলাম শনিবার এএফপিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরবেন। তিনি রাখাইনে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানাবেন, তিনি যাতে রাখাইনে সহিংসতার তদন্তে দল পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিরও আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আবুধাবি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। আবুধাবিতে যাত্রাবিরতির পর শেখ হাসিনা রোববার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে কনবেনি কনফারেন্স সেন্টারে ‘গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের এক ফলোআপ বৈঠকে যোগ দেবেন। এর আগে শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। এর আগে তিনি ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে মৌরিসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জুগনাউথের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও কমনওয়েলথের বর্তমান চেয়ার-ইন অফিস মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেফ মাসকেট আয়োজিত কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি সন্ধ্যায় ম্যাডিসন এভিনিউয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত শুভেচ্ছা সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনএইচকিউতে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের ওপর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে ইউএনএইচকিউতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট মিজ কেরস্তি কালজুলাইদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
পাশাপাশি শেখ হাসিনা ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফিন্যান্সিং অ্যান্ড মনিটরিং : শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ এবং ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউতে সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের ওপর ইউএনডিপি এবং ইউএন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী ‘ক্রিয়েটিং এ পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স : ফ্যাসিলিট্যাটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজিস’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউতে ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও কানাডা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য সার্বিক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ইস্যুতে ইথিওপিয়া প্রতিনিধিদল আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস স্কোওয়াব এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সদানন্দ ধুমির সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হোটেলে ভার্জিনিয়ার আইবিএমের প্রেসিডেন্ট মেরি রোমেটি সাক্ষাৎ করবেন। এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাসগিম থাচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউয়ে পানিবিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তাঁর এই জাতিসংঘ সফরের ওপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নি ইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। ভার্জিনিয়ায় এক সপ্তাহ অবস্থানের পর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। প্রধানমন্ত্রী ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
ওয়াশিংটনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা
ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্থানীয় মেট্রো ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া ও ম্যারিল্যান্ড স্টেট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওয়াশিংটন ডিসির পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও পালন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন উপলক্ষে গত বুধবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডের একটি রেস্তোরাঁয় স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের এক যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।